![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিকল্প বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের ডাক দিয়েছিল বাম দলগুলো। শাহবাগ নাটক শুরু হওয়ার পূর্বে তারা ঢাকায় বড় ধরনের শো ডাউন করার চেষ্টা করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খেটে খাওয়া মানুষ তারা গাড়ি ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে আসে। লাল পতাকার মিছিল হয় প্রেসক্লাব এলাকায়।
এর পর হঠাৎ করে শুরু হয় শাহবাগ নাটক। বামরা এই আন্দোলনের উদ্দো্ক্তা হলেও পরে তা লীগের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। বামরা সাম্রাজ্যবাদ ও্ বুর্জোয়া ক্ষমতার রাজনীতির সমস্যা ভুলে গিয়ে শাহবাগের নাটক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এর ফসল তোলে সরকার। মার খায় বাম রাজনীতি। তারা এখন তাদের নিজস্ব রাজনীতির প্লাট ফর্ম থেকে বহুদূরে সরে এসেছে। প্রণব মুখার্জী ঢাকায় আসার প্রাক্কালে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পসে কুশপুত্তলিকা দাহ করেছিল বটে। এর বেশি কিছু করার সময় পায়নি। কেননা তারাতো শাহবাগ নিয়ে ব্যস্ত। শাহবাগই তাদের আদর্শ। শাহবাগই তাদের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু।
মার্কিনীরা দেশে বিএনপি-আওয়ামীলীগের বাইরে কোন রাজনৈতিক আদর্শের উত্থান চায়না, হোক তা রাজনৈতিক ইসলাম বা সমাজতান্ত্রিক বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য। বামরা যখনই বিকল্প রাজনীতির সন্ধান শুরু করে, মার্কিনীদের তা পছন্দ হয়নি। তাই শাহবাগ নাটকের মাধ্যমে বামদের রাজনৈতিক আন্দোলন তারা সরকারের পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এবার বামরা খেলছে সরকারের মাঠে। লাভবান হচ্ছে বুর্জোয়া রাজনীতি ও সাম্রাজ্যবাদ।
অন্যদিকে ২৮ ফেব্রুয়ারী সারা দেশে জামাত-শিবির যখন তান্ডব চালায়, অবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। চিন্তিত হয়ে পড়ে সাম্রাজ্যবাদ। কেননা এভাবে চলতে থাকলে তাদের বিকল্প খেলার ঘুটি বিএনপি মাঠ থেকে আউট হয়ে যাবে। তাই নেত্রী বাইরে থেকে এসেই মাঠে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। জামাতিদের তান্ডবকে প্রশমন করেন। নিয়ে আসেন একটা সিস্টেমেটিক আন্দোলনের মধ্যে। মার খায় জামাত, সে ঢুকে পড়ে বিএনপির পকেটে। জামাতের এখন আর স্বকীয় কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী নেই। তারা হারিয়ে ফেলেছে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব। লাভবান হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ ও বুর্জোয়া রাজনীতি।
এবার খেলার মাঠে খেলা হচ্ছে লীগ বনাম বিএনপি। অন্য সবাই এদের হয়ে খেলছেন। এবার সাম্রাজ্যবাদের জন্য খেলার রেফারি হিসেবে কাজ করা হবে সুবিধাজনক। তাই এক দিকে যেমনি বাশ খেল বামরা অন্যদিকে বাশ খেল জামাতিরা। এরা আসলে বুঝে না বুঝে সাম্রাজ্যবাদেরই উপকার করে থাকে। জামাতিরা বুদ্ধির অভাবে সাম্রাজ্যবাদীদের মাঠে খেলে, বামরাও এর ব্যতিক্রম নয়। যদিও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম-খালেকুজ্জামান গং সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে চিৎকারে গলা ফাটাতে চায়। তবে তাদের রাজনৈতিকে অবস্থানে তাদের তাত্ত্বিক অবস্থান ধুলোয় মিশে যায়...লাভবান হয় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৫
মদন বলেছেন: বাহ, মজা তো