![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের এক চরম পর্যায় মানুষকে একটা উত্তরহীন প্রশ্নের সামনে দাঁড়াতে হয়।আমার কষ্ট গুলো ঐ প্রশ্নের মধ্যে জড়িয়ে আছে।মরণশীল পৃথিবীতে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে বড় বেশি মনে পরে।যাকে ভোলা যায়না শত সুখে-দুঃখ।লিখালিখি করি নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। জীবনের থেকে বেশি ভালবাসি বাবা-মাকে।
নির্বাক দর্শকের সিটটায় বসে মাঝে মাঝে এমন কিছু দেখতে/শুনতে হয় যা পছন্দের মধ্যে পড়ে না।
কিছু করার ক্ষমতাও হয় না, অসহ্য লাগে এই মুহূর্তটা।মানুষ কতটা বেঈমান হতে পারে।
কি বুঝতে পাচ্ছেন না তো,
আমার পাশের বাড়ির চাচার কথা বলছি...............
আমার বাড়ির পাশের দোকানদার চাচা প্রেম করে এক মেয়ের সাথে।চাচা বেশি শিক্ষালাভ করতে না পারলেও মনের চিন্তা গুলো ছিল শিক্ষিত মানুষের মতোই।
মেয়েটার আর্থিক সমস্যার কারনে এস এস সির পর প্রায় পড়াশুনা ছেরেই দিয়েছে।তার ছেড়ে দেওয়া হাল ধরার জন্য চাচায় নিজের ঘার এগিয়ে দিয়েছে, মানে তার পড়াশুনার সমস্ত খরচের টাকা নিজে বহন করেছে।তার কথা হল- আমি আন্ডার মেট্রিক পাশ আমার বউও যদি তাই হয়, তাহলে আমার সন্তান হবে পুরা মূর্খ।তাকে মানুষ করা কোন ভাবেই সম্ভব হবে না।
এজন্য প্রেমিকাকে সব দিক থেকে হেল্প করে।এতে ঐ মেয়ের পড়াশুনা ভালোই চলে।
ইন্টার, ডিগ্রী পাশ করে চাচার কাছে আফদার করলো, সে চাকরী করবে, কিন্তু ততদিনে চাচা প্রায় সর্বশান্ত।তবুও না বলেনি, অনেক কষ্টে তার ভালোবাসার মানুষটির শেষ চাওয়াটা মিটিয়েছে।
এ কথা গ্রামের সবাই জেনে যায়, সবাই তাদের প্রেমের কথা শুনে মন্তব্য করা শুরু করে।কেউ বলে ঠিক হয়নি কেউ বলে ভালোবাসা অন্ধ, ওরা ভালো থাকলে আমাদের ক্ষতি কি।
কিন্তু চাচার বাড়ি থেকে চাচার উপর মহা চাপ পড়লো।ওনার উপার্জনের একমাত্র উপায় হল দোকানটা।বড় চাচা রাগ করে সেই দোকান থেকে নামিয়ে দিয়েছে।
বড় চাচা দেখে দোকান সুন্দর সাজানো কিন্তু বিস্কুটের প্যাকেটে বিস্কুট নেই।মানে আস্তে আস্তে দোকানের সমস্ত টাকা ঐ মেয়ের পিছনে ঢেলেছে।এমনস্থায় ছোট চাচা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলো, কিছু দিন পর ফিরেও আসলো।
এদিকে মেয়েটি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দিলো।
চাচা তার জীবন প্রণালী পাল্টে দিলো অথচ সেই চাচা কে ঠকাতে দুবার ভাবল না মেয়েটা।
ছয় মাস চাকরী করার পর ঐ স্কুলের এক সহকারি শিক্ষককে বিয়ে করলো।এই ঘটনায় চাচা প্রায় পাগল হওয়ার অবস্থা।গ্রামের এমন কেউ নেই তার প্রেমের কাহিনী জানে না, তাই গ্রামের সবাই তাকে সান্ত্বনা দিয়েছে।
কিন্তু ......
গ্রামবাসী কি ভুলে গেছে প্রেমিক হৃদয় আর যাই হোক প্রেমিকার চলে যাওয়ার কষ্টে কোন সান্ত্বনা চায় না।
তারপর চাচা এখন অজস্র যন্ত্রণা নিয়ে চিরকুমার থাকার অভিলাষে মৃত্যুর অপেক্ষা করছে।
তার প্রশ্ন হল-
আমার কি দোষ?
আমি তো তাকে বড় করলাম, সম্মানিত করলাম।তাহলে কেন সে এমন করলো?
এরপর চাচা বলে ভাতিজা মেয়েরা মায়ের জাত তাদের নিয়ে খারাপ কথা বলা পাপ হবে।
তবে আজ থেকে নারী জাতকে ভাগ করলাম।
পৃথিবীতে যত মেয়ে আছে সবাইকে সম্মান করবো কিন্তু যে নারী প্রেমিকার জাতে আসবে তাকে ঘৃণা করবো।
এই প্রেম খেলায় নামা প্রত্যেক মেয়ের চোখে আমি তার ছবি দেখতে পাই, আর তখনই মনে হয় এই মেয়েটাও আর একটা ছেলের জীবন ধ্বংস করছে।
বাবারে আর যাই করিস, প্রেম করিস না।
মেয়েদের সম্মান কর, প্রেমিকাদের ঘৃণা কর।
লিখাঃ নিশীথের নিশাকর
©somewhere in net ltd.