![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়েও 'রোবট'। বিতর্কিত বিষয়ে এক্সট্রা এনার্জি এক্সচেঞ্জার। তাই আমি Robot_eee
রাশিয়ার এক ধনকুবের দিমিত্রী ইটসকভ এমন একটা পরিকল্পনা করেছেন, যাতে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে সাইবর্গের আদলে। অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ টার্মিনেটরের কথা মনে আছে তো? ওই চরিত্রটাই সাইবর্গের। সাইবর্গ হল মানুষ এবং মেশিনের একটি মিলিত কাঠামো। এই ধরনের সাইবর্গরা পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। আর এটি স্মভব হলে, মানুষের সাথে যুক্ত হবে ‘অমর’ বলে আরেকটি শব্দ।
রাশিয়ার ৩২ বছরের ধনকুবের দিমিত্রী ইটসকভ ২০১১ সালে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। দিমিত্রীর লক্ষ্য ২০৪৫ সালের মধ্যে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে ফেলা। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন বিজ্ঞানীকে নিয়োগও দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই-ই নয়, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের কাছে চিঠি লিখে তাঁর এই অভিনব প্রকল্পে সাহায্যের আবেদনও করেছেন তিনি।
সায়েন্সটেক24.কম ওয়েবসাইটে সম্প্রতি জানানো হয়েছে রাশিয়ার এই ধনকুবের আসলে চাচ্ছেনটা কী। স্মৃতিশক্তি এবং ব্যক্তিত্ব অটুট রেখে মানুষের মস্তিষ্ক মেশিনে প্রতিস্থাপিত করতে চাইছেন দিমিত্রী৷ এর জন্য সময়সীমাও ঠিক করে রেখেছেন। কয়েকটি ধাপে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে ভাগ করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যাভাটার’৷ এর প্রথম পর্যায় অ্যাভাটার-এ। এই পর্যায়ে ব্রেন-মেশিন ইন্টারফেস (বিএমআই)-এর মাধ্যমে রোবট-মানুষের একটি প্রতিকৃতি পরিচালন করবেন একজন মানুষ। এই প্রযুক্তিতে বাইরে থেকে একটি যন্ত্র মস্তিষ্কের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে৷
২০২০ সালের মধ্যে চলমান এ প্রকেল্পের এই ধাপটা পেরোতেচান দিমিত্রী। পরের পর্যায় ‘অ্যাভাটার-বি’। এই পর্যায়ে মৃত্যুর পর মানুষের মস্তিষ্ক কৃত্রিম একটি শরীরে প্রতিস্থাপিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য সময়সীমা ধার্য হয়েছে ২০২৫ সাল। তৃতীয় পর্যায়, মানুষের ব্যক্তিত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে হিউম্যান-মেশিন ব্রেন ট্রান্সপ্ল্যান্ট। অর্থাত্ মানুষের মস্তিষ্ক এবং মেশিন একযোগে কাজ করা শুরু করবে৷ এই পর্যায়টির নাম রাখা হয়েছে ‘অ্যাভাটার-সি’। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই পর্যায়ের কাজ শেষ করতে চান দিমিত্রী। এটাই কিন্ত্ত পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্যায়। মানুষ-মেশিনের মিশেলটা আদৌ কাজ করছে কি না, তা বোঝা যাবে এই পর্যায়েই। তবেই পৌঁছনো যাবে বহু প্রতিক্ষিত শেষতম পর্যায়ে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ককে পুরোপুরি শরীরের বাঁধন থেকে মুক্ত করে দেওয়া যাবে। দিমিত্রী আশাবাদী, ২০৪৫ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া নিশ্চয়ই সম্ভব হবে৷
খবরঃ www.sciencetech24.com
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৬
তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: অবাক হওয়ার কিছু নাই, সায়েন্স ফিকশন ইজ দ্যা ফিউচার অফ সায়েন্স। জয় হোক সায়েন্সের (অবশ্য জয় হওয়ার কিছু নাই, সায়েন্স প্রতি মুহূর্তেই জয় করে আসছে অন্ধকারকে)
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: এই মানুষ সেই মানুষ হবে কিনা সন্দেহ !

অমরত্ব আমার দরকার নাই ।
তবে আশা বাদী এতে রোগ শোক কমলেই খুশি