![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।
টঙ্গীতে চাঞ্চল্যকর হোটেল ব্যবসায়ী সাইফুল হত্যা মামলায় নিহত সাইফুলের স্ত্রী নূর জাহান আক্তার টুম্পা ও তার প্রেমিক রকিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যাকান্ডের মূল রহস্য বেরিয়ে আসছে।
ফেইস বুকে রকির সাথে সাইফুলের স্ত্রী টুম্পার পরিচয় ও পরকিয়া প্রেমের জের ধরেই এ হত্যাকান্ড ঘটে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে টুম্পা ও তার প্রেমিক রকি স্বীকার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় টঙ্গী থানায় গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
পুলিশ সুপার টঙ্গী থানায় সাংবাদিকদের চাঞ্চল্যকর সাইফুল হত্যকান্ডের অগ্রগতি ও ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের স্ত্রীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন। তিনি তাদের কাছ থেকে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটনের কথা জানান। পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন বলেন, ফেস বুকের মাধ্যমে অনৈতিক সম্পর্কের কারণেই সাইফুলকে স্ত্রী টুম্পা ও কথিত প্রেমিক রকিসহ (২২) তার সহযোগিদের নিয়ে নিজ বাসায় হত্যা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো জানান, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে টঙ্গী থানার ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিহতের স্ত্রী টুম্পার কথিত প্রেমিক রকিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহত সাইফুলের স্ত্রী টুম্পা ও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। সাইফুল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি জানান দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষ থেকে আসামীর দেয়া একটি লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের পড়ে শুনানো হয়। এ বক্তব্যে জানা যায়, কথিত প্রেমিক রকির পরামর্শে তার স্বামী সাইফুলকে হত্যা করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরো জানা যায়, হত্যার দুই মাস পূর্বে হোটেল ব্যবসায়ী সাইফুল ৫দিনের জন্য গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী গেলে ওই দিন রাত ১১টার সময় টুম্পা রকিকে ফোনে তার বাসায় আসতে বলে। পরে রকি সারা রাত বাসায় থেকে সকাল ৭টায় বাসা থেকে বাহির হয়ে যায়। ওই রাতেই সাইফুলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ী গত ৩ সেপ্টম্বর সন্ধায় তার নিজ ফ্ল্যাটের শয়ন কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী টুম্পা ও কথিত প্রেমিক রকির ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যা করে সাইফুলকে। পর দিন তড়িঘড়ি করে সাইফুলের শশুর আমজাদ হোসেন কৌশলে টুম্পাকে বাদী করে টঙ্গী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যদিও এ হত্যা মামলার বাদীর ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের দেখা দিয়েছিল।
এদিকে থানায় পুলিশের সংবাদ সম্মেলন করার সময় এলাকাবাসী সাইফুল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে থানা ও স্টেশন রোড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন এলাকার তৃপ্তি হোটেলের মালিক মৃত হাজী আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে স্ত্রী টুম্পা ও তার প্রেমিক রকি ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে হত্যার পর তার লাশ লাগেজে ভরে টঙ্গীর মুদাফা এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে যায়।
Click This Link
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
রোহান খান বলেছেন: একে একে একজন করে যদি রুখে দাড়াই তবেই তা কাজে দিবো। এদেরকে সমাজে একঘরে করে রাখা উচিৎ।
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
ময়নামতি বলেছেন: কি বলব ভাই দেশটা যে কোখায় যাচ্ছে , কেন সমাজের এই করুণ দশা.....................
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
রোহান খান বলেছেন: বলার কিছুই নাই। করার অনেক কিছুই আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব খবরে এখন বেশি গুরুত্ব না দেয়াই মনে হয় ভাল। সমাজটা পঁচে গেছে, সারা গায়ে ঘা হয়েছে, মলমে বা টোটকায় সারবেনা, কঠিন সার্জারি দরকার! সার্জন আছেন কেউ?