![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।
সবার আগে এই লিংকটি পরে আসুন- লিংকটি পড়ে নিজের বিবেগ বিবর্জীত কিছু প্রশ্ন সামনে এসে দাড়ালো।
দেশে একটা বড় সর গহ যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা চলছে, সারা দেশে সবখানেই আগুন আর আগুন। প্রতিদিনি নিরিহ মানুষজন মারা পরছে। কিন্তু কিসের জন্য? কাদের জন্য? কোন কারনে এই তো দুদিন আগে ৬ মাস হল বিয়ে হয়েছে বরের স্ত্রীকে পেট্রোল বোমা মেরে ঝলসিয়ে দেয়া হল, আর কিসের জন্যই বা ১০-১২ বছরের ছেলেটিকে বোমার আঘাতে মৃত্যু সাথে পান্জা লড়তে হচ্ছে। প্রতিদিনি লাশের মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন লাশ। যারা পেটে দায়ে ঘর থেকে বাহির হচ্ছে তারা নিজেরাই জানেনা ফিরে আসবে লাশ হয়ে কিনা। কিন্তু এসব কাদের জন্য। আজ যিনি চেয়ারে বসে আছেন তার জন্য, নাকি যিনি চেয়ারে যেতে চাচ্ছেন তার জন্য। চেয়ার তো একটাই - আর সেই একটা চেয়ার নিয়েই তো মারামারি। চেয়ারটাতো কেউ একজন ছাড়বে আর পরবর্তিতে কেউ নতুন করে বসবে, এইতো। এই নিয়ে এই হাল্লা মাচাল। তবে সেই সবে কেন সাধারন জনগন রক্ত দিবে। কেন সাধারন মানুষের রক্তের দামে সেই চেয়ারে বসা হবে?
কিসের জণ্য ? কি পাবে এতে। সব চেয়ে বড় কথা কি - কে পাবে এতে?
কেউ ভালো না। না সরকারী দল অথবা বেসরকারী। সবার নেশাই রক্ত।
আজ যারা রাস্তাতে সংক্রিয় মেশিন গান নিয়ে দারিয়ে আছে কাল তারা অন্যসরকারের হয়ে এ সরকারের লোকজনের বিরধী হয়ে এদেরও মারবে। আজ যারা অপজিশন আছেন কাল তারা সরকারী দল হয়ে তাদের পরবর্তী অপজিশন মারবে। নিজেদের মধ্যে মারা-মারী। ১৯৭১ ছিলো পাকিস্তানীদের হানাদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ফলাফল দেশভাগ।আর আজ ২০১৩ হল আমাদের নিজেদের ভিতর গৃহযুদ্ধ।তাহলে কি এবারো দেশ ভাগ হবে? ৩ ভাগ হবে এক ভাগ আওয়ামী এক ভাগ জামাত আরেক ভাগ বিএনপি।এছাড়া তো স্থ্যায়ী কোন সমাধান দেখতে পাচ্ছি না। প্রতি পাচ বছর পর পর একি ধরনার একশন দেখতে দেখতে গনতন্ত্রে কোন অধ্যয় যে আছি তা নিজেই বোঝা দায়।
কিন্তু আমরা কেউ বুজতে পারি না যে এসব বাইরের দেশের রাজনৈতিক হোলিখেলা। আমরা নিজেরা বুজতে চাই না যে অস্থিতিশীল রাজনিতীর বৈরী পরিবেশ সৃস্টি করে ভৌগলিক অবস্ত্যানের সুযোগ নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী কমপক্ষে ৪ টি দেশ তৈরী আছে। তাদের সেই বিছানো জালে নিজেদের মুক্তি করার প্রেক্ষাপট থেকে দুরে নিয়ে নিজেদের ভিতরেই গৃহযুদ্ধো লাগানোর পায়তারা চলছে। আর আমরা চিলে কান নিয়ে গেলো সেই পিছনে ছুটছি।
কিন্তু কতটুকু তা বিচার করে দেখছি। সেই সাথে মিডিয়াও ছুটছে। যেকোন খবর কোন যাচাই বাছাই না করে নিয়ম-শৃংখলাও নামে গন্ধে না চেখে ছাপিয়ে দিচ্ছে। ফলাফল মিথ্যে ভিত্তিহীন সংবাদও ইতিহাস নামের বইটির পাতা উল্টিয়ে দিচ্ছে।কারা আজ রাস্তায় বোমা মারছে, ধীল ছুড়ছে। আমার প্রশ্ন হল এরা কি কোন খেটে খাওয়া বা চাকরী জীবি কোন মানুষ? কখনোই না। এদের মধ্যে দেখা যাবে বেশীর ভাগি বেকার যুবক, যাদের এদেশের কোন সরকার বাবস্ত্যাই (১৯৯১ টু ২০১৩) কাজ বা জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় চাকুরীটুকু দিতে পারেনি। সমাজে চলাচল করতে গিয়ে হোচট খেয়ে কিছু অংশ নস্ট হয়ে গিয়েছে। কিছু অংশ যোগ দিয়েছে ভাড়া খাটার দলে। আবার কিছু অংশ নিজের আখের গোছাতে রাজনৈতিক দলে। এরা মুলত কেউই দেশ প্রেম বা প্রকৃত সুষ্থ্য ধারার রাজনিতীর সাথে পরিচিত নয়। কারন জন্ম থেকেই এদের চোখের সামনে জলেছে আন্দোলনের আগুন।
প্রেক্ষাপট বিচারে বেকার থাকায় পেয়েছে অবাধ সময় , পেয়েছে সুযোগ । হয়ত কেউ বড় কোন নেতার আশ্রয় পেয়েছে। ব্যাস। হয়ে গেলো তো ভবিষ্যতএর জণ্য ভয়ানক কোন নিউজের স্রস্টা।এভাবে আরেকটি দল হয়ত টাকার জন্য পেট্রোল বোমা বানিয়েছে। সেই বোমা বহন করেছে আরেকটি দল। অথবা অন্য আরেকটি দল সেই বোমা ছুড়ে মেরেছে। এভাবেই দাংগা ছড়িয়েছে সবখানে। কিন্তূ আজ যদি এই গুটি কয়েক লোক গুলোর ভালো কোন কাজ এই রাস্ট দিতে পারতো তাহলে তারা এসব কাজে লেগে থাকতো না। হয়ত তারাও সুন্দর একটা পরিবারের স্বপ্ন দেখতো। হয়ত এরাই হত দেশের ভবিষ্যত। আরেকটি দল সময়ের সাথে সাথে নিজেদের নিয়ে উঠছে উপরের তলায়। বানিয়েছে ক্ষমতার দেয়াল। সে দেয়াল ভেদ করা সম্ভব নয়। সেখান থেকে বসে টাকার গদি বানিয়েছে। একসময় হয়ে উঠেছে দেশের নেতাদের ভিতর বড় কোন নেতা। ক্ষমতার দাপটে বিরোধী নিধন প্রকল্প সহ নানা প্রকল্পের কল্পিত নগরে ঘুরেবেড়াতে ভালো বাসেন। ৫ বছর চুপচাপ থাকলেও ইলেকশনের সময় অডিও বাজারের সস্তা এমপিথ্রির মত মানুষ খুজতে থাকেন দলে দলে। যোগান !!!! সে তো আগে থেকেই প্রস্তুত। প্রয়োজন শুধু আগবাড়িয়ে প্রস্তাব দেবার। একটা সময় সেই সুযোগ নামের সেই সময়টিও এসে যায়।
কি লাভ এদের? এরা কি নিজেরা বুজতে পারছেনা এরা নিজেরাই অণ্যদের দিয়ে ব্যাবহিত, হয়ত কিছু মুহুর্তে আলোকছটায় চোখে সর্সেফুল রুপে টাকার আলমিরায় বসে টাকা গুনছে, কিন্তু তারা কি বুজতে পারছে ভবিষ্যত কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। একটু আগে যেই ৫ বছরের ছেলেটি বাবা ডেকে গেলো তাদের জন্য কোন ভবিষ্যত বানিয়ে চলছে। আজ যা বানালো সে কাল সেই ৫ বছরের ছেলেটির ভবিষ্যতকে কোথায় নিয়ে যাবে সেটা কি তারা ভাবে না। নাকি নিজের সন্তানের জন্যই তার নিজেরি চিন্তা নাই? এখানে কিন্তু একটা প্রশ্নের উদয় হয় যে যদি সত্যি সেই চিন্তা যদি নাই থাকে তবে সে জনগনের ভবিষ্যতের চিন্তা করবে কি করে? আর আমারাও তাদেরি খুজে খুজে বার করে ভোট দেই যাতে পরবর্তীতে আমার সন্তানকেই খুন করে নিজেদের রাজ্য প্রঠিস্ত্যা করতে পারে। এরা কেউ ভালো না এরা সবাই খুনী। সবার হাতে জনগনের রক্তে লাল হয়ে গিয়ছে।আর জনগনের ভিতরেই ক্ষমতার লোভের বিচ বুনে কিছু মানুষকে হায়েনায় পরিনত করতে উদ্দত হয়েছে। আর এই জনগন কারা জানেন? তারা কেউ আমারি ভাই, ভাতিজা, বাবা, চাচা, ভাগিনা। এদেরকেই মানে আমাদেরি ব্যাবহার করছে আমাদেরি ধংস করতে।
এখনো সময় আছে নিজেদের চেনার। এখনো সময় আছে এদেশকে পাকিস্তান বা সোমালিয়া বা ইরাক ইরান বানানোর আগে নিজেদের বুঝার জন্য। আবেগ দুরে ফেলে নিজেদের বুঝতে শিখুন জানতে শিখুন আর অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করতে শিখুন । যেখানে এখন সময় নিজেদের জাতী হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবার সেখানে এই সব কর্মাকান্ডে নিজেদের অন্য হাতে তুলে দিলে যে ক্ষতি হবে তা পুরন হাজার বছরেও হবেনা। বাকি শুধু বুজতে পারার কে আমি ও আমরা আর কে তারা।
©somewhere in net ltd.