নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় যেখানে যেমন, তেমনি হতে চাই...

রোহান খান

আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।

রোহান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সাইবার অপরাধী" !!! এদের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে সুন্দরী গৃহবধূ আর তরুণীরা।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

আসেন দেখি একটা গল্প শোনাই। গল্প বললে ভুল হবে, বাংলাদেশের পেপার খুললেন এমন দু চারটা গা গরম করা নিউজ পাওন যায়। কিন্তু ভাই শুধু গা গরম করলেই কিছু হবে নাকি প্রতিরোধ করবেন? এদের কাছে কেই বা নিরাপদ মা, বোন, বৌ। রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকার এক গৃহবধূর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাস জীবনযাপন করছেন। বাড্ডায় ছোট ভাই ও ৩ বছর বয়সী একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি বসবাস করছেন। তার অভিযোগ পাশের ফ্ল্যাটে বসবাসরত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক যুবক কিছুদিন আগে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সাড়া না দেয়ায় ওই ছেলে তার মুখাবয়বের সঙ্গে অন্য একজনের নগ্ন দেহের একটি ছবি সুপার ইম্পোজ করে ফোন নম্বরসহ ওয়েবসাইটে ছেড়ে দেয়। একের পর এক অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসার পর তিনি ওয়েবসাইটে ছবি ছাড়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এ বিষয়টি প্রবাসে থাকা তার স্বামী জানার পর থেকে পরিবারে অশান্তি লেগেই আছে। স্বামীকে তিনি কিছুতেই বিষয়টি বোঝাতে পারছেন না। এ নিয়ে তাদের ৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে নেমে এসেছে অশান্তি। বিষয়টি তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন। সম্প্রতি মিরপুর বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পড়ুয়া এক তরুণীর সঙ্গে শিশির নামে এক যুবকের বিয়ে ঠিকঠাক হয়েছিল। বিয়ে ঠিক হয়েছিল দু’পরিবারের সম্মতিতেই। এনগেজমেন্ট দিন তারিখ ছিল ১৮ মার্চ। এরই মধ্যে ছেলেটি ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। নানা প্রলোভন আর প্ররোচনার এক পর্যায়ে তরুণী ওই যুবকের ঘনিষ্ঠ হয়। অন্তরঙ্গ সেসব মুহূর্তের ছবি শিশির মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে রাখে। পরে শিশির ওই তরুণীর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এত টাকা যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় তরুণীর পরিবারের সদস্যদের ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে শিশির। টাকা না দিলে ওই ছবি সে ওয়েবসাইটে দেয়ার হুমকি দেয়। লজ্জা, ঘৃণা, অপমানে ওই তরুণী দু’দফা আত্মহত্যার চেষ্টাও চালায়। বিষয়টি তরুণীর বন্ধু-বান্ধবীরা জেনে যাওয়ায় লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইডেন কলেজের এক ছাত্রী তার সেলফোনের লক খুলতে যান ইস্টার্ন প্লাজায় একটি দোকানে। ওই দোকানের কর্মচারী ছাত্রীর সেলফোনের লক খুলে দেন। তবে ওই সেলফোনে থাকা ছাত্রীর দুটি ছবি ব্ল–টুথ দিয়ে ডাউনলোড করে নেন। ছাত্রীর অজান্তেই তিনি এ কাজটি করেন। এরপরই ওই ছাত্রীর মোবাইলে ফোন করে তাকে ভালো লাগার কথা জানান। এক পর্যায়ে প্রস্তাব দেন প্রেমেরও। রাজি না হওয়ায় ইডেন কলেজের ওই ছাত্রীর মুখাবয়বের সঙ্গে নগ্নদেহের ছবি মিলিয়ে ফোন নম্বরসহ ছেড়ে দেয়া হয় পর্নোসাইটে। এভাবেই দেশের সাইবার অপরাধীদের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে সুন্দরী গৃহবধূ আর তরুণীরা। এ ধরনের একটি অভিযোগে বুধবার রাজধানীর ডেফোডিল ইন্টরন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শরিফুর রহমান শরিফকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ছবি ফেসবুক ও ইউটিউবে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাও হয়েছে। ডিবির (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকি জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই বিয়ে হয়েছিল শরিফের। মনোমালিন্যের কারণে তারা এখন আলাদা বসবাস করছেন। বিয়ের পর ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কিছু ভিডিও এবং স্তির ছবি ধারণ করে রাখে শরিফ। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলে ভিডিও চিত্র ও স্থির ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় শরিফ আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮(১)(২) ধারায় শেরেবাংলা নগর থানায় শরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। জানা গেছে, সাইবার অপরাধীরা কিশোরী ও তরুণীদের ছবি সংগ্রহ করে নগ্ন দৃশ্যের সঙ্গে সুপার ইম্পোজের মাধ্যমে অশ্লীল স্থিরচিত্র তৈরি করছে। সেই দৃশ্যের ভিডিও দেখিয়ে মোট অংকের চাঁদা আদায় করছে অপরাধী চক্র। যে বা যারা অর্থের জোগান দিতে পারছে না তার ছবি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে পর্নো সাইট, ফেসবুক বা ইউটিউবে। প্রযুক্তির সুবাদে মুহূর্তে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে এসব দৃশ্য। গত এক মাসে পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় এ ধরনের ৮৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এই বাহিনীর সদস্যরা আইনি দুর্বলতায় প্রতারণা বন্ধে কার্যকর তেমন ভূমিকা রাখতে পারছেন না। ডিএমপির সাইবার ক্রাইম শাখার সহকারী কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশে সাইবার ক্রাইম এখনও অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আর প্রতারণার শিকারদের বেশির ভাগই অভিযোগ করতে চান না। যেসব অভিযোগ আসছে সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা রোধের জন্য ব্যক্তিগত সচেতনতা প্রয়োজন। ফেসবুকে কেউ কারও ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি আপলোড করলে ওই ফেসবুকের মালিককে শনাক্ত করার প্রযুক্তি গোয়েন্দাদের আছে। কিন্তু পর্নো সাইটের অপরাধীদের শনাক্ত করার যথেষ্ট প্রযুক্তি এখনও দেশে আসেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম শাখার এক কর্মকর্তা জানান, যেসব ওয়েবসাইটে তরুণীদের নগ্নছবি ছাড়া হচ্ছে সেসব ওয়েবসাইটের ঠিকানা ভুয়া। নাম-পরিচয় না থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ওয়েবসাইট বন্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই। এক্ষেত্রে তারা শুধু ওয়েবসাইটটি ‘ব্লক’ করে দিতে পারেন। বন্ধ করার জন্য বিটিআরসির কাছে ধরনা দিতে হয়। এর আগে এ ধরনের অর্ধশতাধিক ওয়েবসাইট চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধের জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তখন বেশ কিছু সাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। তারা আগের ঠিকানা পরিবর্তন করে (লিংক পদ্ধতি) নতুন নামে ওয়েবসাইট খুলে চক্রটি সাইবার ক্রাইমে অব্যাহত রেখেছে। আর আপনি বসে থাকুন। আর অপেক্ষা করতে থাকুন কখন তাদের থাবা আপনার সংসারে পড়বে। এখোনো সময় আছে রুখে দাড়ান।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

নীল জোসনা বলেছেন: এসব অপরাধীদের চিহ্নিত করার কি কোন ব্যাবস্থা নাই ?

যে পর্যন্ত দেশে উন্নত প্রযুক্তি চালু না হবে সে পযন্ত কি মেয়েরা ভোগান্তির শিকার হতেই থাকবে ? :(

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

রোহান খান বলেছেন: প্রযুক্তি দিয়ে বা না দিয়ে এসব বাদ দিয়ে নিজের ঘরের মেয়েদের দেখভাল করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। প্রযুক্তি দিয়ে না হয় অপরাধীদের শাস্তি দিলেন, তাতে কি হারানো জিনিস ফেরত পাবেন?

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: রেফারেন্সের লিংক কই?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

রোহান খান বলেছেন: রেফারেন্স বেশী না এই বছরের জানয়ারী ১,১৪ থেকে আজ পর্যন্ত দেশের সব গুলো নিউজ পেপার ঘেটে দেখুন।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: এসব ঘটনায় অন্য কিছু না করে সরাসরি র‌্যাবকে জানালে পরিস্হিতি দ্রুত নিজের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।ওরা অন্য কোন সংস্হার চেয়েও খুব দ্রুত এসব ঠিক করে ফেলে।হারানো সম্মানটাও ফেরৎ পাওয়া যায়।

আর মূল অপরাধীর কি হয় তা নাই বললাম :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

রোহান খান বলেছেন: র্্যাব কে সম্মান যানাই তবে এখণো এদেশে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় বলে বিশ্বাস হয়না। আপনি একটু কস্ট করে আমার একটা লেখা পড়ে আসুন, বুজতে পারবেন -
Click This Link

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

সোহানী বলেছেন: এভাবে আর কতদিন চলবে... অসহনীয় পর্যায় যাওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো নাকি এখনি ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন।.... দৃস্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ অপরাধ বন্ধ হবে না।

আর মেয়েদের কেও বলি .. একটুখানি মিস্টি কথায় তোমরা কেমন করে একটা অজানা অচেনা ছেলের সাথে ঘনিস্ঠ হও ????? তোমাদের কি বিবেক বুদ্ধি নেই ???????

আর ছেলেদের বলি, একটা মেয়ের জীবন ধ্বংস করতে তোমাদের বাঁধে না ???? তোমরাতো মায়ের গর্ভেই জন্ম নিয়েছো তাই নয় কি???

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

রোহান খান বলেছেন: সব দায়িত্ব প্রশাসনের উপর কেন দিচ্ছেন? সমাজে আপনি নিজেও একটা চালিকা শক্তি, এটাকে কাজে লাগান। আর ছেলে মেয়ে তাদের বলে কয়েইবা কি লাভ - একটু কস্ট করে বেশী দুর না ধানমন্ডি লেকে যান। দেখতে পাবেন কত কপোত কপোতি। এরা কি সবাই বিবাহিত বা ইসলাম এটাকেই বা কতটুকু সমর্থন করে, অথচ ভাবতে অবাক লাগে আমারদের দেশে নাকি ৭৫% মানুষি ইসলাম ধর্মের অনুসারী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.