নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় যেখানে যেমন, তেমনি হতে চাই...

রোহান খান

আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।

রোহান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখে নিন সেন্টমার্টিন এর ভয়ংকর সেই মৃত্যুফাঁদ ( সচেতন হোন )

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

সেন্ট মার্টিন এর ভয়ানক মৃত্যু ফাদ কোন মানুষের একার ভুল নয়। বরং কতৃপক্ষের অবহেলা ও অব্যাবস্থাপনাকেই দায়ী করা হয়। এত বড় একটা পর্যনটন এলাকা কিন্তু ডেনজার জোন/সেইফ জোনের কোন নির্দেশনা নেই।

সুডো ব্লগের একভাই এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। সকাল বেলা চোখে পড়ল তাই লিংক দিলাম। এটা দেখে যদি অন্তত একজন মানুষের জীবন বাচে সেটাই সামুর/ আমাদের সার্থকতা হবে। ছবি গুলো ছড়িয়ে দিন।

আপনাদের সুবিধার্তে কপিপেস্ট দিলাম। কারন ব্লগার মেহেদি ভাই নিজেই ছবিগুলো ছড়িয়ে দিয়ে সবাইকে সতর্ক করতে বলেছেন।



-------------------------------------------------------------------



" (ব্লগার : mehedi | লেখার তারিখ: April 16th, 2014 | ক্যাটেগরি: সতর্ক বার্তা | পোস্ট পড়া হয়েছে 5,378 বার!

Tags: saint martin, saint martin north beach, ভয়ংকর সেন্টমার্টিন, সেন্টমার্টিন মৃত্যুফাঁদ ) "

Into The Post Add



বেশ কয়েকবছর আগে আমাদের কাছের এক বড় ভাইয়ার এক বন্ধু মারা যান সেন্টমার্টিনে পানিতে ডুবে। সব বন্ধু পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর চোখের সামনে মায়াবী নীল পানি গ্রাস করে নিচ্ছে কাছের বন্ধুকে !! ভাবতেই গা শিউরে উঠে।

এরপর যখন আমরা কয়েকটা বন্ধু মিলে সেখানে যাই তখন কথাটা খুব মনে হচ্ছিল!! যাওয়ার পথেও অনেকের কাছেই শুনলাম এরকম হারিয়ে যাওয়ার কিছু সত্য গল্প। অবাক করা বিষয় হচ্ছে বর্ননায় সবার বলা জায়গাটা একটাই মনে হচ্ছিল। তাই ওখানে গিয়ে আমরাও খুজতে লাগলাম জায়গাটি।।

স্থানীর এক হোটেল কর্মকর্তার সাথে এসব নিয়ে কথা হচ্ছিল , কথা প্রসঙ্গে উনিও জায়গাটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আর তানা হলে হয়ত আজ আর আমার এই পোস্ট টি লেখা হতনা হয়ত অন্যদের মত আমরাও হারিয়ে যেতাম সেখানে কারন জায়গাটা সেন্টমার্টিন নেমে প্রথম বীচে হাটা শুরু করলেই কয়েক মিনিট পরেই ওত পেতে থাকে অর্থাৎ অনেক কাছেই।



ওখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হতে কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়ত ভুলবশত আপনিও পা দিতে পারেন এই জায়গাটিতে!! কারন নীল পানির আচ্ছাদনে আলাদা করে বোঝার কোণ উপায় ই নেই।



এরপরেও প্রায় প্রত্যেক বছর এই একি জায়গায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন আর এবার ২০১৪ তে এসে আহছান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির এতগুলো ছাত্র অকালে প্রাণ হারালো !! খুব নাড়া দিয়ে উঠলো আর ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করতেছে আমাদের নিষ্ঠুর বিবেক কে, এতটা নিশ্চিত জানা সত্তেও ওখানকার প্রশাসন কোণ ব্যবস্থা নেয়নি এই অভিশপ্ত জায়গা সম্পর্কে !!



যাহোক কথা না বাড়িয়ে আমি আপনাদের কে জায়গাটা একটূ ছবি দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাচ্ছি।।



যার গেছেন তারা নিশ্চই জানেন যে প্রথমে জাহাজে করে সবাইকে সেন্টমার্টিন ফেরীলাইনে নামিয়ে দেয়া হয়। আর সেখান থেকে পায়ে হেটে ব্রীজটা পার হয়ে এসে এখানে নামলেই হাতের ডানদিকে যে বীচ টা দেখতে পাই প্রায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সবাই এই বীচ ধরে হাটি এবং ব্রীজের গোড়ার দিক থেকে পানিতে নামি আর কিনারা ঘেষে ডান দিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।।



পানিতে একবার নেমে পড়োলে আমরা আর কেউই কিন্তু বালিতে উঠে আসিনা সামনে এগুতে থাকি পানি ধরেই। ঠিক সোজা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে এবার দ্বীপটা হাতের বা দিকে টার্ন নেয়। ঐ জায়গাকে বলা হয় “জিনজিরা উত্তরপাড়া” স্থানীয়রা বলেন উত্তর বীচ।।



দুইদিকের পানির স্রোত এবং ঐ ত্রিকোনাকৃতির মধ্যস্রোত এই জায়গাটিতে মিলিত হয়েছে এবং ত্রিমুখি স্রোতের কারনে পানির চাপ খুব বেশী ওখানটায় এবং চাপটা নিন্মমুখি। স্থানটা দেখতে অনেকটা লম্ভাটে খালের মত, আর এই ত্রিমুখি স্রোতের কারনে অনেক জায়গাজুড়ে বড়সড়ো গর্ত তৈরী হয়েছে। জানিনা এবং কোন নির্দেশনা নেই বলেই আমরা সাতার কাটতে কাটতে এই টার্ন দিয়েই বা পাশের বীচের দিকে এগুতে থাকি, আর তখনি কিছু বুঝে উঠার আগেই সমুদ্রের অতলে হারিয়ে যায় অনেকেই Frown



একিভাবে আমি এবং আমার বন্ধু জাকির ও রিয়াদ সাতার কেটে ওইদিকেই এগুচ্ছিলাম হঠাত ওখানে বীচে হাটাহাটি করা স্থানীয় দুইটা বাচ্ছা ছেলে আমাদের কে বললো ‘ভাইয়া ওইদিকে যাইয়েন না, গর্ত আছে’ আর হয়ত এভাবেই আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন !!



প্লিইজ সবার কাছে অনুরোধ রইলো এই স্থানটা সম্পর্কে আপনার কাছের সবাইকে সচেতন করে দিন। ছবিগুলো ফোনে নিয়ে নিন যখন যার সাথে কথা হবে দেখিয়ে দিন, যদি আর একটি প্রাণ ও বাঁচে আপনার এই ছোট্র কাজ থেকে তাহলে অনেক বেশী উপকৃত হবেন।। বুঝার সুবিধার্থে আমাদের ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি দিচ্ছিঃ























মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

হেডস্যার বলেছেন:

কথায় আছে না...."অধিক আনন্দে বুদ্ধি বিনাশ"
তাদের হইছে ঐ অবস্থা....

নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে...সাবধান থাকতে হবে, তবেই একমাত্র এরকম দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। প্রশাসন এখানে কিছুই করতে পারবে না।

কক্সবাজারে খেয়াল করেছেন নিশ্চই যে লাল পতাকা টাঙ্গানো থাকা সত্বেও ডুবুরি ও নিরাপত্তাকর্মীদের সকল আহবানকে কাঁচকলা দেখিয়ে যে যার ইচ্ছা মত পানিতে দাপাদাপি করছে।

কে শুনে প্রশাসনের কথা কিন্তু দুর্ঘটনার পর ঠিকই দায় চাপানো হয় প্রশাসনের উপর।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: সেন্ট মার্টিন ঘুরে এসেছি সেই ২০০৮ সনে । কিন্তু এই মরন ফাদ সম্পর্কে জানা ছিলনা। সবা্রই জানা দরকার। আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪০

কোবিদ বলেছেন:
জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: পোস্ট শেয়ারে ধন্যবাদ

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

লিরিকস বলেছেন: কোবিদ বলেছেন:
জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

নীল জোসনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আশা করি অন্ততঃ এবার প্রশাসন বীচে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে, নিরাপদ, অনিরাপদ জায়গা, সময় এর ব্যাপারে।

আল্লাহ যারা চলে গেছে তাদের জান্নাতে দাখিল করুন, আমিন।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।

তবে আমরা কিছু হারাবার পর, নড়েচড়ে বসি। আগে থেকেই এই চিন্তা আসা উচিৎ।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৪

টুম্পা মনি বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। এটা সত্যি দুঃখজনক কেউ বেরাতে গেলে বাড়িতে লাশ হয়ে ফিরবে! অথচ প্রতিবছরই এই মর্মান্তিক কাহিনীগুলো আমাদের শুনতে হয়!

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৩

নিসাব বলেছেন: গুরুত্তপূনর্ পোস্ট।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

মোমেন মুন্না বলেছেন: জেনে উপকৃত হলাম!!!

১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: দেখলাম ! শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.