নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন চলার পথে অনেক কিছু দেখেছি জেনেছি । অনেক দিন থেকেই লেখার চেষ্টা করছি কিন্তু সাহস পাই না । অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম ভাল, খারাপ যাই হোক লিখব । ব্লগের সকলের সহযোগিতা চাই ।\n

সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন)

৯৯৯

সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মান্ধ ওয়েব পেইজ

৩০ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে মার খেয়েছি, মৃত্যুর হুমকি পেয়েছি । পুলিশের কাছে গিয়েছি নিরাপত্তার জন্য । পুলিশের বক্তব্য, সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় । পারলে দেশ ছেড়ে চলে যান । তাই প্রানে বাচার তাগিদে আজ আমি দেশের বাইরে ।
যত দিন যাচ্ছে, ততই যুক্তিবাদী আর প্রগতিশীল মানুষ খুল হচ্ছে । এক সময় ধর্মান্দ্ধতা আর ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বললে মৌলবাদীরা পথে নামতো, যুক্তিবাদীদের ফাসি দাবী করতো । এখন ধারালো ছুরি দিয়ে কেরবানির গরু ছাগল যেভাবে জবাই করে, সেভাবে যুক্তিবাদীদের জবাই জরে । গরু ছাগল যেমন সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে জবাই করে, মানুষগুলোকেও তাই করে । খুনির সংখা অবিশ্বাস্যরকম বেড়ে গেছে দেশে । মানুষ কি করে বাংলাদেেশ নিজেদের নিরাপদ মরে করে ? আপস করে চললে অথবা মুখ বুঝে চললে অথবা সন্ত্রাসে সমর্থন জানালেই সম্ভবত নিরাপত্তা মেলে । দেশে যখন ছাত্র, শিক্ষক, লেখক, প্রকাশক, সম্পাদক, বুদ্ধিজীবী, ব্লগার একের পর এক খুন হচ্ছে, তখন মানুষ কিন্ত খুনের প্রতিবাদ করছে না, রুখে দাড়াচ্ছে না, বরং যে যার জীবন যাপন করে যাচ্ছে , যেমন করছিল ।
শাহাবাগের আন্দোলন আমাকে উজ্জিবতি করেছিল ।
কিন্ত বর্তমান সরকার যেভাবে লেখক, সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করছে তাতে ভয় আরও বেড়ে যায় । বাংলাদেশের শত শত মানুষ শ্যামলকান্তি ভক্ত নামের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে । কিন্ত এই যে প্রতিবাদ, তা কি নির্যাতিত প্রধান শিক্ষকটিকে বাচাতে পারবে ? ভয়ন্কর আরও যেসব খবর পাচ্ছি, আমার তো মনে হয়না বাচাতে আদৌ পারবে । ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা হচ্ছে শ্যামলকান্তির । মেডিকেলে ঢুকে শ্যামলকান্তিকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে কিছু জঙ্গি দল। এবং করছে প্রকাশ্যেই । ফেইসবুকে, সবাইকে জানিয়েই । এখন হত্যাকান্ড গুলো ঘটাতে সন্ত্রাসীরা আর রাতের আধারের অপেক্ষা করে না । ছুরি ধারিয়ে নিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়েই কারও বাড়ীতে ঢুকে কাউকে কুপিয়ে বুক ফুলিয়ে হেটে হেটে সবার সামনে দিয়ে চলে যায় । তাদের রোধ করে কার সাধ্য বাংলাদেশে ?
খবরে পড়লাম, শ্যামলকান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে "ইসলাম বিদ্ধেস ও ইসলামকে গালিগালাজ" করার অভিযোগ এনে তাকে হত্যার টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তার প্রাথমিক পরিকল্পনা করে ফেসবুকে একাধিক পেজে দেওয়া হয়েছে । শুধু তাই নয়, "সালাহউদ্দিনের ঘোড়া" ও নবী সা. এর কটুক্তির শাস্তি মৃত্যুদন্ড নামের পেজ ইভেন্ট খুলে শ্যামলকান্তিকে হত্যার টার্গেট লক করে দেয়া হয়েছে । শ্যামলকান্তি ভক্ত এখন ঢাকা মেডিকেলে আছে, কে আছো শ্যামলকে ঢাকা মেডিকেেলের ভিতরই বিজ্ঞানী বানাবে ?
"সালাহউদ্দিরে ঘোড়া" নামের পেজ থেকে শ্যামলকে হত্যা করার ১১টি পদ্ধতি উল্লেখ করা হয় । "নবী সা. এর কটুক্তির শাস্তি মৃত্যুদন্ড: থেকে শ্যামলকান্তির নাম পরিচয় দিয়ে, অপরাধ হিসেবে ইসলাম বিরুদ্ধে ও ইসলামকে গালীগালাজ কারী উল্লেখ করা হয় এবং তাকে বিজ্ঞানী বানানো হোক । তারা হত্যা করার সংকেত-শব্দ হিসেবে "বিজ্ঞানী বানানো" ব্যবহার করে থাকেন ।
আমার এক পরিচিত ব্লগারের কিছু কথ আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে । উনি বলেছেন, "সালাহউদ্দিনের ঘোড়া" নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্তকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে । এখন সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রালয় কি ভূমিকা নিয়েছে এই ব্যপারে । আইসিটি এ্যাক্ট ৫৭ ধারা নিরব কেন ? এই ব্যাপারে সরকার নিরবই থাকবে । কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করবে না । এই বিষয়ে কিছু পুরোনো বিষয় আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করছি ।
নয়ন চ্যাটার্জি, অনিমেষ রায়, বখতিয়ারের ঘোড়া, সালাহউদ্দিনের ঘোড়া, দস্তার রাজদরবার, বাশের কেল্লা এই রকম ডজন খানেক পেইজ ফেসবুকে আছে যেগুোলো থেকে ক্রমাগত সাম্প্রদায়ীক ও মৌলবাদী উস্কানী দেওয়া হয় । বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য এসব পেইজ থেকে যাদের বিরুদ্ধে প্রোপাকান্ডা চালানো হয়েছিল তাদের সবাই-ই খুন হয়েছেন । বাশের কেল্লা পেইজ থেকে অভিজিত রায়ের বিরুদ্ধে প্রপাকান্ডা চালানো হয়েছিল তিনি ইসলাম বিদ্ধেসী বলে । প্রপাকান্ডা চালাণো হয়েছিল চট্টগ্রামের নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা অন্জলী দেবীকে নিয়েও । এই দুইজনকেই নৃৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ইসলামী মৌলবাদীরা ।
ঠিক একই কাজ বর্তমানে করছে "নয়ন চ্যাটার্জি" ও অনিমেষ রায়" নামের দুটি পেইজ থেকে । সম্প্রতি অনিমেষ রায় পেইজটি থেকে আদিবাসীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি উসকানিমুলক পোষ্ট দেওয়া হয় । তার পরপরই বান্দরবনের নাইক্ষংছরিতে বৌদ্ধ ভিক্ষু নিহত হন । কি জানি এইসব পেইজের সাথে এই হত্যাকান্ড গুলো সম্পর্কিত কিনা ? সব সম্ভবের বাংলাদেশে সবই সম্ভব ।
এরকম নিরবিচ্ছিন্ন একের পর এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টার পরেও, কোন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া কিংবা হত্যার জন্য প্রররাচিত করার পরও এই পেইজগুলোর বিরুদ্ধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি । উপরন্ত মৌলবাদীদের রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন স্থানে সংখা্যালঘুদের উপর হামলাকারীদের " মানসিক ভারসম্যহীন" আখ্যা দিয়েছে সরকার এবং প্রশাসন । বীপরিতে আল্লাহ কিংবা নবী রাসুল নিয়ে দেশের কোন গলিতে বসে কে পেইজ চালাচ্ছে তাদের ঠিকই গ্রেফতার করা হয়েছে । এমনকি ফেসবুকে মন্তব্য করার জন্যও গ্রেফতার হয়েছেন সংখ্যা লগু সম্প্রদায়ের মানুষ । শ্রেফ পাশের বাড়ীর শয়তানকে ঢিল মারার কথা লিখে ৫৭ ধারায় গ্রেফতার হয়েছেন মোহন কুমার মন্ডল । শয়তান এবং ঢিল লিখলেও অপরাধী ! অথচ প্রকাশ্যে মানুষকে হত্যার হুমকি দেওয়া, সাম্প্রদায়ীক উস্কানী দেওয়া, নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালানোর পেইজ গুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.