নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তাদের দলের যারা হাজার বার \"আমি অমুক, আমি তমুক\" বলে চিৎকার করলেও কেউ চিনবেনা, কেউ হয়তো চিনে ফেললেও একবার তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিজের মত ব্যাস্ত হয়ে পড়বে। ব্যাস্ত নগরীর মাঝে পিঁপড়ার মত ক্ষুদ্র যে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা যায়, আমি তাদের একজন।

ক্যাপ্টেন জুলিয়াস

ক্যাপ্টেন জুলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি প্রেম, বৈজ্ঞানিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং একজন নারী

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

অষ্টম শ্রেনীতে উঠলে সাধারনত ছেলে-মেয়েদের মধ্যে আবেগ
অনুভুতি এসব বেশি কাজ করে। এরপর ক্লাশ টেইনে একবার
এমন সময় যায়, তারপর আবার ইন্টার ফাষ্ট ইয়ারেও একবার
এমন হয়। ভার্সিটিতে উঠলেতো প্রথম বছরেই হাজার হাজার
প্রেম হয় ক্যাম্পাসে। বিশেষ করে মফস্বল থেকে আসা ছেলে
মেয়েরাই বেশি জড়ায়। এতগুলো আবেগীয় ধাপ পার করে খুব
কম মানুষই সিঙ্গেল থাকে। প্রিয় মানুষ পাশে থাকলে বা তাকে
নিয়ে ভাবলে মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল টেগমেন্টাল এরিয়া (ventral tegmental
area)-তে একটা নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ হয় যার নাম ডোপামিন।
এটা মানুষকে ভালোলাগার অনুভূতি দেয়। আমাদের মস্তিষ্কের
প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স অংশের কাজ হলো বিচার-বিবেচনা, বুদ্ধিমত্তা
ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা। মানুষ যখন ভালোবাসায় মত্ত থাকে তখন
এই প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্সের কাজ লোপ পায়। এ কারনে সে সঠিক
বিচার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। পোলাপাইন এজন্য আবেগ টাবেগ
মিশিয়ে যুক্তিহীনভাভে কত ঝগড়া টগড়া এসব যে করে।
-
এসব ক্ষেত্রে সবসময়ই মেয়েদের একটা অভিযোগ থাকে যে
ছেলেরা সব ভুলে যায়। বেচারা ছেলে। আসলে এই ব্যপারে তাদের
ইচ্ছকৃত ভুল না। হিপ্পোক্যাম্পাস মানুষের স্মৃতি তৈরীর কাজ করে।
মেয়েদের হিপ্পোক্যাম্পাস ছেলেদের ছেয়ে বড় তাই মনেও থাকে
বেশি। হেহে। সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি হয় তা হলো প্রেমের
সাথে যৌনতা জড়িয়ে ফেলা। ভালোবাসা ও যৌনতা আলাদা হতে
পারে। কিন্তু এরা মস্তিষ্কে একে-অপরের সাথে ওভার ল্যাপ করে।
ফলে এক সময় তারা যৌন সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু সমস্যা হলো একটা
সময় সম্পর্কও ছিন্ন হয়। তখন যৌন সম্পর্কের সেই ব্যপারের
জন্য বিশেষ করে মেয়েরা বেশ হিনমন্যতায় ভোগে। আমাদের
সামাজিক ব্যবস্থায় সবসময়ই ধরা হয় যৌন সম্পর্কে সবসময়
মেয়েরা দেয় আর ছেলেরা নেয়। অথচ এটি একটি পারস্পরিক
দেয়া নেয়ার ব্যপার। উপভোগের সময় দুজনেই সমানটাই ভোগ করে
অথচ সামাজিক ব্যবস্থার কাছে মেয়েদের জন্য ব্যপারটি ভিন্ন হয়ে
দাঁড়ায়। ফলে সম্পর্ক ছিন্নের পর সাধারনত মেয়েরা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
অনেকেই আজীবন এক দুর্ভিষহ মানসিক যন্ত্রনার ভিতর দিয়ে দিন পার করে।
-
সেই ছোট্টবেলার প্রেম, স্মৃতি, আবেগ, অনুভুতি। সামাজিক দৃষ্টিকোনের
মারপ্যাচে ছেলেটির কাছে হয়ে যায় সুখস্মৃতি আর মেয়েটির কাছে হয়ে যায় দুর্ভিষহ
মানসিক যন্ত্রনা। সত্য। চরম একটি সত্য। লেখাটি শুরু করলাম কি দিয়ে আর শেষ
হতে হতে কোথায় নিয়ে এলাম। মিষ্টি একটি অনুভুতি দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হলো এক
ধরনের তিক্ততা দিয়ে। একটি মেয়ের সেই ছোট্ট বেলার প্রেমটিও এমন মিষ্টি অনুভুতি
দিয়ে শুরু হয়ে সামাজিক চিন্তার মারপ্যাঁচে পড়ে শেষ হয়য় এমন তিক্ততা দিয়ে। আমার
লেখা হয়তো শেষ হয়, কিন্তু তার যন্ত্রনা শেষ হয়না।বয়ে চলে...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.