![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীল পদ্ধতি খুব স্বম্ভবত আমরা মার্কিনীদের থেকে নিয়েছি। যদি ভুল না করি তাহলে যে ভদ্রলোক এই ধারনাটি দেন তার নাম বেঞ্জামিন স্যামুয়েল ব্লুম, আর তার সেই শিক্ষা পদ্ধতির নাম "ব্লুম ট্যাক্সোনোমি (Bloom Taxonomy)"। খুব ভালো কথা! চমৎকার একটা সিদ্ধান্ত! ছাত্র ছাত্রীরা এখন প্রচুর সৃজনশীল হয়ে উঠবে। আফসুসের ব্যপার হলো ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিদেশীদের এই কনসেপ্টটাই শুধু আমরা নিয়েছি, এর জন্য আর কোন গবেষনা আমরা করিনি। কিভাবে এদেশে আমরা এটি ইমপ্লিমেন্ট করবো তার জন্য কিছুই ভাবি নাই। আমাদের যেই সামগ্রিক শিক্ষাযন্ত্র, তাতে এই পদ্ধতি কতটুকু যায়, কিংবা কিভাবে যাওয়ানো যায় তা চিন্তাও করিনি কখনো। সরকার নিজেই একবার স্বপ্রনোদিত হয়ে একটা জরিপ চালিয়েছে। শুধু মাধ্যমিক স্কুলের তথ্যটা দিই, মাশাল্লাহ ৪৩% স্কুল প্রশ্নই বানাতেই পারেনা, ২৭% অন্য স্কুল থেকে এনে মেরে দেয় আর ১৬-১৭% স্কুলতো প্রশ্ন কিনে এনে পরীক্ষা নেয়। এর মাঝখানে যে স্কুল না জেনেও নিজেরা প্রশ্ন বানায় তারা কি ঘোড়ার দিম বানায় বুঝাই যায়। আর ক্লাসে কি পড়ায় তা নাহয় নাই বললাম!
দায়িত্ব নিয়েই বলছি, দেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষকরা নিজেরা প্রশ্ন না করে বাজারে চলা গাইড থেকে হুবুহু প্রশ্ন তুলে দিয়ে পরীক্ষা নেয়। তাদের বোর্ড বইয়ের ধারে কাছে না গিয়ে গাইডের থেকে মডেল কোয়েশ্চান পড়ায়। আর শিক্ষকদের স্কুলের মধ্যেই কোচিং বানিজ্যের কথা নাহয় নাই বলি। সারাদিন ক্লাস করার পর টাকার বিনিময়ে বাধ্যতামূলক কোচিং এর ব্যবস্থা করে বাচ্চাগুলোরে আরো কয়েক ঘন্টা স্কুলে বসাই রাখে। অন্ধের মত ছুটতে থাকা আমাদের অভিবাবকেরাও এসব নিয়ে ভাবেনা। খেলাধুলা, অবসর সময়, ঘুরাঘুরি এসব তাদের কাছে প্রোডাক্টিভ না। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় যেভাবে শ্রমিককে চুষে শ্রম নেয়া হয়, বাচ্চাগুলোকেও ঠিক সেভাবে বাধ্যতামূলক পড়ালেখায় আবদ্ধ রেখে প্রোডাক্টিভ বাচ্চায় পরিনত করা হয়, যেন ভবিষ্যতে ভালো প্রোডাক্ট দেয়, টাকা কামায়!
ভাবা হয়েছিল সৃজনশীল হলে গাইডের প্রচলন কমে যাবে, কোচিং ব্যবসা বন্ধ হবে, আর এখন? গাইড ছাড়াতো পাশ করাই অসম্ভব! আর কোচিং? সেটাতো স্বয়ং স্কুলেই শিক্ষকেরা খুলে বসে আছে! সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থার নামে খুব একটি সৃজনশীল ব্যবসা পদ্ধতি চালু হয়েছে! সৃজনশীল পদ্ধতি হিসেবে এটি অত্যাধিক কার্যকরী, তবে সেটি শিক্ষার জন্য নয়, ব্যবসার জন্য।
এসব নিয়ে কখনো কাউকে কথা বলতেও শুনিনা, বললেও তা কখনো "সাকিব খানের বিয়ে" কিংবা "সাবিলা নুরের লিংক" এর খবরের সামনে এসে দাড়াতে পারেনা! এই ঘুনে ধরা শিক্ষা পদ্ধতিতে কোয়ান্টিটিতে বিশাল এক শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বের হবে, কিন্তু কোয়ালিটিতে?
শূন্য!
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪
দাঁড়িকমা প্রকাশনী বলেছেন: ভালো বলছেন। ভালোটা বুঝার মতো লোকের বড্ড অভাব। আমরা নিজেরাই নিজেদের শাস্তি দিচ্ছি।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: পদ্ধতিটা ভালোই ছিল।যথার্থ প্রশিক্ষণের অভাব, শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানাইয়া পরীক্ষা নিরীক্ষা, অভিভাবকদের A+ চাহিদা মিলিয়ে অখাদ্য জগাখিচুড়ি হইয়া গিয়াছে।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪
মিঃ আতিক বলেছেন: এটা বংলাদেশে প্রযোজ্য না।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৯
শাহ আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: তারা মার্কুনীদের কাছ থেকে পদ্ধতি চুরি করতে পারল কিন্তু কিভাবে তা প্রয়োগ করতে হয় তা শিখতে পারলনা আর এটাই আমাদের আর তাদের মাঝে ফারাক !!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৭
আসল পাগল বলেছেন: ধন্যবাদ বাস্তবসম্মত একটি বিষয় সামনে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু কে শোনে কার কথা? উচিৎ কতা কইলেই চাচা নৌকা থিকা নামো।।