![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডায় আমি দেখেছি নারীরা মসজিদে জুম্মার নামাজসহ ওয়াক্তের নামাজ পড়তে যান। পৃথক ব্যবস্থায় তারা কাতারবন্দী হয়ে ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করেন। কিন্তু বাংলাদেশের মসজিদে কেন নারীরা নামাজ পড়তে পারেন না?
সম্প্রতি অক্সফোর্ডের একটি মসজিদে নামাজের ইমামতি করেছেন একজন নারী। তার পিছনে নারী - পুরুষ উভয়েই নামাজ আদায় করেছেন। কই এ নিয়ে তো মুসলিম বিশ্বে কেউ কটুক্তি বা বিরুপ মন্তব্য করেনি। কিন্তু এটা বাংলাদেশে হলে কি তুঘলকি কান্ড ঘটতো ভাবতে পারেন?
আসলে বাংলাদেশে শষ্যের চেয়ে বকধার্মিকের সংখ্যাই বেশী।
আমাদের দেশের বকধার্মিকরা কোনভাবেই নারীর নেতৃত্ব মেনে নিতে চায় না। কথায় কথায় ধর্মের বিধিনিষেধের কথা বলেন। নারী নেতৃত্ব
না জায়েজ বলেন। অথচ দেশে দু'জন নারী ছয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাদের নেতৃত্বকে মেনেই তো বকধার্মিকরা দেশেই বসবাস করছেন। কই চ্যালেঞ্জ করার মুরোদ তো দেখলাম না। আসলে সেই সাহস, নৈতিকতার শক্তি আপনাদের মতন কথিত মোল্লাদের নেই। আপনারা শুধু পারেন সাধারন মানুষের সরলতা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে।পারেন ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করতে।
মসিজদে নারীদের নামাজ আদায় করা প্রসংগে পবিত্র কোরান শরীফের কোন আয়াতে বিধি নিষেধ নেই। বরং বুখারী শরীফ, মুসলিম হাদিসে রাসুল্লাহ (সাঃ) কে উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন হাদিস বর্নিত হয়েছে।সেখানে স্বামীর অনুমতিক্রমে স্ত্রীগন মসজিদে নামাজ আদায়ের কথা বলা আছে। এমন কি ঈদগাহে যাবার কথাও বলা হয়েছে।
তাহলে আমাদের দেশে সমস্যাটা কোথায়?
প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি,দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে প্রগতিশীল মানুষের জন্য অনেক মসজিদে ইদানীং নারীরাও পৃথক ব্যবস্থায় নামাজ আদায় করতে পারেন। সেখানে নারীদের অংশগ্রহনের সংখ্যাটা কম। প্রত্যাশা করি, বকধার্মিকদের ফতোয়া উপেক্ষা করে পুরুষের পাশাপাশি মুসলিম নারীদের মসজিদে নামাজ আদায়ের পথ সুগম হবে।
©somewhere in net ltd.