![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি দেশীয় চ্যানেল হিসেবে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েই এই লিখাটা লিখছি। প্রযুক্তিগত কারনে সম্প্রচারে যে সমস্যাগুলো হয়েছে সেটা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র অভিযোগ নেই । হটস্পট, স্নিকো, স্পাইডার ক্যামেরা এগুলো সম্প্রচারের কোয়ালিটি বহুগুণ বাড়িয়ে দিলেও এগুলোর অভাব আমি ফিল করি নাই। কারন প্রথম লাইনেই বলেছি ব্যয়বহুল এসব প্রযুক্তি আমাদের দেশীয় চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবে না ধরেই নিয়েছি । কিন্তু এসব প্রযুক্তি ব্যবহার না করেই চ্যানেল নাইন সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হতে পারতো। একজন দর্শক টিভিতে ক্রিকেট খেলায় কি দেখতে চায় কিভাবে দেখতে চায় চ্যানেল নাইন সেটাই বুঝেনি আমার ধারনা। চ্যানেল নাইন আমাদের যেভাবে ঠকিয়েছে তা নিচে তুলে ধরলাম : ১★ উইকেট উদ্যাপন : একজন বোলার উইকেট পাওয়ার পর কিভাবে সেলিব্রেশন করল, অন্য ফিল্ডারদের রিএ্যাকশন কেমন ছিল টিভিতে খেলা দেখতে বসলে এটা অন্যতম উপভোগ্য অনুষজ্ঞ। উইকেট যাওয়ার মিনি সেকেন্ডের মধ্যে বিজ্ঞাপনে যাওয়ায় দর্শকরা বঞ্চিত হয়েছি। ২★ ক্লোজ ম্যাচের ক্ষেত্রে শেষ ৩ ওভার : ক্লোজ ম্যাচের ক্ষেত্রে শেষ তিন ওভার আমরা প্রতিটি ওভার শুরুর আগে বোলার এবং ফিল্ডারদের সাথে ক্যাপ্টেনের আলোচনা, মাঠে দর্শকদের চিন্তিত মুখ , কোচ এবং দলের মালিকদের চিন্তিত মুখ এগুলো দেখতে চাই । কিন্তু ক্লোজ ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্তও চ্যানেল নাইন কমার্শিয়াল ব্রেকে সমানভাবে বিজি থাকে। এমন কি যখন লাস্ট ২ বলে ৪ রান দরকার তখনও ওভারের পঞ্চম বলে উইকেট গেলে বিজ্ঞাপন দিতে দিতে দর্শকদের ভুলিয়ে দেয় যে তারা একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে বসেছে যে ম্যাচটি উত্তেজনায় ঠাসা। কারন ততক্ষনে উত্তেজিত শরীর বিজ্ঞাপনের ভারে নুয়ে পড়েছে। এ ধরনের খেলায় শেষ বলটি করার আগে সাধারনত অধিনায়ক একটু বেশি সময় ক্ষেপন করে থাকেন , চ্যানেল নাইন মনে করেছে এই তো সুযোগ বিজ্ঞাপন দেখানোর !!!!! ওরা বুঝেইনা , একজন দর্শক ঐ মূহুর্তগুলোর জন্যই টিভিতে লাইভ খেলা দেখতে বসে। ওদের বুঝা উচিত শুধু বল দেখলে কয়েক এমবি খরচ করে ডাউনলোড করেও দেখা যায়। ৩★ এ্যামব্রিন এবং পামেলার বিরক্তির উপস্থাপনা পুরো বিপিএল জুড়েই ভোগান্তির অপর নাম হয়েই থাকল। একজন ক্রিকেট উপস্থাপিকা যদি দর্শক গ্যালারীতে গিয়ে জিজ্ঞাস করে “মুস্তাফিজের ব্যাটিং বেশি ভাল লাগে নাকি বোলিং” এই কথা বলার পর ঐ উপস্থাপিকার ক্রিকেট জ্ঞান নিয়ে আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আরও অনেক সমস্যা ছিল, তবে আমার কাছে উপরের তিনটি সমস্যাই বড় মনে হয়েছে, কারন উপরের তিনটি সমস্যাই ওদের বোকামী এবং হীন মানসিকতার কারনে হয়েছে। এখানে প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটি জড়িত নেই। সমস্যাগুলো চাইলেই এড়াতে পারতো, আমাদেরকে মনে রাখার মতো বিপিএল উপহার দিতে পারতো। চ্যানেল নাইন আমাদের ঠকিয়েছে। ক্রিকেট সম্প্রচারের নামে যা করেছে সেটাকে শুধু প্রতারনা বলা যায়
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: ঠিক এই কারনেই বিদেশী চ্যানেলে খেলা দেখি। অখাদ্য দেশী চ্যানেলগুলা বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসনের কথা বলে। নিজেরা কি বাল ফালাইতেছে সবাই জানে। যতদিন এরা এমনভাবে চ্যানেল চালাবে ততদিন মানুষ বিদেশী চ্যানেলই দেখবে। সব বিজ্ঞাপনও বিদেশী চ্যানেলেই যাওয়া উচিত। তাতে যদি এদের শিক্ষা হয়।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
আমি মিন্টু বলেছেন: হুম বিষয়গুলো কেউ দেখে না ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৬
FArcsy বলেছেন: বিজ্ঞাপন দেখার সময় মানুষ চ্যানেল নাইনের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্দার করছে, পরর্বতিতে এই সকল বাজে চ্যানেলে খেলা প্রচার করা উচিত নয়। এই সকল চ্যানেলের মলিকগন জন্মের সময় পিতা- মাতার কাছে টাকা দাবি করে তা না হলে বিজ্ঞাপন বিরতিতে যায়।