নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে শুয়ে থাকা ভালো বৃত্তের ভিতরে,
আয়েশী সিয়েস্তার অবলুপ্ত বাসনায়,
দিবাস্বপ্নে আপিমের ধোয়ার বেহিসাবি ঘোরে,
শুয়ে থাকা ভালো পরিচিত পরিধিতে!
ঢুলুঢুলু চোখে 'গীতবিতানের' দুপুরভাংগা সুর,
ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক গ্রাস করে নিলে,
ক্ষতি নেই! অথবা বিদ্রোহীর শোণিত কল্পনা,
অলস দুপুরে 'মোমের পুতুলেরা' নাচুক না!
ক্ষতি নেই!
মাঝেমাঝে মার্জারের মতো আড়চোখে,
পুরে নিয়ে পেট বৃত্তে ঘুমানো ভালো হেলে দুলে!
এইখানে খরগোসের মতো চুপ করে,
বসে থাকা ভালো! চায়ের চুমুকে গ্রীক উপকথা,
রসিয়ে রসিয়ে পান করে যেতে পারে ভোরে!
কিন্তু নির্বোধের মতো ইকারুসের হাত ধরে,
কি হবে শূন্যে দিয়ে লাভ?
সোয়াস্তিতে থাকি চিরচেনা বৃত্তের ভিতরে!
বৃত্তের ওইপারে সুতীব্র ভাবে অনিশ্চিত সব,
নীটশের তড়িঘড়ি নামা দেখে দুর্গম গুহার গহীনে,
ঢুকে গিয়েছেন জরথুশত্র! মৃত্যুর থাবা আঁচড়-
কাটছে যত্রতত্র!
প্রমিথিউসের তীব্র যন্ত্রণা আসিরীয় মরূভূমি থেকে,
পেত্রার চাঁদরাত কাদাবে সর্বত্র; তীব্র যন্ত্রণা,
ওইখানে যেয়োনা! বৃত্তে থাকো! লেগে থাকো!
তবু মৃত্যু, শুধু মৃত্যু কতো সহজেই আসা যাওয়া করে,
সীমান্তের দুইপারে; পাসপোর্ট লাগেনা বিশেষ!
না যাওয়াই ভালো পরিধির ওইপারে!
বিশুদ্ধ কাদা লেপটে দিতে পারে কলংকিত দাগ,
সদ্যোজাত দেবদূতের অপংকিল শরীরে,
প্রতি পদক্ষেপ অনিশ্চিত;
তীব্র সংশয়ে স্বয়ং বিচলিত মহিমান্বিত যাদুকর!
যেমন অন্ধকার দৃশ্যত হরপ্পার অক্ষর!
না যাওয়াই ভালো! ওইখানে দর্শন ও অনিশ্চিত,
প্রেম তার মহিমা হারায়, জুলিয়েটের কংকাল-
কড়মড় করে চাবায় সময়! নশ্বর অনুভূতি যত!
সামান্য ভুলে ইঞ্চিখানেক পা বাড়ালেই,
পড়ে যাবে আয়েশী সোয়াস্তির পালংক ছেড়ে,
বৃত্তের ওইপারে! সংশয়ে থাকে অনিশ্চয়তা কতো!
না যাওয়ায় ভালো অবনীল ওইখানে!
অবনীল যতোক্ষণ পরিধির ভিতরে থাকো,
কোশল-মগধ অতীতে থাকে, পুরাতন মুদ্রাগুলো,
স্বর্ণ-রজতে যাদুঘরে জ্বলে! আকাশে বিজ্ঞান!
উপগ্রহ মুহূর্মুহু পাক খায়! প্রেমিকার সেলফোনে,
আসে সংকেত! আপাত ব্যখায় তুষ্ট মানুষেরা,
জোকারের মতো নিজেদের ভাবে প্রচন্ড সজ্ঞান!
এখানে ব্যাখ্যা আছে, ধর্ম আছে, আছে অনুভূত-
মন! ছোট্ট শিশুও জানে উড়াচ্ছে নীলে মেঘপাল-
দুরন্ত পবন!
অবনীল, তুমিও যেয়োনা পরিধির বাইরে,
ওখানে সময় নেই, তিনকাল মিলেমিশে একাকার,
কেউতো জানেনা সময় সেখানে আগায় না পিছায়?
নেই কোন বিজ্ঞান! ভৌত ব্যখ্যা দিবেনা আরাম!
আগুন শীতল নাকি দাহ্য পদার্থ জল?
কেউতো জানেনা! সংশয়ে থাকে রশ্মি ধবল,
কি তার প্রকৃতি ভেবে! ওখানে বাস্তব নেই,
অনুপস্থিত প্রকৃত অবাস্তব!
অবনীল ওইখানে কিছু নেই! ওইখানেই আছে সব!
ধরে থাকো চেনা বৃত্ত জোরেসোরে,
লোকে বলবে উন্মাদ ভুলে চলে গেলে ওইপারে!
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ইন্টারনেট
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৮
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
বিজন রয় বলেছেন: অঅবার পড়লাম। আবার পড়লাম।
অবনীল কি একটা নাম ধরে নিব?
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৯
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: অবনীল কে নামই ধরুন। স্বগোতক্তি থেকে আসা নাম।
৩| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাহ্ , অতুলনীয়।
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৯
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কবিতায় শুধু আবেগ না গভীরতাও আছে।
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১০
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫২
ক্সাবির১২ বলেছেন: সিয়েস্তা শব্দের অর্থটা বলা যাবে ??
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৮
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: দুপুরের ঘুম। অনেকে ভাতঘুম ও বলে থাকেন।
৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রকৃত অবাস্তবতা না থাকলে ক্ষতি কি?বাস্তবতা আর অবাস্তবতা যে রেঞ্জ তা ভাবিয়ে তুলছে একেবারে শেষে কেমন অসংলগ্ন হয়ে গেল কবি। শব্দসুষমায় চমৎকার । টুকটাক টাইপো ইচ্ছাকৃত নয়তো ??
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২৫
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। প্রকৃত অবাস্তবতা না থাকলে ক্ষতি নেই, আবার বাস্তব প্রকৃত কিনা সে বিষয়ে আধুনিক জ্ঞান সন্দিহান! আসলেই রিয়েলিটির প্রকৃতি ভাবতে গেলেই কেমন যেন সব অসংলগ্ন লাগে! সেই অসংলগ্ন সংশয় হয়তো চলে এসেছে অনিচ্ছাকৃত!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
বিজন রয় বলেছেন: শুভসন্ধ্যা।
আজকের সন্ধ্যা স্বার্থক।
এত অসাধারণ লেখিন আপনি!!