![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি চোখের তারায় ডুবে যাওয়া মহাদেশ,
আমি সেই ভূখন্ডে নেমেছি খুঁজতে
হৃদয়ের হারানো প্রদেশ!
তুমি অতলান্তিকে উছলে উঠা এক হিমখন্ড,
আমি ধাবমান তোমার হৃদপিন্ডের দিকে,
স্বেচ্ছায় হয়ে যেতে লন্ডভন্ড!
তুমি ধুমকেতু এক দেখা দাও শতবর্ষের পর,
আমি...
সভ্যতার বয়স বাড়ছে সাথে সাথে আমাদের নিজকে প্রকাশ করার রীতিনীতি, ভংগিও পালটে যাচ্ছে। এই বদলে যাওয়া সময়ে মানুষ কি ক্রমশ self deception বা আত্মপ্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। সামাজিক অবস্থানকে সুসংহত করতে...
\'শোন বিগত প্রণয়ী প্রতিটি বর্ষণক্লান্ত সম্ভাব্য ভোরে,
জীবন্ত চিতায় চন্দনের সুবাসে জন্ম-যন্ত্রণারা আমার
দিলে অসহনীয় চিৎকার!
শুকনো পাতার মতো টুপটাপে ঝরে গেলে মেঘদল,
কক্ষ্যচ্যুতি হলে কিছু কিছু এতিম গ্রহের,
পুনরায় হবে কি আমার?...
চশমার সাথে আমার সম্পর্ক অনেকটা টম ও জেরির মতো। সে কখনো স্থির থাকেনা, আমিও প্রয়োজনের সময় তাকে খুঁজে পাইনা। নিজের অজান্তে চশমা হারিয়ে ফেলার অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। বন্ধুরা প্রায়ই...
অন্ধকারকে নিয়ে অনেক বেশি নাড়াচাড়া করি বলে,
আলো কি পালিয়ে গেলো?
যাদুর প্রদীপ ঘষা দিলে দৈত্য আসেনা আর,
সেও মানুষের মতো ভাড়া খাটে মজুরীর বিনিময়ে!
দানবেরা গিয়েছে অজ্ঞাতবাসে শেষ মাঘ মাসে,
তাদের মুখোশ পড়ে আংগিনায়...
তোমাকে লুকিয়ে দেখি,
যেভাবে চাঁদ এর আলো শরীরে মেখে নেয়
বৈদ্যুতিক তারে ঝুলন্ত নাগরিক পাখি!
মিশে যায় আলো ও অতীত,
বুঝি না পৃথিবীর বুকে কি চলে এখন
গ্রীষ্মের দাবানল নাকি তীব্র তুষারের শীত!
তুমি মধ্যরাতে শহরের...
হৈমবতী এসো চোখে চোখ মিলিয়ে রাখি,
ফুটছে আলোয় সূর্য্যকণা,
কলমি ডগারা ডাগর হয়ে তুলছে আগ্রাসী ফণা,
ক্লান্তিকর নীলে মেঘেদের অনেক পোড়া বাকি!
তবুও তো প্রেম অপেক্ষা মানেনা,
হৈমবতী তীব্র তুষার যুগে প্রেম...
প্রবল বন্যায় ভেসে গিয়েছে ঘর,
শেষ সম্পত্তি স্থাবর ও অস্থাবর,
ফ্রেমে বেঁধে রাখা যুগলের ফটো,
ভেসে যায় আজ যেন খড়কুটো!
আমি শুধু থেমে আছি ঠায়,
বধির শব্দেরা বুকের ভিতর স্থির,
বাবুই পাখিদের আর নেই...
তোমাদের দেখাদেখি আমিও প্রায়ই ঢুকি,
সুদৃশ্য মার্বেলের মতো কাঁচের জারে,
দূর থেকে মনে হয় ওখানে সবাই শুধু হাসে,
আলো আর আলেয়ার ঝংকারে!
সচকিতে হাসে গোল্ডফিস, ওরান্ডা, ক্যাটফিস,
অথচ ভিতরে শুধু শোকসন্তাপের হিসহিস,
সবটুকু জল মাছেদের...
আমিতো অচল পয়সার মতো,
বুকে নিয়ে মহিমান্বিত রাজার ছাপ,
জনতার পদতলে পিষ্ট হই কতো!
চোখে মুখে গাড় ধুলি,
বুকের পাঁজর ভেদ করে চলে যায়,
জান্তব গর্জনে কর্পোরেট লরি!
আমিতো তেমনই অর্থহীন,
ছেড়া মানিব্যাগে আশ্রিত এক মুখ,
বাজারে...
অভিমানী মেয়ে,
দলছুট পাখিরা ক্লান্ত রাতের ডাকে,
একমনে দূরতম আলোর গন্ধ শুঁকে,
তুমি আজ তাড়াতাড়ি যেও ঘুমিয়ে!
আকাশে মেঘের লতা,
বিরান বনের ছাদে উষ্ণ নীরবতা,
তারই ফাঁকে বৃষ্টির সামান্য কথকতা,
ছুঁয়ে দিবে তোমাকে,
স্তব্ধ...
নিহত গোলাপেরা সুন্দর হয়,
মানবীর চোখে উৎসারিত বিশুদ্ধ বিষক্রিয়া,
থামিয়ে দিয়েছে মহাপ্রস্থান!
পরিপূর্ণ প্রেম শেষে পুরুষ হাওয়ায় ভাসে,
তলানিতে জমে শ্বাশত অবিশ্বাস!
বুকের প্রকোষ্ঠে রক্তগন্ধী ঢেউ,
সযতনে লুকিয়ে রেখেছিল কেউ কেউ!
ধারালো ছুরির ঠোঁটে শ্বেতগন্ধী রাজহাঁস,
স্বেচ্ছায় পোঁচ...
কোমল বৃক্ষ তুমি পালালে কোথায়?
বিসর্জনের দিন আয়ু শেষ প্রেমের প্রতিমার,
ভেবেছি আশ্রয় নিব ভেজা উঠানে তোমার!
এমন দুঃসময়ে হেসে বলে প্রবীণ উন্মাদ,
আকাশ আঁকানো হাতে,
গাড় নীল লাগিয়েছে কেউ পুরানো সাদা শার্টে!
পুরোটা অবাস্তব নাকি...
কৈশোরের ঘ্রাণ আর নূপুরের নিক্কণ,
শতবর্ষী ফ্যানের ব্লেডে মরিচায় বুড়ো হওয়া পাখি,
এখনো অমর হয়ে মস্তিষ্কে করে ডাকাডাকি,
হয়তো সে ছিল কিশোরী! হয়তো ডানাকাটা পরী,
এখনো বয়সে স্থির!
বাদামী আইরিশে সামান্য আকাশের নীল,
কখনো দেখিনি তাকে...
লকলকে আগুনে পুড়ে ছারখার কুরুক্ষেত্র,
শেষ যোদ্ধা পড়ে আছে পরিপক্ক পরিখার খাদে,
রক্তের ছোপে ঢাকা ভাটফুলে অবনত কুসুমিত পত্র!
সেই অন্ধ শহরের শেষ নিঃশ্বাসে,
পেট মোটা চাদিয়াল ঘুড়িটার মতো ঘুরছি অবিশ্বাসে!
প্রতিবার ডাইনোসরের মতো গর্জন-
ফুটছে...
©somewhere in net ltd.