| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমিতো শূন্য হবো বলে বাড়িয়ে ছিলাম হাত,
ওরা যোগ-ভাগ-বিয়োগের হিসাবে লাগালো প্যাঁচ,
হাসলেন বীণাপাণি সাক্ষাৎ!
উড়ে গেলো রাজহাঁস রুবিক্স কিউবের বর্ণিল মেঘে,
মেলালো না আর কেউ কাঁটাতারে কেটে যাওয়া,
টুকরো জোছনার সাথে...
একটা অদ্ভুত বৃত্তে পাক খাচ্ছে আত্মা মন,
বিশ্বকর্মার হাতুড়ির অগ্ন্যুৎপাতে গড়া ভাস্কর্যের মতো গাড়-
হাড় চামড়ার আবরণ; গোল হয়ে নৃত্যরত সারসের সাথে-
গান গায়; সারসীরা মরেছে বিবর্তনে,
জলাভুমি জলে নীল মার্বেলে সবুজের...
আজকাল তুমি আর রাত জাগোনা,
রাহু কেতু গ্রাস করে নিলো সমস্ত আলো ভেবে,
নিস্তব্ধ বিছানায় ঘুমকে পাড়াও নাকি ঘুম?
বাহিরে বৃষ্টির নেমেছে ধুম,
কামিনী ফুলের গন্ধে আপ্লুত জলঘড়ি,
নুয়ে নুয়ে পড়ে...
তোমার শহর পুরানো হচ্ছে! আমার মতোই বয়স বাড়ছে,
সানগ্লাস চোখে নিহত প্রেমেরা, এখনো কেন দিচ্ছে পাহারা,
ফুটপাথে; বায়বীয় সকালে, ড্রাই আইসের মতো,
জমানো রাতে; আমিতো মমি হয়ে বাঁচি,
স্বর্গ ও নরকের...
কথা ছিলো অশ্বারোহী হব অথবা,
বোহেমিয়ান খ্যাপাটে! ধরবো জাপটে-
কারণে-অকারণে নীল পানি মর্মরে-
নিখিল বাতাস! তবু একদিন উল্কাবৃষ্টির রাতে,
তুমি বুঝি এসেছিলে দক্ষিণের জলছাদে!
কে বেশি চন্দ্রাহত তুমি নাকি আমি?
সেই নিয়ে...
(১)
একটি সোনালী হরিণী লেজার রশ্মির মতো,
তীব্র গতিশীল! পাক খেতে খেতে-
দুম করে ঢুকে গেলো ওই গলিপথে।
ওইটাকে চাইই চাই! সকালের নাস্তা সঞ্চিত-
করে নিয়ে যকৃতে,
টানা লাটিমের মতো বনবন করে ঘুরছি...
দামামা বাজছে! দামামা বাজছে!
খুলে দাও দরোজাটা! বাহিরে স্মৃতিময় কর্পুর!
সবাই তো দৌড়াচ্ছে জিরাফের মতো,
গলা উঁচু অন্তরে নিয়ে পিপাসার্ত কামনা যতো!
কোথায় আগুন? কোথায় প্রেমিকা? গলে গিয়েছে-
মোমের...
আমি দ্বীপান্তরিত হবো স্বেচ্ছায়,
নিঃসঙ্গ রথ দাও, চাইনা কোন অলৌকিক সারথির-
লীলা মাখা অহমিকা! স্থগিত থাক অভিনয়ের আসর,
প্রতিদ্বন্দীরা এবারের মতো ক্ষমা করো,
পরীক্ষায় পুড়ছি তো আশৈশব! আর কতো?
এইবারে ক্ষমা...
(৯)
ওই দ্যাখো নারী বলতে না বলতে-
এসো গেলো দাবানল!
পাখির পালক পুড়ে যাবে বলে,
অচিন কষ্ট মুড়ে নেশাতুরা হলে!
অথচ আমার কাছেই ছিল সমস্ত দমকল!
আমিই কি তবে নিশাচর...
(১)
কোথায় তোমাকে রাখবো হেলেন,
ট্রয় তো গিয়েছে পুড়ে!
আমিও তো এক প্রবাসী আকাশ,
ভাসিনি কি বলো ভিনদেশী রোদ্দুরে!
(২)
হাতে নিতে নিতে উষ্ণতা হারালো,
ব্রাজিলিয়ান ক্যাফেইন!
তুমি বলেছিলে সব প্রেমই নীল জল,
ঠোঁটে ছুলে...
চেয়েছিলে বুঝি দিতে সিংহাসন, প্রচারিত নাম হবে অক্ষয়,
এই মহাবিশ্ব বৃদ্ধের মতো সাদা কেশে, ভাঙ্গা দাঁতে,
হচ্ছে যখন ক্ষয়! কিভাবে টেকাবো মুকুটের সিংহহৃদয়?
তার চেয়ে বরং গল্প জমাই, বসেছিল প্রাসাদের মোরগ,
লালঝুটি নেড়ে...
(যদি সম্বল হয় একটি মাত্র কালো বল পয়েন্টের কলম, কাক আঁকাতে যাওয়া চরম বোকামির কান্ড, সন্দেহ নাই তাতে! কালো আর কাকে লেপ্টালেপ্টি অবস্থা!)
একটি দাড়কাক ছলছল চোখ,
হাই ভোল্টেজের তারে ঝুলে আছি...
আমি পদাতিক জলে স্থলে হাঁটি, সহযোদ্ধারা নেয়না বিরতি,
মানচিত্রে পথ থাকুক বা না থাকুক, থামেনা সঞ্চরণের গতি!
সিগারেটের শেষ টানের ধোঁয়া ঢেকে ফেলেছে,
নিয়নের বাতি, অগোছোলো চুল অবাধ্য বাতাসে,
পাগলের...
একটা অদ্ভুত পিংপং বলের মতো উদ্ভট উল্লম্ফন,
ঘরের মেঝেতে পৃথিবীর দেয়ালে!
তোমাদের পিশাচসিদ্ধ শহরে কার যেনো কর্কশ হাসি,
বাজে প্রতিক্ষণ;
কে ছুঁড়ছে? কেই বা প্রচন্ড জোরে ফিরিয়ে দিচ্ছে এই-
প্রত্যাঘাত! আমিইতো পিংপং; চ্যাপ্টা হবো...
প্রতিদিন প্রাতঃরাশে নৈশভোজে আমার হৃদপিণ্ড-
ছিড়ে খায় আগ্রাসী শকুন; একপাল ধারালো নখরে,
তারপর ওমে ঢেকে ঘুমায় লক্ষী-প্যাঁচার মতো,
নিপাট ভদ্র সেজে; সংশয়ে থাকে যাবতীয় যাযাবর!
কোন সংবাদে শিরোনামে পাবেনা এই আঘাতের খোঁজ,
তবুও হৃদয়টাকে পুরানো...
©somewhere in net ltd.