![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিন প্রাতঃরাশে নৈশভোজে আমার হৃদপিণ্ড-
ছিড়ে খায় আগ্রাসী শকুন; একপাল ধারালো নখরে,
তারপর ওমে ঢেকে ঘুমায় লক্ষী-প্যাঁচার মতো,
নিপাট ভদ্র সেজে; সংশয়ে থাকে যাবতীয় যাযাবর!
কোন সংবাদে শিরোনামে পাবেনা এই আঘাতের খোঁজ,
তবুও হৃদয়টাকে পুরানো...
আরেকটা রাত বিগলিত অন্ধকার শরীরে মেখে,
ছায়াপথে মাকড়ের মতো নিঃশব্দে পার হয়ে গেলো!
কিছু আরশোলার নিঃসৃত তীব্র গন্ধ নাকে এসে,
পুনরায় ফিকে হয়ে গেলো! শৈশবের টয়ট্রেন,
এরই ফাঁকে হেলে দুলে নিয়ে এলো,
ভুবন ভোলানো মাঠ,...
(১)
থমকে যেয়োনা, হোঁচট খেয়োনা ক্লান্ত রূড় জীবন,
দেয়াল ঘেঁষেই মাধবীলতা; বইয়ামে জমানো-
না বলা কথা! পুরানো তেলের বোটকা গন্ধের মতো,
সঞ্চিত ভাড়ারের সুতীক্ষ স্মৃতি কাতরতা!
মেয়েটি তো বাড়িয়েছিল হাত ভেংগে যুগসন্ধির প্রথা,
অমরাবতীর সপ্ত দুয়ারে...
মাঝে মাঝে শুয়ে থাকা ভালো বৃত্তের ভিতরে,
আয়েশী সিয়েস্তার অবলুপ্ত বাসনায়,
দিবাস্বপ্নে আপিমের ধোয়ার বেহিসাবি ঘোরে,
শুয়ে থাকা ভালো পরিচিত পরিধিতে!
ঢুলুঢুলু চোখে \'গীতবিতানের\' দুপুরভাংগা সুর,
ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক গ্রাস করে নিলে,
ক্ষতি নেই! অথবা বিদ্রোহীর...
ঘড়িকে বলেছিলাম তুমি ঘুড়ো,
অনন্তচক্রের মতো সোনালী স্মৃতির কাবিনে,
উচ্ছল ব্যঞ্জনা নিয়ে ঘুড়ো!
বারবার বৃত্তাকারে তার প্রেম ফিরে এলে,
কি এমন ক্ষতি ছিলো?
নীলাম্বরে ছায়াপথ বারবার ডুবে গেলে,
কি এমন ক্ষতি ছিলো!
তবু একদিন বৃদ্ধ বল্গাহরিণের...
প্রভাতী পাখির সুর, আয়েশী ঘুমের দুপুর, ক্লান্ত রাত,
সবই একাকার! ভেসে যাচ্ছে চিরচেনা আকাশটা,
মৃত্যু জোছনায়! চেনা নাম হুট করে জোনাকির মতো,
কখন যে নিভে যাবে তার প্রতীক্ষায়,
পার হয় ঘড়ির সময়, মৃত্যুগন্ধ...
এক থালা আলো কিনে দিব বলে তোমায়,
এখনো ভাংগা লন্ঠন হাতে হাঁটছি মড়কের রাস্তায়!
নিঃসংগ গিরিবাজ বসে আছে অন্ধকার কার্ণিশে,
শোক সংবাদের কালো বুলেটিন ঠোঁটে নিয়ে,
বোটানিকালের কাকগুলো মাঝরাতে ব্যস্ত মজলিসে,
শিরীষের কাগজে জোরে জোরে...
চাঁদটা উড়ে যাচ্ছিল লাল পাহাড়ের উপর,
আকাশের হলুদ চোখ, জমানো ধুলোয়,
মিশ্রিত মিছরির ঘ্রাণ!
সবকিছু মিলে তৈরী একটা ভাড়াটে জাহাজে,
সোয়াহিলি সিনবাদ স্তব্ধতা জড়িয়ে,
মৃত হাবশীর পাশে নেকড়ের মতো ক্রন্দনরত,
এখানে দাসের পায়ের আওয়াজ...
চোখের পাতা বুঝলেই উন্মাদিনীরা আসে,
ধারালো মরুঝড়ে জ্বলে উঠে অক্ষিকোটরের ছাদ!
অদম্য লাটিমের মতো বনবন করে,
ঘাগড়া পড়া একদল নর্তকী নাচছে তো নাচছেই,
ঘুংগুড়ের শব্দে বিদীর্ণ স্নায়ু অশক্ত, অবশ,
মনে হয় ছিড়ে...
কমলার ঝাঁঝালো মিষ্ট রসে জারিত লিকার,
হালকা ছোঁয়ার মতো উবে যাচ্ছে,
লাল তরঙ্গে ভাসছে এন্ড্রোমিডা কতো চমৎকার,
তোমার উষ্ণতা মেখে রেখেছে সুগন্ধী বাতাস!
কিভাবে ভুলবো বলো অমরত্বের স্মৃতি?
এই মুহূর্ত মৃত্যুহীন! সঞ্জীবনী জলে তোমার...
দরোজাটা আটকে গেলো দুমদাম!
জানালায় আলো নেই, বস্তুত সূর্য্য অনুপস্থিত,
তীব্র অন্ধকার গিলে খাচ্ছে সবকিছু!
পার্থিব শরীর থেকে শুরু করে অপার্থিব মন,
সবই তো অন্ধকার করে নিলো গ্রাস,
মৃতভোজী পোকাদের হাহাকার,
বাসি বাতাসের...
কতো ভালোবাসা মরে যায় প্রতিদিন রাতে,
রেলের ঘুপচি ঘর, সম্রাটের অলিন্দ, রুপসীর নিলয়,
সব ধান কাটা মাঠের মতো ফাঁকা!
অশোকের গৃহত্যাগে কেউই মূহ্য হয়না শোকে,
এলোপাতাড়ি কাটাছেড়া বুকে প্রাকৃত জনের প্রেম,
আর কতোদিনই টিকে? ফুস...
এই যে সকাল! হুট করে কেড়ে নিলে অন্ধকার,
পিছলাতে পিছলাতে এলো বরাহের দল,
আমাকেও যেতে হবে!
\'পাখি সব করে রব\'- এ শহরে পাখি আর নেই,
ফালতু বকোনা তাই! আমাকেও যেতে হবে,
গন্ধ ও কাদা...
শোন ধ্রুপদী জলের লয়, সর্পিল রাস্তার আলো,
টুং টাং বাজে পরিত্যাক্ত খনির গহ্বর,
কয়েকটি ছায়া ছাড়া কি আছে তার নিজস্ব সম্পদ!
তবুও নদীর মতো সে পেতে রাখে বুক,
অন্ধ রাত, প্রাচীন দুপুর, বাজায় ভাটিয়ারী...
একদিন স্বেচ্ছায় চলে যাবে যাযাবর,
দলিলের শৃংখলাবদ্ধ স্ট্যাম্পে সযত্নে স্বাক্ষর দিয়ে,
প্রত্যাহার করে নেবে সভ্যতায় জন্মগত অধিকার!
প্রাচীরের ওই পারে জ্যন্ত বৃক্ষ আছে,
স্বর্ণাভ অংগুরীয় রাইফেলের পাহারায় থাকে বলে,
কিনেছিল নীহারিকা মকরসংক্রান্তির...
©somewhere in net ltd.