![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাতাস বয়োনা জোরে,
পুতুলেরা হাটছে রাস্তায়, রংহীন দুপুরের ছোট্ট আকাশ।
মহাকাল থেমে নেই, অনেক জটিল তার হিসাবের খাতা!
বাতাস কাঁপছে ধীরে, অনভ্যাসের চোখে আজো জমে জল,
পায়ের নীচের রাস্তায় দেখি শুধু অগণন পুতুলের মাথা।
বাতাস...
তুমি নাকি অজ্ঞাতবাসে আছ?
কৌরবের গৌরবে আজো হস্তিনাপুর রক্তে লাল।
বুকের পাঁজরে অদেখা রক্তের ছোপ আমারো তো আছে,
পাওনি দেখা কি তার কখনোই!
খাণ্ডবদাহনের আগুন কখনো সখনো পড়েনা চোখেতে,
তবু পুড়ে যায় প্রাণ অগণিত!...
নিভে গিয়েছে রাস্তার সবগুলো নিওনের আলো,
কারণ ছাড়াই! পুরোটা শরীর অদৃশ্য হলো জমাট আঁধারে!
চোখের তারায় আলো ঝাড়বাতি হয়ে হবে নিঃশেষ,
নিজেকে দেখিনা আর নিজেই!
আছি নাকি মৃত ছত্রাকের মতো হয়ে গিয়েছি শেষ?...
শহর অন্ধকার! মরা কোটালের শামুকেরা খোঁচা দেয়,
পায়ের পাতায়, যদিও নিভেছে আলো সন্ধ্যার প্রথম প্রহরে,
তবু বিড়ালের মতো যায় নাকি হাঁটা আবছা আলোয়!
শুধু শুধু হেঁটে যাওয়া কয়েকটা দুর্লভ মানুষ,
রেসকোর্সে পড়ে থাকা ঝরা...
মন ভালো তো তোমার?
নক্ষত্রেরা জানতে চাচ্ছে এই মধ্যরাত্রিরে, কেমন অস্পষ্ট রাস্তার বাতি,
নিভে যাবে নাকি ল্যাম্পপোস্ট! পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্ররা লেপ্টে আছে,
গোখরার লেজের মতো প্যাঁচানো রাস্তায়,
সাপটা নড়ে নাকি পায়ের আওয়াজে!
সূত্ররা...
শোন নারী, জীবনের নকশী আঁচল,
আশ্বিনের সকালে আমি উদবাস্তু পথিক!
এমনি ছিলাম আমি চিরচেনা চাঁদটার সাথে,
যখন কুয়াশা তার হারিয়েছে দিক।
অশ্বত্থামার ঘোড়া নিয়ে বেঁচেছি নক্ষত্রের সাথে,
একরাশ ভালোবাসা নিয়ে বুকের ভিতর!
হয়তো পাওনি টের!
সাদা রাতে...
ক্রমশ যাচ্ছে বেড়ে দূরত্ব আমাদের,
মহাকাশে চোখ মেলে নক্ষত্রদের দেখিনা আর!
বিচ্ছিন্ন কাছিম যুগলের মতো যাচ্ছি কি ভেসে,
অয়ন বায়ুর স্রোতে!
এখন তোমার ঘ্রাণ ধীরে ধীরে হচ্ছে ম্লান,
তবু বাতাসে শুকে তোমাকেই খুজি আপ্রাণ!
নিরক্ষ রেখায়...
মেয়েটা চোখে দুঃখ পুষে রাখে,
তোমরা রাখো শখের হরিণ, বুলবুলি আর টিয়াটা!
মেয়েটা শুধু দুঃখ পোষে,
দেয়াল ভরা আলমারিতে,
সাজিয়ে রাখা নীল সোনেটা!
আকাশ খানিক মেঘলা হলে বাজে তারা,
ঝনঝনিয়ে!
এই শহরের আকাশ ভরা ধোয়ায় মাখা নীল,
আবছা...
হেরা আজো ঝড়ের সকালে তোমার দৃষ্টি ক্রুদ্ধ হলে,
জিউস অবনত করে তার ক্রূড় চোখ তোমাকে মেনে!
শাণিত আকাশে ওড়ালে তুমি বনেদী রাগের হাওয়া,
জিউস আজো নিঃশর্তে চেয়ে নেয় লক্ষ কোটি ক্ষমা!...
কষ্ট কারো একার জমানো প্রবাল পাথর নয়,
সবার চোখের জলই জমে বছর ঘুড়ে!
হৃদয় আমার পাথরডাংগায় নড়বড়ে,
জলের স্রোতে কেদে ফেলা শক্ত নয়!
তোমার চোখের মণিতে ভাসছে,
সবগুলো মেঘ,
তার জল আমাকেও ভিজায় অনেক!
কষ্ট কারো যত্নে...
যে রমণী পথ ভুলে,
এলো ভাংগা দরোজায়।
ভালোবেসে ছেড়া চাঁদ,
বানালো বসতি দাবানলে,
বিদ্ধস্ত জংগলে!
আজ কেন জোয়ারের জল,
ছড়ালে উপল,
করে উপহাস!
কেন ঘৃণিত তার চোখে,
বোহেমিয়ান জীবন!
মেয়েটি হেঁটেছে আজ বাতাসের মতো,
অবনত মাথা ভরা আগুনের ঝরা ফুল,
দিগন্তে দৃষ্টি তার ঈষৎ আনত!
কিছু ঝরা পাতা হৈমন্তী বালু মেখে গাঁয়,
ছুঁয়ে দিয়ে গিয়েছে তার পায়ের পাতায়!
অপেক্ষায় থাকবে তারা আরো...
১৯১০ সালের নভেম্বর মাসে রুশ সাম্রাজ্যে শীত যখন বরাবরের মতো বরফের শীতল থাবা বিছিয়ে দিচ্ছিলো, আস্তাপভো নামের এক প্রত্যন্ত রেল স্টেশন পৃথিবীর পত্রিকার পাতায় স্থান করে নিলো। সেখানে স্টেশন মাস্টারের...
স্বপ্নগুলো নিতান্তই সাদামাটা ছিলো!
কার্তিকের রাত ঘন হয়ে এলে হরিদ্রাভ ঘাসের শিশিরে,
চাঁদের আলোকে ভরে বুকপকেটের ভিতরে,
হাঁটার স্বপ্ন ছিলো ধলপহরের আগে!
নীল তারা খসে পড়ে যেই সাদা মাঠে,
রাত্রিটা গাঁড় হলে থোকা থোকা...
কুয়াশা না ধোঁয়াশা!
কেউ তা জানেনা, দেয়নি সে খবর,
এই শহরের ব্যস্ত আবহাওয়া দপ্তর!
শুধু বসে আছে রাস্তারা,
বুক চিরে উঠছে পিলার খাঁড়া,
হাঙ্গরের দাঁতের মতোন!
বাতাসের মুখটা ছিলো ভীষণ গোমরা!
দোয়েল চত্বরের দুটো...
©somewhere in net ltd.