নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা সবাই নাকি অনন্তের যাত্রী!!
পার করে দেই অনায়াসে কত দিন ও রাত্রি,
গড়ায় সময়ের গাড়ি অন্তহীন পথে,
আমাদের আয়ু প্রতিটি মুহূর্তে কমে ঠিকঠাক,
অন্তিম আশা ছুঁতে শেষ বিন্দুর প্রস্থান!
তবু ভালোবেসে বেঁচে থাকি,
হৃদয়ের...
ভালো থাকতেই পারি, যদি নামে-
তোমার হৃদয়ের ঘাসে,
একগাদা ভালোবাসার ফড়িং!
কলমি ফুলের ভিড়ে হারালে-
স্বর্ণলতা তার সৌর উল্লাস,
বিকালের নম্রতায় নামলে স্নিগ্ধতা,
ভালো থাকতেই পারি আমি কিছুদিন!
তারপর শেষ বিন্দুর মতো...
রাত শেষ হয়ে এলো এই ভিনদেশী বারেতে ,
তুই পারিসনি আজো ফোনটা ধরতে!
হাজার মাইল দূরে অগোছালো দালানের শহরে,
জেগে আছে চাঁদ উদাসী বাতাসে ওড়না ছড়িয়ে,
তুই কি এখনো নির্ঘুম কাটাস কাকডাকা...
ঝলমলে নগরী আমাদের, হঠাৎ দেখাচ্ছে কালো!
মেঘেদের ধাক্কায় ভেঙ্গে চৌচির আকাশের কাঁচ,
ঝরে একটানা বিস্তৃত নিশানায় জলের বুলেট!
তোমার বাঁকানো ছাতাটা স্বেচ্ছায় সরিয়েছে বাধা,
সামান্য সুযোগে মেঘ ছুঁয়েছে ঠোঁট সিক্ত...
মন খারাপ হলেই বৃষ্টি নামে একা একা,
গোমড়া মুখে ক্লান্ত শত স্মৃতি আঁকা!
অরণ্য শেষে বিহ্বল সেই দুরন্ত ঘোড়া,
স্পর্শের রশি ছিঁড়ে ছোটে লাগামছাড়া!
শেষ যুদ্ধের পড়ন্ত রোদে ফেরে যোদ্ধাকবি,
কালো মেঘে তার মন,...
(০১)
জানালাটা খুলে গেলে পর্দার ফাঁকে,
দ্যাখো মেয়ে,
মেঘগুলো তোমাকেই ডাকে!
রাশ রাশ বুনোহাঁস মেলেছে পাখা,
নীরব শূন্যে যদি পায় তোর দেখা!
ব্যালকনি ছাড়িয়ে খানিকটা দূরে,
অশান্ত বৃক্ষসারি উড়াচ্ছে শাখা।
অসময়ের বুনোফুল এ প্লাবনে পথ ভুলে,
প্রাচীন দূর্গের...
কথা ছিল মহাযুদ্ধ শেষে তারা ফিরে যাবে ঘরে!
ধ্বংস, রক্তের পূতিময় খেলাঘর হবে যাদুঘর।
স্কুলের শিশুরা হাঁসের পালকে রেখে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত,
দলিলে শপথ নিয়ে কাটালো পুরো চুয়াত্তর বছর,
অর্থহীন স্লোগানে থামাতে পারমাণবিক...
দেখা হলে এয়ারপোর্টে? খুব সম্ভব! হতেই পারে!
তোমার পাশে একটুখানি বসতে দেবে!
হাতটা একটু ছুঁয়ে দেবে? সত্যি বলছি, ভালোই হবে!
দেখা হলে এয়ারপোর্টে!
তখন বয়স অল্প ছিলো, গল্পচ্ছলে কল্পনাতে-
লাগিয়েছিলাম দুজন মিলে কত্ত গাছ...
পালটেছে দরোজা! পালটেছে ঘর! পালটেছে তার তালা!
নতুন ছাদে রঙিন সিলিং, আনকোরা এক খাতার মত,
চাবিটা কিন্তু আগের মতোই তোমার কাছেই রাখা!
পালটায় সব জানালার কাঁচ; নতুন...
কখনো হাঁটিনি আমি অস্পষ্ট সন্ধ্যায়,
একা রাজপথ ছেড়ে দূরের গলিতে!
যখন নিঃশব্দে হাঁটে ভোরের তারারা।
ফসলের বুক চিরে মেঠোপথে-
কখনো আমি হয়নি বিলীন!
বিষাক্ত বাতাসে মৃত কৃত্তিম...
বহুদিন পর ফিরে এলে তোমাদের এই রাস্তায়,
ধুলায় মাখামাখি হলে অতীতের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা,
তুমি কি চিনবে আমায়? ঠিক আগের মতোই!
আবার শ্রাবণ বহুকাল পর ফিরালে মুখর বর্ষণ,
যদি বৃষ্টির ভাঙ্গা কাঁচ জল হয়ে...
সবার নাকি শিকড় গজায়, শিকড় গজায় অল্পতেই,
খানিকটা কাল নদীর ছায়ায়, দম ফেলানোর ফুসরতেই,
সোঁদা মাটির অন্ধকারে, শক্ত মূলেরা প্রশাখা ছড়ায়!
ঝুলে থাকা চুন খসা ছাদ, ভাঙ্গাচোরা চার দেয়ালে,
বেলাভূমির বালুর...
তুমি যদি মেঘ হতে চাও, আমি তবে আকাশ হবো!
চাঁদ-সুরুয আর গ্রহ-তারা ভুলে শুধু তোমাকে ছোঁব।
তুমি যদি মেঘ হয়ে যাও ভেজা পেঁজা তুলোর মত,
তোমার ছায়ায় ঘর বানিয়ে বহু জীবন কাটিয়ে...
চাইলে তাকিয়ে থাকতেই পারো তুমি, দশকের পর দশক!
তোমার আবেগী চোখে আমার দৃষ্টিসীমা হবে নিষ্পলক।
তুমি চাইলে সুইস ঘড়ির অব্যর্থ কাঁটা, বুকে নিয়ে রেডিয়াম,
জ্বলে ক্ষয়ে যাবে আরো দুই শতাব্দী; দুলিয়ে অলস...
যাকে যা দিয়েছ তা সেখানেই থাক,
কখনো চেওনা তুমি পাওনা ফেরত!
পাখা মেলে মন ছেড়ে যায় যে আকুতি,
হিসাব খাতায় তার সবই অবশিষ্ট!
চেতনার অন্দরে ছায়াদের বসতি,
সবার জন্য থাকে আলাদা প্রকোষ্ঠ।...
©somewhere in net ltd.