![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলো বোধিবৃক্ষ দেখি,
সময় শেষে চলে গিয়েছে গৌতম!
ঝরা পাতাদের স্বাদ আর দেয়না নির্বাণ!
তবুও তো ভালোবাসি আপ্রাণ,
নদীর জলে প্রিয়ার ছায়াকে!
অজন্তার মানবীরা ঢেকেছে ধুলায়,
তাদের চোখের ঘন মেঘরাশি,
আজো ভালোবাসি!
এ এক অনারোগ্য ব্যধি যার,
নেই প্রতিকার!
জানি...
ইচ্ছে হয় ছায়াপথে যাই,
আকাশগংগায় তোমার নীলাভ আঁচল,
বিছানো থাক তারা জ্বলা ঘাসের আভায়!
মহাশূন্যের নিঃস্তব্ধতা হয়ে যাক খানখান,
উড়ন্ত চুলের বাতাসে এলোমেলো সব!
সেখানে সুপারনোভায় ভালোবাসার বাগান,
ফোটাবো চুম্বনরাশি,
তোমারে ঠোটেতে হাসি,
পার করে মিলেনিয়ামের পুঞ্জীভূত বছর!...
মনে হয় বহু জনমের পার,
করে এসেছি দুজন চোখের পলকেই!
এ এক গভীর বোধ নিউরন ফুড়ে আসে,
অস্তিত্বের বাদামী ঝোপের আশেপাশে,
তার মায়াবী চোখেতে আলো পড়লেই,
মহাজাগতিক নীলবিন্দুর দেশে!
শঙ্খের গর্জনের মতো,
লাল কাঁকড়ার ছোট...
মেয়ে তুমি মেঘশিকারী!
এক শহরের ছোট্ট বাসার ছাদের উপর,
নীল বাতাসের গাছের পাশে বসা!
সকাল বিকাল মেঘকে ধরে জমিয়ে রাখো,
চোখের কোণায়!
বসতিকে গিলে রাখা পাথরের পাইথন,
অবিরত করে পার বালুঘড়ির সময়!
তোমাকে পাবেনা খুঁজে...
ঝিকিমিকি আলো মাঝরাতে নিভে যায়,
বেঁচে থাকে পূর্বদেশের কালো হ্রদ!
সেই কালো ভেদ করে যূথচারী হাতিরা,
ঘন কাঁদা মাটি সরিয়ে হেঁটে আসে প্রায়ই!
ভোজবাজির মতো অদ্দৃশ্য হলে,
হাতিরঝিলের সাজানো বাতিরা!
তাদের দেখেনা কোন নগরের লোক,
এখানে...
গাঁড় সন্ধ্যায় যখন জ্বলেনা আলো,
মহাজাগতিক ভুলে এলোমেলো মন!
দাবানলে পুড়ছে আকাশী মেঘের বন,
শুধু পার্কের পদ্মের চোখ ছলছল,
আলোগুলো জ্বালায় না কেন কেঊ!
লাল ঘড়িটার সময়ের আগে!
পোড়া গন্ধ শুনি;
আমাজনে মরেছে বেবুন!...
তবু আছে অন্ধকার মৃত্যুর মতো নীল,
অথবা যে রঙ আজো দেখিনি আমরা কেঊ!
শেষ নিঃশ্বাসের সাথে শেষ কি হয়ে যায়,
পায়ের পাতার নীচে দূর্বা ঘাসের ঢেউ!
বুঝিনা কিছুতেই জানো,
সেই অন্ধ জগতে চাঁদ উঠে কিনা,
বুনো...
তুমি নাকি সূর্য ছিলে পুরাণ কালে?
এসবই তো লিখা আছে বইয়ের পাতায়,
গল্পকথায়!
কি যেনো নাম? হিলিয়াস নাকি আ্যপোলো!
কি ছিলো তোমার নাম, সত্যি করে বলো!
কি বললে! পাগলী আমি!
সেতো সেই কবে থেকেই,
তোমার মুখের কথা...
তিনি অপরাজেয় কথাশিল্পী। জনপ্রিয়তায় সমসাময়িক অনেক স্বনামধন্য লেখককে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তার জীবদ্দশাতেই। বঙ্কিম ও রবীন্দ্র যুগের আলো তাকে ম্লান করতে পারেনি আজো। নীতি বা প্রচলিত সংস্কার সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন...
তখন আকাশে ছিলো রাত্রির শেষ চাঁদটা,
গ্রীষ্মের প্রথম সকালে!
ছিড়ে যাওয়া রেক্সিন আকাশের মতো নীল,
জুড়ে আছে সমস্ত টেবিলে!
যেন তোমার আমার মাঝে একটা আকাশ,
নিয়ে তার সব কথা চুপ করে ছিলো বসে,
বিলাসী বিড়ালের ছলে...
গল্প শুনবে! অনেক গল্প!
পার হয় রাত দিন; আকাশ এখনো রঙ্গিন!
কথা হয় সোনালী আলোর মতো,
মুখোমুখি দুজনার নিভু নিভু দীপ!
ঝিনুকের খোল খুড়ে এনেছি মুক্তা যতো,
সবই তোমায় দিব গোলাপী আলোয়।
করেছি বিনিময় আমাদের সব...
স্নিগ্ধ সকাল এলে শিশিরের জলে ভিজে,
যখন ব্যস্ত শহর ভুলে থাকে তার কলরব!
আফিমের নেশার মতোন গুটিগুটি পায়ে,
আগায় নাগরিক ব্যস্ততা প্রেমিকের মতো।
তখন ভাংগলে ঘুম আয়েশে এলানো,
শেষ স্বপ্নটা দেখে তুমি তবে চোখ মেলো,
ফেলে...
কতোদূর আছো তুমি?
পূবালী বাতাসে সরিষার বন,
ভাসিয়ে নিয়েছে সবুজের ঝড়,
কতোদূর আছো তুমি?
চৈত্রের শুকনো বাতাসে,
উচাটন মন কারণে অকারণে,
ভাংগা মঠটার মতো,
একাই দাঁড়িয়ে ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস!
কতোদূরে গিয়েছ তুমি?
পত্রপাঠ দিও আশ্বাস!
ভেজা রাস্তার শান্ত শহর,
শীতের সকালের শিশির...
©somewhere in net ltd.