| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়েটা চোখে দুঃখ পুষে রাখে,
তোমরা রাখো শখের হরিণ, বুলবুলি আর টিয়াটা!
মেয়েটা শুধু দুঃখ পোষে,
দেয়াল ভরা আলমারিতে,
সাজিয়ে রাখা নীল সোনেটা!
আকাশ খানিক মেঘলা হলে বাজে তারা,
ঝনঝনিয়ে!
এই শহরের আকাশ ভরা ধোয়ায় মাখা নীল,
আবছা...
হেরা আজো ঝড়ের সকালে তোমার দৃষ্টি ক্রুদ্ধ হলে,
জিউস অবনত করে তার ক্রূড় চোখ তোমাকে মেনে!
শাণিত আকাশে ওড়ালে তুমি বনেদী রাগের হাওয়া,
জিউস আজো নিঃশর্তে চেয়ে নেয় লক্ষ কোটি ক্ষমা!...
কষ্ট কারো একার জমানো প্রবাল পাথর নয়,
সবার চোখের জলই জমে বছর ঘুড়ে!
হৃদয় আমার পাথরডাংগায় নড়বড়ে,
জলের স্রোতে কেদে ফেলা শক্ত নয়!
তোমার চোখের মণিতে ভাসছে,
সবগুলো মেঘ,
তার জল আমাকেও ভিজায় অনেক!
কষ্ট কারো যত্নে...
যে রমণী পথ ভুলে,
এলো ভাংগা দরোজায়।
ভালোবেসে ছেড়া চাঁদ,
বানালো বসতি দাবানলে,
বিদ্ধস্ত জংগলে!
আজ কেন জোয়ারের জল,
ছড়ালে উপল,
করে উপহাস!
কেন ঘৃণিত তার চোখে,
বোহেমিয়ান জীবন!
মেয়েটি হেঁটেছে আজ বাতাসের মতো,
অবনত মাথা ভরা আগুনের ঝরা ফুল,
দিগন্তে দৃষ্টি তার ঈষৎ আনত!
কিছু ঝরা পাতা হৈমন্তী বালু মেখে গাঁয়,
ছুঁয়ে দিয়ে গিয়েছে তার পায়ের পাতায়!
অপেক্ষায় থাকবে তারা আরো...
১৯১০ সালের নভেম্বর মাসে রুশ সাম্রাজ্যে শীত যখন বরাবরের মতো বরফের শীতল থাবা বিছিয়ে দিচ্ছিলো, আস্তাপভো নামের এক প্রত্যন্ত রেল স্টেশন পৃথিবীর পত্রিকার পাতায় স্থান করে নিলো। সেখানে স্টেশন মাস্টারের...
স্বপ্নগুলো নিতান্তই সাদামাটা ছিলো!
কার্তিকের রাত ঘন হয়ে এলে হরিদ্রাভ ঘাসের শিশিরে,
চাঁদের আলোকে ভরে বুকপকেটের ভিতরে,
হাঁটার স্বপ্ন ছিলো ধলপহরের আগে!
নীল তারা খসে পড়ে যেই সাদা মাঠে,
রাত্রিটা গাঁড় হলে থোকা থোকা...
কুয়াশা না ধোঁয়াশা!
কেউ তা জানেনা, দেয়নি সে খবর,
এই শহরের ব্যস্ত আবহাওয়া দপ্তর!
শুধু বসে আছে রাস্তারা,
বুক চিরে উঠছে পিলার খাঁড়া,
হাঙ্গরের দাঁতের মতোন!
বাতাসের মুখটা ছিলো ভীষণ গোমরা!
দোয়েল চত্বরের দুটো...
চলো বোধিবৃক্ষ দেখি,
সময় শেষে চলে গিয়েছে গৌতম!
ঝরা পাতাদের স্বাদ আর দেয়না নির্বাণ!
তবুও তো ভালোবাসি আপ্রাণ,
নদীর জলে প্রিয়ার ছায়াকে!
অজন্তার মানবীরা ঢেকেছে ধুলায়,
তাদের চোখের ঘন মেঘরাশি,
আজো ভালোবাসি!
এ এক অনারোগ্য ব্যধি যার,
নেই প্রতিকার!
জানি...
ইচ্ছে হয় ছায়াপথে যাই,
আকাশগংগায় তোমার নীলাভ আঁচল,
বিছানো থাক তারা জ্বলা ঘাসের আভায়!
মহাশূন্যের নিঃস্তব্ধতা হয়ে যাক খানখান,
উড়ন্ত চুলের বাতাসে এলোমেলো সব!
সেখানে সুপারনোভায় ভালোবাসার বাগান,
ফোটাবো চুম্বনরাশি,
তোমারে ঠোটেতে হাসি,
পার করে মিলেনিয়ামের পুঞ্জীভূত বছর!...
মনে হয় বহু জনমের পার,
করে এসেছি দুজন চোখের পলকেই!
এ এক গভীর বোধ নিউরন ফুড়ে আসে,
অস্তিত্বের বাদামী ঝোপের আশেপাশে,
তার মায়াবী চোখেতে আলো পড়লেই,
মহাজাগতিক নীলবিন্দুর দেশে!
শঙ্খের গর্জনের মতো,
লাল কাঁকড়ার ছোট...
মেয়ে তুমি মেঘশিকারী!
এক শহরের ছোট্ট বাসার ছাদের উপর,
নীল বাতাসের গাছের পাশে বসা!
সকাল বিকাল মেঘকে ধরে জমিয়ে রাখো,
চোখের কোণায়!
বসতিকে গিলে রাখা পাথরের পাইথন,
অবিরত করে পার বালুঘড়ির সময়!
তোমাকে পাবেনা খুঁজে...
ঝিকিমিকি আলো মাঝরাতে নিভে যায়,
বেঁচে থাকে পূর্বদেশের কালো হ্রদ!
সেই কালো ভেদ করে যূথচারী হাতিরা,
ঘন কাঁদা মাটি সরিয়ে হেঁটে আসে প্রায়ই!
ভোজবাজির মতো অদ্দৃশ্য হলে,
হাতিরঝিলের সাজানো বাতিরা!
তাদের দেখেনা কোন নগরের লোক,
এখানে...
গাঁড় সন্ধ্যায় যখন জ্বলেনা আলো,
মহাজাগতিক ভুলে এলোমেলো মন!
দাবানলে পুড়ছে আকাশী মেঘের বন,
শুধু পার্কের পদ্মের চোখ ছলছল,
আলোগুলো জ্বালায় না কেন কেঊ!
লাল ঘড়িটার সময়ের আগে!
পোড়া গন্ধ শুনি;
আমাজনে মরেছে বেবুন!...
তবু আছে অন্ধকার মৃত্যুর মতো নীল,
অথবা যে রঙ আজো দেখিনি আমরা কেঊ!
শেষ নিঃশ্বাসের সাথে শেষ কি হয়ে যায়,
পায়ের পাতার নীচে দূর্বা ঘাসের ঢেউ!
বুঝিনা কিছুতেই জানো,
সেই অন্ধ জগতে চাঁদ উঠে কিনা,
বুনো...
©somewhere in net ltd.