নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝুলে যাওয়া বৃষ্টির দিনে,
মাকড়সার মতো ভেসে থাকি মাটির শহরে,
শরীরের আঠালো জাল নিজস্ব গ্রন্থিজাত,
কাকে আর দিব দোষ?
চেপে রাখা আসুরিক প্রলয় খুঁজে উন্মাতাল,
লাবণ্যময়ীর শরীরের ফাঁকে ফাঁকে ভাজ!
ল্যাম্পপোস্ট অসূর্যম্পশ্যার নগ্ন উরূর মতো,
বিটকেলে বিকালে...
বায়বীয় পরিমন্ডলে ভুরভুর করে উড়ছে কর্পোরেট গন্ধ,
তৈলাক্ত বিরিয়ানির মতো সর্বভুক ক্ষুধা ছড়াচ্ছে-
অন্তহীন!
সফেদ সাদা থাকেনা তোয়ালে,
বুকে তার তেল চিটচিটে দাগ!
সেই দাগে প্রতিদিন মুছে নেই মুখ,
কি অদ্ভুত!
বিপর্যস্ত জোয়ার তৈলবাহী...
এখনো নদীটা কাঁদে, পোড়া জল ছুঁয়ে হাঁটে পুন্ড্রের-
ভাস্কর্যে মোড়া হস্তী!
কতো বিচিত্র শ্লোগানের পরিশেষ দেখে নিয়েছে নারী,
শহরের নাগরিক পদ্মের সরোবর-
টেরাকোটার প্রেমের বিসর্জিত মূর্তিতে ভর্তি!
তবুও ভালোবাসা মরে গেলে গবাক্ষের আর্দ্র...
কসাইয়ের ছুরির খিপ্রতায় ফালা ফালা মাংস, যকৃত-
চর্বিতে মোড়া হাড়-হাড্ডি,
আঙ্গুর ফলের মতো নড়ে! অস্পষ্ট নোনা রক্তের গন্ধে-
গা গুলানো বিকালে, আমার জ্যন্ত হৃদয়-
কেটে ফেলেছিলে; মস্তিষ্কের শাঁসে জমছে ধূসর ক্ষয়!
মগজ কড়াইয়ে কড়া তেলে...
মেয়ে তুমি শুইয়ো না অতল জলে,
ডুবে যাবে! ডুবে যাবে!
এইতো সেদিন পূর্ণদশী জোছনাকে নিয়ে বুকে,
ডুবে গেলো ওইখানে, মাহুতের সাঁকোর নীচে-
অষ্টাদশী মেয়ে উথাল পাতাল পাঁকে!
তার মতো ডুবোনা অকালে,
তুমি ডুবোনা আর রাণীর কুঠুরির...
প্রাচীন চাঁদের ছায়ায় ভেজা নীল সরোবরে লুকোচুরি,
খেলে হোরাসের চোখ!
এখনো মৎস্যজীবী লোক কারেন্টের জালে ছুড়ে দিলে,
বিদ্যুতচ্ছটা মেমফিসের জলে,
আধা খাওয়া প্রেম উঠে আসে! আধা পচা শরীরে-
কটু ঘ্রাণ! প্রতিটি অমরত্বের সাথেই...
তুমি তো কালোর্ত্তীর্ণ!
ভোরের মেঘের গম্বুজে টাঙ্গানো বিপন্ন বিস্ময়!
প্রহরের চক্র ঘুরলে বাতাসে, শিশুতোষ ফুলেল চড়কিরা-
হাসে, সেখানেও দানবেরা থাকে পাশে পাশে,
অকারণে কাঁদে সকল শিশুই মাঝে মাঝে,
দেখোনি কি তুমি?
সর্বোত্তম সুখের বাসর মানে বালুচরে...
(১) নীলকন্ঠঃ
এখানে আকাশ নেই!
মাঝে মাঝে নীল এক পাখি দিয়ে যায় উঁকি,
নাড়ায় সরু পুচ্ছের শীর্ষভাগ; ভেজা পাখা-
ঝাপটিয়ে মেলানকোলিক ভঙ্গিমায়,
থাকে কিছুক্ষণ; সেতো বর্ষণে আক্রান্ত!
তার ফুরফুরে লেজটাকে ভেবে নেই সব,
জল...
আজকে বাতাসে হিমবাহ উল্টায়নি; তুষারের ভিড়ে-
টলমলে নীল হ্রদ একটুও কাঁপেনি!
তবুও অপেক্ষায় ছিলো পাহাড়ি দেবদারূ ঘুম স্টেশনে,
নিরাসক্ত হতে গিয়ে শেষকালে মন্দাকিনীর মেয়ে,
গ্রহাণুর কক্ষচ্যূতির দিনে আমাতে আসক্ত হলে বুঝি!
কেউ...
ছেঁড়া ঘুড়ি গুলো রাত্রির বাতাসে হারিয়ে যাচ্ছে উড়ে,
বাতিঘরের মতো একা দাড়িয়ে অলঙ্কার উৎকীর্ণ মিনারে,
একটা গীতবিতানের পাতা হারালো সমুদ্র হয়ে!
মায়াবী ভাষণে বায়োস্কোপের মতো পুনুরূত্থিত রিলে,
বর্ণময় মৎস্যকন্যা; আকর্ণ হাসি জুড়ে নিয়ে তার...
রক্তস্নাত ডালিমের ভিতরে ক্রমশই জমে যাচ্ছে-
রুবির মতন মিহি দানা, এখন কোন কিছু স্পর্শ করা-
মানা! কে কখন ভোজবাজি হয়ে হাওয়া হবে,
অন্তিমে, নিয়তি সে জটিল অংক খাতায় কষে না!
প্রচন্ড কাঙ্ক্ষিত...
সোনালী লতায় ঝুলন্ত দ্রাক্ষাফল টুপটুপ করে,
গলে যায়; মানুষের কিছু অবয়ব বিষণ্ণ বর্ষায়-
বুক মোচড়ানো সুরে সাইকাস বৃক্ষের কষ্টগুলো-
গিলে খায়; প্রতিরাতে ময়ূরেরা নৃত্যে পারঙ্গম,
আকাশটা আড়ি দিয়ে শিশির...
আমিতো শূন্য হবো বলে বাড়িয়ে ছিলাম হাত,
ওরা যোগ-ভাগ-বিয়োগের হিসাবে লাগালো প্যাঁচ,
হাসলেন বীণাপাণি সাক্ষাৎ!
উড়ে গেলো রাজহাঁস রুবিক্স কিউবের বর্ণিল মেঘে,
মেলালো না আর কেউ কাঁটাতারে কেটে যাওয়া,
টুকরো জোছনার সাথে...
একটা অদ্ভুত বৃত্তে পাক খাচ্ছে আত্মা মন,
বিশ্বকর্মার হাতুড়ির অগ্ন্যুৎপাতে গড়া ভাস্কর্যের মতো গাড়-
হাড় চামড়ার আবরণ; গোল হয়ে নৃত্যরত সারসের সাথে-
গান গায়; সারসীরা মরেছে বিবর্তনে,
জলাভুমি জলে নীল মার্বেলে সবুজের...
আজকাল তুমি আর রাত জাগোনা,
রাহু কেতু গ্রাস করে নিলো সমস্ত আলো ভেবে,
নিস্তব্ধ বিছানায় ঘুমকে পাড়াও নাকি ঘুম?
বাহিরে বৃষ্টির নেমেছে ধুম,
কামিনী ফুলের গন্ধে আপ্লুত জলঘড়ি,
নুয়ে নুয়ে পড়ে...
©somewhere in net ltd.