| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(১)
এইতো সেদিন মাঘী পূর্ণিমার রাতে,
তখন বুদ্ধের মুখে মাখা ছিল হাসি,
জোয়ারের মতো রাশি রাশি!
নাফনদী ধরে ভাসছিল অবিশ্রান্ত
কয়েকশ ফানুস,
হালকা আলোয় মিশে ছিল অন্ধকারে
বেনামী মানুষ!
বলেছিলে ফানুসের মতো...
(১)
কখনো আগুনে ফার্নের পাতা পুড়ায় বিশুদ্ধ জল,
তুমি কখনো দেখোনি কি তা?
মৃত ছাদে পায়চারি! পাশাপাশি হাটে কেউ,
এমন দুঃসময়ে ডুবেছে আকাশ! অপেক্ষায় প্রাক্তন নভোচারী!
জলেতে কুয়াশা জ্বলে! আগুনে পালক,
দ্রিম দ্রিম শব্দ শুনে...
ঠোঁটের কোণায় লুকানো স্বর্গ, চোখের কোণায় নরক,
এই নিয়ে এতোটা রাস্তা মার্বেলের মতো হেটে এসে,
খানিক জিরাতে বসেছে বেনামী যুবক!
সামনে অক্ষয় জল ঝরে পড়ে! অনন্ত নদী ক্ষয়ে যায়,
বিতৃষ্ণায় বিলুপ্ত ব্যাঘ্রশাবকের হাসি,
হাপানি রুগীর...
কতোজন উড়ে গেলো! কতোলোক জনারণ্য পিয়াসী,
চুম্বকের মতো আকর্ষণে ছোটে সীমান্তের শহরে,
দুর্মূল্য সুগন্ধির মতো মেখে নেয় আকন্ঠ কোলাহল
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে! হয়তো জীবনের স্তব্ধতম মানে-
বাইন মাছের মতো প্রাণান্তকর ছটফট! কে জানে!
আবার এমনো...
শোন নক্ষত্র, শূন্য আমার অন্তঃস্থল,
সামান্য আগুন আমায় দিবে নাকি ধার বলো?
অনির্বাণ জ্বালাবো উত্তাপে,
দোআঁশ মাটিতে ভেজা উনোনের চোখ!
শোন নক্ষত্র! শোন রাত্রির উঠোনের মাতাল জোনাকি,
অকটেনের পাত্রের ছিদ্রে ভেসেছে মৃগয়ার স্রোত,
অনস্তিত্বতে মিশে আছে...
হঠাৎ মাস খানেক আগে এক বাল্যবন্ধু, যে কিনা এই কালের ফেসবুকময় দুনিয়ার উঠতি সেলেব্রেটি কবি, তার একটা স্ট্যাটাস চোখে পড়ল। ভাঙা ভাঙা সাধু চলিত শব্দ মিশিয়ে সে লিখেছে- “অদ্য হইতে...
একটি বৃন্তহীন দিন, একটি আজানুলম্বিত রাত,
দেবতার মন্দিরের মতো অদ্ভুতুড়ে আলোতে
এখনো সুস্থির! চুপিচুপি কথা বলে বাজ্রিগারের খাঁচা!
ওখানে অনেকে ছিল; ওখানে পূর্ণতা ছিল;
এখন শূন্যতা আছে! অসীমের স্থান সংকুলান আছে,
আর ক্রমশ বিলীন বাষ্পকণার...
(১)
ইটের নিবিড়তম দেয়ালে চাপা পড়ি প্রতিদিন,
রক্তাক্ত খোলার মতো, বৃদ্ধ পরিব্রাজকের মতো
অনন্ত আকাঙ্ক্ষা আর সীমাহীন পথ
থেমে যায়!
বিস্ময়বোধক চিহ্নের সাথে হতবাক অনুভূতি
ওলন্দাজ আমলের বেতবনে লুকানো আলোর
মতো আমাকে নিভিয়ে ফেলে,
আটকে দেয় মরা...
একটা টয়ট্রেন বিদীর্ণ ক্ষত নিয়ে মুখের আদলে,
ধীরগামী কেন্নোর মতো ঘুরে শৈশবের বিগলিত গ্রামীণ জলাশয় শুঁকে,
আলুথালু হয়ে এখনো রাস্তায় গলিতে মোচড়াচ্ছে
কাতরাচ্ছে! জলময়ুরের কাছে এসেছি ফেলে নিস্পৃহ বিষাদগ্রস্ত চোখ!
বাহারী লতার...
এইমাত্র লোনা সমুদ্র থেকে ডুব দিয়ে উঠলাম,
এইমাত্র ভেসে এলাম, বেনামী প্রাণীর মতো,
জলোচ্ছাসে;
শরীরে লবণের মাখামাখি দেখে আছড়ে পড়ছে দ্রবীভূত বাতাস,
এখানে গভীর রাত!
কতোকাল ছিলাম প্রবালে শুয়ে কে জানে,
কয়েকটা টুকরো স্বপ্নের মতো...
এই যে পিছল ভূমি আকাশের মতো কালো,
বৃষ্টির ফোঁটা পান করে হেঁটে গেলো অপার্থিব পুরূষ,
ম্রিয়মাণ পদশব্দ অক্ষত জলে বিদীর্ণ ক্ষত করে দিয়ে,
সাঁঝবাতি মোড়ানো মোড়ে হয়েছে বেহুশ!
জোনাকের গলে যাওয়া শরীর ঝরছেই ঝলমল,
প্রবাহিত...
অন্ধকারকে নিয়ে অনেক বেশি নাড়াচাড়া করি বলে,
আলোরা কি পালিয়ে গেলো?
আজকাল নিঊজ চ্যানেলে বলে,
যাদুর প্রদীপ ঘষা দিলে দৈত্য আসেনা আর,
সেও মানুষের মতো ভাড়া খাটে মজুরীর বিনিময়ে!
দানবেরা...
ঝুলে যাওয়া বৃষ্টির দিনে,
মাকড়সার মতো ভেসে থাকি মাটির শহরে,
শরীরের আঠালো জাল নিজস্ব গ্রন্থিজাত,
কাকে আর দিব দোষ?
চেপে রাখা আসুরিক প্রলয় খুঁজে উন্মাতাল,
লাবণ্যময়ীর শরীরের ফাঁকে ফাঁকে ভাজ!
ল্যাম্পপোস্ট অসূর্যম্পশ্যার নগ্ন উরূর মতো,
বিটকেলে বিকালে...
বায়বীয় পরিমন্ডলে ভুরভুর করে উড়ছে কর্পোরেট গন্ধ,
তৈলাক্ত বিরিয়ানির মতো সর্বভুক ক্ষুধা ছড়াচ্ছে-
অন্তহীন!
সফেদ সাদা থাকেনা তোয়ালে,
বুকে তার তেল চিটচিটে দাগ!
সেই দাগে প্রতিদিন মুছে নেই মুখ,
কি অদ্ভুত!
বিপর্যস্ত জোয়ার তৈলবাহী...
©somewhere in net ltd.