|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবল বন্যায় ভেসে গিয়েছে ঘর,
শেষ সম্পত্তি স্থাবর ও অস্থাবর,
ফ্রেমে বেঁধে রাখা যুগলের ফটো,
ভেসে যায় আজ যেন খড়কুটো!
আমি শুধু থেমে আছি ঠায়,
বধির শব্দেরা বুকের ভিতর স্থির,
বাবুই পাখিদের আর নেই...
১২ টি 
+৫
তোমাদের দেখাদেখি আমিও প্রায়ই ঢুকি,
সুদৃশ্য মার্বেলের মতো কাঁচের জারে,
দূর থেকে মনে হয় ওখানে সবাই শুধু হাসে,
আলো আর আলেয়ার ঝংকারে!
সচকিতে হাসে গোল্ডফিস, ওরান্ডা, ক্যাটফিস,
অথচ ভিতরে শুধু শোকসন্তাপের হিসহিস,
সবটুকু জল মাছেদের...
১ টি +০
আমিতো অচল পয়সার মতো,
বুকে নিয়ে মহিমান্বিত রাজার ছাপ,
জনতার পদতলে পিষ্ট হই কতো!
চোখে মুখে গাড় ধুলি,
বুকের পাঁজর ভেদ করে চলে যায়,
জান্তব গর্জনে কর্পোরেট লরি!
আমিতো তেমনই অর্থহীন,
ছেড়া মানিব্যাগে আশ্রিত এক মুখ,
বাজারে...
৬ টি +৩অভিমানী মেয়ে,
দলছুট পাখিরা ক্লান্ত রাতের ডাকে,
একমনে দূরতম আলোর গন্ধ শুঁকে,
তুমি আজ তাড়াতাড়ি যেও ঘুমিয়ে!
আকাশে মেঘের লতা,
বিরান বনের ছাদে উষ্ণ নীরবতা,
তারই ফাঁকে বৃষ্টির সামান্য কথকতা,
ছুঁয়ে দিবে তোমাকে,
স্তব্ধ...
৩ টি +০নিহত গোলাপেরা সুন্দর হয়,
মানবীর চোখে উৎসারিত বিশুদ্ধ বিষক্রিয়া,
থামিয়ে দিয়েছে মহাপ্রস্থান!
পরিপূর্ণ প্রেম শেষে পুরুষ হাওয়ায় ভাসে,
তলানিতে জমে শ্বাশত অবিশ্বাস!
বুকের প্রকোষ্ঠে রক্তগন্ধী ঢেউ,
সযতনে লুকিয়ে রেখেছিল কেউ কেউ!
ধারালো ছুরির ঠোঁটে শ্বেতগন্ধী রাজহাঁস,
স্বেচ্ছায় পোঁচ...
৪ টি +১কোমল বৃক্ষ তুমি পালালে কোথায়?
বিসর্জনের দিন আয়ু শেষ প্রেমের প্রতিমার,
ভেবেছি আশ্রয় নিব ভেজা উঠানে তোমার!
এমন দুঃসময়ে হেসে বলে প্রবীণ উন্মাদ,
আকাশ আঁকানো হাতে,
গাড় নীল লাগিয়েছে কেউ পুরানো সাদা শার্টে!
পুরোটা অবাস্তব নাকি...
১০ টি +২কৈশোরের ঘ্রাণ আর নূপুরের নিক্কণ,
শতবর্ষী ফ্যানের ব্লেডে মরিচায় বুড়ো হওয়া পাখি,
এখনো অমর হয়ে মস্তিষ্কে করে ডাকাডাকি,
হয়তো সে ছিল কিশোরী! হয়তো ডানাকাটা পরী,
এখনো বয়সে স্থির!
বাদামী আইরিশে সামান্য আকাশের নীল,
কখনো দেখিনি তাকে...
১৫ টি +৪লকলকে আগুনে পুড়ে ছারখার কুরুক্ষেত্র,
শেষ যোদ্ধা পড়ে আছে পরিপক্ক পরিখার খাদে,
রক্তের ছোপে ঢাকা ভাটফুলে অবনত কুসুমিত পত্র!
সেই অন্ধ শহরের শেষ নিঃশ্বাসে,
পেট মোটা চাদিয়াল ঘুড়িটার মতো ঘুরছি অবিশ্বাসে!
প্রতিবার ডাইনোসরের মতো গর্জন-
ফুটছে...
৬ টি +১বাজে নিহিত গর্জন; মেঘহীনা বাতাস যেমন,
অকারণে মরে পড়ে থাকে মাকড়সার ফাঁদে!
নীচে ঊষ্ণ রাজপথ ডুকরে ডুকরে কাঁদে,
চিরঞ্জীব বনস্পতি ছুড়ে ফেলে অমরত্বের থলি,
মধ্যরাতে ছেড়ে গিয়েছে আমাদের প্রিয় গলি!
এখন অনির্বাণ...
৪ টি +১আমার তীব্র জলোচ্ছাসে তোমার বিতাড়িত উচ্ছ্বাসে,
এই রাগিণী সোহাগী ঘর ভয়ে কাঁপে থরথর!
নন্দিত অমৃতে প্রত্যয়ী পিতা বাঁচাতে চেয়েছিল মৃতে,
সেই দাপুটে ঘোড়ার বিশ্বাস কেন দিচ্ছেনা আশ্বাস?
যা ভাবতে চাইছ ভাব আমি না হয়...
৭ টি +১এক পা স্বর্গে আমার, আরেক পা নরকে!
একফালি বদ্বীপ গেয়েছিল শ্বাশত প্রেমের কীর্ত্তন,
অমৃতের জল ভেবে গিলে নিয়ে নিষিদ্ধ যৌবন,
পাথরের বালিহাঁস অনড় বারান্দায় স্তব্ধ মড়কে!
শুধু বিকালের বহ্নিমান চিতা দিল অচেতনে চেতন,...
৬ টি +১
প্রতিদিন উষ্ণ রাজপথে হেঁটে পুরোটাই পুড়ে যাই,
শহরের বিস্মৃত অন্দরে!
ভিনগ্রহী দানবের মতো হেলানো ভবনে তীব্র ধার,
আয়েশে গড়াতে গেলেই মাংসল কেঁচোটার মতো,
তীক্ষ ফলায় কেটে যাই বারবার!
তারপর স্টোভের আগুন! বৈদ্যুতিক চুলার আগুন,
সবার...
২ টি +১অপেক্ষায় আছি নিঃশঙ্ক সময়ের,
জীবাণু হটবে পিছু প্রাণঘাতী সম্মুখ সমরে,
জনারণ্যের কল্লোল বাজবে নয়া হিল্লোলে,
অচিন পাখির ডাকে, বাউলের কাঁপা সুরে,
ঝাকড়া বাতাস ছুঁয়ে যাবে নগরে ও চত্বরে,
তখন আবার মুখোশ...
৮ টি +২©somewhere in net ltd.
