নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা মনে আসে তাই লিখি।

স্বর্ণবন্ধন

একজন শখের লেখক। তাই সাহিত্যগত কোন ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

স্বর্ণবন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য মিথ অফ \'Born to be\'

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৯

সভ্যতার বয়স বাড়ছে সাথে সাথে আমাদের নিজকে প্রকাশ করার রীতিনীতি, ভংগিও পালটে যাচ্ছে। এই বদলে যাওয়া সময়ে মানুষ কি ক্রমশ self deception বা আত্মপ্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। সামাজিক অবস্থানকে সুসংহত করতে নিজেকে নিজেই ভূগোল বুঝিয়ে নিজস্ব সত্তার বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। হয়ত আমরা অচেতন মনেই কাজটা করছি। জীবনের সোনালী সময়কাল সংগ্রাম করে যখন কোন একটা অবস্থানে আমরা পৌছাচ্ছি যে অবস্থানের কদর আছে সামাজিক ভাবে, তখন হয়ত লিখছি বায়োতে- “Born to be doctor”, “Born to be an architect”, “Born to be a successful businessman”, “Born to be an entrepreneur” আরো বহু সফল অবস্থানের কথা।

কিন্তু আসলেই কি জীবনের গল্প এটা ছিল। প্রাইমারি স্কুলের সেই দুরন্ত বেলায় যদি একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হতো এবং মুখস্থ রচনার বাইরে মন খুলে কেউ উত্তর দিত, তখন চোখের পিউপিল প্রসারিত করে স্বাপ্নিক উত্তর দিত- “Born to be Batman, Superman, Rambo এমনকি Terminator, Pirates ইত্যাদি”। আরো পিছিয়ে গিয়ে নব্বইয়ের দশকের শিশু কিশোরদের জিজ্ঞাসা করলে তারা সিনবাদ, হারকিউলিস বা শক্তিমান হতে চাইত। এক্ষেত্রে এটা যুক্তি দেয়া যেতে পারে যে সে বয়সের বুদ্ধিবিচার পরিপূর্ণ ভাবে বিকশিত নয় তাই এই কল্পনাগুলোকে বাস্তবের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ হিসেবে নিতে হবে।
আরেকটু এগিয়ে গিয়ে হাইস্কুলের বয়সের কাউকে জিজ্ঞাসা করলে হয়ত সে ভেবে উত্তর দিত। যেটা মোটামুটি সামাজিক সম্মানের সাথে যুক্ত। কিন্তু অধিকাংশ সময় কল্পনায় সে নিজেকে ঢালিউড, হলিউড বা বলিউডের নায়ক নায়িকাই ভাবত। ঐ বয়সে চুল থেকে পোশাকের ফ্যাশনে সে কখনো নিজেকে ভাবত সালমান শাহ আবার কখনো সালমান খান! ক্লাসের শিক্ষকের করা প্রশ্নের উত্তরে মুখস্থ বুলি আউড়ালেও বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা একাকী আনমনে সে “Born to be a Hero”। এখানে হিরো মানে ওই মুভির হিরো যে কিনা দুষ্ট লোকদের একাই হাড়গোড় ভেঙ্গে তুষ করে দেয়, নায়িকাকে দোর ভেঙ্গে উদ্ধার করে আনে। তার এই সত্তাও কিন্তু পরবর্তী বয়সে লিখা বা বলা Born to be…. এর সাথে যায়না। অর্থাৎ শৈশব ও কৈশোরে অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে এই বক্তব্য অনুপস্থিত। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর যে হয়ত লেখক হতে চাইত সে পরবর্তীতে ব্যবসায়ী, যে সাংবাদিক হতে চাইত সে হয়ত ব্যাংকের নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা কিংবা যে চিকিৎসক হতে চাইত সে হয়ত উকিল। দু একটা ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। তবে সেটা বেশ নগণ্য।

সোজা কথায় জীবনের প্রতিটি ধাপে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যক্তিগত বাঁধার সাথে সমঝোতা করে আমরা কর্মজীবনে যা হই তার সাথে আগের ধাপগুলোর কোন মিলই হয়ত নেই। থাকলেও সামান্য আছে। এই যে বারংবার ব্যর্থ হয় আমাদের ইগো, তা থেকেই হয়তো জন্ম নেয় ইগো ডিসট্রেস। আমরা নিজস্ব ইগোকে ভোলাতে বের করি এই বুলি- “BORN TO BE……”। যা ইগোর অসন্তোষের বিরুদ্ধে আমাদের নিজস্ব প্রোপাগান্ডা! এর ফলে সাময়িক তুষ্টি আসে হয়ত। হয়ত সত্যিই নিজেকে ডেডিকেটেড করা যায়। আবার এমনো হতে পারে সব থাকা সত্ত্বেও শূন্যতা আঁকড়ে ধরে সভ্যতাকে। আমরা অকারণে হাঁসফাঁস করি, কিন্তু বুঝতে পারিনা কি হয়েছে আমাদের। আমাদের নিজকে ভুলানো প্রোপাগান্ডা দিনশেষে শান্তি দেয়না অনেককেই। মানুষের জন্য উপযুক্ত শব্দ হয়ত- “born to be the fittest of the game of survival”।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০২

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০২

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.