![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ কে ঘৃনা করার অপরাধে অতীতে কাউকে কখনো মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়নি। কিন্তু মানুষ কে ভালবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে !!
প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। সবাই দেখছি বলে আশ্বাস দিলেও কেউই সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। শেষটায় বাধ্য হয়ে নিজেই সব বিচারের ভার কাঁধে তুলে নিয়ে ঘাতক হতে বাধ্য হয়েছি। কারণ মা হয়ে মেয়েকে রক্ষা করতো পারব না ?- এ যন্ত্রণা আমাকে তাড়িত করছিল। জানি, বিচারে আমার ফাঁসি হবে। তবে এ নিয়ে আমার কোন অনুশোচনা নেই। দুঃখ শুধু একটাই, দুর্বলের পাশে কেউ থাকে না। যার ক্ষমতা ও দাপট বেশি তাকেই সবাই সমীহ করে। সে যত বড় শয়তানই হোক না কেন। পুলিশ ও উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কিশোরী কন্যার উত্ত্যক্তকারীকে নিজ হাতে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত যশোর সদর উপজেলার দেয়ারা ইউনিয়নের ভেকুটিয়া গ্রামের কৃষাণী খাদিজা বেগম (৪৫)। গত ১২ মার্চ নিজ বাড়িতে তিনি হাসুয়া (বড় দা) দিয়ে হত্যা করেন উত্ত্যক্তকারী একই এলাকার বাসিন্দা পাঁচ সন্তানের পিতা মফিজুর রহমান মফিকে (৪৪)। এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ খাদিজাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।পুলিশের জিজ্ঞা-সাবাদে খাদিজা বেগম বলেন, প্রচুর বিষয় বৈভব না থাকলেও সংসারে সুখ ছিল অনেক। কিন্তু মানুষরূপী দানব মফি আমার সেই সুখের সংসার তছনছ করে দিয়েছে। তার হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য পুলিশ-দারোগা, মেমা্বর, পার্টির লোকের কাছে গিয়েছি। কেউ আমার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।
ঘটনা সম্পর্কে খাদিজা বেগম বলেন, একই ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে মফিজুর রহমান মফি। সে আমার বোনের ননদের মেয়েকে প্রথম বিয়ে করে। ঐ ঘরে তার চার মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ে কলেজে পড়ে। তারপরও সে কোটচাঁদপুরে গিয়ে আমার বোনের মেয়ে রুনাকে উত্ত্যক্ত করত। সেখান থেকে রুনার বাবা-মা রুনাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়। আমার বাড়িতে এসেও মফি তাকে বিরক্ত করত। একটা সময় রুনা বাধ্য হয়ে মফিকে বিয়ে করে।
তিনি আরও বলেন, এখানেই শেষ নয়। এরপর মফি আমার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। আমি তাকে নানাভাবে বুঝাই যে, ও তোমার মেয়ের চেয়েও ছোট। ওকে বিরক্ত করো না। কিন্তু সে আমার কথা না শুনে সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে নিয়ে মাঝেমধ্যেই বাড়িতে এসে শাসাত এবং বিয়ের জন্য চাপ দিত। এ নিয়ে এলাকার লোকজনও নানা বাজে মন্তব্য করতে শুরু করে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে মফির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছি, জানিয়েছি এলাকার মেম্বারকে, ধর্না দিয়েছি রাজনৈতিক নেতাদের কাছে। কিন্তু মফির বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টা মফির উত্পাত আরও বেড়ে যায়। এ অবস্থায় মাসখানেক আগে মেয়েকে আমার মেজ ছেলের ( রাজমিস্ত্রী) কাছে ঢাকায় পাঠিয়ে দেই।
খাদিজা বেগম বলেন, ঘটনার দিন মাগরিবের নামাজের পর কোরআন শরীফ পড়ছিলাম। এ সময় মফি ঘরে ঢুকে আমার মেয়ে কোথায় তা জানতে চায় এবং এখনই মেয়েকে তার হাতে তুলে দিতে বলে। এ সময় কৌশল করে রান্নাঘর থেকে বেটে রাখা মরিচ এনে মফির চোখে লাগিয়ে দেই। এরপর হাসুয়া (বড় দা) দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করি।
কথা বলার এক পর্যায়ে খাদিজা বেগম ডুকরে কেঁদে ওঠেন এবং বলেন, ইজ্জতের মালিক আল্লাহ। আল্লাই রক্ষা করবে। খুন করে আমি কোনো ভুল করিনি। আমার কষ্টটা আমার মত মায়েরাই একমাত্র বুঝতে পারবেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ ( ওসি) এমদাদুল হক শেখ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে খাদিজাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত মফির সম্পর্কে তিনি কোন ধরনের মন্তব্য না করে বলেন, নিহত মফিজ ইতিপূর্বে ৪টি বিয়ে করেছে। মফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। তবে মফির বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা খাদিজা বেগমের জিডি সম্পর্কে ওসি জানান, ঐ সময় পুলিশ এলাকায় গিয়েও মফিকে খুঁজে পায়নি।
http://www.hello-today.com/77185#.Uy3iIM7EMck
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
সালমা শারমিন বলেছেন: ২০০% সঠিক....................বাহ বাহ দিতে চাই এই মাকে..................
এই খুনের দায়ে এই মাকেও কি ফাঁসিতে ঝুলতে হবে!!!!!!!!!!!!!!!
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০০
ফিলিংস বলেছেন: হয়তবা...।তবে সচেতন জন গন এগিয়ে আসলে কি হয় বলা যায় না ।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
হাসিব০৭ বলেছেন: সাবাস আপনার মত মানুষই প্রত্যেক ঘরে ঘরে থাকা উচিত। এদেশে অর্থ দিয়ে সবকিছুই কেনা যায় এমনকি মানুষের বিবেক পর্যন্ত
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
ফিলিংস বলেছেন: সব দলের রাজনীতিবিদ দের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। জনগন কবে যে এমন হয়ে যায়।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
কাকভেজা বলেছেন: ঠিক কাজ করেছেন।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
ফিলিংস বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নারীবাদি কই?????
যদিও আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া অন্যায়, কিন্তু পরিস্থিতি, বাস্তবতা, স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আশা করি আদালত ন্যায় বিচার করবে।
এবং এই ঘটনার দায়ী-যাদের অবহেলার কারণে মহিলা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে-তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
ফিলিংস বলেছেন: অবশ্যাই নারীবাদি দের এই মায়ের পাশে দেড়ানো উচিৎ।
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: আই স্যালুট মা জননৗ। তোমার মত সাহসৗ মায়েদের জন্য আমরা গৌবিত।
ঠিক্কার বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে । যেখানে নারিদের অধিকারের কথা বলে চিল্লাচিলৗ হয় কিন্তু বাস্তবে তাদের অধিকার হরণ করা হয়।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
ফিলিংস বলেছেন: সহমত....।
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
আন্ধার রাত বলেছেন:
১০০% সঠিক। অন্যায়ের প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ সকলের নৈতিক অধিকার।
যাদের কাছে গিয়ে এই মা বিচার পাননি আমি তাদের বিচার চাই।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
ফিলিংস বলেছেন: যাদের কাছে গিয়ে এই মা বিচার পাননি আমি তাদের বিচার চাই
যাদের কাছে গিয়ে এই মা বিচার পাননি আমি তাদের বিচার চাই
যাদের কাছে গিয়ে এই মা বিচার পাননি আমি তাদের বিচার চাই।
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
পরের তরে বলেছেন: এইরকম বিচারই মাফির মত শয়তানের জন্য উপযুক্ত..........আপনাকে স্যালুট হে মা........
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০১
ফিলিংস বলেছেন: সহমত.....।
৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
নতুন বলেছেন: মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে মানুষ সব পরে....
আর মা সন্তানের জন্য সবকিছুই করতে পারে.... এটা সন্তানের জন্য মায়ের আত্নত্যাগ... তিনি জানেন এর জন্য তাকে ফাসী/যাবতজীবন সাজা পেতে হতে পারে... কারন তিনি আদালতে মিথ্যা বলবেন না... সব স্বীকার করে নেবেন...
সমাজের লজ্জা করা উচিত এই মায়ের কথা শুনে... সমাজের ব্যথ`তাই মা কে এমন কাজ করতে হলো...
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
ফিলিংস বলেছেন: ফেবু তে শেয়ার করলে আরও মানুষ মনে হয় জানতে পারবে।
১০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
রাকি২০১১ বলেছেন: ব্লগার ভাইয়েরা,
আমরা কী পারিনা, এ মা জননীর পাশে দাড়াতে?
আমরা কি শাহবাগে/ প্রেসক্লাবে দাবি তুলতে পারিনা, যে একটা পশুরুপী হায়েনাকে হত্যার দায়ে এ মা জননীর ফাসি/জাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে না??
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
ফিলিংস বলেছেন: অবাশ্যাই পারি। আমাদের ভিতরে ঐ এলাকার কেউ থাকলে আরও লেখার আহ্বান জানাচ্ছি। তবেই সবার নজরে আসবে ।
১১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
ইছামতির তী্রে বলেছেন: কৃষাণী খাদিজা বেগমকে স্যালুট জানাই। তাকে সাহায্য করা উচিত।
প্রতিবাদের ভাষা কখনো কখনো এমনই হওয়া উচিত। বিচারে যাই হোক, সে একটা পশু হত্যা করে সমাজকে রক্ষা করেছে। তাকে সবাই মনে রাখবে।
১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
স্বপ্নবিলাসী আমি বলেছেন:
বিচারের বাণী যেখানে নিভৃতে কাঁদে, সেখানে চমৎকার একটা কাজ করেছেন এই "মা"!!! আর এমন মাকে স্যালুট না জানিয়ে উপায় নাই। প্রার্থনা করি, এই কলুষিত সমাজের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিতে বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরে এরকম একজন করে "মা-বোন-নারী" জন্মাক!!!
১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াটা কোন ভাবে কাম্য না। এই অপরাধের দায় শুধু এই খাদিজা বেগমের না, যাদের কাছে উনি বিচারের জন্য গিয়েছিলেন তাদের সবার।
১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
প্রকৌশলী মোঃ জুলফিকার আলী জুয়েল বলেছেন: "তবে মফির বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা খাদিজা বেগমের জিডি সম্পর্কে ওসি জানান, ঐ সময় পুলিশ এলাকায় গিয়েও মফিকে খুঁজে পায়নি"
কথাগুলো শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
মদন বলেছেন: ১০০% সঠিক কাজ