আমার আমি------------ যে মৃত্যুতে হাসতে পারি (পর্ব ১)

২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

সে অনেক দিন আগের কথা। একদা এক মেয়ে এক ছেলেকে ভালোবাসলো। ছেলেটাকে তার ভালোবাসার কথাটি বলেও ফেললো , কিন্তু ছেলেটা বুঝতে পারলো না যে সবে ২-১ দিন হল পরিচয় এর মাঝেই ভালোবাসা , মেয়েটাকে ফোন করলো যে সে কি তার সাথে মজা করছে কি না?

কিন্তু মেয়েটা কোন সোজা উওর দিলো না, মেয়েটা উল্টো তাকেই প্রশ্ন করলো যে তার এটা কি মনে হয়?

মজা নাকি সিরিয়াসলি?

ছেলেটা কোন উওর খুজে পায় না । আরো একদিন মেয়েটার সাথে কথা বলার পর ছেলেটাও কথাটা বলে ফেলে । ছেলেটা হয়ত মেয়েটাকে বিশ্বাস করে ফেলেছিল এই অল্প কয়েকদিনের মাঝেই ।

দিন যায়, মাসও পেরিয়ে যায়, তাদের কথা বলাও চলতে থাকে । তারা তাদের কথা বলার সীমানাটুকু, তাদের কথা বলার অধিকারের সীমা ভুলে যেতে থাকে । সিগারেট খাওয়ার জন্য দুই ঘন্টার দীর্ঘ ঝগড়া, আবার মেয়েটা না বলে কেন ওর বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গেল, কেন তার পছন্দের রঙের জামা পড়েনি ; এই সব সামান্য কারনে তাদের ঝগড়া, তাদের অবিরাম কথা বলা, তুমি শুধু আমার, আমি শুধু তোমার, আমার শরীর মন সবই তো শুধুই তোমার, এই সব কথা দিন, সপ্তাহ, মাসের গন্ডি পেরিয়ে ফেনিল সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো অণর্গল তাদের মন সিন্ধুর তীরে আছড়ে পড়তে থাকে ।

পরিবার নামের জোৎস্নাভরা চাঁদের টানে তাদের সম্পর্কের নদীতে জোঁয়ার-ভাটার কোন প্রভাব যে পড়ে না তা কিন্তু নয় । হয়ত তাঁদের মনের কোনে তার কোন জায়গা হওয়ার অবসর মেলে না ।

এ কথাটি কেন বললাম তা কি জানেন? জানবেন কি ভাবে, আমি তো এখনও বলিনি । তা হলে বলেই ফেলি । তাদের পরিচয় হয় মোবাইলে, কথাও হয় মোবাইল ফোনেই, ঝগড়া, আনন্দ, ভালোবাসা সবই হয় মোবাইলেই । এখানেই শেষ নয়, তারা দুজন দু’ধর্মের, দু’জগতের । একজন সুমি বড়ুয়া, আরেকজনের কথা না হয় নাই বললাম । একজনের বাড়ি মির্জাপুর, হাটহাজারী, চট্রগ্রাম আর আরেকজনেরটা না হয় নাই বললাম ।





ক্যাবা অইছে জানাবেন , একখান ছোট গল্প লিখুম (আসলে সইত্য কতা)

২ টি +০/-০