![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানো সুমী, মাঝে মাঝে যখন তোমার দেওয়া কষ্ট গুলোর ভীড়ে আমি নিজেকেই হারিয়ে ফেলি তখন চারপাশের কষ্টের ভিতর না পাওয়ার বেদনা থাকে না। কিংবা থাকে অল্প পরিমানে, মন প্রতিবেশী রুদ্র বিষাদের রিখটার স্কেলে হয়ত সে ব্যাথার কম্পন আলাদাভাবে অনুভবিত হওয়ার অবসর মেলে না। যেটা থাকে সেটা মরিচীকার মোহে নিজেকে হারানোর ভয়, তোমাকে হারানোর শূন্যতায় নিজে তলিয়ে যাবার ভয় ; নিজের সরলতায়, নিষ্পাপতায় তোমার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলার ভয়।
তোমার বুকে হাত দিয়ে বলবা আমার কি দোষ ছিলো?
আজ কি তোমার একটু সময় হবে, সুমী? একটু কথা বলতাম। জানি তোমার সময় নেই তবু একটু কথা বলবা? তোমার ওরা তো তোমার হয়ে সারাজীবন তোমারই থাকবে। হারিয়ে যাওয়ার আগে না হয় একটু আমার সাথে কথা বললা। হাজার মনের ভীড়ে তোমার মনকে নিজের ভাবতাম। সে মনকে এত সহজে ভুলতে পারবনা, আর ১০ টা ছেলের মত আমিও মানুষ, এক মনে কয়জনের নাম লিখব বলতে পারো ? কত শত দিন দুজন হারিয়ে যেতাম এক পথের শেষ সীমানায় তার প্রতিটা পদরেখার সব গুলোই কি ছিল অভিনয়? আমার শূন্য পায়ের নীরব বুলি , তোমার নুপুর পায়ের সরব বার্তার একটা রেখাও কি তোমার প্রেম মন্দিরে প্রতিমার সিঁথির গভীর দাগের ন্যায় মনে হয় নাই? আমার কথা না শুনলে একদিন যে মন্দিরে সন্ধ্যায় শখ্ঙ-ধ্বনি বাজতো না, সে মন্দির কি ধোঁয়াময় ঊষাহীন ধূসর সাম্রাজ্য হারিয়ে গেছে? এত সহজে সে মন্দির প্রত্নত্বাত্তিকদের গবেষণার বিষয় হবে জানতাম না। আরে বোকা মেয়ে সারাজীবন আমার সাথে এমন অভিনয়ও তো করতে পারতা, তবু তো ভালবাসতে পারতাম তোমায়। এতেও হয়তো তোমার লাভ-ক্ষতি দেখার বিষয় আছে? হয়ত তুমি আমায় মনহীন, ফাঁপা, ঠুনকো ভালবাসা দিতে সারাজীবন কিন্তু আমি ? সারাজীবনের প্রতিটা দিনের, প্রতি প্রহরের প্রতিটা মুহূর্তে নিঃস্বার্থ, নিরেট ভালবাসা দিয়ে যেতাম অবিরত। তোমার ক্ষতিই হতো বৈকি? বিনিময়ে তোমার কাছ থেকে পাওয়া সেই মনহীন, ঠুনকো, ফাঁপা ভালবাসায় নিজের একটা ছোট , দূর্বল মন্দির বানাতাম। যাকে অন্তত কখনো প্রত্নত্বাত্তিকদের গবেষণার বিষয় হতে দিতাম না।
জানো সুমী, আমার ছোট ঘরটায় তোমার জন্য সবকিছু কিনে কিনে সাজিয়ে রাখতাম। বেশী কিছুনা এই ধরো কিছু লাল-নীল জানা অজানা নামী শাড়ী, ওড়না, দেশী-বিদেশী লেডিজ প্রসাধনী, কখনো কিছু দেখে তোমার কথা মনে হওয়ায় কিনে আনা ছোট বড় অনেক পাগলামি এই আরকি ! পাছে আম্মু দেখে ফেলে এই ভয়ে বাইরে বেরোনোর সময় দরজায় তালা দিয়ে যেতাম। আমার ঘরে আর একটা জিনিস থাকতো সেটা আমার ভালোবাসার পবিএ সুঘ্রান। সেটা আমি ছাড়া আর কারো ঘ্রান-ইন্দ্রিয়ে ধরা পড়া স্বাভাবিক ছিল না, কিন্তু কিভাবে যেন আমার দুষ
চলবে.....................
আমার হারিয়ে যাওয়া তুই....
আজ হঠাৎ বিকেলবেলা
অবসরের অবসাদে লাগছে ভীষন একা
হাজার বছর হাত দুটো তোর হয়নি ছুঁয়ে দেখা।
কত সকাল দুপুর রাত
কেটেছে এক সাথে
মুখোমুখি নির্বাক ক্ষন হাত রেখে তোর হাতে
দুঃখ গুলো আড়াল করে মনের জানালাতে।
কত মান আর অভিমানে
কত ভালোবাসার গানে
ঝগড়া বিবাদ রাগ অনুরাগ সেই দুটো মন জানে
স্মৃতির ক্যালেন্ডারে ওড়ে ভালোবাসার মানে!
আজ কোথায় আছিস তুই
আর কোথায় আছি আমি
একদিন তোর খবর গুলোয় আমিও ছিলাম দামী
তোর নতুন পাতার খবর খাতায় আজ আর নেই আমি।
জানি ভালোই আছিস
তোকে থাকতে ভালো হবে
বলতে পারিস ঠিক কিভাবে ভুলবো তোকে কবে?
তুই যেমনি ভুলে গেছিস সেই কবে সেই কবে !
কত নতুন দিনের কাজে
কত নতুন স্মৃতির মাঝে
স্মৃতির মুকুর মুখখানি তোর আমার চোখে ভাসে
তোকে ভুলতে গিয়েও এ মন আবার তোকেই ভালোবাসে।
এখন ছুটন্ত সব কারে
আর জ্যাম রাস্তার ভীড়ে
আচমকা ক্ষন মন উচাটন খুঁজিনা আর তোকে
বাজেনা আর তোর মুঠোফোন আমার কাজের ফাঁকে !
অহংকারের কাছে
আজ ভালোবাসার পরাজয়
আমরা দুজন দুই বিজয়ী পাথর দুই হৃদয়
তবু বর্ষন আর ব্যাথার ক্ষরণ সেই পাথরের ক্ষয়......
আমার হারিয়ে যাওয়া তুই....
আজ হঠাৎ শূন্য সাঝে
তোর অবসাদ স্মৃতির পাহাড় দুঃখ হয়ে বাজে
ব্যাথায় ব্যাথায় ভাঙচুর কাল এই হৃদয়ের মাঝে।
©somewhere in net ltd.