নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভন্ডামির কোনো শেষ নাই, ভন্ডামি তাই সর্বদাই

[email protected]

রিয়াজ শাহেদ

আশ্চর্য! কেউ চারা লাগাতে চায় না, অথচ বটবৃক্ষছায়ার জন্যে কী অশ্লীল অপেক্ষা!

রিয়াজ শাহেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা জায়গায় ভুল হচ্ছে, বারবার, বারবার......

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:০০

প্রিয় ব্লগার, মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে একটা ঘটনা বলি আপনাকে; এ পোস্টটা লেখার পেছনে যে কয়টা ব্যাপার জোরালো ভূমিকা রাখছে, তাদের মধ্যে এ ঘটনাটা আছে।



সে আজ থেকে আড়াই বছর আগের কথা, ফেব্রুয়ারির অমর একুশে বইমেলা চলছে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্বের আশীর্বাদে প্রায় প্রতিদিনই ঢুঁ মারি প্রাণের মেলায়। সুমন্ত আসলামের “বাউন্ডুলে” নিয়মিত পড়তাম তখন, অসাধারণ আবেগী লেখাগুলো ছুঁয়ে যেতো মন। সেদিন গিয়েছিলাম পার্ল পাবলিকেশন্সে, বাউন্ডুলে কিনতেই; গিয়ে দেখি স্বয়ং সুমন্ত হাজির। খুব যে উচ্ছ্বসিত হলাম তা নয়, অটোগ্রাফও নেই নি (সুমন্তদা কি মাইন্ড করলো একটু?!), ৪২ টাকা দিয়ে বইটা কিনে স্টল থেকে বেরিয়ে এলাম। ঘুরছি ঘুরছি, হঠাৎ মনে হলো, আরে তাইতো, বইটার দাম এতো কম হওয়ার কথা নয় তো! হিসেব করে দেখলাম ৫৬ টাকা আসে; ফিরে চললাম আবার পার্লের দিকে।



ব্যাপারটা সেলসম্যান কে বলতেই লজ্জিত হয়ে ভুল স্বীকার করলেন। আমি বাড়তি টাকা ক’টা দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, পেছন থেকে সুমন্তদা-র ডাক; পুরো ব্যাপারটাই তো দেখেছেন তিনি। ঘুরে দাঁড়ালাম, অতঃপর প্রশংসার ফুল ঝুরি ঝুরি হয়ে পড়লো আমার ওপরে, ফেললেন সুমন্তদা, “আপনার মতো সৎ মানুষই তো দেশটার দরকার + আমি অভিভূত + এ ব্যাপারটা নিয়ে একটা বাউন্ডুলে লিখে ফেলতে হবে- আমাদের দেশে এখনো এরকম মানুষ আছে, কাজেই হতাশ হওয়ার কিছু নেই + আমরা এরকম দশটা সৎ ছেলে চাই” ইত্যাদি ইত্যাদি...



লজ্জা পাচ্ছিলাম, কারণ ওভাবে ভাবিই নি আমি, টাকাগুলো মেরে দেয়ার কোনোরকম চিন্তাই আসে নি মাথায়; কিঞ্চিৎ গর্বিত হচ্ছিলাম, কারণ সবকিছুর শেষে আমি তো একটা মানুষই। কিন্তু সব অনুভূতি ছাপিয়ে যে কথাগুলো মনে এলো, এক নিঃশ্বাসে বলেই চলে এলাম বিস্মিত সুমন্ত আসলামকে পেছনে রেখে, “দশ জন কেনো, এরকম বা এর চেয়েও ভালো দশ হাজার জন সৎ মানুষ পাবেন আপনি খুঁজলে; লাভ নেই, সৎ মানুষগুলো কোনো কাজে আসবে না দেশের সামগ্রিক উন্নতিতে, যতক্ষণ না রাজনীতির ভেতরে তারা ঢুকতে পারছে। হ্যাঁ, আমরা যতোই আশাবাদী হই না কেনো, এদেশের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমাদেরকে রাজনীতিবিদদের ওপর নির্ভর করতেই হবে; ওজায়গাটা সততাশূন্য থাকলে ভাঙ্গনের সুর খেলা করবে, সর্বদা এবং সর্বত্র।”



এই হচ্ছে ঘটনা। আড়াই বছর আগের প্রায় ভুলে যাওয়া এ ঘটনাটা হঠাৎ করে জাগরূক হয়ে উঠলো কেনো- প্রশ্ন আসতেই পারে আপনার কাছ থেকে। উত্তরের জন্যে যেতে হবে আমার ক্ষুধা সম্পর্কিত একটি গুরুতর সমস্যা গল্পের পোস্টটায়, এখানে প্রিয় রন্টি চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, “রিয়াজ শাহেদভাইকে আরেকটা পোষ্টে বলেছিলাম, আমাদের সবার ছোট্ট ছোট্ট অনুভবই আমাদের কাজকে এগিয়ে নেবে, তার এই লেখাটাও এগিয়ে যাবার পথে একধাপ। আমার জানা মতে রিয়াজশাহেদের বয়স খুব বেশী না। আমাদের তরুনরা এভাবে ভাবে...আমরা খুব বেশীদিন আর এমন থাকব না, অবস্থা পাল্টাবেই। আমি আশাবাদী।”



আসলেই, আমাদের মতো আশাবাদী মানুষ পৃথিবীতে খুব বেশি নেই; আশায় আশায় কেটেছে ৩৭ বছর, দেশের সর্বনাশ যা হওয়ার হয়েছে; আশায় আশায় কাটবে আরো কত্তো বছর জানি না, সামনে নতুন কী সর্বনাশ অপেক্ষা করে আছে তাও জানি না। ৩৭টা বছর! “আমি আশাবাদী”, “আমরা আশাবাদী”, “সামনে আসছে নতুন দিন”, “মেঘ কেটে গিয়ে সূর্য উঠবেই”, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই”, “আর নয় হানাহানি, আসুন সকলে মিলে সোনার বাংলাদেশ গড়ি”, “হতাশ হওয়ার কিছুই নেই”......................................................................... প্রিয় ব্লগার, এই ৩৭টা বছরে কম করে হলেও ৩৭ কোটি বার উচ্চারিত হয়েছে এ কথাগুলো, বাংলাদেশের মাটিতে। আমি বলেছি, বলেছেন আপনিও। সত্যি করে বলুনতো, সত্যি করে বলুনতো, সত্যি করে বলুনতো, আপনি কি সত্যিকার অর্থেই দেশটার উন্নয়ন (বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটা জায়গায় নয়) চান? নাকি শুধু চান নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন? কোনোভাবে সেটা হয়ে গেলেই মনে করছেন, দেশের প্রতি আপনার দায়িত্ব পালন করা হয়ে গেলো, কারণ এখন আপনি দেশকে সার্ভিস দিচ্ছেন?



উন্নয়নের নামে আমরা যা করছি তা হলো, দেশটার ক্ষতের ওপর একটা রঙিন প্রলেপ দেয়ার চেষ্টা করছি যাতে ক্ষত ঢাকা পড়ে থাকে; ক্ষত সারানোর কোনো চেষ্টা আমাদের নেই, এমনকি ৩৭ বছরে ক্ষত কতোটা গভীর হয়েছে সেসম্পর্কে সঠিক ধারণাও নেই।



ব্লগার, আপনি কি রাস্তাঘাটে চলার সময় থুতু, চিপসের প্যাকেট, ড্রিঙ্কসের বোতল ফেলেন? বাসায় অকারণে লাইটফ্যান চালিয়ে রাখেন? ওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও নিচ দিয়ে রাস্তা পার হন? সিগনাল না মেনেই গাড়ি চালিয়ে দেন? আইন থাকার পরও প্রকাশ্যে ধুমপান করেন?



আমি জানি, আমি ভালোভাবে জানি- ফেলেন, রাখেন, হন, দেন, করেন। কারণ আপনার দলে যে আমিও পড়ি! খুবই জরুরী অথচ সামান্য এই নিয়মগুলোই মানতে পারছি না, আমরাই আবার “আশা” করি, একদিন স্বপ্নের দিন আসবে...



আচ্ছা, ধরে নিচ্ছি সবাই আমাদের মতো নন, “দশটা সৎ ছেলে” অনেক আছে আমাদের। কী করতে পেরেছে তারা, এই এত্তোগুলো বছরে? তেমন কিছু যদি করতে পেরে না থাকে, কেনো পারলো না?



রাজনীতির ভেতরে যদি না ঢোকে যৌক্তিক, বৌদ্ধিক, শুদ্ধ আর সঠিক মানুষ, কোনোভাবেই দাঁড় করানো যাবে না দেশটাকে, উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেই ফেলে দেয়া হবে ল্যাং মেরে; ল্যাং মেরে ফেলে দেয়ার লোক এই দেশে প্রচুর। ঘরে বসে “আমি আশাবাদী আমি আশাবাদী” তসবিহ জপে গেলে কচু হাতি ঘন্টা হবে দেশের। চোখে রঙ্গিন চশমা লাগিয়ে বসে আছি, দেখতে পাবো কিভাবে চারদিকে নেমে এসেছে মধ্যযুগের চেয়েও গাঢ় অন্ধকার? ভাবছি কেবল “এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে”, করছি না কিছুই, আশা করে আছি অন্য কেউ শুরু করবে বলে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু উন্নতি দেখে নিজেদের ধন্য ধন্য করছি, ভাবছিও না যে একটা দেশের সামগ্রিক উন্নতি ৩৭ বছরেও না হলে আর কবে হবে।



এ জায়গাটাতেই ভুল হচ্ছে আমাদের, বারবার।



বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যে সবার আগে দরকার রাজনীতিবিদদের “হোমো সেপিয়েন্স” থেকে “মানুষ”-এ রূপান্তরিত হওয়া।



[ সাবধান! এটি একটি আপাদমস্তক বিলাসিতা ও ভন্ডামিপূর্ণ পোস্ট ]

মন্তব্য ১৬০ টি রেটিং +৪৬/-১

মন্তব্য (১৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:০৩

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: পরে পড়ুম

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:০৫

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: সম্ভবত পড়বেন না বিমা ভাই।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:০৬

মানুষ বলেছেন: সে আগুন ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:০৯

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: কোন আগুন? আমি তো পানি দেখতাছি সবখানে।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:১৮

আরিফ থেকে আনা বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম। আসল জায়গা ধরেই টান দিয়েছেন তা হচ্ছে রাজনীতিতে সৎ লোকের বড়ই অভাব।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৫

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: :(

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:১৮

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: ভুলের কিছু নাই ।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৬

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ?

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:১৯

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: লেখক বলেছেন: সম্ভবত পড়বেন না বিমা ভাই।

এর মানে কি !! :)

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:২৪

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: সঙ্গে সঙ্গে না পড়লে পরে আর পড়ার সময় পাওয়া যায়না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই...

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:২০

সঞ্জিব বলেছেন: কি কমু.....

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:৪৯

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: কিছু কইতে হইবো না, তসবিহ জপেন।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:৩৭

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

অসাধারণ পোস্ট হয়েছে রিয়াজ শাহেদ ।
সত্যিই অসাধারণ ।

আমাদের শুধু ভাবা হয় , করা হয়না কিছুই । তবু, মনে হয়, বদলে যাবো একদিন আমরাও ।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আচ্ছা এইটা কি পজিটিভ না নেগেটিভ দিকে বদলানো শিপন ভাই?

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ২:৩৯

একরামুল হক শামীম বলেছেন: পড়লাম।

০৬ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৯:৩৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: এটি এই পোস্টের সেরা কমেন্ট।

যদিও কমেন্টটি দেখে মনে হচ্ছে অনেকগুলো পয়েন্টেই আপনি আমার সাথে একমত নন, শামীম ভাই।

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ ভোর ৪:২৬

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: এক কথায় চমৎকার লিখেছেন।
আমার মনের কথাগুলো আপনি বলে দিলেন।
আমিও আপনার মতো একজন আশাবাদী মানুষ।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০২

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকুন আপনিও।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ ভোর ৪:৪৩

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: রিয়াজভাই, তোমার পোষ্টটা পড়লাম। তোমার মনজগৎে দেশ নিয়ে অনেক চিন্তা তা স্পষ্ট। তুমি প্রতিনিয়তই ভাবছ দেশ নিয়ে। এযে কত ইতিবাচক কিভাবে বোঝাই। তোমার লেখা ধরেই কটা কথা বলতে বড় ইচ্ছে হচ্ছে।
যেমন তোমার বইয়ের ব্যাপারটা, তুমি যেটা করলে তাকি অসাধারন একটা কাজ? তুমি নিজেই বলেছ তানা, কিন্তু আমাদের দেশে তো এই কাজটাও কেউ করে না ভাই, তুমি করেছ...সে জন্যেই তুমি সাধারনের পর্যায়ে পড় না। কেননা আমাদের সমাজে অভাবী( মনের দিক থেকেও) মানুষেরা ওই সততাটুকু দেখানোর শক্তি এখনও অর্জন করতে পারেননি।

আমাদের আশায় আশায় ৩৭ টি বছর কেটে গেছে বলে কি তুমি হতাশ হয়ে যাচ্ছ? কেন যাচ্ছ? ৩৭ বছর একটা মানুষের জন্য অনেক, কিন্তু একটা দেশের জন্য কিছুই না। তারউপর আমাদের দেশটা তো অন্যরকম, আমাদের দেশটাকে কতবার পরিকল্পিতভাবে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হল, ৭১ এ কত জঘণ্যভাবেই না আমাদের সবটুকু বেইজ গুড়িয়ে দেবার চেষ্টা চালানো হল। ৪৭ থেকে ৭১ এ আমাদের দেশকে পিছিয়ে দেয়া ছাড়া আর কিহয়েছে? স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশের কি অবস্থা ছিল? একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ, পাক শয়তানগুলোর রাক্ষষ থাবায় আমাদের দেশের অবকাঠামো কি ছিল তখন? আমাদের জনসংখ্যা কত ছিল? মনেপড়ে? ৭ কোটি লোকের তখন কতই না দুর্দশা ছিল। আজ কিন্তু আমরা ১৪ কোটিরও বেশী, আজ আমরা কোথায় দাড়িয়ে? আমরা দিগুনবেড়ে গেছি, কিন্তু তারপরেও আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। আমি দ্বিধাহীন কন্ঠেই বলতে চাই আমরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়েই এগিয়েছি। আমাদের শোষন করে যাওয়া পাকিস্তানকে দেখ, তারা এখন কোথায়? আমাদের চেয়ে খুব বেশী কি ভাল অবস্থানে? নাতো। আমরা সমৃদ্ধ থেকে শুন্য হয়েছি, আবার শুন্য থেকে যাত্রা শুরু করে আবার কিন্তু এগিয়ে গেছি। একসময় পড়তাম সবখানে বাংলাদেশের লোকজন সব অশিক্ষিত, আজ আমরা কলসেন্টার নিয়ে আলোচনায় বলতে পারি, আমাদের দেশের তরুনরা ভালই ইংরেজী পারে, একটু ঘষামাজা করলে তারা অনেক ভাল করবে, আজকেই ব্লগে এক কমেন্টের জবাবে রাগিব হাসান জানালেন টেক্সাসের ভার্সিটি গুলো তে ঝাকে ঝাকে বাংলাদেশী স্টুডেন্ট, কালকে ব্লগে দেখলাম রাতমজুর আক্ষেপ করে বললেন এমবিএ করার এখন কোন দাম নাই, ফার্মগুলা কেরানী পদেও এমবিএ চায়। এতই এমবিএ হোল্ডার বেড়ে গেছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিট দিতে পারছে না ছাত্রছাত্রীদের। আমরা কি উন্নতি করছি না? এক সাংবাদিকের লেখা থেকে উদ্ধৃত করি 'বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে বিদেশ থেকে আসা অনেক কাজের অর্ডার ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম পুরুষ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা ভিনদেশে গিয়ে বহু পুরুষের ব্যবসার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে, এমনকি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করছে। চ্যানেল আইয়ের শাইখ সিরাজ বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার শিল্পে একা একাই যেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের আব্দুল মুক্তাদির ৫ বছরের মধ্যে বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন। পিএইচপি গ্র“পের মোহাম্মদ মহসীন চট্টগ্রামকে সিঙ্গাপুর বানাতে পারবেন বলেই নিশ্চিত। ইমপ্রেস গ্র“পের রিয়াজ আহম্মেদ খান স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে শুরু করে এখন উত্তর আমেরিকায় তাদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন। বাংলাদেশের কম্পানি রহিমআফরোজ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় যুদ্ধ করে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের ব্যাটারি বিক্রির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। এক্মির তানভীর সিনহাও সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে ভারতের মানুষকে বাংলাদেশের ফলের জুস খাওয়াবেনই। অটবি ভারতের বিভিন্ন শহরে নিজেদের শোরুম করে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করে। বাংলাদেশের ওষুধ দেশে দেশে রফতানি হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। আমাদের ক্রিকেট দল পাকিস্তানকে হারায়, ভারতকে হারায়, অস্ট্রেলিয়াকেও হারাতে পারে। আর কত সুখবর চাই আমাদের? অথচ এমন অনেক সুখবর তৈরি হচ্ছে অহরহ। আমাদের অব্যাহত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রমাণও আছে প্রায় ৭ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে, বিদেশি মুদ্রার রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ রিজার্ভের মধ্যে।
বাংলাদেশে এখন কত সংবাদপত্র। বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল, প্রাইভেট রেডিও, অর্ধশতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ-ই আলোকিত মানুষ বানাতে নাগরিকের দোরগোড়ায় নিয়ে যাচ্ছেন পাঠাগার। ২০০৭ সালের যে-কোনও সময় আনিসুর রহমান সিনহা হয়ে যাবেন একক মালিকাধীন বিশ্বের বৃহত্তম ডেনিম উৎপাদক। ক্লোজআপ ওয়ানে সঙ্গীতের প্রতিভার অন্বেষণ, পরীক্ষায় নকল বন্ধ করা, আবাসন শিল্পেও বিকাশ চলছে অভাবনীয় গতিতে। কর্মসংস্থান আর রোজগারের তাগিদে তুষার, গহিন অরণ্য, সুউচ্চ পর্বতমালা কিংবা উত্তাল অথৈ সাগর সবকিছুর ভয়কে জয় করে দুঃসাহসী অভিযাত্রী বাঙালি যাচ্ছে ইউরোপ আমেরিকাসহ পৃথিবীর দিকে দিকে যেন একেকজন কলম্বাস বা ভাস্কো দা গামা।

তাস্বত্তেও আমরা হতাশ কেন হচ্ছি রিয়াজ?

তোমার লেখাতে তুমি লিখেছ, '
ব্লগাররা, আপনি কি রাস্তাঘাটে চলার সময় থুতু, চিপসের প্যাকেট, ড্রিঙ্কসের বোতল ফেলেন? বাসায় অকারণে লাইটফ্যান চালিয়ে রাখেন? ওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও নিচ দিয়ে রাস্তা পার হন? সিগনাল না মেনেই গাড়ি চালিয়ে দেন? আইন থাকার পরও প্রকাশ্যে ধুমপান করেন?''

এইযে তোমার এ বোধটা, এর অবকাঠামো হয়ে যাবে এত তাড়াতাড়ি ১৫ বছর আগেও আমরা কিন্তু ভাবিনি, এই যে রাস্তা, ওভারব্রিজ, সিগন্যাল এসব আমাদের কাছে বিলাস স্বপ্নই ছিল। আজ তা আমাদের করায়ত্বে, আমরা এখন আরও নিখুত হতে চাই। কিন্তু তারমানে এই না যে আমরা এগোয় নি।

হ্যা , আমাদের ভাল করতে পারেন রাজনীতিবীদরাই। তাদের দোষে আমাদের দেশের অবস্থা এখন অন্যরকম হয়ে গেছে, আরেকটি হযবরল সরকারে এসে দেশের অর্থনীতিকে মোটেই সামলাতে পারছে না। কিন্তু তা বলে আমরা কিন্তু থেমে নেই।

তোমার লেখাটায় নিরাশা দেখে আমার ভাল লাগেনি রিয়াজ। আমরা স্বপ্ন দেখব, কিন্তু নিরাশ হব কেন? আমরা তো অনেক এগিয়েছি, হয়ত আরও ভীষন গতিতে এগুতে পারতাম, কিন্তু যাই এগিয়েছি তাই কম কিসে? আমরা তো পিছিয়ে যাই নি। তাই আমাদের হতাশ হবার কি কারন?

আরএকটা কথা ব্যক্তিগত উন্নতি হলে দেশের কোন লাভ হয় না কথাটা কিন্তু ঠিক না। তুমি যদি উন্নতি কর তাহলেও কিন্তু দেশ এগুবে। তুমি যদি কোটিপতি হও, তবে দেশেও কোটি টাকা যোগ হবে, বিশটা লোকের কর্মসংস্থান হবে।

সবাই নীতিনির্ধারক হয় না। যে যার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের রাজনীতিবীদরা সৎ নন। কিন্তু তারা সময় পেলেন কই? একের পর এক ঝড়ঝন্ঞা তো যায় তাদের উপর দিয়ে? তুমি কি বুঝতে পারছ কেন ৯০ এর গনঅভ্যুথ্থান এর পরে ক্ষমতায় এসে রাজনীতিবীদরা এমন খাই খাই স্বভাব শূরু করলেন? কেননা, তারা তাদের নিজেদের অবস্থান নিয়ে সন্দেহাতীত ছিলেন না। তাই তারা সম্পদ করে নিজেদের সুরক্ষিত রেখেছেন। আজজে তাদের উপরে এত ঝড়ঝন্ঞা, এটা তারা আশংকা করতেন। কিন্তু গনতন্ত্র যদি আরও সময় পেত একটা সময় রাজনীতিবীদদের মন থেকে এই ভাবটা আস্তে আস্তে কমে আসত।

অনেক কথা বললাম। হয়ত অগোছাল হয়ে গেল কথা গুলো। কিন্তু আমি বলতে চাই। দেশটা থেমে নেই। এগিয়ে যাচ্ছে অনেক গতিতে। এখন আমাদের ছোট্ট ছোট্ট কন্ট্রিবিউশন সে গতিকে চুড়ান্ত রুপ দিতে পারে।

তাই হতাশ হওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৩১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: তোমার সাথে একমত রন্টিদা। আমাকে হতাশাবাদী ভেবোনা কিন্তু; যেখানে আশা করার মতো কিছু দেখতে পাই সেখানে আমি আশাবাদী, আর যেখানে পাই না সেখানে আমি বাস্তববাদী।

তোমার দেয়া উদাহরণগুলো চমৎকার, তবে এসব উদাহরণ সৃষ্টি করার আগে কি রাষ্ট্রের উচিত ছিলো না, তার সব নাগরিকের অন্তত মৌলিক অধিকারটুকুও নিশ্চিত করা, যাতে প্রত্যেকটি নাগরিকই রাষ্ট্রের এসব উন্নয়নের সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারে? ডাস্টবিনে যখন মানবছানা আর কুকুরছানা কে কাড়াকাড়ি করে খাবার খেতে দেখি, লজ্জায় মুখ লুকিয়ে পালায় না কি তখন, এই তথাকথিত উন্নয়নগুলো? এই একটা দৃশ্যের কাছেই তো হেরে যায় আমাদের সব অর্জন।

এই যুক্তিটা অনেকেরই পছন্দ যে, আমি কোটিপতি হয়ে অন্যের কর্মসংস্থানে সাহায্য করতে পারবো, তাতে তো দেশের লাভই হবে; চরম পুঁজিবাদী চিন্তা, বুঝতেই পারছো। প্রথম কথা হলো বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থায় সৎ পথে থেকে কোটিপতি হওয়াটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার, আর আমি কোটিপতি হলেই যে দেশেরও কোটি কোটি টাকা যোগ হবে, কে বলেছে তোমাকে? বহু কোটিপতি আছে এই দেশে, এতোদিনে তো দেশটার স্বনির্ভর হয়ে যাওয়ারই কথা ছিলো!

উন্নয়নের নামে আমরা যা করছি তা হলো, দেশটার ক্ষতের ওপর একটা রঙিন প্রলেপ দেয়ার চেষ্টা করছি যাতে ক্ষত ঢাকা পড়ে থাকে; ক্ষত সারানোর কোনো চেষ্টা আমাদের নেই, এমনকি ৩৭ বছরে ক্ষত কতোটা গভীর হয়েছে সেসম্পর্কে সঠিক ধারণাও নেই।

ঢাকা শহরের প্রতিটা, হ্যাঁ আমি আবার বলছি, প্রতিটা সিগন্যালে দরিদ্র মানুষের পরিমাণ দেখে ক্ষতের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

রন্টিদা, তোমার বলা চমৎকার উন্নয়নগুলো এই মানুষগুলোকে কেবলই বৈষম্য উপহার দিয়ে যাচ্ছে; এজায়গাটাতেই আমাদের ভুল হচ্ছে বারবার। সত্যিকার উন্নয়ন করতে গেলে আগে সবার মৌলিক অধিকারগুলো অন্তত নিশ্চিত করতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ তোমাকে, লেখাটা পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্যে।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ ভোর ৪:৪৪

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: লেখাটা পড়ে কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলাম। এত অসাধারণ লেখা অনেকদিন পড়িনি তো তাই।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আরে ভাই এইসব "কিছুক্ষণের জন্য থমকে যাওয়া" লেখা জীবনে বহুত পড়তারবেন, আমগো দৌড় ঐটুক পর্যন্তই।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ ভোর ৫:১২

নিলা বলেছেন: আমরা ভুল করি, তবে সেই ভুল থেকে শুধরাতে চাই না। আমরা দেশের উন্নয়ন চাই,তবে দেশের জন্য কিছুই করি না। আমরা আশায় বুক বেঁধে স্বপ্ন দেখি, কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কিছুই করি না।

আমাদের দ্বারা কি কিছুই করা সম্ভব তাহলে?!

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: হ্যাঁ, এইসব নিয়ে পোস্ট লিখে ব্লগ ভরিয়ে ফেলা সম্ভব।

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ ভোর ৫:৫৯

হরিসূধন বলেছেন:
আমার কিছুই বলার নাই! আমাদের কথার সাথে কর্মের কোন মিল
নেই। ধন্যবাদ এমন সুন্দর লেখার জন্য।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২২

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ ভোর ৬:৪৬

আসিফ আহমেদ বলেছেন: আমার মনে হয় রিয়াজ শাহেদের হতাশার ভিতরও অনেক আশার আলো আছে। উনার মতো আমিও হতাশ হই, আর হতাশা থেকে আবার ভাবতে শিখি।

কষ্ট টা হয় যখন বুঝি কোন অজানা কারনে সহজ অনেক কাজ আমরা দেশের জন্য করিনা, যেমন অন্যের সম্পদ নষ্ট না করা, যত্রতত্র ময়লা না ফেলা, অন্যের পিছনে না লাগা ইত্যাদি।

আমরা একটুও ভাবিনা, আমার একটা সুযোগ গ্রহন পুরো সিস্টেমটাকেই ব্যাহত করছে। কাল পালাবদলে আমিও তার শিকার হবো।

আর রন্টি ভাইয়ের কথা আর কি বলবো, সবই আমার মনের কথা। ব্যক্তিগত উন্নয়ন করতে তো হবেই, তবে নিয়মের বাইরে না যেয়ে। নেতাদেরকে তো আমাদেরকেই সাহায্য করতে হবে। এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি। অস্বীকার করবো না শুভ চিন্তা বাস্তবায়নে আমাদের বাধাগুলো অনেক বেশি আর বহুমুখি।

(একটু ব্যস্ত আছি, ক্লাস আছে। আমার কথাগুলো দয়া করে কেউ উপদেশ হিসাবে নিবেন না। আরো আলোচনা আশা করছি)


০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আশা করেন।

১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ৭:৪১

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: রিয়াজভাই, একটা পোষ্ট টাইপ করছি, মাঝখানে তোমার কমেন্টটা দেখে কিছু বলতে ইচ্ছে হল, সংক্ষেপে বলি, তুমি লিখেছ''রন্টিদা, তোমার বলা চমৎকার উন্নয়নগুলো এই মানুষগুলোকে কেবলই বৈষম্য উপহার দিয়ে যাচ্ছে; এজায়গাটাতেই আমাদের ভুল হচ্ছে বারবার।'''

দেখ, আমার উদাহরনের একটা জিনিস দেখাই। যেমন সিনহা গ্রুপ। তারা ডেনিম উৎপাদনে এতই এগিয়ে গেছে, যে আমরা এই ইউরোপে বসে দামী যে সব শপে ঢুকতেই ভয় পাই, সেখানে ভুলে ঢুকে পড়লে প্রায়ই দেখতে পাই জিন্সের ভেতরের দিকে লেখা মেড ইন বাংলাদেশ।

তাতে কার কি লাভ, তোমার ভাষায় সিনহারই লাভ কোটিপতি হয়েছে।
কিন্তু তুমি কি ভেবেছ ওই কটা ফ্যাক্টরি তে কতজন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে? আজকে গার্মেন্টস নিয়ে আন্দোলন হয় ৪০০০ টাকা নুন্যতম মজুরী চাই। মালিকপক্ষ দেন ১১৪০। ছয়মাসের অভিগ্গতা হলে ২১০০। কাদের দেন? এই যে দশলক্ষ শ্রমিক তারা দশবছর আগে কি করত?
উত্তরটা জানো? তাদের প্রায় সবাই মহিলা কিন্তু। এই প্রশ্নটা ছুড়ে দিলাম তোমার কাছে, ভাব।

আমি কঠিন পুজি বাদী। দেশে গিয়ে একটা গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি খুলব। আমার তিনশজন লোক লাগবে। তাতে কি পরিবর্তন হতে পারে বলে ভাব? আরেকটা প্রশ্ন।

আমাদের দেশে কোন বড় পুজিপতি তৈরি হয় নি। একজন মুকেশ আম্বানি বা রতন টাটা আমাদের থাকলে বিদেশের মনোপলি মার্কেটে আমাদের পড়তে হত না। এই যে দেশের উপর একটা ধাক্কা যাচ্ছে তাতে কি হবে জান? দেশে যে টুকু পুজি দেশের মানুষের হাতে ছিল তা চলে যাবে। দেশের পুজির যেটুকু বাজার আমাদের দেশীয় মানুষের হাতে ছিল তা হাতছাড়া হবে।

যাই হোক সে আরেক রকম আলোচনা। হয়ত এখানে খাটে না।
পরে একসময় বলব নে। তুমি ভাল থাকো।

১৬ ই জুন, ২০০৮ রাত ২:১৬

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: তোমার দেয়া উদাহরণগুলো সত্যিই প্রমাণ করছে যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, রন্টিদা। আমি কিন্তু এর বিরোধিতা করি না, শুধু একটা প্রশ্ন করে যাই নিজের বিবেকের কাছে- এই উন্নয়নগুলোর সুফল কি সমগ্র দেশবাসীর কাছে পৌঁছাতে পারছি আমরা? কয়জনের কাছে পৌঁছাতে পারছি? শত শত জনের কাছে? যদি পেরে থাকি, তাহলে আরো হাজার হাজার জনের কাছে কেনো পৌঁছাতে পারছি না?

সেদিন একটা ধনীর সাথে আলাপ হচ্ছিলো; ও আমাকে বলছিলো যে তার বাসায় ২০ জন লোক কাজ করে, এবং এটা দেশের জন্যে ভালো কারণ এতে করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আমি ওকে বললাম, যে লোকটা গ্রামে থেকে চাষবাস করে স্বনির্ভর স্বাবলম্বী হতে পারতো, সে যখন তা করতে না পেরে বাধ্য হয়ে জীবিকার সন্ধানে শহরে এসে আপনার বাসায় কামলা খাটছে, তখন বুঝতে হবে কোথাও কোনো গন্ডগোল আছে।

গারমেন্টস শ্রমিকদের পরিশ্রমের কিছুমাত্র মূল্যও কি দিতে পারছি আমরা? দেশের জন্যে বেশি অবদান রাখছে কে- একজন গারমেন্টস শ্রমিক নাকি বিদেশি মোবাইল কোম্পানিতে কর্মরত এক্সিকিউটিভ? শ্রমিকটিকে যদি দেয়া হয় মাসে ৪০০০ টাকারও কম, কী করে এক্সিকিউটিভটি পেয়ে যাচ্ছে ৪০০০০ টাকারও বেশি? এই বৈষম্য হাজারবার "আশা" করলেও দূর হবে না, আর রাজনীতির বাইরে থেকেও এর সমাধান করা যাবে না; রাজনীতিবিদদের "হোমো সেপিয়েন্স" থেকে "মানুষ"-এ রূপান্তর সেজন্যেই এতো জরুরী দরকার।

দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক যারা, তাদের একটা সিদ্ধান্তে দেশ একলাফে বহুদূর এগিয়ে যেতে পারে, আবার এক ধাক্কা খেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে যেতে পারে। আমরা বাইরে থেকে যতোই চ্যাঁচামেচি করি না কেনো, শেষ পর্যন্ত দেশটাকে (সামগ্রিক অর্থে) এগিয়ে নেয়ার ভার রাজনীতিবিদদের ওপরেই- মোটামুটি এটাই ছিলো আমার পোস্টের মূল বক্তব্য।

রন্টিদা তোমাকে ধন্যবাদ; একটু ব্যস্ত আছি, মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি হচ্ছে তাই।

১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ৮:৪০

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এক্সিকিউটিভ আর শ্রমিক দুই জিনিসে অনেক পার্থক্য। আবেগে না ভেসে একটু বোঝার চেষ্টা করতে হবে। যাহোক তোমার পোষ্টের মুল বক্তব্য এটা ছিল না। তাই আলোচনা কন্টিনিউ করে লাভ নেই।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ১০:৩৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: না না তোমারে কন্টিনিউ করতেই হইবো, কমেন্টের বন্যা বওয়ায়া দিমু! :)

১৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ৯:২৪

আসিফ আহমেদ বলেছেন: সত্যিকার উন্নয়ন করতে গেলে আগে সবার মৌলিক অধিকারগুলো অন্তত নিশ্চিত করতে হবে।

----------------------------------------

রিয়াজ ভাই, আমি মনে হয় আপনার চাওয়াটা কিছুটা বুঝতে পারছি।

যদি আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, বেতন বৈষম্য কম এবং পর্যাপ্ত কর্মসংস্হান, সকলের সীমার ভিতর বাজার দর এগুলো নিশ্চিত করি, তবে হানাহানি কমবে। উন্নতি হবে স্বাভাবিক গতিতে।

এমনটাই কি?

কোরিয়াতে সর্বনিন্ম ১০০০ ডলার থেকে ১৫০০০ ডলার বেতন ও আছে।
আবার আছে ধনী ব্যবসায়ীও। কিন্তু সব নাগরিক সুযোগ বাসায়, অফিসে কিংবা সমাজে কিন্তু একজনের ৬০০ ডলারেই হয়ে যায়। বাড়তি সুবিধার জন্য বাড়তি কিছুর চিন্তাকরে এরা।



০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ১০:৩২

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ভাই আমি এই বিশাল পোস্টে প্যাঁচায়া-ট্যাঁচায়া যেই কথাগুলি কওয়ার চেষ্টা লইছিলাম আপনে তো দেখি মাত্র কয়েক লাইনেই তা বাইর কইরা আনলেন! কেমনে কী?

১৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ১০:০৭

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আসিফ ভাইয়ের কমেন্টটা খুব সত্যি।
আমাদের দেশকে আস্তে আস্তে ওই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। যাতে তাদের জীবনধারনের জন্য নুন্যতম সংস্থানটুকু হয়ে যায়। সেজন্যে দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে হবে। সেখানে রাজনীতির বড় ভুমিকা। দেশে তো এখন তা নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অর্থনীতি অনেক বেশামাল হয়ে পড়েছে। মানুষ ওই অবস্থায় পৌছানো থেমে গেছে প্রায়। তবে এই অবস্থা সাময়িক। পাল্টে যাবে।

অর্থনীতির বিকাশ হলেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, আয়ও বাড়বে। উদ্যোক্তা বড় হলে আর সংখ্যায় বাড়লে তা এর জন্যে সহায়ক হবে।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ১০:৪১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: রন্টিদা, শুধু এটা মনে রেখো আজ ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ১০:০৭ মিনিটে এই কথাগুলো বললে তুমি!

আসলে কি জানো, ক্ষুদ্রদের অধীনে বাস করতে করতে আমরাও ক্ষুদ্র হয়ে গেছি।

তুমি ভালো থেকো (তাহলেই চলবে হা হা হা!)।

১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ১০:৪০

আসিফ আহমেদ বলেছেন: তাই নাকি? একটু লজ্জা পাইলাম। :)

আসলে নিজে লিখলে অনেক সময় সরল করা যায়না।

পাঠক সেটা পারে, এটাই ব্লগের প্লাস পয়েন্ট।

আপনি তো তাও লিখেছেন, আমি তো লিখতেও পারিনি।

তবে আপনার পয়েন্ট ধরতে পেরেছি এটাই শুকরিয়া।

কারন আমার নিজের মনে হয়, দেশে কয়জন বিশাল ধনী আছে, সেটা জানা আমার দরকার না। সে হয়ত ১ লাখ টাকা দামের ওয়াশিং মেশিন ইউজ করবে, আমি হয়তো করবো ২০ হাজারের টা। কিন্তু করতে যেন পারি। আমিও যেন সহজেই সুবিধাটা ছুঁতে পারি।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সকাল ১০:৪৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: তথাস্তু!

২০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:০৬

(অ)গাণিতিক বলেছেন: তারপরও আমি আশাবাদী!!
একটা দেশের ইতিহাস হিসেবে ৩৭ খুবই কম সময়। হয়তো আমাদের জীবনে আশাপুরন হবেনা। অবে আরো অনেক আশাবাদী মানুষ তৈরিকরতে চাই। আশাবাদী করতে চাই শিশুদের! তারাতো শুদ্ধতম অবস্থায় জন্ম নেয়। শুধু খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের মনজগৎকে কেউ যেন পঙ্কিল করে না দেয়।

আমরা হয়তো ধ্বংস করতে পারবো না ঋনাত্বক শক্তিকে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করলেই তাদের নপুংশক করে ফেলতে পারবো। যাতে তারা আর বিষিয়ে দিতে না পারে আর কোন শিশুর মন। নিস্পাপ কোন শিশু যেন জঙ্গি দের খাতায় নাম না লেখায়, নাম না লেখায় অইসব লোকের সাগরেদের দলে!!

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: এই কথা? তাইলে তোমারেও রন্টিদার কমেন্টের জবাবটা দিলাম।

মনে রাইখো আমি কিন্তুক হতাশাবাদী না। যেই জাগাটায় আমরা বারেবারে ভুল করতাছি তা হইলো- এই যে তুমি এত্তোডি পরিকল্পনা করলা, আমগো রাজনৈতিক চরিত্র ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এইগুলার বাস্তবায়ন আমরা কস্মিনকালেও করতারুম্না।

এহন কও রাজনীতি করবানি।

২১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৪

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: রিয়াজের কথা যদি হয় রাজনীতিতে ঢোকা, তাহলে বলব ঢোকা উচিত। সবার ঢোকা উচিত।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:২৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: তোমারে একটা কাহিনী কই- একদিন রাইতের বেলা তিনটা দেশপ্রেমিক লোক হাঁইটা যাইতাছিলো। এরা সবাই দেশের বর্তমান অবস্থা লয়া বেশ আশাবাদী, দেশ আগায়া যাইতাছে তরতরায়া। হাঁটতে হাঁটতে তারা দেশের উন্নতির লাইগা কী কাজ করা উচিত সেইটা একটা একটা কইরা বাইর কইরা হেভী আলুছানা করলো, একজন একটা প্ল্যান বাইর করে আর বাকি দুইজন তোফা তোফা কয়া স্বাগত জানায়, দেশের উন্নতি আর ঠেকায় কিডা!

তারপরে যে যার বাসায় চইলা গেলো ঘুমাইতে।

২২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫

আসিফ আহমেদ বলেছেন: আমি রাজনীতি বুঝিনা, পারিনা, ভয় পাই, আমি শুধু আমার কাজ করতে চাই। অতো জটিল কাজ আমাকে দিয়ে হইবোনা।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:২৯

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আহা রে!

২৩| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৬

মনিটর বলেছেন: খুব ভাল লেখা।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আপনের মনিটর পাল্টান, এইটা আবজাব লেখা, আপনে ঠিকমতো দেখতারেন্নাই।

২৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৪২

মিসকল বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: তাই?!

২৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: রাজনীতি থেকে খারাপ লোকদের বের করা দরকার আগে। দুর্নীতি ঠেকানোর জন্য দুদক তৈরি করবেন,অথচ দুদকের মামলাকে মিথ্যা মামলা বলবেন, তাহলে তো দুর্নীতি দূর হবে না।
রাজনীতি থেকে শুধু দু নেত্রী নয়, সকল দুর্নীতিবাজকে মাইনাস করতে হবে। তাহলে ভালো লোক, সৎ লোক রাজনীতি করতে আসবে।
আরেকটা কথা, রাজনীতি কোন ব্যবসা বা চাকুরি নয়, রাজনীতি মানে জনগণের সেবা করা। এ কথা মনে রেখেই রাজনীতিতে আসতে হবে। রাজনীতি করে আয় করার চিন্তা বাদ দিতে হবে - দুর্নীতি তো দূরের কথা।
তাই রাজনীতিতে তাদেরই আসা উচিত যারা শুধু সৎ নয়, সচ্ছলও। যাদের রাজনীতি করে ফায়দা না লুটলেও পেট চলবে।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: সঠিক কথা।


কিন্তু এরা কারা? এরা কোথায় আছে?

২৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:২৫

মদন বলেছেন: অসাধারন পোস্ট

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: !

২৭| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:৫২

স্বাপ্নিক বলেছেন: আমাদের নিজেদের মূল্যবোধ বাড়ানো জরুরি। অনেক দুর্নীতি, অপকর্ম আমাদের এত গা সওয়া হয়ে গেছে যে সেগুলোকে আর অপরাধ মনে করা হয়না। আমি দেখেছি, অনেকেই পরীক্ষায় নকল খুব স্বাভাবিক মনে করে। অভিভাবকরাও পরীক্ষার সময় সাহায্য করার পথ খোজেন। অনেক জায়গায় তো এটাকে অধিকারই মনে করা হয়। এমনকি অনেক শহরের অভিভাবককেও দেখেছি যারা নিজেদের ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে খুব সচেতন, কিন্তু গ্রামে থাকা একটু দুরের আত্মীয়ের পরীক্ষার কথা শুনলে খোজ নেন নকলের ব্যবস্থা হয়েছে কিনা। একই ব্যপার অন্যান্য দুর্নীতির ক্ষেত্রেও। পুলিশের সবচেয়ে সৎ অফিসারের কাছেও ভাগের টাকা আসে, সেটা নাকি স্বাভাবিক। ট্যাক্স অফিসে টাকা ছাড়া কাজ হবে না, সবাই যেন মেনে নিয়েছে, কি দরকার ঘোরার? বড় বড় দুর্নীতি গুলো এখান থেকেই আসে। মূল্যবোধ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো দরকার।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ক্ষুদ্রদের অধীনে বাস করতে করতে আমরা ক্ষুদ্র হয়ে গেছি।

২৮| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আলোচনা বেশ আকর্ষনীয় দিকে গেছে। ভীষণ ব্যস্ত যদিও তবুও এই প্রাণবন্ততার উদযাপণকে জানান না দিয়ে পারলাম না।

যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হল.. সামষ্টিক কাউন্টার এ্যাক্টিভিজমের জায়গা। এবং সেটা সমন্বিত ভাবেই। তবে তার আগে রোমান্টিক ভাবালুতাকে অতিক্রম করা জরুরী।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আরে শরৎদা এসেছে দেখি আমার ব্লগে!

আপনার মন্তব্য যথারীতি ভাবনার খোরাক যোগাচ্ছে, তবে রোমান্টিক ভাবালুতা বলতে ঠিক কী বোঝালেন তা বুঝতে পারিনি দাদা, দুঃখিত।

২৯| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: রাজনীতির ভেতরে যদি না ঢোকে যৌক্তিক, বৌদ্ধিক, শুদ্ধ আর সঠিক মানুষ, কোনোভাবেই দাঁড় করানো যাবে না দেশটাকে, উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেই ফেলে দেয়া হবে ল্যাং মেরে; ল্যাং মেরে ফেলে দেয়ার লোক এই দেশে প্রচুর। ঘরে বসে “আমি আশাবাদী আমি আশাবাদী” তসবিহ জপে গেলে কচু হাতি ঘন্টা হবে দেশের। চোখে রঙ্গিন চশমা লাগিয়ে বসে আছি, দেখতে পাবো কিভাবে চারদিকে নেমে এসেছে মধ্যযুগের চেয়েও গাঢ় অন্ধকার? ভাবছি কেবল “এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে”, করছি না কিছুই, আশা করে আছি অন্য কেউ শুরু করবে বলে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু উন্নতি দেখে নিজেদের ধন্য ধন্য করছি, ভাবছিও না যে একটা দেশের সামগ্রিক উন্নতি ৩৭ বছরেও না হলে আর কবে হবে।

এ জায়গাটাতেই ভুল হচ্ছে আমাদের, বারবার।

আপনি একভাবে নিজেই বলে দিচ্ছেন আসলে। একটা মহান কিছু ছিল সেইটারে ফিরাইতে হবে। আমরা অনেক আশাবাদী এবং কার্যত সুবিধা বাদী এইসব গল্প আর কি। জাতীয়তাবাদী বয়ানে যেসব জিনিস আড়াল হয় সেইসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে মনে করিয়ে দেয়ার অর্থই হল রোমান্টিক ভাবালুতা থেকে বেরিয়ে আসা। যৌক্তিকতা, সততা, জবাবদিহিতা খুবই দূর্লভ এইকালে। এগুলারে প্রতিষ্ঠিত রাখতে হইলে ক্রিটিকাল হওয়া দরকার।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ৮:০৩

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: বাপরে বুঝছি!

৩০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ৮:২০

প্রীটি সোনিয়া বলেছেন: :|.... ++++++

০৫ ই জুন, ২০০৮ রাত ১:০৩

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: :|

৩১| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ৮:৫০

অদ্ভুত আঁধার এক বলেছেন: আমরা আগেভাগে বলি
কিন্তু করার সময় করিনা
আমিও আপনিও.........
আমাদের বোধহয় একবার চেষ্টা করা উচিত---- আগে বলি তারপর করি
রাজনীতি হোক আর যেখানেই হোক...
(আসলে দেখা যাবে এই এখন বললাম কিন্তু কাজের বেলায় ঠিকই একই)

লেখাটার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে...

০৫ ই জুন, ২০০৮ রাত ১:০০

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: অদ্ভুত আঁধার এক.........

৩২| ০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ১০:৪৫

স্বাপ্নিক বলেছেন: "ক্ষুদ্রদের অধীনে বাস করতে করতে আমরা ক্ষুদ্র হয়ে গেছি"

কিংবা, ক্ষুদ্রদের ভিতর থেকে যারা এসেছে, তারা আর ভেতরের ক্ষুদ্রতা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি।

একবারে হঠাৎ করে সব ঠিক হয়ে যাবে এটা আশা করা বোকামি। তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যা করা সম্ভব সেটা করতে শুরু করার সময় এসেছে। সত্যি বলতে সেটা অল্প পরিসরে হলেও শুরু হয়ে গেছে। আমাদের প্রজন্মের একটা বড় দায়িত্ব হল পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে সঠিক মূল্যবোধ আর নৈতিকতার বীজ বুনে দেয়া। মিরাকলের স্বপ্ন দেখা যায়, তবে সবাই নিজের দায়িত্বগুলো সৎ আর সঠিকভাবে পালন করলে সাফল্য নিশ্চিত, ধীরে হলেও।

০৪ ঠা জুন, ২০০৮ রাত ১১:৫০

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আবারো একই কথা বলতে হচ্ছে বলে দুঃখিত স্বাপ্নিক ভাই- গত ৩৭ বছরে আপনার এই কথাগুলো ৩৭ কোটি বার বলা হয়েছে। সমস্যা হলো- শুধু বলাই হয়েছে, করা হয়নি কিছুই।

যার যার দায়িত্বও কি ঠিকমতো পালন করতে পারছি আমরা? খুব বড় কোনো উদাহরণ দেবোনা- আমরা বাসাবাড়ি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় আর অফিসে যেই পরিমাণ বিদ্যুত-গ্যাস-পানি অপচয় করি, শুধু এইটুক বন্ধ করা গেলেও যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে দেশের ভাগ্যে, উন্নয়ন হবে তরতর করে।

৩৩| ০৬ ই জুন, ২০০৮ রাত ২:৩৩

নাতিস বলেছেন: সবার এত কথা দেখে ডরাইছি......সামনে এসে আবার দেখে যাব কথা আরো কতদূর গেছে!!

০৬ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৯:৩০

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আরে শফিক ভাই আপনি এতোদিন পর এলেন আমার ব্লগে! তা পোস্টটা পড়ে কী মনে হলো আপনার? ইয়েট অ্যানাদার গারবেজ প্রোডাকশন?!

৩৪| ০৬ ই জুন, ২০০৮ ভোর ৫:২৫

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রিয়াজ মন্তব্যসহ এই পোষ্টটি এক কথায় চমৎকার; সপ্তাহের সেরা পোষ্ট

'উন্নয়নের নামে আমরা যা করছি তা হলো, দেশটার ক্ষতের ওপর একটা রঙিন প্রলেপ দেয়ার চেষ্টা করছি যাতে ক্ষত ঢাকা পড়ে থাকে; ক্ষত সারানোর কোনো চেষ্টা আমাদের নেই, এমনকি ৩৭ বছরে ক্ষত কতোটা গভীর হয়েছে সেসম্পর্কে সঠিক ধারনাও নেই'- আপনার এই মন্তব্যটি প্রবাদতুল্য।

০৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: এরকম অপ্রত্যাশিত মন্তব্যে লজ্জিত আমি। ধন্যবাদ আপনাকে রিপন ভাই, অনেক।

৩৫| ০৬ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৯:৩৭

হ্যারি সেলডন বলেছেন: পোস্ট আর কমেন্ট তো জব্বর হয়েছে। ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ধন্যবাদ নারুদা।

৩৬| ০৭ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৭:২৬

বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: পড়সি তো সাথে সাথেই , বল্লাম না !! "ভুলের কিছু নাই" :)

০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: তাই?

৩৭| ০৭ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১১:০৯

এস্কিমো বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

সবাই যদি এভাবে ভাবতো!

০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:২৬

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ভাবে তো; করে না।

৩৮| ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৩

পুষ্প বলেছেন: পড়লাম।
দারুন লিখেছেন।

আমরা সবাই আসলে দেশকে নিয়ে ভাবি কিন্তু দেশের জন্যে কজন কাজ করি তার সংখ্যা নিতান্তই কম।
সেদিন ভার্সিটিতে দেখলাম দূর্নীতির বিরুদ্ধে স্বাক্ষর অভিযান চলছে;একটি ছেলে যখন স্বাক্ষর করতে নিল অমনি ছেলেটির বন্ধু বলল,"দোস্ত সাইন করিস না ,বলা যায় না জীবনে দূর্নীতি করা লাগতে পারে"
এরকম আশা যে দেশের মানুষ করে তাদের নিয়ে আশা করতে মনে দ্বিধা জাগতেই পারে।

০৯ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৩০

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: সাইন করা না করা বড় কথা নয়, সাইন না করেও কেউ সৎ থাকতে পারে আবার সাইন করেও দুর্নীতি করতে পারে; আপনি কোন ধরনের মানসিকতা লালন করছেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা আসলে একটি দুষ্ট চক্রের স্বীকার, চক্রটি ভাঙ্গার সাহস আমাদের নেই বলেই মনে হয়। এই চক্রটি নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে।

ধৈর্য ধরে এতো বড় একটি পোস্ট পড়ার এবং তারপর অত্যন্ত দীর্ঘ আলোচনাতে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ পুষ্প, অনেক।

৩৯| ০৭ ই জুন, ২০০৮ রাত ৯:৫৫

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: আপনার সাথে পুরাই একমত।

০৭ ই জুন, ২০০৮ রাত ১১:২০

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আরো কোটি লোক আমার সাথে পুরাই একমত। তো?

৪০| ০৭ ই জুন, ২০০৮ রাত ১০:১৪

মুকুল বলেছেন: দারুণ লিখেছেন!

*****

০৮ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৯:৪১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: *****!

৪১| ০৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:০৪

রেটিং বলেছেন: রিয়াজ ভাই, খহুব ভাল হয়েছে লেখাটা, আমরা বারে বারে এখই ভুল করি। এইবার দেশে যাবার পর প্রতঃম ২ সপ্তাহ আমি কোন প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলি নাই। কিন্তু পরে দেখি আমার পকেট প্যাকেটেই ভরে যাচ্ছে, কোথাও ফেলতে পারছি না। তারপর আবার যেরকম ছিলাম সেরকম হয়ে গেলাম। আসলেই আমরা বারে বারে ভুল করছি।

০৯ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: এ ব্যাপারটা নিয়ে আমার বন্ধুর একটা ঘটনা আছে- তখন ও বুয়েটে পড়ে, একদিন কয়েকজন মিলে সিঙ্গাপুরফেরত সিনিয়র এক আপুর সাথে ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আপু সবার জন্যে চকলেট নিয়ে এসেছেন; সবাইকে চকলেট দেয়া হলো। অভ্যাসমতো সবাই চকলেটের প্যাকেট মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দিলো। সেই সিনিয়র আপু তখন ফেলে দেয়া প্যাকেটগুলো একটা একটা করে সঙ্গে করে আনা ব্যাগে ভরতে থাকলেন, ব্যাগটা তিনি গারবেজ রাখার জন্যে ব্যবহার করেন।

বলাই বাহুল্য ব্যাপারটা তিনি সিঙ্গাপুর থেকে শিখে এসেছেন, এধরনের অত্যন্ত সহজ কয়েকটা নিয়ম দেশটাকে পরিচ্ছন্ন রেখেছে।

৪২| ০৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫

আসিফ আহমেদ বলেছেন: আমি একটা কথা দিতে পারি, দেশে যেয়ে আমার পরিসরে যারা আছেন ছোট বা বড়ো, তাদেরকে আমার দেখা কিছু নমুনা এবং তার সুফল গুলোর ব্যাপারে বারবার তাগিদ দিতে পারি, এবং যতোটা সম্ভব নিজেও পালন করতে পারি। অনেক বড় অংশ না হোক কয়েকটা মানুষও যদি অভ্যাস পাল্টায় সেটাই আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।

আর কোন সাজেশন?

০৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আমি মোটামুটি আপনাকে বলে দিতে পারি আপনি ব্যর্থ হবেন, তবে চেষ্টা করতে থাকুন, চেষ্টা করতে তো দোষ নেই আমাদের।

৪৩| ০৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৮

রাগিব বলেছেন: ভালো পোস্ট। আত্মশুদ্ধি খুব বেশি দরকার আমাদের।

০৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০০

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ধৈর্য ধরে এতো বড় একটি পোস্ট পড়ার এবং তারপর অত্যন্ত দীর্ঘ আলোচনাতে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ রাগিব ভাই, অনেক।

৪৪| ০৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ১০:৪৮

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রিয়াজ, আমি একটি গল্প লিখেছি, পড়বেন আশাকরি।

০৯ ই জুন, ২০০৮ রাত ১২:৪৬

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করলাম; ধন্যবাদ।

৪৫| ০৯ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:২৬

আসিফ আহমেদ বলেছেন: আর কোন সাজেশন?

সাজেশন চেয়েছিলাম তো...

০৯ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আসিফ ভাই আপনি ছোটখাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার দিয়ে শুরু করতে পারেন, যেমন- আমাদের যে গ্যাস-পানি-বিদ্যুত আছে তার যথাযথ ব্যবহার। তবে সাবধান, আপনাকে কিন্তু একদম শূন্য (ক্ষেত্রবিশেষে মাইনাস) থেকে শুরু করতে হবে; মাঝেমাঝেই ত্যক্তবিরক্ত হয়ে যাবেন; এই জায়গাটায় এসেই বেশিরভাগ সময় হাল ছেড়ে দেয় মানুষ, যারা আপনার মতো সত্যিকার অর্থেই কিছু করতে চায়। দেখেন কতোটুকু পারেন। শুভকামনা রইলো।

আর দেশে আসছেন কবে আপনি? এলে জানাতে ভুলবেননা, ব্লগে বা মেইলে- [email protected]

৪৬| ০৯ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:২১

আসিফ আহমেদ বলেছেন: আমি দেশে যাবো ফেব্রুয়ারীতে, যোগাযোগ করবো।

০৯ ই জুন, ২০০৮ রাত ৯:৩১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আচ্ছা।

৪৭| ০৯ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৫

অনিকেত বলেছেন: আসলে ব্যাক্তিগত পর্যায়ে সততা ও সচেতনতার অভ্যাস করাটা দরকার ।

এজন্য ব্যাক্তিগত শিক্ষা এবং অন্যের ও নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে ।

০৯ ই জুন, ২০০৮ রাত ৯:৩৩

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ঠিকই বলছেন ভাই, জানতে হবে।

কিন্ত, যারা জানে, তারা কি মানে? এক্সিকিউশনটা বড় বেশি দরকার।

৪৮| ০৯ ই জুন, ২০০৮ রাত ৮:৩২

যূঁথী বলেছেন: আমি খুব অল্পসময় হল এখানে তাই কোন কিছু বলতে কেমন যেন দ্বিধাবোধ হয়। কেমন যেন মনে হয় অনধিকার চর্চা করছি। তারপরও একটা কথা না বলে পারছি না। খুব বড় কিছু করব এই ভেবে ছোট ছোট ব্যাপারগুলো কেন আমরা না দেখার ভান করি সেটা আমি বুঝি না। একজন মানুষও যদি আপনার কথা শুনে রাস্তায় যত্রতত্র চিপসের প্যাকেট না ফেলে সেটাকে কেন প্রাপ্তি ভাবতে পারি না আমরা বলুন তো? সবকিছুকে কেন এত্ত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হয় আমাদের বলুন তো? আমার নিজের তেমন কিছু বলার নেই তবে আপনার ভাষায় বলতে গেলে বলব , "আশ্চর্য! কেউ চারা লাগাতে চায় না, অথচ বটবৃক্ষছায়ার জন্যে কী অশ্লীল অপেক্ষা!" ভাইয়া বড় কিছুর অপেক্ষা না করে চারাগাছটা লাগিয়ে ফেলুন। আমি জানি - বড় বেশি নির্লজ্জ জাতি আমরা। চারাগাছটাকে হয়ত মাড়িয়ে যাবে কেউ, কেউ বা কচি পাতা ছিঁড়ে নেবে। কিন্তু একজনও যদি বলে, "আহা!" এবং চারাগাছটাকে এড়িয়ে পথ চলে তাও কম কি?

০৯ ই জুন, ২০০৮ রাত ৯:৩৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: চারাগাছ লাগানোর চেষ্টা করেছিলাম তো যূঁথী- Click This Link

আচ্ছা তুমি কি চারাগাছ লাগিয়েছো?

৪৯| ০৯ ই জুন, ২০০৮ রাত ৯:৪৩

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: রিয়াজভাই তোমার পোষ্টে বড়রকম একটা লেকচার দিব। আপাতত ভাত খেয়ে দেশে কথা বলে আসছি। :)

০৯ ই জুন, ২০০৮ রাত ৯:৪৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ডরাইছি। তোমার লগে তো আমি পারুম্না ভাই।

৫০| ১০ ই জুন, ২০০৮ রাত ১২:২৪

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: রিয়াজ, তোমার এই পোষ্ট থেকে কিছু কথা নিতে চাই,
তুমি লোকের যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা নিয়ে কথা বলেছ, তোমার ক্ষোভের কথা। কিন্তু আমরা কেন ফেলি? কেন আমরা এর প্রতিকারে কিছু করি না?
জনৈক ব্লগার যুথী বলেছেন, 'আমার নিজের তেমন কিছু বলার নেই তবে আপনার ভাষায় বলতে গেলে বলব , "আশ্চর্য! কেউ চারা লাগাতে চায় না, অথচ বটবৃক্ষছায়ার জন্যে কী অশ্লীল অপেক্ষা!" ভাইয়া বড় কিছুর অপেক্ষা না করে চারাগাছটা লাগিয়ে ফেলুন।'

আসলেই তো চারাটা আমরা লাগাইনা কেন? যুথীর কথার সাথে একটু দ্বিমত আমার আছে কেননা, তুমি কিন্তু চারা লাগিয়েছো এই পোষ্টটা করে। এর জন্যই আমাদের এত কথা বলার সুযোগ হচ্ছে।

জনৈক এক ব্লগার এর একটা পোষ্টে মনে হয় আমরা একটা আলোচনা শুরু করেছিলাম, কেন আমাদের আলোকিত মানুষ দরকার। রিয়াজ ভাই আমাদের এইটাইপ মানুষ দরকার যারা তাদের বিবেক বন্ধক রাখে নি। তুমি সে টাইপ মানুষের দলেই পড়। সাধারন মানুষ তো তোমার মত চিন্তিও করে না। তুমি কর। কিন্তু ভাই আমরা কেন আরেকটু এগিয়ে যাইনা।

ধর তুমি তো ছোট্ট কিছু কাজও করতে পার। তোমার বাসায় তুমি ওই কাজগুলো করতে পার। লাইট অকারনে জালিয়ে না রাখা, গ্যাস জালিয়ে না রাখা। তোমার এলাকায় তুমি আবর্জনা ব্যবস্থাপনা কাজ করতে পার। মানুষকে বোঝাতে পার, যে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না। কমিশনার এর সাথে বা সিটি কর্পোরেশন এর সাথে কথা বলে তোমার এলাকায় তুমি আবর্জনা সংগ্রহের একটা কাজ করা স্টার্ট করতে পার। তাতে অন্তত একটা এলাকার রাস্তায় যেখানে সেখানে ময়লা পড়ে থাকতে দেখা যাবে না, ড্রেন উপচে ময়লা ভাসবে না, গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিতে হবে না, মশার যন্ত্রনায় কাহিল হতে হবে না।
এটা করাই যায়, এখন যদি আমরা এটা কতৃপক্ষের উপরে ছেড়ে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকি তাহলে আমাদের কথা বলার অধিকার নেই।
সাধারন মানুষের ছোট ছোট কন্ট্রিবিউশনেই দেশ এগিয়ে যাবে। বটবৃক্ষের জন্য অপেক্ষা করার অধিকার পেতে হলে এমন চারাগাছ লাগানোর অন্তত চেষ্টাটুকু করা উচিত।

১০ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৯:৫৫

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: উচিত; তবে আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে, সময় পেলে শেয়ার করবো। একটু ব্যস্ত আছি রন্টিদা।

৫১| ১০ ই জুন, ২০০৮ রাত ১২:৪৮

যূঁথী বলেছেন: না শাহেদ ভাই আমি চারা লাগাইনি। আপনার সাথে আমার দ্বিমত আছে এই ব্যাপারে। মানুষের চারা লাগানো আমাকে আশ্চার্যান্বিত করে না। কিন্তু চারা লাগানোর পর তার প্রতি অবহেলা আমাকে পীড়া দেয়। তাই আমি চারা লাগানোর চেয়ে তা যত্ন নিতে বেশি আগ্রহী। আমি খুব সাধারণ মানুষ। আমার স্বপ্নও সাধারণ। তবে কোনদিন যদি চারা লাগাই তাহলে অন্যের জন্যে অপেক্ষা করব না। এটুকু বলে দিতে পারি।

১০ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১০:৫৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: তুমি বললে "আমি চারা লাগানোর চেয়ে তা যত্ন নিতে বেশি আগ্রহী"; তুমি চারা না লাগিয়েই তার যত্ন কিভাবে নেবে? নাকি তুমি বলতে চাচ্ছো, অন্যের লাগানো চারার যত্ন নিতে তুমি আগ্রহী? সেক্ষত্রে একটা প্রশ্ন থেকে যায়- অন্যেও যে তোমার মতো ভাবছেনা তার নিশ্চয়তা কী?

ভুলটা তো এখানেই করি আমরা, বারবার- কেউ চারা লাগাতে চায় না, অথচ বটবৃক্ষছায়ার জন্যে কী অশ্লীল অপেক্ষা!

৫২| ১০ ই জুন, ২০০৮ রাত ২:১২

স্বাক্ষর শতাব্দ বলেছেন: [ সাবধান! এটি একটি আপাদমস্তক বিলাসিতা ও ভন্ডামিপূর্ণ পোস্ট ]
:)

১০ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১০:৫৯

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: :)

৫৩| ১০ ই জুন, ২০০৮ রাত ২:১৩

স্বাক্ষর শতাব্দ বলেছেন: রাজনীতি করা উচিত, অন্তত দর্শন চর্চা, না পারলে আর কি?

১০ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১১:০১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: :)

৫৪| ১০ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১১:০৩

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: রিয়াজের পোষ্টে কমেন্টের বন্যা......:)

১০ ই জুন, ২০০৮ রাত ৮:২১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: /:)

৫৫| ১১ ই জুন, ২০০৮ রাত ১১:৫৫

রাশেদ বলেছেন: হুমম...

১২ ই জুন, ২০০৮ রাত ১:৪৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: পোস্টটা কি পড়েছেন আপনি রাশুদা? আপনাদের মতো সেলিব্রিটি ব্লগারদের কাছ থেকে আমার মতো একজন চুনোপুঁটি আরো বেশি রেসপন্স আশা করে। মাইন্ড করবেননা প্লিজ, 'দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে'।

৫৬| ১২ ই জুন, ২০০৮ রাত ২:২৬

যূঁথী বলেছেন: বারবার ভুলই তো দেখি করে যাচ্ছি। তবে একটা প্রশ্ন - রাস্তায় কলার খোসা বা চিপসের প্যাকেট না ফেলা টা কি চারাগাছ লাগানো নাকি চারাগাছের যত্ন? আপনার উত্তর আমার উত্তরের সহায়ক হবে মনে হয়।

১২ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১১:৩৫

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যূঁথী- তুমি যদি নিজে থেকে এ অভ্যাসগুলো শুরু করো তাহলে কিন্তু চারাগাছ তুমি একটা লাগিয়ে ফেললে, আর তোমাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে কেউ যদি অভ্যাসগুলো পালন করা শুরু করে তাহলে সে কিন্তু তোমার লাগানো চারাগাছটার যত্ন নেয়া শুরু করলো।

তবে পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, কষ্ট করে কেউ চারাগাছ লাগালেও তার যত্ন নেয়ার মতো মানুষের বড় অভাব; তোমার ভাষায়- "চারাগাছটাকে হয়ত মাড়িয়ে যাবে কেউ, কেউ বা কচি পাতা ছিঁড়ে নেবে"।

৫৭| ১২ ই জুন, ২০০৮ রাত ২:৪৪

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: এখানে কিছু বললাম না, কেননা আমি শতভাগ শুদ্ধ নই।

১২ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: কেই বা?

শতভাগ শুদ্ধ মানুষ আসলে দরকারও নেই, দরকার শুধু "মানুষ"।

৫৮| ১২ ই জুন, ২০০৮ রাত ২:৫৬

একরামুল হক শামীম বলেছেন: পোস্ট এবং তার পরবর্তী কমেন্ট নির্ভর আলোচনা দারুন হয়েছে। চিন্তাভাবনার অনেক প্রান্তর উন্মোচিত হলো।

১২ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:০৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: হা হা হা!

৫৯| ১২ ই জুন, ২০০৮ রাত ১০:৫৬

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: নতুন পোষ্ট না আসলে তোমার ব্লগে হরতাম ডাকব।

১৩ ই জুন, ২০০৮ রাত ১২:২৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ?

৬০| ১২ ই জুন, ২০০৮ রাত ১০:৫৭

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: হরতাম আসলে হরতাল হবে।

১৩ ই জুন, ২০০৮ রাত ১২:২৯

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: না না হরতামই হবে, এইটা রন্টিদার আবিষ্কার, ক্লুটন গ্রহ থেইকা শিখা আসছে!

৬১| ১৩ ই জুন, ২০০৮ রাত ৯:৩২

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: ক্লুটন না এইবার গ্লিস ৫৮১ সি থেকে নানা কান্ডকারখানা হইবেক:)
পোষ্ট না ছাড়া হইলে।

১৪ ই জুন, ২০০৮ রাত ১২:২৬

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইনা আমি, যখন ইচ্ছে হয় লিখি; আর একটা লেখা লিখে শেষ করতে অস্বাভাবিকরকম বেশি সময় লাগে আমার, কারণ একেকটা বাক্যকে সম্ভাব্য সবরকম ডাইমেনশন থেকে আমি চিন্তা করতে চাই। সুতরাং, দেখা যাক আগামী পোস্ট কবে আসে!

তবে গ্লিস ৫৮১ সি-র কান্ডকারখানা দেখার ইচ্ছা জাগছে রন্টিদা, দেখাও দেখি! :)

৬২| ১৪ ই জুন, ২০০৮ রাত ১:৩৪

নাতিস বলেছেন: ঐ নতুন লেখা কই?
আমার লেখালেখিও আপাদমস্তক ভন্ডামি আর বিলাসিতাতে ভরা।

১৪ ই জুন, ২০০৮ রাত ১:৪৪

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আগের কমেন্টের উত্তর দেখ।

আমি আমার লেখাগুলোকে কী বলবো ঠিক ভেবে পাচ্ছিনা- আবর্জনাময় বিলাসিতা, নাকি বিলাসিতাময় আবর্জনা, বলতো?

ধুর ধুর ঘুমাই......

৬৩| ১৫ ই জুন, ২০০৮ রাত ১২:৪৩

সবাক বলেছেন: .....................................নোটিশ............................................

ব্লগ আদালত এগিয়ে যাচ্ছে আপনাদের সাথে নিয়ে এবং তা একটি বিশেষ কৌশলে
ব্লগ আদালতের সর্বশেষ প্রয়াস"রাজাকার" - একটি খাঁটি বাংলা শব্দ
আল্লাহর নাফরমানি এবং কুকুরের লেজ নাড়ানি

পরবর্তী আপডেটও একই ভাবে জানিয়ে দেয়া হবে।

ধন্যবাদ।

১৫ ই জুন, ২০০৮ রাত ১২:৫৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: দুইটা পোস্টই পড়েছি সবাকদা; আপনার কৌশলটা বোধহয় কিছুটা হলেও ধরতে পারছি!

৬৪| ১৫ ই জুন, ২০০৮ রাত ১০:০৮

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রিয় রিয়াজ শাহেদ, এই পোস্টে এর আগেও একটা দীর্ঘ মন্তব্য করেছিলাম আমি। এখন দেখতে পাচ্ছি-- নেই! এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করছি না। এরকম নাকি হয়! বরং আবার একটা মন্তব্য করা যাক। হুবহু ওই কথাগুলো আর বলা সম্ভব হবে না, তবু...

আপনি শুরু করেছেন সুমন্ত আসলামের প্রসঙ্গ দিয়ে। আপনার 'সততা'য় মুগ্ধ হয়ে তিনি বললেন- 'আপনার মতো সৎ মানুষই তো দেশটার দরকার + আমি অভিভূত + এ ব্যাপারটা নিয়ে একটা বাউন্ডুলে লিখে ফেলতে হবে- আমাদের দেশে এখনো এরকম মানুষ আছে, কাজেই হতাশ হওয়ার কিছু নেই + আমরা এরকম দশটা সৎ ছেলে চাই'!!!

এরকম দশটা সৎ ছেলে দিয়ে তিনি কি করবেন? দেশটাকে বদলে দেবেন? 'এখনো এরকম মানুষ' আছে বলে তিনি আশাবাদের বীজ খুঁজে পান! মনে হচ্ছে, তার আশেপাশে কোনো সৎ বা ভালো মানুষ তিনি আদৌ দেখেন না! আপনাকে দেখে তাই অতো উচ্ছ্বাস! বাউণ্ডুলে লেখার ভাবনা!

সুমন্তের সমালোচনা করা এই মন্তব্যের উদ্দেশ্য নয়। ব্যাপারটা তুললাম এই কারণে যে, সুমন্ত যা করে থাকেন- (একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে জেনারালাইজ করে একটি বড় সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া), আপনার এই লেখায়ও তেমনটি ঘটেছে।

আপনার মূল বক্তব্য বোঝা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য আপনি রাজনীতিবিদদের ওপর ভরসা করতে চান এবং তাদের কাছ থেকে সততা-দেশপ্রেম আশা করেন। সেখানে আমারও কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু এই কথাটি বলার জন্য আপনি ব্লগারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন-

'ব্লগার, আপনি কি রাস্তাঘাটে চলার সময় থুতু, চিপসের প্যাকেট, ড্রিঙ্কসের বোতল ফেলেন? বাসায় অকারণে লাইটফ্যান চালিয়ে রাখেন? ওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও নিচ দিয়ে রাস্তা পার হন? সিগনাল না মেনেই গাড়ি চালিয়ে দেন? আইন থাকার পরও প্রকাশ্যে ধুমপান করেন?'

এবং এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর কী, তা-ও আপনি জানেন! এখন আপনাকে একটা প্রশ্ন করি।

আপনার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি 'না' হয়, তাহলে কি দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাবে?

এত কথা বললেন, অথচ নিজের লেখাটিকে বন্ধ করে লাখলেন শহুরে মধ্যবিত্তদের সংকীর্ণ গণ্ডিতে!

শুধু একটা প্রশ্ন করি।

'এদেশের কৃষকরা কি নানাবিধ প্রাকৃতিক (যেমন বন্যা, খরা, জলোচ্ছাস, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি) ও মনুষ্যসৃষ্ট ( যেমন সার সংকট ইত্যাদি)বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শূন্য মাঠ সোনালী ফসলে ভরে দেয় না?'

আপনার উত্তর কি হবে, রিয়াজ? কৃষক ও শ্রমজীবীদের দিকে তাকিয়ে এরকম শত শত প্রশ্ন আপনি উত্থাপন করতে পারেন, এবং নিজেই ভেবে দেখতে পারেন, প্রশ্নগুলোর উত্তর কী!

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিলো সাড়ে সাত কোটি, এদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হতো না। ২০০৮ সালে জনসংখ্যা ১৬ কোটি, এক ইঞ্চি ফসলি জমিও বাড়েনি, বরং কমেছে অনেক। তারপরও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা!!

এত বাধা-বিপত্তি, রাজনীতিবিদদের এতসব বদমাশী, তবু এই অসম্ভব কাজটি সম্ভব হলো কীভাবে? কারা করলেন? করলেন- দেশের অগুনিত, নীরব, দরিদ্র কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ। এই মানুষগুলোকে কেন আপনাদের চোখে পড়ে না?

আপনার লেখার স্পিরিটটা ভালো লেগেছে, আপনার কষ্টটাও বোঝা যায়, কিন্তু সুমন্তের মতো সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিটি ভালো লাগেনি।

আপনি চাইলে এই কমেন্টটি মুছে দিতে পারেন!


১৫ ই জুন, ২০০৮ রাত ১১:৪৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: প্রিয় লেখক, স্যার, আপনার আগের মন্তব্যটি আমি মুছিনি, আমি এমনকি জানিও না যে আপনি মন্তব্য করেছেন; এটা সামহোয়্যারইনের কোনো বাগ হয়ে থাকবে।

শুধু আপনার কেনো, কারো মন্তব্যই মোছার কথা চিন্তাও করি না কখনো; আর আপনার এই অসাধারণ মন্তব্যটি মোছা অপরাধতুল্য বলে মনে করছি।

আপনি বলেছেন: "সুমন্ত যা করে থাকেন- (একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে জেনারালাইজ করে একটি বড় সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া), আপনার এই লেখায়ও তেমনটি ঘটেছে।"

একটু সংশোধন আনতে চাচ্ছি কথাটায়- একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, একইরকম অনেকগুলো ছোট ছোট নমুনাক্ষেত্রকে এক করে একটি বৃহৎ পরিসর সৃষ্টি করতে চান সুমন্ত তার লেখায়, যেটা খুব একটা খারাপ লাগে না আমার কাছে; আর আমার এই পোস্টটাতেও তেমনটি ঘটেছে বলেই মনে হয়।

আপনি বলেছেন: "এত কথা বললেন, অথচ নিজের লেখাটিকে বন্ধ করে লাখলেন শহুরে মধ্যবিত্তদের সংকীর্ণ গণ্ডিতে!
শুধু একটা প্রশ্ন করি।
এদেশের কৃষকরা কি নানাবিধ প্রাকৃতিক (যেমন বন্যা, খরা, জলোচ্ছাস, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি) ও মনুষ্যসৃষ্ট ( যেমন সার সংকট ইত্যাদি)বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শূন্য মাঠ সোনালী ফসলে ভরে দেয় না?
আপনার উত্তর কি হবে, রিয়াজ? কৃষক ও শ্রমজীবীদের দিকে তাকিয়ে এরকম শত শত প্রশ্ন আপনি উত্থাপন করতে পারেন, এবং নিজেই ভেবে দেখতে পারেন, প্রশ্নগুলোর উত্তর কী!"

চমৎকার পর্যবেক্ষণ আপনার, এব্যাপারটা নিয়ে আপনার আগে তেমন করে কেউ বলে নি; এটিকে আমার পোস্টের সীমাবদ্ধতা বা সংকীর্ণতা বলতে পারেন, যেটা আপনার ভালো লাগে নি বলে মন্তব্যের শেষে উল্লেখ করলেন; দুঃখিত, আমি এই পোস্টটায় শহুরে মধ্যবিত্তদের ব্যাপারটাই তুলে ধরতে চেয়েছি (আমি নিজেও তাদের একটি অংশ), আমি ধরে নিয়েছি আমার এই লেখাটি যারা পাঠ করবেন তারা কেউই গ্রামের কৃষক বা শ্রমজীবী নন, অন্তত এই লেখাটিতে তাদের জন্যে কিছু নেই, সেটা সম্ভবত আমার অপরাধ নয়; আমি চেষ্টা করেছি আমরা যারা মোটামুটি একটি ভন্ডামিপূর্ণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি তাদেরকে কিছুটা খোঁচা দিতে। একারণেই ঐ থুতু বা প্যাকেট বা বোতল বা লাইটফ্যান বা ওভারব্রিজ বা সিগন্যাল বা ধূমপান জাতীয় বিষয়গুলোর অবতারণা; রাজনীতিবিদদের মুক্তমনে গালিগালাজ করছি অথচ নিজেরা দেশের জন্যে কিছু করেছি/করছি কিনা অথবা আদৌ কিছু করার ইচ্ছে আছে কিনা, নাকি শুধু নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়নই জীবনের লক্ষ্য- এই বিষয়টা লেখাটির একটি বড় অংশ জুড়ে আছে; নিশ্চয়ই আমি গ্রামের মেহনতী কৃষক বা শ্রমিককে এই প্রশ্নগুলো করতে পারি না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি (আসলে বিশ্বাস করার কিছু নেই, এটাই সত্যি)- দেশটাকে এই অচ্ছুত শ্রেণীটাই টিকিয়ে রেখেছে, নাহলে বহু আগেই সর্বনাশ হয়ে যেতো। সেই সাথে আরেকটা কথাও আমার মনে হয়- সঠিক নেতৃত্ব পেলে এতো উন্নত জনসম্পদ দিয়ে দেশটাকে "সোনার বাংলা" করে তুলতে বড়জোর একটি দশক লাগতো, সেটি হয়নি; কেনো হয়নি তা নিয়েই পোস্ট এবং তৎপরবর্তী মন্তব্যগুলো এগিয়েছে, আপনি তাতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন স্যার, ধন্যবাদ।

আপনার কী খবর? নতুন লেখা দেন তাড়াতাড়ি! আর "ঘুমোবার সব আয়োজন ব্যর্থ হয়ে যাবার পর"-এর তৃতীয় গল্পটি কবে পাচ্ছি?!

ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক অনেক।



৬৫| ১৬ ই জুন, ২০০৮ রাত ২:৩৯

নাতিস বলেছেন: আসলেই আমরা শহুরেরাই এমন একটা উদ্ভট জীবন-যাপন করছি, যদি কখনো ভাবতে চাই তখন নিজেকে একটা আবর্জনার ডিবে ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না! যা পারি নাই, যা পারবোও না বলে আপাতত মনে হয় তা নিয়ে কথা বলে বারবার নিজেকে ঘৃণা করতেও আজকাল বড় বেশি ভয় হয়।

১৬ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১০:১৬

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: তরে তো আর বেশিদিন ভয় পাইতে হইবোনা রে ব্যাটা, যাইতাছসগা তুই, আমগোরে ফেলায়া...

লেনু ভাইয়ের সাথে কীসব বৈপ্লবিক কথাবার্তা হইলো? ঐখান থেইকা তো তুই আবার গেছিলি ডেটে... হায় হায় রে মাইয়াডার না জানি কী অবস্থা...

৬৬| ১৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: :D

১৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৬

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ?

৬৭| ১৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৭

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয় গিয়াছি

১৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২৭

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: কিছুটা।

৬৮| ১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৫৭

পরীরমেলা বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন।+

আমরা সকলে ইচ্ছে করলে দেশের অনেক কিছু করা সম্ভব।

আসুন, কমপক্ষে বাসার অফিসের অপ্রয়োজনীয় লাইট, ফ্যান, গ্যাসের চুলা অফ রাখি, পানির ট্যাপ বন্ধ রাখি।

১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:০৫

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: পোস্ট পরবর্তী মন্তব্যগুলোও কি পড়েছেন? পোস্টের চেয়ে ওগুলো ভালো হয়েছে বেশি।

জরুরী কিছু অভ্যাসের কথা বললেন আপনি, ধন্যবাদ। আসুন, আপাতত এইটুকু করেই দেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ রাখি।

৬৯| ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:২৯

মিরাজ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম আরো অনেকেই একইভাবে চিন্তা করে, সামনে আগানোর কথা ভাবে, একটা প্রচন্ড শক্তি নিয়ে অপেক্ষা করছে অনেক তরুণ । শুধু প্রয়োজন ছিল তাদের এই শক্তিটিকে কাজে লাগানোর জন্য একটি কার্যকর পরিকল্পনা । আর ঠিক এই জায়গাতেই বার বার হোচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছি আমরা । তারুণ্যের শক্তি বিচ্ছিন্নই থেকে যাচ্ছে, একত্রিত হয়ে পরিবর্তন ঘটাতে পারছেনা ।

এই ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন শক্তিগুলিকেই যদি ছোট ছোট ভাবে একতাবদ্ধ করা যেতো, তাহলে একসময় হয়তো বৃহৎভাবে একতাবদ্ধ হবার তাগিদ অনুভব করতো । সেই দিন কি আসবে?

২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩৯

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: নাহ।

৭০| ২৯ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৩১

নাফিস ইফতেখার বলেছেন: অসাধারণ লেখা রিয়াজ শাহেদ, আমার মতোই দেশের আরো অনেক মানুষের মনের অস্ফুট কথাগুলো উঠে এসেছে আপনার লেখায়।

মুখে বললেই যে হয়না...করেও দেখাতে হয় এ কথার মূল্য এ দেশের মানুষের চাইতে ভালো আর কেই বা বলতে পারবে? এখনো এদেশে তুচ্ছ অকল্যাণকর বিষয়াদি নিয়ে লাফালাফি হয়, কিন্তু যখনই প্রশ্ন আসে উন্নয়নের বা সংশোধনের, প্রশ্ন আসে ভালো কিছু করার, তখনই আমরা পড়ি কি মরি করে নিজের কাঁধ থেকে দায়িত্বের ভারটা আরেকজনের উপর চাপিয়ে বাঁচি। প্রতিটা দেশেরই সব মানুষ কখনোই একযোগে উন্নয়নমূলক কাজে যোগ দেননা, সবার অংশগ্রহন না থাকাটাই স্বাভাবিক। আর এ জন্যেইতো আমরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করি। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে আমারা আমাদের নিজেদের জনপ্রতিনিধিদের দ্বারাই লান্ছনার শিকার হয়ে আসছি। কেউ এসে দেশকে আমূল পাল্টে দেয়ার নাম করে দেশের ভূগোলই পাল্টে দিতে চায়, কেউবা আবার উন্নয়নের জোঁয়ারের কথা বলে দেশকে দুর্নীতির জলোচ্ছাসে প্লাবিত করে। আমাদের উত্তরণ হয়তো একদিন হবে...কিন্তু সে'দিনটি কবে? এর উত্তর দেবে আমদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম...ততোদিন পর্যন্ত বাধ্য হয়ে এই সার্কাস দৃশ্য অবলোকন করতে হবে....

২৯ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আমার মনে হয়না ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উত্তরটি দিতে পারবে, তার অনেক কারণ রয়েছে।

পোস্টটি পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ নাফিস ভাই; মন্তব্যগুলো কি পড়েছেন? পোস্টের চেয়ে মন্তব্যগুলো ভালো হয়েছে বেশি; প্রতিটি মন্তব্যই আকর্ষণীয়।

৭১| ০১ লা আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:১১

দেবদারু বলেছেন: অস্থির এই সময়েও মাঝে মাঝে কিছু মানুষ-কে দেখে ইচ্ছে হয় আরেকটিবার যুদ্ধ করি - না দেখা '৭১ এর মতোই...................

আপনি তেমন-ই একজন............ ভালো থাকুন সবসময়........... এভাবেই ছড়িয়ে দিন শুভ চিন্তাগুলো.............

০১ লা আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৫৩

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: পোস্টের শেষ বাক্যের সতর্কবাণীটি হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গিয়ে থাকবে ভাই, নাহলে আমাকে এতো মহান ভাবলেন কী করে? :)

ভালো থাকুন ভাই, ভালো লিখুন।

৭২| ০১ লা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬

দেবদারু বলেছেন: নাহ্ এড়ায়নি...................... নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করার সৎ সাহসটুকু কয়জনের আছে?

০১ লা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:১১

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: কয়জনের আছে তা তো জানিনা ভাই, তবে নিজের সীমাবদ্ধতা আমি মুক্তকন্ঠে স্বীকার করি......

...... বেশিরভাগ সময়। ;)

৭৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭

েজবীন বলেছেন: ভালো একটা লেখা..... সাথে অনেকের দারুন মন্তব্যগুলোও উপরি পাওনা।


ভালো থাকুন

০৭ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: হ্যাঁ সত্যিই মন্তব্যগুলো দারুণ।

ভালো থাকুন আপনিও।

৭৪| ১২ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:৫০

হমপগ্র বলেছেন: ব্লগার, আপনি কি রাস্তাঘাটে চলার সময় থুতু, চিপসের প্যাকেট, ড্রিঙ্কসের বোতল ফেলেন? বাসায় অকারণে লাইটফ্যান চালিয়ে রাখেন? ওভারব্রিজ থাকা সত্ত্বেও নিচ দিয়ে রাস্তা পার হন? সিগনাল না মেনেই গাড়ি চালিয়ে দেন? আইন থাকার পরও প্রকাশ্যে ধুমপান করেন?

আমি জানি, আমি ভালোভাবে জানি- ফেলেন, রাখেন, হন, দেন, করেন।

আপনার লেখা থেকে উপলব্ধি পেলাম। আসলেই আমরা কতটা করতে পারছি? পারছি না...আমাদের সীমাবদ্ধতায় ৩৭ বছর কাঁদছে।

১২ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:০৫

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আমাদের সীমাবদ্ধতায় ৩৭ বছর কাঁদছে...

৭৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৪৮

উত্তরেরকল্পতরু বলেছেন: ব্লগে অনিয়মিত হওয়ায় জুনের লেখা আগষ্টে পড়ছি। তবু নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি, কারণ আমি পড়ছি।

আমি তোমার মতো অতোটা হতাশ নই, কারণ আমি কাপের অর্ধেকটায় প্রথমে পানি দেখি, খালি অংশটা পড়ে দেখি।

চারাগাছ লাগিয়েছি, বৃক্ষ হবার বাসনা নেই আর হতেও চাই না, আমি যে তরুদের দলে।

১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৭:২৩

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ঐ অর্ধেক কাপের তত্ত্ব এত্তো বেশি ব্যবহৃত হয়েছে যে এটা আর শুনতে ভালো লাগেনা ভাই। আসলে চারপাশে আশাবাদী হওয়ার মতো ব্যাপারস্যাপার না ঘটলে আমি খামোকা আশাবাদী হতে রাজি নই, কারণ সেক্ষেত্রে সারাটি জীবনই আমাকে একটি অন্তসারশূন্য আশাবাদের ভেতর দিয়ে যেতে হতে পারে, একটা সময় হয়তো আমি এর ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়েও ফেলতে পারি।

আমার ধারণা, মিথ্যে আশাবাদের পেছনে না ছুটে প্রথম থেকেই আমরা যদি কাপের খালি অংশটিই আগে দেখে বাস্তবতার মুখোমুখি হতাম, তাহলে আজ এ অবস্থা হতোনা।

ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক।

৭৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৬

না বলা কথা বলেছেন: অতি কঠিন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫২

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: কিন্তু অতি সোজা হওয়াই উচিত ছিলো।

৭৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

আহা! বলেছেন: পুরাটাই, বিশেষ করে আপনার লাষ্ট লাইনের আগের লাইনটার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আসলেই, পলিটিশিয়ানরা আর মানুষ নাই, হোমো হয়া গেছে। ;)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৫

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: মন্তব্যগুলা পড়ছেন তো আহা ভাই? ব্লগের এইটাই কেরামতি, লেখার চেয়ে লেখার ফিডব্যাক আকর্ষণীয় হয়া যায় মাঝেমাঝে।

৭৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:০১

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আবার পড়লাম।
আহারে সেসব একেকটা দিনই ছিল ব্লগে।
এখন আর নাই :(

০৬ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৮

রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: রন্টিদা, এই পোস্টের মন্তব্যগুলো আমি মাঝেমাঝেই পড়ি; সত্যি, কী একেকটা দিন যে গেছে সেসময়! তুমি, আমি, রিপন ভাই, শান্তির দেবদূত, কামাল ভাই, বিমাদা, তাজীনাপু, আসিফ ভাই, সোহাগ ভাই, যুঁথী, সৈকত... (তোমার বোধহয় আরো অনেকের সাথেই খাতির ছিলো)...

ইচ্ছে করে খুব, আবারো নিয়মিত হই।

ভালো থেকো তুমি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.