নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ব্যর্থ মানুষ।ব্যর্থতার মাঝেই সফলতাকে খুঁজি।

ফেক রুধির

ফেক রুধির › বিস্তারিত পোস্টঃ

তনু এবং বর্তমান আমারা

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৬

অনেক কিছুই লিখবার ইচ্ছে করছে।কিন্তু লিখবার মত শক্তি আমি হারিয়ে ফেলছি।কাকে লিখব?কাকে নিয়ে লিখবো? তনু কে নিয়ে! তাকে নিয়ে অনেক লিখা হয়ে গেছে ! হাজার হাজার শব্দ তনুর জন্য আর্তনাদ করে যাচ্ছে।কি লাভ হচ্ছে তাতে?দেশের আরেক প্রান্তে আরেকটা তনু আত্মহুতি দিচ্ছে হয়তো মানুষিক যন্ত্রনা সইতে না পেরে।আর এই লিখা দিয়ে কয় জন ধর্ষকের বিচার হচ্ছে? কয়জন নির্যাতনকারী নিজেকে শুধরে নিচ্ছে।এই লিখায় কি একবার ও আইন সঠিক ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে!লিখে কি হবে যদি না হাজার তনুর দুঃখ না ঘোচে!
-আমার বিবেক?
আমার খুব ধর্ষকের কলিজাটা দেখতে ইচ্ছে করছে।ওইটা কি আদৌ মানুষের কি না তাই দেখবো।মানুষের হলে তো ভেতরে ভালোবাসা থাকতো।মানুষের মস্তিষ্ক যে দিন দিন বিকৃত হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, বুঝতে পারছি।হারে হারে টের পাচ্ছি । আইনকে আইন মনে করছে না খমতাবান রা আর ছাপোষা সাধারণরা দিন দিন মার খেয়ে যাচ্ছে নয় তো মুখ বুঝে সহ্য করছে ক্ষমতাবানদের অনৈতিক কাজ,একটা বিশ্বজিৎ মরে সেটা প্রমাণ করে গেছে।আজ মানুষ শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবে।সবাই শুধু নিজেকেই বাচাতে চায়! মানুষ রোবট হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।দেশকে নিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে এখন আর কেউ ভাবতে চায়না।শুধু নিজেকে প্রভুর একেকটা ছাপোষা গোলামের মত ভেবে কর্ম সাধন করে পেট পুজো করবার আশায়।আজ দেশে রিজার্ভ থেকে অন্যের পেটে টাকা যায় মানুষের তাতে কোন মাথা বেথা হয় না!নির্বাচনে কারচুপি না হয় মানা যায়।কিন্তু কারচুপি করে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করে সংবিধানকে অপমান করা তো আর মানুষ এর না মেনে থাকবার কথা নয়।তবুও মানুষ কথা বলে না,প্রতিবাদ করে না।শুধু ছা-পোষা জীবনটা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যায় আর টাকা নিয়ে বাজার করে গিন্নিকে খাওয়ায়।যেদিন মেজাজ গরম থাকে সেদিন হয়তো রাতবিরাতেই গিন্নীকেই বানিয়ে ফেলে বক্সিং প্রাকটিসের থলে! দেশের মানুষ আজ সব কিছুকেই কেন যেন শুষে নিতে শুরু করেছে।শুষ্ক মাটি যেমন পানি পেলে শুষে নেয় ঠিক অন্যায় গুলো কেউ বাংলাদেশের মানুষ হজম করে ফেলছে।তাসকিন ইস্যুতে মানব বন্ধন হয় কারন এতে রাজার বিরুদ্ধে কিছু বলা হচ্ছেনা।কিন্তু রিজার্ভ এর বেপারে সুষ্ঠ তদন্ত এর তথ্য চাইতে রাজ পথে দাড়ান কিংবা সাগর-রুনি ইস্যু! রাজার মাথায় আগুন ধরে যাবে।শালারে বাইন্দা রাখ।ও রাজাকার! রাজাকার গালিটাও আজকাল খুব ভাইটাল হয়ে গেছে!রাজার ভুল শুধরে দিলেই রাজাকার = রাজার সাহায্যকারী হয়ে যায়! এই সাহায্য করতে যাওয়া মানে নিজের পায়ে নিজে বটি মারা(আজকাল তো আর কুড়াল পাওয়া যায় না।) বাংলাদেশে থাইকা ইন্ডিয়ার সাপর্ট করলেও নাকি রাজাকার হয়ে যায়! যাই হোক আমি ছাপোষা সাধারণ মানুষ দেশকে ভালোবাসি।মানুষকে ভালোবাসি।দেশের রাজাকেউ সন্মান করি,ভালোবাসি।তাই কাউরে নিয়ে উদ্দেশ্য প্রণদিত হয়ে কিছুই বলি নাই।সব মনের আকুতি গুলো বেরিয়ে গেছে।
তবে যারা রাজাকার যারা দেশের মা-বোনদের ১৯৭১ এ ধর্ষনের জন্য পাকি হারামিদের সাহায্য করেছিলো ওই সব জানোয়ার রাজাকার দের সাথে এই সব ধর্ষকের ফাসি দেওয়া হোক এইটা আমার দাবি।একেকটা ধর্ষককে যদি মানুষের সামনে ঝুলিয়ে মারা হতো তাইলে আর এমন করে তনুদের মরতে হতনা কিম্বা টি,এস,সি তে বোনদের লাঞ্ছিত হইতে হতনা।আমি সুন্দর একটা সমাজে নিঃশ্বাস নিতে চাই।যেখানে তনু,আদিবাসী সেই মেয়ে, মাইক্রবাসে ধর্ষীতা কিম্বা সেই রক্ষকের কাছে ধর্ষন হয়া এবং এখনো বাংলাদেশের যত প্রাণ শুধু ধর্ষন এর কালো স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে তার বিচার সাথে সব অপরাধের বিচার আমার দাবি।
-আমি!
আজ নেই নজরুল, নেই বিদ্রোহ রণ ক্লান্ত, আমি সেই দিন হব শান্ত!কারন এই কবিতা পড়ে আজ আর কারো ভেতরের সাহসী মানুষটা জাগে না।
আজ আমার কবিতায় একটা আকুতি শুধু রেখে গেলাম-
আবার মেতে উঠেছে রক্ত,
রাজপথ রাঙাতে!
বিবেক ভুলে,গৌরব গুলকে
লাঞ্চিত করে পিচাশের ন্যায়
লাশের সারি সাজিয়ে
কি লাভ হচ্ছে ওদের?
অপেক্ষা শুধু সেই আগের মতো,
রাজপথে চিৎকার করে জানান
দেওয়া কোন বিপ্লবীর!
যে কিনা এনেছিল ভোর।
সাথে উদয় করেছিল গণতন্ত্রের।
পেরেছিল করে নিতে আদায়
নিজের অধিকার।
দিয়েছিলো মা কে কলঙ্ক মুক্ত
শাড়ী।আর বোনের মুখে শঙ্কা
মুক্ত হাসি!
১৯৫২,৭০,৭১ এর মত প্রতিবাদী হতে আমরা আজ ভুলে গেছি।
পারলে সবাই এমন মানুষ হয়ে হাজার বোনকে বাঁচাবার চেষ্টা করি।সমাজে ধর্ষক রা যেন মাথা উচুকরে বলতে না পারে আমি ১০০টা ধর্ষনের রেকর্ড করেছি।সমাজে এই ধর্ষকরা যেন আতংকে ভুগে মারা যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.