নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়াপথ পেরিয়ে খুঁজে ফিরি স্বর্গের সিঁড়ি...

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র

আমার তো ছিলো সবইজন্ম, মৃত্যু, ক্রোধ, অবিনশ্বরএখানে এসে ক্ষয়ে গেছে সবঅশ্রুহীন চোখ জমাট পাথর!

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

RAMBO III : যে ছবিতে একসাথে লড়েছিলো আমেরিকা ও আফগানিস্তান!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:২৫

১.



ছবির একেবারে শেষে লেখা ছিলো : This film is dedicated to the brave Mujahideen fighters of Afghanistan / এই চলচ্চিত্র আফগানিস্তানের নির্ভীক মুজাহিদিন যোদ্ধাদের উৎসর্গীকৃত



তবে সেটা ৯/১১ এর আগে। তারপর সম্পাদনার মাধ্যমে ভাষা বদলে দেয়া হয়!



চমকে উঠলেন? চমকে উঠারই কথা বটে! আমেরিকান এক চলচ্চিত্র, সেখানে আবার খোদ আফগানিস্তানি যোদ্ধাদের প্রশংসা। প্রিয় ব্লগারবৃন্দ, পড়ছেন ১৯৮৮ সালের ২৫ মে মুক্তিপ্রাপ্ত RAMBO III চলচ্চিত্রের কথা। RAMBO সিরিজের তৃতীয় ছবি RAMBO III মুক্তি পায় First Blood এবং Rambo: First Blood Part II এর পরে। চলচ্চিত্রটির পরিচালনায় ছিলেন পিটার ম্যাকডোনাল্ড। সিনমোটোগ্রাফিতে জন স্ট্যানার। মূল চরিত্রে বরাবরের মতো অভিনয় করেছিলেন বিশ্বখ্যাত পারফেকশনিস্ট সিলভেস্টার স্ট্যালোন। ছবির চিত্রনাট্যও রচনা করেছিলেন তিনি শেলডোন লেটিকের সাথে। ১০১ মিনিটের ছবিটির বাজেট ছিলো ৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। RAMBO III কে বলা হয় "এন্টি-সোভিয়েত" ছবি। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে (বর্তমান রাশিয়া) আমেরিকার শত্রুতা ছিলো প্রবল। আর তাই তখন আফগানিস্তান ছিলো আমেরিকার বন্ধুবর। ১৯৯০ সালের গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে RAMBO III কে বলা হয়েছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রোমহর্ষক/নৃশংস ছবি, যেখানে নৃশংসতার ২২১টি দৃশ্য রয়েছে, কমপক্ষে ৭০টি বিস্ফোরণ দৃশ্য এবং ১০৮টি চরিত্রের হত্যা পর্দায় দেখানো হয়েছে।







RAMBO III ছবির পোস্টার



ছবির কাহিনী সংক্ষেপ অনেকটা এরকম :



Vietnam veteran John J. Rambo (সিলভেস্টার স্ট্যালোন) এর সাহায্য চাইতে থাইল্যান্ডে আসেন কর্নেল স্যাম ট্রটম্যান (রিচার্ড ক্রেনা)। Rambo এর যুদ্ধকৌশল ও পারদর্শীতা দেখে তিনি তাকে আফগানিস্তানের একটি মিশনে অংশ নিতে অনুরোধ করেন। আফগান যোদ্ধা, মুজাহিদিনদের অস্ত্র সরবরাহ করাই মূল মিশন। তখন আফগানিস্তান পুড়ছে সোভিয়েতদের (বর্তমান রাশিয়া) দেয়া আগুনে, সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে। কিন্তু Rambo তা প্রত্যাখ্যান করে এবং তাদের ফিরে যেতে বলে। পরবর্তীতে কর্নেল স্যাম এবং তার বাহিনী ধরাশায়ী হয় সোভিয়েত বাহিনীর কাছে। ভিলেন কর্নেল জেসন (মার্ক ডি জঙ্গে) অত্যন্ত নিষ্ঠুর সোভিয়েত সেনা অফিসার। কর্নেল স্যামকে বন্দী করা হয়। তাকে টর্চার করা হয় বারবার। Rambo এর কাছে খবর চলে আসে অ্যামবেসি ফিল্ড অফিসার রবার্ট গ্রিগস এর মাধ্যমে। Rambo তৎক্ষণাৎ পাকিস্তানের পেশোয়ারে পাড়ি জমায় এবং সেখানে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আফগানিস্তানের মরুভূমির "খোস্ত" নামের এক গ্রামে পৌঁছায়। সেই গ্রামের মুজাহিদিন সর্দার মাসুদ শুরুতে Rambo কে সাহায্য করতে ইতস্তত বোধ করলেও সোভিয়েত হেলিকপ্টারের আঘাতে তাদের গ্রাম চূর্ণ-বিচূর্ণ হবার পর এবং সেখানে Rambo মেশিনগানের সাহায্যে একটি হেলিকপ্টার গুঁড়িয়ে দেবার পর Rambo কে সাহায্য করে মাসুদ এবং হামিদ নামের একজন কিশোর। Rambo মাসুদ ও হামিদকে সাথে নিয়ে সোভিয়েত সেনাদের ঘাঁটিতে পৌঁছায় ক্যাপ্টেন স্যামকে খুঁজতে। কিন্তু এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তারা টাইম বোমা দিয়ে ঘাঁটিতে আঘাত হানতে থাকে একের পর এক। কিন্তু হামিদ গুলিবিদ্ধ হয় এবং সবাই ব্যাপারটা টের পেয়ে যায়। পরবর্তী পদক্ষেপে, Rambo কর্নেল স্যামকে মুক্ত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, একটি এমআই-এমআই২৪ হেলিকপ্টার চুরি করে এবং তার সাথে বেশ কিছু যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়। তবে সেটা শত্রুদের গুলির আঘাতে নষ্ট হয়ে যায় এবং ভূপাতিত হয়। সবাই প্রাণে বেঁচে যায় Rambo এর সতর্কতার কারণে। কর্নেল স্যাম ও Rambo যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে অজস্র সোভিয়েত শত্রুদের সাথে একটি গুহায় আশ্রয় নিয়ে। অবশেষে মুজাহিদিন যোদ্ধারাও তাদের সাথে যোগদান করে এবং মারদাঙ্গা যুদ্ধ চলতে থাকে। কর্নেল জেসন প্লেন চালিয়ে গুলিবর্ষণ করতে থাকে Rambo ও মুজাহিদিনদের ওপর। Rambo একটি আস্ত ট্যাংক চালিয়ে, জোরে প্লেনের দিকে ক্র্যাশ করে কর্নেল জেসন কে হত্যা করতে সমর্থ হয়। মারাত্মকভাবে আহত হয় Rambo। অবশেষে বিজয়ী হয় Rambo ও আফগান মুজাহিদিনরা।





১৯৮৮ সালের সিলভেস্টার স্ট্যালোন, John J. Rambo



ছবির শেষ টাইটেল দুইটি অংশে বিভক্ত (সম্পাদনার পরে, মূল অংশ পোস্টের শুরুতে) : "This film is dedicated to the gallant people of Afghanistan."(চলচ্চিত্রটি আফগানিস্তানের সাহসি জনতার প্রতি উৎসর্গীকৃত) এবং"I am like a bullet, filled with lead and made to kill" (আমি গুলির মতো, লেড দিয়ে পূর্ণ এবং খুনের জন্য তৈরী)



আজ অনেক কিছুই বদলে গেছে। একজন সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেনের জন্য। মুসলমানদের প্রতি আমেরিকার আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি দুটোই বদলেছে ৯/১১ এর টুইন টাওয়ার হামলার পরে।





এখন সিলভেস্টার স্ট্যালোন, ৬৫ বছর বয়সেও যিনি চিরতরুণ!



ছবিটার শুটিং করা হয়েছে মূলত থাইল্যান্ড ও ইসরায়েলে। এছাড়াও পেশোয়ার, আরিজোনা, আমেরিকাতে শুট করা হয়েছে বেশ কিছু অংশ।



RAMBO III এর আইএমডিবি রেটিং ৫.১/১০। এটি Rambo সিরিজের বক্স অফিসে ঝড় তোলা দ্বিতীয় ছবি। Rambo সিরিজের চতুর্থ ছবি Rambo মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। এটার রেটিংও ছিলো ৩৬% যা RAMBO III এর সমতুল্য।



আইএমডিবি



http://www.imdb.com/title/tt0095956/



টরেন্ট লিংক

একত্রে RAMBO সিরিজের সব ছবির ডিভিডি বক্সসেট :

http://thepiratebay.org/torrent/6197760

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:২৯

কাউসার রুশো বলেছেন: পুত্তুম পিলাচ :)
প্রকাশিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র বিষয়ক ই-বুক 'এক মুঠো চলচ্ছবির' দ্বিতীয় সংখ্যা । লেখা আহবান

২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩১

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: দিয়ে দিলাম। তবে এটা তো আরেকজনের! নিজের ফিল্ম নিয়ে লেখতেছি দাঁড়ান মিঞা!

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

কাউসার রুশো বলেছেন: শুভকমনা রুদ্র ভাই :)
আপনার ফিল্ম ও ফিল্ম বিষয়ক লেখার প্রতীক্ষায় থাকলাম :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:০১

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ। সবগুলো লেখা হয়ে গেলে একত্রে লিংক দিচ্ছি আপনার পোস্টে, অবশ্য যদি সময় পাই। ভালো থাকবেন।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০২

দিপ বলেছেন: অসাধারন...।

http://cineghor.blogspot.com/

আমার ব্লগ একবার ঘুরে আসবেন

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৩৬

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ। অবশ্যই!

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৮

িনদাল বলেছেন: ভাল লাগল :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.