নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা সাপটা

সাধারন মানুষের অসাধারন কথা বলতে চেষ্টা করি

যক্ষা_রোগী

বেশী দিন বাচুম না---মরার আগে কিছু কথা কইয়া যাইতে চাই।

যক্ষা_রোগী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার হলে একদিন( 1st Day at Hall)

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

জীবনে সব কিছুর অভিজ্ঞতা থাকা ভাল, তাই অভিজ্ঞতার সঞ্চয়ে হন্যে হয়ে ফিরি... সেই অভিজ্ঞতা সংগ্রহের পালায় কাল ছিলাম ভার্সিটির হলে...



বেশ কিছু অভজ্ঞতা হয়েছে যে গুলা জীবনে প্রথম, এবং পুলকিত হবার মত...



*হলে অবিরাম ভাবে তাশ খেলা হয়, যদিও আমি তাশ খেলা পারি না, কিন্তু খেলুড়েদের তামশা দেখে ভালই লাগে...



*আমরা আদর করে বিভিন্ন সম্ভাষণ করে থাকি, হলে ও তাই হয় এবং সব ১০০% এ নাউজুবিল্লাহ... সবচে কমন সম্ভাষণ হইল 'নটির পোলা'



*হলে একটানা বিড়ি খাওয়া হয়, এবং ভাগ করে খাওয়ার অপূর্ব দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়! একটা সিগারেট কম করে খাইলেও ৮ জন খায়... যাকে সিগারেটের শেষ অংশ দেয়া হয় সে গর্বের সাথে বলে "আমাকে পুটকি মারতে দিলি?"(বলেন নাউযুবিল্লাহ)



*হলের সবচে কমন বিনোদনমূলক প্রতিযগিতা হল "লুঙ্গি বিচ্যুতি", যেখানে এক জন আরেকজনের লুঙ্গি উন্মচন করে... তবে তাদের এই ব্যাপারে আমি তাদের নির্বিকারত্ব দেখে কিঞ্ছিত টাস্কিত!



*সবচে মজা হল রাতে, রাতে মাঠে বসে সবাই প্রান খুলে যেভাবে জ্ঞান গায় তাতে মনে হয় না দুঃখ বলতে কিছু একটা আছে... তাদের সাথে হেড়ে গলায় গানের নামে চিৎকার করতে পেরে আমি ব্যাপক অভিভুত...



*রাতে ১২ টার পর সবাই মিলে রেসকোর্স ময়দানে যায়, সেখানে যাকে পায় তাকেই পিটান হয়। কারন ১২ টার পর যারা আসে সবাই বেসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে আসে... সেই সব দুষ্কৃতিকারীদের পেটানো হয় বেশ কিছু কারনে---

_____১। অসামাজিক কাজ করে কেউ যাতে এই এলাকা অপবিত্র না করতে পারে

_____২।বড় ভাইদের মতে এভাবে পেটানর অভ্যাস হলে আমাদের সাহস বাড়বে

_____৩। তাদের কে পিটিয়ে তাদের কাছ থেকে কিছু উপার্জন করা যায়, যদিও বেশির ভাগ ছেলেই এটা করে না, কিছু ছেলে করে



*রাতে হটাত খবর এল এক বড় ভাইয়ের সাথে কার মারা মারি হবার কথা, এবং সবাই লাঠি নিয়ে সেখানে ছুটে গেল, আমি নতুন আমিও লাঠি নিলাম...পরে মারামারি হল না, তবে সেই ভাই সবাইকে এত রাতে কলা, কেক, আর চা খাওয়ালেন...



*কাল একবার আমাদের সাবাইকে পুলিসে ধরল, এবং পড়ে ঢাকা ভার্সিটি শুনে ছেড়ে দিল



*আমরা লাঠির সাহায্যে আম পেড়ে খেলাম, যদিও খুব টক ছিল। আমরা কি খাচ্ছি সেটা বড় বিষয় না, বড় বিষয় হল আমরা তা পেড়ে খাচ্ছি



*রাতের আড়াইটার দিকে আমরা সবাই ঘুমাতে গেলাম এবং এক রুমে ১৯ জন ছিলাম যা কল্পনার বাইরে। যার ফলশ্রুতিতে আমি রাতে এক ঘন্টা ও ঘুমাতে পারি নি... এবং ফজরের আজান দেয়ার পরই চলে আসলাম বাসায় এবং বাসায় এসে একটা ঝাড়ি খেলাম।



যা বুঝলাম হলের লাইফ মজার, এবং সেটা উপভোগ করার মানসিকতা থাকতে হবে...



আর আমার ঘটনা একটা নির্দিষ্ট হলের নির্দিষ্ট রুমের ঘটনা...সবার অভিজ্ঞতা এক নাও হতেও পারে...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

আহলান বলেছেন: হল জীবন আসলেই অন্যরকম। নিজেকে একজন দায়িত্বাবন মানুষ হয়ে গড়ে তুলতে হলের জীবনের বিকল্প নাই .....

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২

যক্ষা_রোগী বলেছেন: সেটা ঠিক! আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে ভুলে গেছি
প্রতি শনি, সোম, বুধ গেস্ট রুম নামে একটা জিনিষ হয়
সেখানে বড় ভাইয়েরা চেইন অফ কমান্ড সেখান, এবং নসিহত করেন!

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

অহন_৮০ বলেছেন: ইউনিভাসির্টি তে যদি হলেই না থাকা হয় তাহলে আর পড়ে লাভ নাই ;) ;) ;) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.