![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কিছু বলার আছেশব্দগুলো শেষ বিকেলের নাগরিকতায় দিক হারিয়ে ফেলে.....আমার কিছু বলার আছেভাবনাগুলো দুরন্ত বালিকার এলো চুলে জট পাকিয়ে যায়....আমার কিছু বলার আছেস্মৃতিগুলো ঘোলা জলে ডুব সাঁতার দেয়.....আমার কিছু বলার আছেইচ্ছেগুলো বাস্তবতার ধূলোয় লুটিপুটি খায়....আমার কিছু বলার আছেঅনুভূতিগুলো আলস্য করে ভোতা হতে চায়।
বাংলাদেশের মত দেশে হরতাল কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার হতে পারেনা। তোমরা সারাদেশে একদিন পূর্ণদিবস হরতাল ডাকো মানে হচ্ছে তোমরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ১৬ কোটি মানুষের ১ দিনের রুটিরুজির পেটে লাথি মারো। তোমরা ভাল করেই জানো যে তোমাদের ডাকা হরতালে সারাদেশে কোথাও না কোথাও কেউ না কেউ খুন হবে। তা জানা সত্বেও তোমরা হরতাল দাও। তার মানে কি?? মানে এই যে তোমরা প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে খুনের সাথে জড়িত। এগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারেনা। এসব হচ্ছে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। হরতালের বদলে তোমরা সমাবেশ কর, মানববন্ধন কর, অনশন কর। কিন্তু নাহ, তোমরা তা করবেনা। কারণ কি?? হরতালে তো তোমাদের মাঠে নামতে হয়না বা প্রত্যক্ষভাবে অংশও নিতে হয়না। কিন্তু সমাবেশ, মানববন্ধন, অনশন এসবে তো তোমাদের সশরীরে অংশ না নিলে চলেনা। এমন না যে এসব বিএনপি প্রথম করছে। আজকের সরকারি দল যখন বিরোধী দলে ছিলো তারা সবকিছু ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। তোমাদের কারোরই দেশ বা দেশের মানুষের প্রতি বিন্দুমাত্র ভালবাসা নেই। তোমরা শুধু জানো কি করে পুরো দেশের মানুষকে অশান্তিতে রেখে তাঁদের রক্তে রঞ্জিত পথের উপর দিয়ে হেটে ছড়ি ঘুরাতে হয়। তোমরা ভাবো তোমাদের অবস্থান থেকে তোমরা সঠিক। "যে যাই বলুক তালগাছটা আমার"।
ধর্মপাপীরা যখন ধর্মজ্ঞানীর লেবাস পরে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে আর তোমরা তাদের মাথায় তুলে নাচ। নিজ নিজ প্রয়োজনে তোমরা তাদের রক্ষিতার মত ব্যবহার করেছ। তোমাদের নীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তোমরা তার মাঝে ধর্ম টেনে আনো। যুক্তি তর্কে আসতে তোমাদের যত ভয়। শক্তির মহড়া দিয়ে তোমরা সাফারি স্যুট পরে একে অন্যের সাথে রঙ্গীন গ্লাসে ঠোকাঠুকি করবে কিন্তু প্রশ্ন উঠলেই ন্যাপকিনে ঠোঁট মুছে বলবে সে আমার কে রে?? নিজ আশ্রয়দাতাকে তোমরা বেমালুম ভুলে যাও আর জন্মদিবস বিভ্রাটে তোমাদের কেক নিয়ে মারামারি। যে মাঝি ঝড়ের সময় তোমাদের সমুদ্র পার করেছে তোমরা তারে বল তুই কে??
৮০ আর ৯০ এর দশকে ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী জামাত-শিবিরের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিল। ম্যাডামের কাছে এ নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নাই। কারণ তার নাকি দয়ার শরীর। তিনি সবাইকেই নাকি মাফ করে দেন। নিজ স্বামীর হত্যাকারীর সাথে যেখানে হাত মেলাতে উনার কোন আপত্তি নেই সেখানে সেই কোন সালে কোন কর্মী মরেছে তা মনে রেখে কি হবে? আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিবিরের হাতে খুন হওয়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পরিবার পরিজনদের কাছে। আপনরা কি এখনো দলটির সাথে আছেন??
সময় অনেক গত হয়েছে, গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে কুলিনতা আর বক ফকিরেরা। শপথ বাক্যগুলো যেন এক একটি রম্য গদ্য। বুদ্ধি বিক্রতেরা দিবারাত্রি বুদ্ধি বিলিয়ে যাচ্ছে। দেহের সমস্ত বল গলায় একত্রিত করে তীরবেগে ছোড়াছুড়ি করছে শব্দ বান। কিন্তু আলোর মশাল নিয়ে পথ দেখানোর সময় নেই কারও। এক একজন এক এক ফরমূলা দেয় কিন্তু দিন শেষে কড়কড়ে কাগজের টুকরো পেয়ে সব ভুলে যায়। পরের দিনটি আসে আর নব উদ্যমে শুরু হয় আরেক শব্দ তীরন্দাজি!
(চলমান...)
©somewhere in net ltd.