নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক ও তালিবুল ইলম।

ররুহুল্লাহ নোমানী

রুহুল্লাহ নোমানী

তালিবুল ইলম

রুহুল্লাহ নোমানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নফস! তুমি কি পারতে?!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৬



সে আমার ভাই। দ্বীনের সূত্রে তার সাথে আমার ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, যা কোনো অংশে রক্তের বন্ধন অপেÿা কম নয়। নিঃস্বার্থ, নির্মোহ, নিখাদ ভালোবাসা। চলমান দুনইয়া এমন ভালোবাসার, এমন ভ্রাতৃত্ব-বন্ধনের উপমা খুব কমই দেখাতে পারবে। হ্যাঁ, অনেক দেখাতে পারবে, যদি সে অমিশ্রিতভাবে শুধু দ্বীনি ভ্রাতৃত্বের-ই শুমারী করে। সেই ভালোবাসার সূত্র ধরেই আমার সেই দ্বীনি ভাই আজ মাগরিব বা'দ আমার এখানে এসেছিলেন। অবিশ্বাস্য, তবে সত্য হলো- এটাই আমাদের প্রথম সাÿাত। এ সাÿাৎ অবিস্মৃত, সাথে বেদনায় ভারী এবং অশ্রম্নসিক্ত। সে কারণ..ই তোমাকে বলছি।

আরেক জনের একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। এরপর মাঝে মধ্যেই আমাদের দেখা হতো- ফোনে। সেই দর্শন থেকে আমি অন্ত্মরে তার একটি সুন্দর নূরানী ছবিও এঁকেছিলাম। খুবই ভালো লাগলো, যখন আজকের প্রত্যÿ সাÿাতে দেখলাম- আমার সেই অঙ্কিত ছবি একদম হুবহু, শুধু সামান্য ব্যবধান ছাড়া। আমার অঙ্কিত ছবিতে ভিন্ন ভিন্ন যত্নে তার পোশাক যেমন আঁকা হয়েছিলো, আঁকা হয়েছিলো তার অবয়ব, দাড়ি, টুপি সব..ই। ভার্সিটি পড়ুয়া একজন ছাত্রের এমন সুন্নতী লেবাস খুব কমই দেখা যায়। তবে কথার ফাঁকে ফাঁকে আমি শুধু শুশ্রম্নম-িত বন্ধুর দাড়ির দিকেই খেয়াল করছিলাম....... সে না বুঝতে পারে মতো নযরে। আমার কৌতুহল কোনো সমাধান..ই খুঁজে পাচ্ছিল না...দাড়িগুলো এরকম কেনো? মু-িত নয়, কাঁচি দ্বারা সমতলভাবে কাটাও নয়, কোথাও বেশী কোথাও কম, খোঁচা খোঁচা, কোথাও মুষ্ঠি পরিমাণ লম্বা, আবার এক কড় থেকেও ছোটো। কেউ কি এভাবে দাড়ি কাটে? সঙ্কোচ থেকে জিজ্ঞাসাও করতে পারছিলাম না।

আমার কৌতুহলী চোরা নযর হয়তো তার নযর এড়ালো না অথবা তিনি নিজের থেকেই শুনালেন রক্ত জমে যাওয়ার মতো অবিশ্বাস্যতা। সে অনেক বড়ো লোকের সন্ত্মান, জানতাম। দ্বীনদার কেউ ভার্সিটি পড়ুয়া হলে, তাকে পদে পদে প্রতিকূতার সাথে লড়তে হয়; জানতাম। সাথী-সঙ্গীদের থেকে কটূক্তি-ভর্ৎসনা হযম করতে হয়, তাও জানতাম। কিন্তু এর বাইরে তিনি যা জানালেন, তা হয়তো তুমিও শোনোনি কোনো দিন আমার প্রবল বিশ্বাস।

তিনি বললেন- 'সহপাঠীদের কটূবাক্য আমাকে কখনোই প্রভাবিত করেনি। উল্টো আমি তাদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছি। মারকাযের মুরম্নব্বীদের সাথে পরাপর্শ করে কাজ করেছি। যারা এক সময় আমাকে তিরস্কার করতো, আজ তাদের অনেকের অবয়ব-আকৃতি আমার থেকে ভালো। আমার ওপর হুলিয়া চলছিলো পরিবার থেকেও। আমি সেখানেও মেহনত অব্যাহত রাখি। কিন্তু এরই মধ্যে এই গত কয়েক দিন আগে আমি একটি দুর্ঘটনার শিকার হই। ঘুমের মধ্যে আমার দাড়ি কর্তন করা হয়। এমনভাবে কর্তন করা হয়, যাতে আমি কামিয়ে ফেলতে বাধ্য হই। তবে আমি হার মানিনি। কিন্তু বিষয় যেহেতু পরিবারের, আমি কী-ই-বা করতে পারি শুধু দু'আ ছাড়া!!! আমি দু'আ করছি- আলস্নাহ যেনো তাদের ÿমা করেন এবং দ্বীনের বুঝ দান করেন।'

আমি মনে মনে আমার কৌতুহলকে ভর্ৎসনা করলাম। নিজেকে খুব..ই অপরাধী মনে হলো। এমন কিছু তো আমার কল্পনার ত্রি-সীমানায়ও ছিলো না। ওই মুহূর্তে তাকে বলার মতোও কিছু আমার মাথায়ও আসছিলো না। সে মাথা নীচু করে ছিলো, হয়তো কিছু আড়াল করার ব্যর্থ চেষ্টাস্বরূপ। আমি মিলিয়ে নিচ্ছিলাম আমাকে তার সাথে আমার ঈমানী অবস্থার যাচাইস্বরূপ। নফসকে জিজ্ঞাসা করছিলাম-
১. তুমি কি পারতে তার মতো বন্ধু-সহপাঠীদের তিরস্কার-কটূবাক্য উপেÿা করে এভাবে রাসূলের সুন্নাতকে আপন করে রাখতে?
২. তুমি কি পারতে সেই কটূক্তিকারীদের শরীরে রাসূলের সুন্নাত চড়াতে?
৩. তুমি কি পারতে পারিবারিক এমন প্রতিবন্ধকতায় নিজেকে স্থির রাখতে?
৪. এরূপ পরিস্থিতির শিকার হলে তোমার অন্ত্মরেও কি এমন রক্তÿরণ হয়ে গড়িয়ে পড়তো চোখ বেয়ে? শেষমেষ আমি নফসকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম-
৫. ধর্মীয় পরিবারে দ্বীনি পরিবেশে জীবনের সবকটি বসন্ত্ম কাটানোর পরেও তোমার ঈমানী চেতনা একজন ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের মতোও নয় কেনো?
..........................................................................................

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

সিকদারভাই বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম । সুন্দ র লেখার জন্য জাযাকাল্লাহ খায়ের । আসলেই নিজের সাথে এমন জেহাদ কয়জনে করতে পারে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.