![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দৈনিক ইনকিলাব থেকে Copy-paste.
আওয়ামী লীগের রাজনীতির অনেকগুলো দিকের সাথে অনেকেরই মত পার্থক্য রয়েছে। মৌলিক নীতি এবং আদর্শের প্রশ্নেও অনেক মতভেদ রয়েছে। কিন্তু একটি কথা শিকার করতেই হবে যে, দলটি যা কিছুই বলে অত্যন্ত বোল্ডলি বলে। তার রাজনীতির আর একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি আমেরিকাকেও তারা পাত্তা দেয় না। ঢাকার শিক্ষিত মানুষের মুখে মুখে এ কথা ঘুরে বেড়াচ্ছে যে, ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা মাসের পর মাস ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ চেয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু প্রাইম মিনিস্টার তাকে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন না। সেদিন একজন আমাকে বল্লেন যে, বাংলাদেশে মজিনার রাষ্ট্রদূতের চাকরির মেয়াদ প্রায় শেষ। তাকে বদলি করা হয়েছে। তার উত্তরসূরি নিয়োগও মার্কিন সিনেট কনফার্ম করেছে। এখন মজিনা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদায়ি সাক্ষাৎ করবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাকে সেই সময়ও নাকি দিচ্ছেন না। এসব কথা কত দূর পূর্ণ সত্য অথবা কতদূর আংশিক সত্য সেটি প্রাইম মিনিস্টার এবং মজিনা সাহেবই জানেন। তবে তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশি পাত্তা পান না সেটি সকলেই জানেন।
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আমেরিকার সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল তিন দিনের জন্য ঢাকা সফর করে গেলেন। তিনি নাকি মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাপ দিতে ঢাকা আসছেন, এমন কথা চাউর হয়ে গিয়েছিল। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন। আরও দেখা করেছেন সংসদীয় বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের সাথে। এসব দেখা সাক্ষাতের এক পয়সাও মূল্য দেয়নি আওয়ামী লীগ। বরং শনিবার নিশা দেশাইকে চরম তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গত শনিবার খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তৃতায় তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই আনা মন্ত্রী, চার আনাও নয়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিশা দেশাই। তার সামনে দুই-দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বসে আছেন। তিনি নাকি তাকে (খালেদা জিয়াকে) ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেন। মজিনা তো কত চেষ্টা করলেন নির্বাচন বন্ধ করার জন্য। শেখ হাসিনা যাতে প্রধানমন্ত্রী না হয় তার জন্য। কিন্তু তিনি পারেননি। মজিনা যখন ব্যর্থ হলেন তখন খালেদা জিয়া মোদির পানে চেয়ে রইলেন। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হলো না। পৃথিবীর এমন কোন শক্তি নেই যে, শেখ হাসিনাকে নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেও ক্ষমতা থেকে সরাতে পারে। মেয়াদ শেষ হওয়ার এক সেকেন্ড আগেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়বে না।
আমেরিকা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এই মনোভাব নতুন কিছু নয়। বেশ কয়েক বছর আগে মার্কিন রাষ্টদূত বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, যেরকম মন্তব্য তারা হর-হামেশাই করে থাকেন। তো, বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে এ ধরনের একটি মন্তব্য করলে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে রাগান্বিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তৎকালীন মার্কিন রাষ্টদূতকে বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানান। আওয়ামী লীগের অনেক নীতির সাথে আমি একমত নই। আমার কলম দিয়েই আওয়ামী লীগের অনেক নীতি এবং বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা বেরিয়েছে। তারপরেও বলবো, তাদের মতের সাথে আমরা একমত হই বা না হই, তারা তাদের বক্তব্য খুব জোরের সাথে বলে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা স্বাধীনতার সর্বাত্মক বিরোধিতা করেছিল। বিরোধিতা করেছিল গণচীন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান ওইসব বিরোধিতা গায়ে মাখেননি। তিনি তার সংগ্রাম অবিরাম চালিয়েছেন। এবারও বর্তমান সরকার আমেরিকা এবং পশ্চিমা শক্তিকে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। তারপরও তারা এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ হয়তো বলতে পারেন যে, আওয়ামী লীগের পেছনে ইন্ডিয়ার অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। সে কারণেই তারা আমেরিকা বা চীনের ব্যাপারে এমন কঠোর অবস্থান নিতে পারছেন। কথাটার মধ্যে হয়তো আংশিক সত্যতা রয়েছে। কিন্তু তারপরও আমেরিকা বা চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের সাহস তারা দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের অন্য কোন দল কি সেই বুকের পাটা দেখাতে পেরেছে?
- See more at: Click This Link
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫২
এস. দেওয়ান বলেছেন: নিজের দেশ ও জাতি নিয়ে গর্ব থাকলেই এতটা দৃঢ়তা দেখানো সম্ভব । আর যারা হিনমন্যতার শিকার তাঁরা এটা কখনোই করতে পারবেন না ।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটাকে সাহস বলছেন?
ঘাউড়া বোঝেন? এটা নির্বোধ ঘাউরামি!
আপর আপনি যা করলেন এটা জ্ঞান পাপ!!!
আমেরিকাকে পাত্তা দেয়না এ কথা বলার আগে টিকফা নিয়ে তথ্য সামনে নিয়ে বলা উচিত ছিল।
অন্য সরকার আমেরিকার হাজার চাপের পরও টিকফা সই করেনি। তা দেশৈর জাতির স্বার্থ বিরোধী!
আর আমেরিকা পুন: ক্ষমতায় আসার জন্য চোখ বন্ধ করে টিকফা সই করেছে!!
আসলে আপনাদের মতো মাথা মোটা সমর্থক, জ্ঞানপাপী আছে বলেই, লাল মিডিয়া আছে বলেই অনির্বাচিত অগনতান্ত্রিক সরকার এতদিন টিকে থাকতে পারে।
এক টিকফা দিয়ে দেশের যে সর্ভনাশ আওয়ামীলীগ করেছে- এখন এরকম বালখীল্য হাজার ডায়ালগে মাতালের প্রলাপে তা পূরণ হবার নয়!
আমি দোকানে বসে সব মাল ফ্রিতে বিলীয়ে দেয়অ যেমন সাহসের পরিচয় নয়- দেশের স্বার্থ বিরোধী ভারতের সাথৈ একতরফা চুক্তি, আমেরিকার সাথে টিকফা চুক্তি আরো কত গোপন চুক্তি করে মিডিয়ায় পাগলের প্রলাপ বকে মানুষকে সাময়িক কনফীউজ করা যায়- সবসময়ের আর সবাইকে নয়।
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪
শাফি উদ্দীন বলেছেন: পড়লাম, জানলাম, বুঝলাম এবং ভালো লাগা জানালাম।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: মোদী বাবুর মত এমন ছায়া উপরে থাকলে আওয়ামী লীগ কেন, মাজাভাঙ্গা জাতীয় পার্টিও কেমন দৃঢ়তা দেখায় - সেটা টের পেতেন। আওয়ামী লীগের নিজস্ব শক্তি বলতে কিছুই নেই। ভারতের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা মেটাতে আওয়ামী লীগ যখন আর সক্ষম হবেনা - কি করুণভাবে আওয়ামী লীগের পশ্চাদ্দেশে ভারত লাত্থি মারে - সময় হলেই দেখতে পাবেন।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
এস. দেওয়ান বলেছেন: @নীল আকাশ,
আপনার কথা অনুষারে বুঝলাম, যে আপনারা এখনো ভারতের অধিনে আছেন । একটি স্বাধীন দেশকে কি করে লাথি মারতে পারে ?
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: মি: শরীফ দেওয়ান,
আপনার মত পরীক্ষিত আওয়ামী চামচাদের দৌড় এতটুকু যে স্বাধীন দেশ আর আওয়ামী লীগে গুলিয়ে ফেলেছেন। স্বাধীন দেশ বলতে কি আপনি আওয়ামী লীগকে বুঝাচ্ছেন? তবে আমার উত্তর হল, অবশ্যই আওয়ামী লীগ নামের ঐ স্বাধীন (!) দেশকে লাথি দেওয়া সম্ভব এবং আপনাদের গুরু পিতা মোদী বাবু সময় হলেই কষে ঐ লাথিটা মারবেন।
তখন টের পাবেন আওয়ামী লীগকে স্বাধীন (!) দেশ ভেবে কতবড় ভুল করেছিলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫১
খেলাঘর বলেছেন:
আপনাদের মগজ মুরগীর মগজের সমান।
আওয়ামী লীগ আমেরিকার সাথে যখন কথা বলে, আপনার সামনে বলে না।