![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্রিকেট আমাদের ঐক্যের প্রতীক। শত্রু-মিত্র, সরকার-বিরোধী পক্ষ সবাই এসে ওই এক বিন্দুতে মিলিত হয়। লাগাতার আতঙ্কের জনপদে ক্রিকেট শান্তির বার্তা নিয়ে আগমন করে। শিথিল করা হয় হরতাল ওই ক্রিকেটের কারণে। ক্রিকেট তো ক্রিকেটই। তার সাথে অন্য কিছুর তুলনা চলে না। ক্রিকেট আমাদের দুঃখ-অবসাদ সব দূর করে হর্ষ-উদ্বেলতায় আন্দোলিত করে। আর সব ভুলে যাই, সবাই এক বিন্দুতে মিলিত হই, সেখানে গরীব-ধনী, সুখী-দুঃখী কিংবা শত্রু-মিত্রের কোনো দেয়াল আঁড় হয়ে দাঁড়ায় না। ক্রিকেট এখন আমাদের আবেগ, সকলের উর্ধে যার অবস্থান।
হ্যাঁ, এ কয়দিনে ক্রিকেট নিয়ে এমন বাণী শুনতে শুনতে ও পড়তে পড়তে ক্লান্ত। ক্রীড়া ও ক্রিকেটপন্থীদের অনুভূতি ও অভিব্যক্তি এমনই। এর বাস্তবতাও অনস্বীকার্য। জাতি যখন মূল থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়, তখন তাদের মাঝে এমন উন্মাদনাই বিস্তার লাভ করে। আমার দৃষ্টিতে ক্রিকেট-কেন্দ্রিক ওই উৎফুল্লতা স্রেফ উন্মাদনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিবেকবান কেউ নিঃশ্চয়ই সন্দেহ করবে না যে, ক্রিকেটের কোনো পারলৌকিক অর্জন নেই। আর ওপরে যা ইহলৌকিক অর্জনের কথা বলা হলো, তাতে বিসর্জনের মাত্রা যে কতো, তা আমরা খতিয়ে দেখার ফুরসতও পাই না। তাহলে এ স্রেফ এক উন্মাদনা ছাড়া আর কী হবে? জীবনের অমূল্য সময় থেকে নিয়ে আয়-উপার্জন সহ আরো কতো কিছুই না আমাদের বিসর্জন দিতে হয়! গোটা দেশ থমকে যায়, সব কিছু হয়ে পড়ে স্থবির। সেই ক্ষতির মাঝেই আমরা শান্তির পায়রা ওড়তে দেখি।
এটা কেনো? আল্লাহর কদমে একটি সাজদাহ দিতে পারার চেয়ে শান্তির আর কী হতে পারে? ঈমানের থেকে বড়ো ঐক্যের প্রতীক আর কী হতে পারে? কিন্তু ঈমানী শক্তি কমযোর হওয়ার কারণে ঈমান আমাদের একত্র করে না। ইসলাম আমাদের একত্র করে না। আমরা মুমিন, সকলেই মুসলিম, কিন্তু কেউ হানাফী, কেউ আহলে হাদীছ, কেউ আহলে বিদ‘আত ইত্যাদি। এসব দেয়াল আমাদেরকে পরস্পর থেকে আলাদা করে রেখেছে। কাছে আসতে চাইলেও উপায় নেই। ওই দেয়াল দুর্ভেদ্য। আমরা কি পারি না ওই দেয়ালকে ভেদ করতে! যা বিতর্কের উর্ধে, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে! আর আসলেই যা বর্জনীয়, তা নিঃশর্তভাবে বর্জন করতে! আমাদের এটা পারা উচিত।
যদি আমরা এটা পারি, তাহলে ক্রিকেট-ফুটবলের মতো দ্বীন ও দুনইয়ার জন্য ক্ষতিকর উপকরণ দিয়ে আমাদের দুঃখ লাঘব করতে হবে না। ঐক্য, সুখ-শান্তি আমরা পদে পদে অনুভব করবো। তাই এসো ভাই ভেদাভেদ ভুলে কালেমা কেন্দ্রিক সমাজ গড়ে তুলি, যে সমাজে কালেমার সব তাকাযা বাস্তবায়িত হবে।
বন্ধু! এসো কালেমার পথে, কালেমা-কেন্দ্রিক সমাজ বিনির্মাণে হাতে হাত রেখে কাজ করি। সব উন্মাদনা পরিহার করে ঈমানী উৎফুল্লতায় নিজেকে উদ্বুদ্ধ করি। আমাদের ঐক্যের কেন্দ্র হোক কালেমা, লক্ষ্য হোক এ‘লায়ে কালেমাতুল্লাহ!
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
রুহুল্লাহ নোমানী বলেছেন: ভুল বুঝেছেন ভাইজান! কেউ পড়ে না এমন ধারণা অবশ্যই নেই। তবে কতো জন ওই সময়ও টিভির সামনে বসে থাকে, তার পরিসংখ্যান আছে আপনার কাছে? আর আমার এমন দাবী কি অমূলক?
ধর্ম সর্বদা ও সবখানে। আবেগের সময় ধর্ম চর্চা করা যাবে না, আপনাকে কে বললো?
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৭
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার কি ধারণা যারা আমরা টাইগারদের নিয়ে মেতে উঠেছি, তারা কেউ নামাজ পড়ি না, তারা কেউ আল্লাহ্র রাস্তায় নাই?
সব সময় সব বিষয়ের মাঝে ধর্ম ঢুকিয়ে দিতে আসেন বলেই আজ আমাদের দেশে এতো বকধার্মিকের জন্ম হয়েছে। ফলে ধর্মের নামে অনেক সময়েই অধর্ম হচ্ছে, হচ্ছে বাড়াবাড়ি।
ধর্ম প্রচারেরও একটা সময় থাকে। যখন তখন যেকোনো জায়গায় ধর্মের কথা বললেও ভালো ফল আশা করতে পারবেন না।