নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক ও তালিবুল ইলম।

ররুহুল্লাহ নোমানী

রুহুল্লাহ নোমানী

তালিবুল ইলম

রুহুল্লাহ নোমানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ‘আত করার অর্থ: রাসূলের নামে অপবাদ দিয়ে নিজেই নবুওয়াত দাবী করা

২২ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন-
{الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} [المائدة: ٣]
অদ্য আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম।
এই আয়াত থেকে পরিস্কার হলো যে, আল্লাহর দ্বীন পরিপূর্ণ। এখন বিদ‘আতকে দ্বীনের অঙ্গ ¯^ীকার করে নিলে তার অর্থ হবে, আল্লাহর দ্বীন রাসূল সা.’র দ্বারা পরিপূর্ণ হতে পারেনি, পরবর্তীতে বিদ‘আত দ্বারা পরিপূর্ণ করা হয়েছে। এতে পবিত্র কুরআনকে অ¯^ীকার করা হয় এবং আল্লাহর কালাম মিথ্যা হয়ে যায়, না‘ঊযু বিল্লাহ। অতএব বিদ‘আতকে অবশ্যই বর্জন করতে হবে।
ইমাম আবূ ইসহাক শাতেবী মালেকী রহ. বিদ‘আত ও অন্য গুনাহ-র পার্থক্য করতে গিয়ে বলেন-
وَحَاصِلُ الْمَعْصِيَةِ أَنَّهَا مُخَالِفَةٌ فِي فِعْلِ الْمُكَلَّفِ لِمَا يُعْتَقَدُ صِحَّتَهُ مِنَ الشَّرِيعَةِ، وَالْبِدْعَةُ حَاصِلُهَا مُخَالَفَةٌ فِي اعْتِقَادِ كَمَالِ الشَّرِيعَةِ، الاعتصام للشاطبي (٢/ ٣٩٨)
গুনাহ’র কাজের সারমর্ম হলো- শরী‘আতের বিধানের বিশুদ্ধতায় বিশ্বাসী হয়ে কর্মক্ষেত্রে বিরুদ্ধাচরণ করা। আর বিদ‘আত হলো- শরী‘আতের পরিপূর্ণতার বিশ্বাসে বিরুদ্ধাচরণ করা।
এ কারণেই ইমাম মালেক রহ. বলেছেন-
وَلِذَلِكَ قَالَ مَالِكُ بْنُ أَنس: مَنْ أَحدث فِي هَذِهِ الأُمة شَيْئًا لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ سَلَفُهَا فَقَدْ زَعَمَ أَن رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلّم خان الرسالة، لأَن اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ: {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} الاعتصام للشاطبي (٢/ ٣٩٨)
যে এই শরী‘আতে নতুন কিছু আবিষ্কার করলো, যার ওপর আমাদের সলফ নেই, সে যেনো এই দাবীই করলো যে, রাসূল সা. তাঁর রিসালতের দায়িত্ব পালনে খিয়ানত করেছেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন- ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিলাম।
মুফতীয়ে আযম ফয়যুল্লাহ রহ. বলেছেন-
ثُمَّ اعْلَمُوْا: أَنَّ تَقْنِيْنَ قَوَانِيْنِ الْشَّرْعِ وَتَعْيِيْنَ أَوْضَاعِ الْدِّيْنِ وَأَحْكَامِهِ, إِنَّمَا هُوَ شَأْنُ الْأَنْبِيَاءِ الْكِرَامِ. فَمَنِ ابْتَدَعَ فِيْ الْدِّيْنِ شَيْئًا, فَكَأَنَّهُ ادَّعَيْ بِلِسَانِ حَالِهِ: أَنَّهُ نَبِيٌّ وَمَنِ اتَّبَعَهُ, فَكَأَنَّهُ يَعْتَقِدُهُ نَبِيًا وَذَلِكَ إِشْرَاكٌ فِيْ الْنَّبُوَّةِ. فَالْبِدْعَةُ شِرْكٌ فِيْ الْنَّبُوَّةِ.
জেনে রেখো- শরী‘আত ও দ্বীনের বিধি-বিধান প্রণয়ন করা নবীগণের শান। সুতরাং যে ব্যক্তি দ্বীনের মধ্যে কোনো বিদ‘আতের অনুপ্রবেশ ঘটালো, সে যেনো অবস্থার ভাষায় এ দাবীই করলো যে, সে এক জন নবী। আর যারা ওই বিদ‘আতীর অনুসরণ করলো, তারা যেনো তাকে নবী বলেই ¯^ীকার করে নিলো। এটা হলো الْإِشْرَاكُ فِيْ الْنَّبُوَّةِ তথা নবুওয়াতের ভেতরে অংশীদার হওয়ার দাবী করা। এ কারণে বিদ‘আত হলো নবুওয়াতের ভেতরে শিরক করা।
সুতরাং উপরোক্ত উদ্ধৃতির আলোকে বিদ‘আত করার অর্থ হলো-
১. দ্বীনের পরিপূর্ণতাকে অ¯^ীকার করা।
২. রাসূল সা.’র প্রতি রিসালতের দায়িত্ব পালনে খিয়ানতের অপবাদ দেয়া।
৩. নিজেকে নবুওয়াতের অংশীদার বলে দাবী করা।
এ যখন বিদ‘আত করার অর্থ, তখন বিদ‘আত অগ্রহণযোগ্য ও প্রত্যাখ্যাত হবে না কেনো? সুতরাং দ্বীন-ইসলামে বিদ‘আতের কোনো স্থান নেই। বিদ‘আত সর্বাবস্থায়ই পরিত্যাজ্য। বিদ‘আত করা হারাম ও কবীরা গুনাহ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

মো কবির বলেছেন: আজকে মানুষ ইবাদত মনে করে শিরকই করে ফেলছে কেমনে তাদের বুঝাই যে তারা বিদাত করে ফেলছে।

আল্লাহ্‌ আমাদের হেদায়েত দান করুন।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১১

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম, একটা পোষ্টে দেখলাম একজন বলল বিদআতীর পিছনে নামাজ পড়া যাবে না। তিনি নিম্নোক্ত দলিল দিয়েছেন।

নাবী (সাঃ) থেকে প্রমাণঃ

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، ح وَحَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " سَيَلِي أُمُورَكُمْ بَعْدِي رِجَالٌ يُطْفِئُونَ السُّنَّةَ وَيَعْمَلُونَ بِالْبِدْعَةِ وَيُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ مَوَاقِيتِهَا " فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَدْرَكْتُهُمْ كَيْفَ أَفْعَلُ قَالَ " تَسْأَلُنِي يَا ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ كَيْفَ تَفْعَلُ لاَ طَاعَةَ لِمَنْ عَصَى اللَّهَ

আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, নাবী (দ.) বলেন, অচিরেই আমার পরে এমন সকল লোক তোমাদের নেতা হবে, যারা সুন্নাহ্'কে বিলুপ্ত করবে, বিদআহ্ করবে এবং সলাত শেষ ওয়াক্তে পড়বে। আমি বললাম হে আল্লাহ্’র রসূল (দ.) আমি যদি তাদের (যুগ) পাই তবে কি করব? তিনি (দ.) বললেন, হে উম্মু আবদ-এর পুত্র তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করছো যে, তুমি কি করবে ? (বিদ’আহ করে) যে ব্যক্তি আল্লাহ্’র অবাধ্যাচরণ করবে তার আনুগত্য করা যাবে না। ইবনে মাজাহ্, কিতাবুল জিহাদ, হাদিস # ২৮৬৫।

এই হাদিসটির প্রতি গভীরভাবে লক্ষ্য করুন, যারা বিদ’আহ’র অনুসরণ করবে তাদেরকে রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলেছেন তারা আল্লাহ্’র অবাধ্য। আর যারা এই বিদ’আহ করে আল্লাহ্’র অবাধ্য হয় তাদের আনুগত্য করতে রসূলুল্লাহ্ (দ.) নিষেধ করেছেন। এখন একটু চিন্তা করে দেখুন, যে সকল ইমামগণ বিদ’আহ করে তাদের পেছনে সলাহ্ আদায় কি বৈধ হবে? যদি বিদ‘আতী ইমামের পিছনে সলাহ্ আদায় করা হয় তাহলেতো বিদ’আতী ইমামের আনুগত্য করা হবে। আর বিদ’আতীদের আনুগত্য করতে রসূলুল্লাহ্ (দ.) নিষেধ করেছেন। তাই রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর নির্দেশানুযায়ী বিদ’আতী ইমামের পেছনে সলাত আদায় করা যাবে না। -------------------------------------------------------------

উক্ত দলিলটির যথাযোগ্য উত্তর দান করে বাধিত করবেন যাতে আমি আল্লাহর দয়ায় সঠিক বিষয়টা জানতে ও বুঝতে পারি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.