![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যক্তিগত জীবনে একজন চরম ভবঘুরে আমি।
পছন্দ করি পাঁচফোড়ন মেশানো ভাজির সাথে লুচি।
ফল হিসেবে লিচু ও পছন্দ করি অনেক।
ধান গাছে তক্তা না হলেও তক্তা জিনিষটা আমার বেশ প্রিয়।
অস্ত্র হিসেবে পেরেক টা একটু বেশীই প্রেফার করি।
মানুষ বেশি দেখলে (জেন্ডার ভেদে) মাথা ভনভন করে এমনই ঘুরতে থাকে যে পৃথিবীর আহ্নিক গতিকেও হার মানায়।
অনেক মানুষের মাঝে থেকেও আলাদা হয়ে যেতে পারি তাই খুব সহজেই।
বলতে পছন্দ করি, কিন্ত শুনি তার চাইতেও বেশি...
এইতো
সব মিলিয়ে আমি!
নষ্টালজিয়া, প্রবাসী কিম্বা পরবাসী বাঙালীর তৃষ্ণাকাতর হৃদয়ে এক ফোঁটা বৃষ্টি-বারির ছোঁয়া। নষ্টালজিয়ার ম্যাজিক কার্পেটে চড়ে অভুক্ত মন এক মুহূর্তে ছুটে যায় গাঁয়ের সেই পথটি ধরে, সেই বাড়িটির সামনে। যে বাড়ির রাণ্নাঘরে মা সযতনে উনুনের পরে ভাতের হাঁড়ি চড়ায় ফি বেলায়।
মায়ের হাতের বানানো আলু ভর্তায় গাছের কাগজি লেবু চটকিয়ে গরম ভাত খাওয়ার পরম স্বাদ অন্য কোন কিছুতেই পূরণ হবার নয় নস্টালজিয়ায় আচ্ছন্ন কোন বাঙালী মায়ের সন্তানের। ম্যাকডোনালডসের সুস্বাদু, সুদর্শন রয়েল টিএস ও ফেল মারে অতি সাধারন ভাবে রাঁধা মায়ের হাতের মুরগীর সালুনের কাছে। লাল লাল ঝোলের মুরগীর সালুন, ঘি দিয়ে ভাজা আলু ভর্তা, লেবু আর মায়ের উদ্বিগ্ন চোখের চাহনী সহযোগে কতোদিন খাইনা পেট পুরে, গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে!
পরদেশের বাঙালী রেস্টুরেন্ট গুলোও পরবাসীই হয়। সেখানে মসলা গুলো একই থাকলেও কোথায় যেনো কী নেই। আসলেই তো মায়ের হাতের মমতার ছোঁয়া তো সুদূর পশ্চিমের এই রেস্তোঁরা গুলোয় পাওয়া দুষ্কর। কখনো সখনো এরকম কোন এক রেস্টুরেন্টে দেখা মিলে অরণ্যকেশী লাবণ্যের। না, শেষের কবিতার লাবণ্য না, একেবারে সাবঅলটার্ণ যুগের লাবণ্য, একজন রাত্রি!
এই রাত্রির লাবণ্যময় চোখের গভীরতা, চিবুকের গাঢ়ত্ব কিংবা চুলপ্রপাতের মাঝে ডুব দিয়ে একনিমিষেই চলে যাওয়া যায় নিজের রচিত কোন সমান্তরাল পৃথিবীতে। যেখানে সে বিকেলের চায়ের সাথে ডালপুরী ভেজে উপস্থিত করে গ্রীনরোডের কোন এক ছোট্ট এ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর লাল-সবুজ গ্রামীন চেকের শাড়ির আঁচলে কখনো গুটিসুটি খায় ছোট্ট ছেলে, আর কখনো আলতো করে টান দেয় নাস্টালজিয়ার কার্পেটে ভাসতে থাকা পরবাসী বাঙালী।
হঠাৎ করেই মিস্টি সম্বোধনে অ্যালিসের ওয়ান্ডার ল্যান্ড থেকে ফিরে আসে ক্ষুধায় কাতর নস্টালজিক মানুষটি। টের পায় রেস্টুরেন্টের খাবার সামনে ঠান্ডা হয়ে গেছে, খাওয়ার ইচ্ছে উবে গেছে সেই কখন। জানাহয়, এতোক্ষণ ধরে স্বপ্নের জাল বুনে চলা সঙ্গীটির নাম জানা হয় রাত্রি না, দিবাও না। অরণ্যকেশীর নাম আসলে দ্বীপান্বিতা।
এগিয়ে চলে মাহির সাথে দ্বীপান্বিতার কথোপকথন
২| ১৫ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ৯:৩০
অতিথি বলেছেন: সুন্দর লেখার ছোঁয়াচে নস্টাল্জিক হলাম মুহুর্তেই।
পরবাসিক দেশী রেষ্টুরেন্টের খাবার ভাল লাগে না। তাই একটু আগে নিজে রাধলাম তেলাপিয়ার দোপেয়াজা।
অরন্যকেশীর সাথে আবার কবে দেখা হবে?
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ৯:৪৮
অতিথি বলেছেন: ইদানিং আপনার লেখাগুলো চমৎকার হচ্ছে... (আগে সম্ভবত মনোযোগ দিয়ে পড়তাম না)...
দেশে থেকেও আমি বাবা-মায়ের কাছ থেকে দুরে... মন খারাপ হয়ে গেলো...
আর হ্যা.. মায়ের হাতের রান্নার মজাই আলাদা....
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ৯:৫৬
হযবরল বলেছেন: ভাল লাগলো রে খুব । কিন্তু গ্রামীন চেক এর আগে তাঁতের জন্ম হয়েছে ,এবং এখনো সেটা দেশে পাওয়া যায়। আর না পেলে বলিস আমি কিনে দেবো।
খাওয়ার কথা আর বলিস না রে , তোদের দিলে রহম এত কম কেন বুঝি না ?
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ১০:২৬
অতিথি বলেছেন: আসবো সাবধানী সাধু আসবো!
তীরুদা, ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝা যাচ্ছে আপনি লিংকটিতে ঢুঁ মেরেছেন। দেখা হবে খুব শীঘ্রই, বোধকরি কাল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ত্রিভুজ এবং হযুদা, ধন্যবাদ আপনাদের। সংযোজিত লিংকে একটা টোকা মারলে এই পোস্টের সূত্র পাওয়া যাবে।
আপনার তাঁতের জিনিষের অপেক্ষায় থাকলাম। না দিলে বুইঝেন কি পরিমান দুধে কি পরিমান ঘি হয়!
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ১০:২৮
হযবরল বলেছেন: পোলা পান শাড়ীর আঁচল ধরুক আগে; আগে তো হোমওয়ার্ক করতে হবে বাছা।
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ১১:৩৭
হাসিব বলেছেন: তেলাপিয়া কৈ পাওয়া যায় ? ডয়েশ নাম কি ?
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০০৭ সকাল ৯:৩৮
মাহবুব সুমন বলেছেন: মন খারাপ করে দিলেন মিয়া।
৯| ১৬ ই মার্চ, ২০০৭ সকাল ১০:০৭
অতিথি বলেছেন: ধূসর,
আপনার লাস্ট কয়েকটা লেখা পড়লাম।
আপনে মিয়া আমারে লজ্জা দিছেন ... অবশ্য অনেক আগেই পড়ে বুঝছি, আপনার সিরিয়াস লেখাগুলো খুবই চমৎকার।
হাজারদুয়ারী পড়লাম ... এককথায় গ্রেট!!
সামহোয়ারে লেখা জিনিস কি ওখানে দেয়া যাইব, নাকি রিসার্চ পেপারের মতো নতুন হইতে হইব?
১০| ১৬ ই মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১২:৫৭
অতিথি বলেছেন: কিং অফ জি্বনস, বস ইজ অলওয়েজ বস। বস পাবলিকদের লজ্জায় ফেলার কম্ম আমার না। এস এম সুলতান নাকি এক টুকরো কাগজে তুলি ছোঁয়ালেই সেটা অর্থবহ এক চিত্রকর্ম হয়ে যায়, আপনি এরকমই একজন।
হাজারদুয়ারী আপনাকে পেলে গর্ব বোধ করবে। সামহোয়ারের লেখা যেহেতু আমরা অনেকেই পড়ে ফেলেছি, তাই সেটা হাজারদুয়ারীর পাতায় কি ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারবে?
মার্চ মাসকে নিয়ে একটা লিখে তৈরী করে আমাকে পাঠিয়ে দিন না প্লিজ। অবশ্য অন্যকিছু নিয়ে লেখা যাবেনা এমন নয় কিন্ত! যে কেউ যেকোন বিষয়ে লিখতে পারবে। সেক্ষেত্রে আপনার রিসার্চ পেপারটাও হাজারদুয়ারী পেতে পারে বৈকি!
মা.সু ভাই, পরাজিত মেঘদল আপনার মন খারাপ করলো নাকি তার আলোকে এই পোস্ট টা?
হাসিব ভাই, ফিশ মার্কেট...!
হযুদা, হোমওয়ার্কে আছি।
১১| ১৬ ই মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:০২
মাহবুব সুমন বলেছেন: কিছু মানুষের লেখা একবার পড়লেই মনের মধ্যে গেঁথে যায়। মাসকাওয়াথ আহসান সে রকম একজন।
মাসকাওয়াথ আহসানের লেখা পড়ে মনের দুয়ার খুলেছিলো একসময়।
আপনার ও উনার লেখা দুটো পড়েই মন টা খারাপ হয়েছে।
১২| ১৬ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ৯:০০
নজমুল আলবাব বলেছেন: ধুসর দেশে আইসা যদি দেখা না কইরা যাস, তাইলে তরে আমি...
মনখারাপহইছেরে।
১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ৯:০৫
অতিথি বলেছেন: হুম..
১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ১১:৩৮
অতিথি বলেছেন: মা. সু. ভাই পরাজিত মেঘদল পড়ে মনের সেই খোলা দুয়ার আরেকটু উন্মুক্ত হবে আশা রাখি।
নজমুল ভাই, বলা যায় না দেশে ফিরে স্থায়ী ভাবেই চোখের সামনে ঘুরঘুর করতে থাকতে পারি। তখন হয়তো বলবেন "ধুরঃ বেটা দূর হ..."। (ক্লোজআপহাসি)
বদ্দা, ক্যারা?
১৫| ২২ শে মে, ২০০৭ রাত ৩:৪২
ধুসর গোধূলি বলেছেন: এই পোস্টটা এতোদিন ধইরা খুঁজলাম চোখের সামনে থুইয়াও পাইলাম না। হালার কানারে...
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ৯:২৭
সাধু সাবধান!!! বলেছেন: ফিরে আসুন আপনার দেশে,আবার পাবেন পুরানো স্বাদ,অপেক্ষায় থাকলাম ফিরে আসার