নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_ পটভূমি এবং চীনাপন্থী মওলানা ভাষানী ও অন্যান্য চরমপন্থিদের কর্মকান্ড

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২২


#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি --১ম পর্ব পাকিস্তান কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন ১০ই জানুয়ারি ১৯৭২ ...
তারপর মহান নেতা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
২১শে জানুয়ারি মৌলানা ভাসানী ভারত থেকে দেশে ফেরার পথে আসামের ফকিরগঞ্জের এক জনসভায় বলেন --/
"মিসেস গান্ধীর মতো দয়ালু আর হয়না!! স্বাধীন বাংলাদেশ ধর্ম -নিরপেক্ষ, গণতন্ত্র ও সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।"
(সূত্র -P.T.I report January 22 1972)
২২শে জানুয়ারি ১৯৭২ মৌলানা ভাসানী দেশে ফিরে আসেন এবং শুরু হয় নতুন খেলা।
রাতারাতি তিনি বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপদলে বিভক্ত চৈনিক পন্থিদের "মহান নেতা" বনে যান, যারা মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতা করেছিল!!
১৯৭১ সনের ১৭ই ডিসেম্বর চৈনিক প্রধানমন্ত্রী বলেন--
"ঢাকার পতন ভারতের বিজয়ের পথে অগ্রগতির স্বাক্ষর নয়!! বরং এটা এশীয় উপমহাদেশে এক অন্তহীন যুদ্ধের সূচনা মাত্র!! ভারতীয়রাই পাকিস্তানের ঘাড়ে তথাকথিত বাংলাদেশের ক্রীড়নক সরকারকে চাপিয়ে দিয়েছে!!"
এই বক্তব্যের পরপরই সিরাজ শিকদারের পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি "স্বাধীনতার নামে বাংলাদেশ পদানত হয়েছে "উল্লেখ করে # স্বাধীন_জনগণতান্ত্রিক_পুর্ববাংলা কায়েমের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের আহ্বান জানায়।
মৌলানা ভাসানী দেশে ফিরে আসার পর পরই তোহা -মতিন -আলাউদ্দিন -দেবেন শিকদার এর নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন চৈনিক পন্থী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপদল যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তাদের নেতা বনে যান!! তিনি সিরাজ শিকদারের স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা কায়েমের স্বপ্ন পূরণের সুরে সুর মিলিয়ে ঘোষণা করলেন ..."আমি নতুন পতাকা উড়াবো !! "
To be continued
মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি --২য় পর্ব
আগের পর্বে তোহা -মতিন -আলাউদ্দিন- দেবেন শিকদার -শান্তি সেন ও অমল সেনের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বামপন্থী দল যাদের অনেকেই সরাসরি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল --তাদের সাথে মৌলানা ভাসানীর যোগসূত্র নিয়ে যতকিঞ্চিত ধারণা দিয়েছি। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পরপরই স্বাধীন দেশে সিরাজ শিকদারের "স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা " কায়েমের সুরে সুর মিলিয়ে মৌলানা সাব # নতুন_পতাকা ওড়ানোর ঘোষণা প্রদান করে, যা ছিল মূলত স্বাধীনতা বিরোধীদের পাতা ফাঁদে পা দেওয়া।
এই নতুন পতাকা ওড়ানোর নেপথ্যে ছিল স্পষ্টতই স্বাধীনতা বিরোধী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।
১৯৭২ সনের ৮ই জুলাই জুলফিকার আলী ভুট্টো মৌলানা ভাসানীকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানায়!! শুধু তাই নয়, লন্ডন হয়ে বিশেষ দূত মারফত ভুট্টো মৌলানা ভাসানীর নিকট পত্র প্রেরণ করে, যেখানে ভুট্টো # মুসলিম_বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য মাওলান ভাসানীর সাহায্য ও সমর্থন কামনা করে!!
(সূত্র -- The Statement, Calcutta, 15 May 1973)
এর পরপরই মৌলানা সাহেব চিন্হিত স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তি জামায়াতে ইসলাম, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম ও পিডিপি-কে আড়ালে রেখে সেইসব অশুভ শক্তির স্বপক্ষে কাজ করার জন্য গঠন করেন।
# হুকমতে_রাব্বানি !! এর লক্ষ্যই ছিল চরম সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ভারত বিরোধিতা করা। তিনি সারাদেশে বিভিন্ন সভা -সমিতি করে বলেন --
# মুসলিম_বাংলার_জন্য_যারা_কাজ_করছে_তাদের_আমি_দো
আ_করছি ।
#আল্লাহর_রহমতে_তারা_জয়যুক্ত_
হবে!!
এই # মুসলিম_বাংলার শ্লোগানটি মুলত ভুট্টো প্রদত্ত।
যে মৌলানা সাব ১৯৭২ সনের ২১ শে জানুয়ারি ভারত থেকে দেশে আসার পথে আসামের ফকিরগঞ্জে এক জনসভায় বলেন যে, স্বাধীন বাংলাদেশ ধর্ম -নিরপেক্ষ, গণতন্ত্র ও সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেই মৌলানা সাহেব স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুন্নত শাসনতন্ত্র বাতিল করার দাবী জানিয়ে বলেন ---
# বাংলাদেশের_সংবিধান_অবশ্যই_কোরান_ও_হাদীসের_ভিত্তিতে_প্রনীত_হবে !!
(সূত্র --Morning News, Dhaka, 8 October 1972)
TO BE CONTINUED
মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি --৩য় পর্ব
১৯৭২ সনে মাওলানা ভাসানী পল্টন ময়দানের জনসভায় হুংকার দিয়ে বলেন..."আমি বাংলাদেশকে ভিয়েতনাম করে ছাড়বো। আমি এদেশে প্রতিবিপ্লব ঘটাবো!!"
(সূত্র --দৈনিক বাংলা, ২৪শে আগষ্ট, ১৯৭২)
--যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনের কাজে যখন সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন, সেখানে মাওলানা সাহেবের এই উস্কানি প্রকারান্তরে স্বাধীনতা বিরোধী এবং ষড়যন্ত্রকারীদের উৎসাহ জোগায়।
তাছাড়া ছাত্রলীগের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট নূরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্রে উত্তরণ এবং আ স ম রবের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের একটি অংশ পল্টন ময়দানে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সশস্ত্র সংগ্রামের ঘোষণা দেয়। ছাত্রলীগের এই ভাঙ্গনের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন এবং মুক্তিযোদ্ধা ফ্রন্টগুলোতে ভাঙ্গনের সুর বেজে উঠে। গঠিত হয় জাসদ যেখানে পুঁজিপতি, শোষক শ্রেণী এবং বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল চক্র অর্থ, সম্পদ সহ বিভিন্ন উপায়ে সহযোগিতা করতে থাকে।
৭৪ সালে জাসদ কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে বিপ্লবী গণবাহিনী গঠন করে। এই গণবাহিনীর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল সর্বহারা পার্টির মেজর জিয়া এবং সেনাবাহিনীর তৎকালীন ডেপুটি চীফ মেজর জেনারেল জিয়ার।
(সূত্র --বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, পৃষ্ঠা -৪৬)
To be Continued
মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি --চতুর্থ পর্ব
গণতান্ত্রিক অধিকারের সুযোগ নিয়ে জাসদ প্রকাশ্যে অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করে। ৭৪ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাসদ তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করতে অগ্রসর হয়। পুলিশ তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করলে মিছিল হতে পুলিশের প্রতি গুলিবর্ষণ করা হয়। জাসদ হাইকমান্ড সারাদেশে সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য লিফলেট বিতরণ করে। সমগ্র দেশে শুরু হয় খুন, ডাকাতি, রাহাজানি, হাইজ্যাকিং। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে।
৭৪ এর প্রলয়ংকরী বন্যায় দেশের ফসল উৎপাদনে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি পাওয়া যায়। এই সুযোগে আন্ডারগ্রাউন্ড সশস্ত্র গ্রুপগুলো তাদের কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটায়। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিতে ২৮শে ডিসেম্বর ৭৪ সমগ্র দেশে জরুরি অবস্থা জারী করা হয়।
জরুরি অবস্থা জারীর পর দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। দ্রব্যমূল্য কমে যায় এবং আন্ডারগ্রাউন্ড সশস্ত্র গ্রুপগুলো আত্মরক্ষার্থে ডীপ আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়।
বাকশাল গঠিত হওয়ার পর জাসদ সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতির জন্য গুপ্ত প্রচারণা চালায় এবং লিফলেট বিতরণ করে। বিপ্লবী গণবাহিনীতে যোগদানের জন্য জাসদ জনগণের প্রতি আহ্বান জানায়। পরবর্তীতে মেজর জলিল ও আ স ম রব দেশবাসীর নিকট স্বীকার করে যে, খুবই গোপনে বিপ্লবী গণবাহিনী গড়ে তোলা হয় এবং সংগঠিত করা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক ভাইদেরকে "বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার " মাধ্যমে।
জাসদের এই সশস্ত্র সংগ্রামে যে দেশীয় কিছু কুচক্রির যোগসাজশ ছিল তা নয়, এই অপতৎপরতার সাথে জড়িত ছিল বিশ্ব মোড়েল যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ। জাসদ নেতৃবৃন্দ সিআইএ লোক বলে কথিত জনৈক পিটার কাস্টারের নিকট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে।
(সূত্র -/বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, পৃষ্ঠা ৪৮)
To be continued
মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি --৫ম পর্ব
মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাপ ভাসানী, জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কম্যুনিস্ট পার্টি (লেলিনবাদী) এবং শ্রমিক-কৃষক সাম্যবাদী দলের সমন্বয়ে
#যুক্তফ্রন্ট গড়ে উঠে (১৯৭৪)। মাওলানা সাহেব বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে নন স্টপ অভিযোগ করতে থাকে।
পাশাপাশি আন্ডারগ্রাউন্ড দল পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি, পূর্ববাংলার সাম্যবাদী দল (এম এল), পূর্ববাংলার কম্যুনিস্ট পার্টি (এম এল) পূর্ব পাকিস্তান কম্যুনিস্ট পার্টি প্রকাশ্য ও গোপণ তৎপরতা চালায়।
(সূত্র -/বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ)
এই দলগুলো গেরিলা কায়দায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর আঘাত হানে, খুন করতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। ব্যাংক ডাকাতি, থানা লুট সহ খুন-জখম বাড়তেই থাকে। তারা রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পে পর্যন্ত হামলা চালায়। আন্ডারগ্রাউন্ডের এই সশস্ত্র দলগুলোর সাথে ৭৪ সনের জুন -নভেম্বর মাসে কমপক্ষে ১০০ বার পুলিশ ও রক্ষীবাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
(Ref....The Statesman, Weekly, 21 December 1974)
স্বাধীনতার পরপরই এই অতি উগ্র চীনপন্থী দলগুলো কখনো "স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ " কখনো "সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব " কখনো "মুসলিম বাংলার " শ্লোগান দিয়ে মূলত ৩০ লক্ষ শহীদ আর লক্ষ লক্ষ মা -বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিপদগ্রস্ত করে তুলে এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের এক প্লাটফর্মে জড়ো করে। রাজনৈতিক মুরুব্বি হিসাবে এর দায়ভার এড়ানোর কোন সুযোগ নাই মাওলানা সাহেবের।
পাকিস্তান ও চীন প্রদত্ত অস্র নিয়ে তোয়াহা ও আবদুল হক চীনের নীতির সমর্থক হিসাবে পাকিস্তানের অখন্ডতা বজায় রাখা তাদের পবিত্র কর্তব্য বলে ঘোষণা করে।
(Ref....Explosion In Sub Continent : India, Pakistan, Bangladesh --edited by Robin Blackburn, Penguin Books (1975) , Page 316 & Bangladesh :The Unfinished Revolution, Lawrence Lifschutlz, p -22).
To be continued
মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি --ষষ্ঠ পর্ব
জাসদের গণবাহিনী ও চৈনিক পন্থী সশস্ত্র দল ও গ্রুপ এবং স্বাধীনতা বিরোধী উগ্রপন্থী চক্র মিলে দেশব্যাপী ব্যাংক, থানা লুট করা শুরু করে। তাতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে।
দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য ব্যাপক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চলতে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাটের গুদামে আগুন লাগিয়ে দেয় চরমপন্থি সশস্ত্র গ্রুপগুলো। ৭৪ সনের ১১ই সেপ্টেম্বর ঘোড়াশাল সার কারখানার কন্ট্রোল রুম উগ্রপন্থীরা বড় ধরনের বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দেয়। তৎকালীন মুদ্রায় ক্ষতি হয় বৈদেশিক মুদ্রায় ১৫০ মিলিয়ন টাকা। ১০ মাস পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকে।কৃষকদের মাঝে সার বন্টনের মাত্রা হ্রাস পায়। ফলে ফসল উৎপাদনের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
(সূত্র --Who Killed Mujib, I bid --page 20.....এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ)
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু সকল মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালে নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিমলীগ, পিডিপি, নেজামে ইসলাম, জামাতে ইসলাম প্রভৃতি দল মিলে "জাতীয় গনতন্ত্রী দল "গঠন করে দেশব্যাপী মসজিদ -মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদলীয় কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে সাধারণ জনগণের মাঝে মারাত্মক বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় বামপন্থি দলগুলো উগ্র ডানপন্থিদের সাথে মিলে চারিদিকে গুজব আর মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কৌশল গ্রহণ করে। সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের বিস্তার ঘটে। ভারত বিরোধিতার নামে মূলত স্বাধীনতার অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রক্রিয়া জোরেশোরে শুরু হয়। এক্ষেত্রে মাওলানা সাহেব বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আজগুবি সব অভিযোগ এনে সরকারকে অস্থিতিশীল করার কৌশল গ্রহণ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী চক্র যা
#হলিডে_চক্র নামে পরিচিত ছিল --এই হলিডে চক্র মাওলানা সাহেবকে সামনে রেখে পরিকল্পিত মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয় .....
To be continued
মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি --৭ম পর্ব
গত পর্বে স্বাধীনতার বৈরী শক্তি "হলিডে চক্র" এর তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এই চক্র মাওলানা সাহেবকে সামনে রেখে যে মিথ্যাচার করেছিল তা নিম্নরূপ :
১) ভারত বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার মতলবে গোপনে বিপুল অংকের জাল নোট বাজারে ছেড়েছে।
২) বাংলাদেশের শিল্প কারখানার কলকব্জা ভারতে পাচার করা হয়েছে।
৩) বাংলাদেশের সব.গাড়িকে ভারতে পাচার করা হয়েছে।
৪) বাংলাদেশ হতে ৬০০০ (ছয় হাজার) কোটি টাকার সম্পদ ভারতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
৫) ভারতের সংগে একটি গোপণ চুক্তি স্বাক্ষর করে বঙ্গবন্ধু সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়েছে।
৬) মুজিব ভারতের পুতুল সরকার এবং বাংলাদেশ ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
--লক্ষ্য করে দেখুন, এই প্রতিটি মিথ্যাচার আজো বিএনপি -জামায়াত চক্র করে যাচ্ছে। এই অপপ্রচারে অংশ নিয়ে মাওলানা সাহেব ষড়যন্ত্রকারীদের আশ্রয়দাতা এবং ৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের ভিত তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন।
--উপরের প্রতিটি অভিযোগ পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু ক্ষতি যা হবার তাতো হয়েছেই। আমরা হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুকে এবং বিশ্ব হারিয়েছে.শোষিতের পক্ষে কথা বলার মত একজন নেতাকে।
To be continued
মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি--৮ম পর্ব হলিডে ইন চক্র মাওলানা ভাসানীকে সামনে রেখে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়, যার মধ্যে একটি হলো জাল_নোট প্রসঙ্গ। চারিদিকে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে, ভারত সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য দ্বিগুণ নোট ছাপিয়ে বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত থেকে ৩৫০ কোটি টাকার নোট ছাপানো হয়। চারিদিকে গুজবের প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর সরকার ভারতীয় নোট প্রত্যাহারের জন্য এক মাস সময় দেয়। কিন্তু হলিডে ইন চক্র প্রচার করতে লাগলো যে, আওয়ামী লীগ নেতাদের লক্ষ লক্ষ টাকা ভারতে রয়েছে, তা বদলানোর জন্যই এই দীর্ঘ সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। এই চক্র আরো প্রচার করে যে, পাকিস্তানি নোট অচল ঘোষণায় যেখানে মাত্র ৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ভারতীয় নোট প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে কেন এক মাস ও পরে ১৫ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়???--এই মিথ্যাচারের জবাবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাহেব বলেন যে, পাকিস্তানের টাকার ব্যাপারটা হলো, নির্দিষ্ট তারিখের পর অচল ঘোষণা করে দেওয়া আর ভারতের ছাপানো সমস্ত নোট প্রত্যাহার করে নেওয়া। সত্যিই ভারত ৩৫০ কোটি টাকার বেশী নোট ছেপেছে কিনা তা জমা নেওয়ার পরই জানা যাবে। আর ভারত যদি বেশী নোট ছাপে তবে আমরা ক্ষতিপূরণ দাবী করতে পারবো।--১৯৭৩ সনের ৩১শে মে ভারতে ছাপানো টাকা জমাদানের শেষ তারিখ পার হওয়ার পর দেখা গেল বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক ইস্যুকৃত মোট পরিমানের চাইতে ৫৩ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪৮০ টাকা কম জমা পড়েছে।--এতে স্পষ্টতই প্রমাণ হয় যে, দ্বিগুণ বা জাল নোট ছাড়ার বিষয়টি ছিল বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধেএকটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। এটি ছিল সদ্য একটি স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধীদের অপপ্রচার এবং যাতে মাওলানা সাহেবের মতো লোকও জ্ঞাতে -অজ্ঞাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
সূত্র --বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
To be continued মুক্তিফৌজ - M.F4h
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি--৯ম পর্ব হলিডে ইন চক্রের মিথ্যাচারের আর একটি নমুনা হলো, বাংলাদেশের শিল্প-কারখানার কলকব্জা ভারতে পাচার করা প্রসঙ্গ। জাসদ, হলিডে চক্র এবং মাওলানা ভাসানী সহ স্বাধীনতার বৈরী শক্তি সমূহ অপপ্রচার চালাতে থাকে যে, মুক্তিবাহিনীর সাথে বাংলাদেশে যে মিত্রবাহিনী প্রবেশ করেছিল তারা যাবার সময় আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানের সকল কলকব্জা খুলে নিয়ে গেছে।--উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তথা পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প কারখানার অধিকাংশ মালিকই ছিল তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শিল্পপতি যাদের বেশীরভাগ যুদ্ধের আগে -পরে তাদের কল -কারখানার কলকব্জা, যন্ত্রপাতি, ব্যাংক আমানত ও নগদ অর্থে প্রায় ৭৮৫ কোটি টাকা সরিয়ে নেয়।--এইভাবেই প্রকৃত সত্য গোপন রেখে হলিডে ইন চক্র পরিকল্পিতভাবে ভারত বিরোধীতার আশ্রয় নিয়ে স্বাধীনতার অর্জন -কে কলংকিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। এই চক্রের আরো একটি অপপ্রচার ছিল যে, বাংলাদেশের সব গাড়ি ভারতে পাচার করা হয়েছে।-/
মাওলানা ভাসানী প্রচার করতে থাকে যে, কলকাতার রাস্তা -ঘাটে বাংলাদেশের মোটর যানে ভর্তি হয়ে গেছে। এটা ছিল কল্পিত মিথ্যাচার যার কোন ভিত্তি নাই। স্বাধীনতা যুদ্ধে কেউ কেউ তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। এই সকল গাড়ি শনাক্ত করার জন্য ভারতীয় কতৃপক্ষ সেইসব গাড়ির একটা বিশেষ নম্বর ইস্যু করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেইসব গাড়ির মালিক তাদের গাড়ি নিয়েই ফিরে এসেছিল।-/এইভাবেই মাওলানা সাব তার প্রতি বঙ্গবন্ধুর শ্রদ্ধা -ভক্তি ও ভালবাসার প্রতিদান দিয়েছিলেন!!
To be continued মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি --দশম পর্ব
মৌলানা ভাসানী, জাসদ, অতি বাম, চৈনিক পন্থী দল ও তাদের অনুসারীরা বলতে লাগলো যে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ভারতীয় নেতাদের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারতের অঙ্গুলী হেলনেই তারা চলে।
--খেয়াল করে দেখুন, স্বাধীনতার এতো বছর পরও বিএনপি -জামায়াত জোট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে আসছে। এই বিষয়টি মাথায় নিলে এটা পরিস্কার যে, বিএনপি মূলত মৌলানা ভাসানীর কথারই প্রতিধ্বনি করে আসছে। বর্তমান রাজনীতিতে বিএনপির ভূমিকা আর ৭৫ পূর্ব রাজনীতিতে মৌলানা সাহেবের ভূমিকা একই ছিল। বিএনপি -জামায়াত জোট যেমন স্বাধীনতার অর্জনকে বিতর্কিত করার সব প্রচেষ্টাই করে যাচ্ছে, তেমনি মৌলানা সাহেবও বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে একই ভূমিকা নিয়েছিলেন।
--এটা বাস্তবতা যে, বঙ্গবন্ধু দিল্লির অনীহা সত্ত্বেও পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ইসলামী সম্মেলনে। তাছাড়া, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য হিসাবে সৌদি আরব সহ চীন যারা পাকিস্তানের এক নম্বরের মিত্র বলে পরিচিত, তাদের সাথেও সম্পর্ক স্থাপনের সব প্রচেষ্টাই বঙ্গবন্ধু করেছিলেন।
--এতসব অপপ্রচার জনগণ বিশ্বাস না করলেও বিভ্রান্ত যে হয়েছিল তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
--সবচেয়ে স্পর্শকাতর অভিযোগ ছিল সীমান্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং রক্ষীবাহিনী গঠন নিয়ে। যেমন, দেশের সবকিছুই ভারতে চলে গেল কিংবা রক্ষীবাহিনীর পোশাক ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোশাকের মতো।
--স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবং প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে রক্ষীবাহিনী গঠন অনস্বীকার্য ছিল। মাত্র ২০ হাজার সদস্যের বাহিনী যাদের সবাই ছিল মুক্তিযোদ্ধা।
--রক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের মূল উদ্দেশ্যেই ছিল সামরিক বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ জাগিয়ে তোলা এবং শেষ পর্যন্ত হলিডে ইন গ্রুপ তাদের সেই কাজে সফল হয়।
--সমস্ত ঘটনার বিচার -বিশ্লেষণ করলে কিছুতেই কি মৌলানা সাহেবের দায় অস্বীকার করা যাবে??? কারণ, তিনি তো ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক মুরুব্বী।
To be continued
মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যার_পটভূমি --একাদশ পর্ব
পরপর ২ বছর বন্যা, অনাবৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদির ফলে ৭৪ সনে খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। পাশাপাশি খাদ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়হীনতা এই সংকটের অন্যতম কারণ।
--তৎকালীন সময়ে খাদ্য সচিব ছিলেন আবদুল মোমেন খান যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভায় খাদ্য মন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেন।
--প্রশ্ন হলো, যে ব্যক্তি ৭৪ সনে ব্যর্থ হলেন, সেই তিনিই বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পুরস্কৃত কেমন করে হলেন???
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র যা শুরু করেছিল আমেরিকা। আমেরিকার সেই ষড়যন্ত্র # ফুড_পলিটিক্স নামে পরিচিত ছিল। ৭৪ সালের শুরুতেই বাংলাদেশ সরকার খাদ্য ঘাটতি পূরণের জন্য কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার সাথে খাদ্য ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদন করে। কিন্তু আমেরিকা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে (৭৪) বাংলাদেশে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত দুটি বড় চালানের বিক্রয় চুক্তি বাতিল করে।
--কারণ হিসাবে দেখানো হয়, বঙ্গবন্ধুর সরকার কিউবার নিকট পাট বিক্রয় করেছে। কিন্তু একইসময়ে মিশরও কিউবায় তুলা বিক্রয় করেছিল। অথচ আমেরিকা মিশরের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করেনি। বরং ৭৪ সনের ৭ই জুন পি -এল ৪৮০ এর আওতায় ১ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল।
--আমেরিকার এই আচরণে দেখে মনে হয়, তুলার চাইতে পাট অধিকতর বিপজ্জনক অস্র। আজ আমেরিকা মানবতার কথা বলে!! ওহ গড!!
(তথ্য সূত্র --বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ)
To be continued
মুক্তিফৌজ - M.F
#বঙ্গবন্ধু_হত্যাকাণ্ডের_পটভূমি --দ্বাদশ পর্ব
এই পর্বে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদপত্র এবং সংবাদপত্র ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করা যাক ....
দৈনিক ইত্তেফাক...
দৈনিক সংবাদ ...
-/ ২৫শে মার্চ এই দুইটি পত্রিকার অফিস পাকবাহিনীর কামানের গোলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে দৈনিক ইত্তেফাকের মালিক পক্ষের হয়ে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞার জ্যেষ্ঠ পুত্র জেনারেল ইয়াহিয়ার নিকট থেকে তৎকালীন টাকায় ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পায় যা কিনা দৈনিক সংবাদপত্র পায়নি।
-/ সেই টাকা পেয়ে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞার জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে ইংল্যান্ড -জার্মানি সফর করেন অফসেট রোটারি ক্রয়ের জন্য। ফিরে এসে দৈনিক পাকিস্তান মুদ্রনালয় থেকে ইত্তেফাক ছাপাতে থাকেন।
-/ আবার দেশ স্বাধীন হলে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞার দুই সন্তান বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করে যুদ্ধ কালীন সময়ে বাংলাদেশে ইত্তেফাক প্রকাশ বাবদ #বকেয়া (!!) বিল আদায় করতে সমর্থ্য হয়। তাছাড়াও রোটারি মেশিন আমদানির জন্য ইত্তেফাক ১৭ লক্ষ টাকার ক্যাশ লাইসেন্স লাভ করে।
-/ পাক গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিক লিখিত বইয়ে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে তার পিতার যোগ্য সন্তান হিসাবে প্রশংসা করা হয়।
-/ তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞার প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে বঙ্গবন্ধু ৭৩ সনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা নুরুল ইসলাম ভান্ডারীকে বাদ দিয়ে আজকের ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সংসদ সদস্য করে নিয়ে আসেন।
-/ এরপরই শুরু হয় আসল খেলা!! ইত্তেফাক প্রকারান্তরে বঙ্গবন্ধুর সমাজতান্ত্রিক পদক্ষেপ গুলোর সমালোচনা/বানচাল করার জন্য কৌশলে কাজ করতে থাকে। কুখ্যাত কোলাবরেটর খোন্দকার আবদুল হামিদ # স্পষ্টভাষী নামের আড়ালে ইত্তেফাক পত্রিকায় লেখা শুরু করে। এই কুখ্যাত কোলাবরেটর দৈনিক আযাদ পত্রিকায় "মর্দে মুমিন " নামে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াতে থাকে।
-/ এই পত্রিকাটি সবসময়ই মার্কিনী লাইনের পত্রিকা। তারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কখনোই টু শব্দটি না করলেও বঙ্গবন্ধুর সমালোচনায় সিদ্ধহস্ত ছিল।
-/ ৭৪ এর দুর্গতি এবং বাসন্তীদের খবর এই ইত্তেফাকই প্রথম ছাপে যা ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
এনায়েত উল্লাহ খান ...
ইংরেজি সাপ্তাহিক হলিডে 'র মালিক।
বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে এই পত্রিকাটি সরাসরি সরকার বিরোধী কোন খবর না ছাপালেও কৌশলে সম্পাদকীয় কিংবা উপ সম্পাদকীয়তে বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রকাশ করতে থাকে। এই পত্রিকাটির অন্যতম কাজ ছিল ভারত -রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদগার করা এবং চীন -আমেরিকার দালালী করা।
স্বাধীনতার পরপরই এই পত্রিকাটি লিখে --/ "তাহলে কি আমরা ৬ কোটি লোক সকলেই দালাল? "
-/ অর্থাৎ জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর একটা সুচতুর কৌশল পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে একটা জনমত গড়ে তোলা। দালাল, রাজাকার, খুনী চক্র, মুসলিম লীগ ও জামাতী পান্ডারা যেহেতু এই ছয় কোটির মধ্যে, সেজন্য এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা মানেই বর্ণিত ছয় কোটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
-/ এই পত্রিকাটি স্বাধীনতার অন্যতম সিপাহশালার তাজউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে লিখে লিখে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন আহমেদের মধ্যে একটা বিরোধ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাতে থাকে। এবং শেষ পর্যন্ত এই হলিডে ইন চক্র সফল হয়। এনায়েত উল্লাহ খানের অবাধ যাতায়াত শুরু হয় বঙ্গভবনে।
-/ বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে এই এনায়েত উল্লাহকে একবার বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তার স্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করলে বঙ্গবন্ধু তাকে ক্ষমা করে দেন। অধিকন্তু বঙ্গবন্ধু তাকে প্রেসিডেন্টের তথ্য উপদেষ্টা পদে বহাল করেন যা ছিল বঙ্গবন্ধু সরকারের মারাত্মক ভুল।
-/ এই এনায়েত উল্লাহ খানের পরামর্শেই ১৯৭৫ সনের
#নিউজপেপার_অর্ডিনেন্স পাশ হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার দুই মাসের মাথায় এনায়েত উল্লাহ খান লিখেন --
"তিনি (বঙ্গবন্ধু) দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। জীবন দিয়ে তাকে সেই মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে।"
-/ মোশতাক ক্ষমতায় এসে এনায়েত উল্লাহ খানকে বাংলাদেশ টাইমসের সম্পাদক নিযুক্ত করেন। ৭ই নভেম্বর প্রতিবিপ্লবী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী পুনরায় ক্ষমতায় আসলে এনায়েত উল্লাহ খান লিখেন --
"বাংলাদেশ উইনস ফ্রিডম অর্থাৎ এতোদিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। "
-/ এই শুরু হয় এনায়েত উল্লাহ খানের নির্লজ্জ দালালী। স্বাধীনতার মূল্যবোধের উপর স্বাধীনতা বিরোধীদের উলঙ্গ নৃত্য শুরু হয়।
★ বঙ্গবন্ধু শেষ সময়টাতে যে নিরাপদ ছিলেন না তার বড় প্রমাণ হলো এই এনায়েত উল্লাহ খানের মতো সুবিধাবাদী চরিত্রের লোকের বঙ্গভবনে অবাধ যাতায়াত।
★★
তথ্যসূত্র --বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
মুক্তিফৌজ - M.F

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৫

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: অপপ্রচার চলছে চলবেই

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আফগান, আরব,পর্তুগীজ, ডাচ, বৃটিশ সর্বশেষ পাকিস্তানের পদানত জাতি স্বাধীনতার মর্ম বুঝবে কী করে? তাই সব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয় । মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে, "অাসলেই কি বাঙালি স্বাধীনতা চেয়েছিলো?"

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৫৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: বিশাল গবেষণা সমৃদ্ধ লেখা।

'তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম'
মোর পতাকার লাল সূর্য সম


হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী ।


১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি উনার পবিত্র স্মৃতির প্রতি ।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৬

রাফা বলেছেন: সরাসরি যারা অস্র হাতে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধিনতার বিরোধিতা করেছিলো তাদের কথাই শুধু জানে মানুষ।কিছু মানুষের বিরোধিতা ছিলো অন্তরালে।তারা যখন সদ্য স্বাধিনতা প্রাপ্ত সরকারের বিরুদ্ধে দাড়ালো তখন সেই সুযোগটা গ্রহণ করলো নিকৃষ্ট যুদ্ধাপরাধিরাও।

ভালো পয়েন্ট দিয়েছেন সাধারণ মানুষের জন্য ,যারা জানতে চায়।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাষানীর মত মানুষও ঐসব নৃপংসুকদের সাথে একাত্ম হয়েছিলেন । কী ট্রাজেডি! অথচ বঙ্গবন্ধু যেখানে তাঁকে পিতৃজ্ঞান করতেন । তাঁর কি উচিত ছিলোনা দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করা?

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:০১

আব্দুল্যাহ বলেছেন: কোন অজানা কারণে যেব 'বিএনপি ও জামায়াত সরকার' কথাটি বেশ প্রাধান্য পেয়েছে!
"যাই হোক রক্ষীবাহিনী নিয়ে অপপ্রচার" ও বাকশালে সংবাদ মাধয়মের ভুকিকা নিয়ে আপনার মতামত জানার ইচ্ছে রইল।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "মুজিব ঐ সময়ে তিনটি ব্যাপার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। একটি হলো, কতগুলো মহল তখনও অস্ত্র সমর্পণ করেনি। তারা সুযোগ পেলেই সেগুলো সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারতো। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কতিপয় মুক্রিযোদ্ধা নামধারী লুকানো অস্ত্রের অনেক গুপ্ত ভান্ডার গড়ে তুলেছিল। তিনি সে ব্যাপারে সচেতন ছিলেন।
দ্বিতীয়টি হলো, আমাদের সীমান্তের বিভিন্ন অংশ দিয়ে উভয় দিকে চোরাচালানের ব্যাপারে। এই চোরাচালান তাঁর অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারতো।
তৃতীয়টি ছিল, তাঁর দেশের প্রকৃত যুব ক্যাডারদের পূর্নবাসনের ব্যাপারে। তারা ভারতের কর্তৃপক্ষ দ্বারা ভালভাবে প্রশিক্ষিত ও অস্ত্র সজ্জিত হয়েছিল এবং পরবর্তিতে তারা প্রায় সবাই বেকার ছিল। এত বিরাট সংখ্যক তাদেরকে আত্তীকরণ করা সম্ভব ছিল না তাঁর ছোট সেনাবাহিনীর। তাদেরকে সবচেয়ে ভাল কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা তিনি তখনও ঠিক করেননি।
তিনি মনে মনে একটি ব্যাপার ভাবছিলেন। একটি বাহিনী যা মুক্তিবাহিনী ও মুজিববাহিনীর সকল দেশপ্রেমিক যুবাদের ধারণ করতে পারবে এবং দেশে আইন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে, পাশাপাশি বিধ্বংস অর্থনীতির পূর্নগঠণেও সাহায্য করতে পারবে। তিনি চাচ্ছিলেন এ বাহিনী অস্ত্রের সকল গোপন ভান্ডার খুঁজে বের করবে এবং যেসব লোক দেশের নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদের বের করে কৈফিয়ত আদায় করবে। তিনি আশা করছিলেন তাদেরকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী তৎপরতার জন্য এবং কৃষি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দেশ পূর্নগঠনের উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।
ঠিক এই মূল ভাবনা নিয়ে আমি বিস্তর মাথা ঘামিয়েছিলাম যখন এই ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ চলছিল এবং তাদের মনে এটা গেঁথে দেয়া হচ্ছিল যে তাদের দেশের মুক্তি অর্জনের পর সকল দেশপ্রেমিক তরুণদের দেশ পূর্নগঠনের জন্য কাজ করা আবশ্যিক ব্যাপার। কথাটি তরুণদের মাঝে আবেদন সৃষ্টি করেছিল এবং সিরাজের মত নেতারা তাদের বেশ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে এটা নিশ্চয়ই শেখের সাথে আলোচনা করেছিলেন এবং শেখের প্রত্যয় হয়েছিল যে এমন ধরণের একটি বাহিনী বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনবে খুবই সহযোগী হবে।
তিনি আমার সাথে বিষয়টি আলোচনা করলেন এবং আমি একমত থাকার কারণে এই বাহিনী গড়ে তোলার আদেশ দিলেন। তিনি বাহিনীর নাম দিলেন, জাতীয় রক্ষী বাহিনী (জে আর বি) এবং ঠিক হলো শুরুতে এতে ১২হাজার অফিসার এবং জওয়ান থাকবে। এর সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য তিনি এই বাহিনীকে নিজ কমান্ডের অধীনে রাখলেন এবং ঢাকাকে এর গ্যারিসন করলেন। চূড়ান্ত রকমের দক্ষ অফিসার কর্ণেল নুরুজ্জামানকে এই বাহিনীর কমান্ড করার জন্য বাছাই করলেন। আমাকে অনুরোধ করলেন এ বাহিনীকে সংগঠিত, প্রশিক্ষিত ও সজ্জিত করতে সাহায্য করার জন্য আমি যাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করি।"
মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত উপদেষ্ঠা হিসেবে ঢাকায় আসেন মেজর জেনারেল (অবঃ) সুজন সিং উবান। কথাগুলো তিনি তার রচিত "ফ্যান্টমস অফ চিটাগং - দি ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ" বই (অধ্যায় ১৮)তে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বাড়ীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না দেখতে পেয়ে তিনি তা জানালে জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, "আমি জাতির জনক। দিন বা রাতের যে কোন সময়ে আমার কাছে আসার অধিকার প্রত্যেকের আছে। কেউ যদি কষ্টে থাকে, তার সামনে তো আমি আমার দরজা বন্ধ করে দিতে পারি না।"

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রধান সব দলের সমন্বয়েই বাকশাল হয়েছে। সবগুলো দল মিলে সর্বসম্মত ভাবে দলের নাম বাকশাল দিয়েছে। বাকশাল একটা অন্তর্বর্তীকালিন অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল। বাকশাল কোন দল কে নিষিদ্ধ করেনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য দেশের সব গুলো দল সর্বসম্মত ভাবে বাকশালে যোগ দেয়। আওয়ামীলীগের কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত সবগুলো দলই কোন বড় বিতর্ক না করে সর্বসম্মত ভাবে যোগ দেয়। এর ধারা সমূহ সম্পূর্ণ মেনে নিয়ে সকল কট্টর আওয়ামী বিরোধী প্রাইম নেতৃবৃন্দ কোন বড় বিতর্কে না যেয়ে সবাই এই "জাতীয় দল" বাকশালে যোগ দেয় (ইত্তেফাকের মইনুল বাদে) । ন্যাপ (মোজাফফর), কমুনিষ্ট পার্টি (মণি সিং) সহ দেশের সব গুলো রাজনৈতিক দল সর্বসম্মত ভাবে বাকশালে যোগ দেয়।
জামাত পাকিস্তানে পলাতক ছিল। একটি দলও এর বিরোধিতা করে নি। এর বিরুদ্ধে একটা মিছিল বা একটি হরতালও হয়নি।
তাজউদ্দিন বাকশালে যোগ দিলেও বাকশালের প্রবল বিরোধী ছিলেন,
মন্ত্রীপদ ছেড়ে দিলেও, বাকশাল ও দলের সদস্যপদ ছিল, সংসদসদস্য পদও ছিল।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


" মাওলানা ভাষানীর ন্যাপ, আ স ম রব, শাজাহান সিরাজের জাসদ, কমুনিষ্ট পার্টি সহ, দেশের সব গুলো রাজনৈতিক দল সর্বসম্মত ভাবে বাকশালে যোগ দেয়। "

-কি সব ভুল কথা লিখছেন? না জেনেশুনে এসব কেন লিখছেন? মওলানা শেখ সাহেবকে ফাননষী থেকে বাঁচায়েছেন একা।
জাসদ ও মওলানা ভাসানী 'বাকশাল' এ যোগদান করেনি! যারা বাকশাল বুঝে, যারা বাকশালের অংশ ছিলেন, তাঁদের থেকে জেনে নিয়েন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: স্যরি, একটু ভুল হয়েছিলো; এডিট করে দিয়েছি ।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

নীলপরি বলেছেন: উপস্থাপনার গুণে তথ্যপূর্ণ পোষ্টটা পড়তে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ, নীলপরি! ভালো থাকুন ।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: ইতিহাস লেখা মনে হল। কিছুটা ভুল ভাল থাকতেই পারে! ভাল লাগল তবে কিছু উপসংহার বিতর্ক আনতে পারে নাকি? বেশী জানা আমার জন্য ভাল না। ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভুল থাকার তো কথা না! তারপরও ভুল হলে ধরিয়ে দিতে পারেন ।
এই লেখার উপসংহার নেই । বিতর্ক অাসতে পারে অবশ্য । সে যাই হোক ।
শুভেচ্ছা ।

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। ধন্যবাদ

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো ।

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক তথ্য জানা হল ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা । ভালো থাকুন ।

১০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নীলপরি বলেছেন: আপনার কথামতো আনারকলি আর সেলিমকে নিয়ে একটা পোষ্ট দিলাম আজ । জানিনা কেমন হয়েছে , তবে আপনি দেখলে আমার ভালো লাগবে ।

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এত চক্রান্ত!!!

ইট ওয়াচ রিয়েলি বাই দ্যা ইনফ্লুয়েন্স অব ফরেইন রেপ্টাইলস!

বাংলাদেশি ইন্সেক্টস মেড দেয়ার ড্রিম ট্রু!


বংগবন্ধু হত্যার অভিশাপগ্রস্ত এ জাতির কপালে আরো দুঃখ আছে!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: He was unable to find out his enemies.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.