![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
গাজীপুরের কোণাবাড়িতে থাকতাম তখন। পড়াতাম একটা বেসরকারি স্কুলে। স্কুলটার নাম ‘জেনুইন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল’। যাদের শহরের ছেলেমেয়েদের পড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে, তারা জানেন এখনকার ছেলেমেয়েদের সামলানো কী কঠিন। শুধু পড়ালেখার কথা বলছি না। এদের আচরণ ঠিক করা, মনমতো চলা, ক্লাসে মনোযোগ ফিরিয়ে আনা- এসব যে কী কষ্ট, অভিজ্ঞরাই কেবল জানেন। ঘাম বেরিয়ে যায়।
প্রায় ১০-১২টা স্কুলে পড়িয়েছি। টিউশনিও করিয়েছি অনেক। কত যে বিচিত্র রকম অভিজ্ঞতা! শুরুতে সামলাতে না পারলেও ধীরে ধীরে অভ্যস্ততা চলে আসে। একটা সময় এমন হয়েছে যে, ছেলেমেয়েদের গালমন্দ বা মারপিট করলেও মন খারাপ করত না। অবশ্য ওরা দ্বিধায় পড়ে যেত আমার আসল রূপ কোনটা সেটা ভেবে। আমি বকাঝকা বা মারধর করি। আমি দুষ্টলোক এটা। নাকি আমি সাহিত্যমনা। ওদের আদর করি। ভালো লোক।
মাঝেমধ্যে রাগারাগি করে অফিসে এসে বলতাম, ইচ্ছামতো বকাঝকা করেছি। মারধরও করেছি। সহকর্মীরা বলতেন, “আসলেই? আপনি বকতেও পারেন?” আমি বুঝাতেই পারতাম না যে আমি মাঝেমধ্যে ক্রুদ্ধ হয়ে যাই।
সেখানে থাকতে থাকতে সবার প্রিয় হয়ে ওঠেছিলাম। এমন হয়েছে প্রতিষ্ঠানে কাকে নিয়োগ দেবে, না দেবে, পরীক্ষার প্রশ্ন, উত্তর সব আমি দেখতাম। আমার পরামর্শে প্রধান শিক্ষক শিক্ষক নিয়োগ দিতেন।
একবার এক শিক্ষক এসে পরীক্ষা দিলেন। মোটামুটি ভালো হয়েছে পরীক্ষা, কিন্তু ক্লাসে গিয়ে পড়াতে পারেন না। ছেলেমেয়েরা পছন্দ করে না। আমি তার সম্পর্কে ভালো জানতাম। প্রথমদিন হয়তো ভ্যাবচ্যাকা খেয়ে গেছেন। প্রধান শিক্ষককে বলায় কেবল আমার সুপারিশেই তার চাকরিটা হলো।
যদিও অন্যান্য সেক্টরে তেমন সুবিধা করতে পারিনি। সরলতা কোনো কাজে লাগেনি। কাজে আসেনি ভালোমানুষি। সবাই নিজের মতো করে চলে। অবস্থান দেখে মানুষের মূল্যায়ন করে। সেসব অন্য আলাপ। এখন বিব্রতকর একটা ঘটনা শেয়ার করব।
সপ্তম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছি। আলামিন নামের এক ছাত্র বলল, “স্যার, ওয়াশরুমে যাব। খুব জরুরি।” আমি সরল মনে তাকে যেতে দিলাম। প্রায় প্রতিদিনই দেখি সে ওয়াশরুমে যায়। দেরি করে আসে।
একদিন দেখি সে ওয়াশরুমের কথা বলে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে। আমলে নিলাম তার মতিগতি। পরদিন যখন বলল, স্যার, ওয়াশরুমে যাব। আমি না করলাম। সে বলল, “ক্লাসে করে দেব, স্যার।” “করে দাও।” আমি বললাম।
একটু পর এক ছাত্র বলে উঠল, “স্যার, আলামিন ক্লাসে প্রস্রাব করে দিয়েছে।” আমি দেখলাম সত্যি সত্যি সে একটা বোতলে প্রস্রাব করে দিয়েছে। বললাম, “এটা কী করলে?” সে বিব্রতভাবে বলল, “স্যার, আমি কিন্তু বাইরে যেতে চেয়েছিলাম। আপনিই যেতে দেননি।”
আমি বললাম, “তোমার অবস্থা ওই মিথ্যাবাদী রাখালের মতো হয়েছে, যে প্রতিদিন বাঘ, বাঘ বলে চিল্লাত। লোকজন তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসত। তার মিথ্যা কথায় বিরক্ত হয়ে তারা যখন আসা বাদ দিল, একদিন সত্যি সত্যি বাঘ এলো। রাখালের চিৎকারে কেউ আর এগিয়ে এলো না।”
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুম।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাখালের গল্প থেকে অনেকে উল্টো শিখে, যেমন মিথ্যা বললে মানুষ দৌড়ে আসে, সত্য বললে কেউ আসে না
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এমনটাই বেশি হয়।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ত্যাঁদড়া আর কারে কয়?
তবে, ক্লাসের দুষ্টু ছেলেগুলো খুব সাহসী ও প্রাণখোলা হয়। আমাদের ক্লাসের সেরা দুষ্টুগুলোর কথা এখনো আমি ভুলতে পারি না। ওদের একটা আলাদা জগত থাকে। সেই জগতে ওরা কত কী যে করে, তার ইয়ত্তা নাই।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আবার এরা শিক্ষকদের ভালোও বাসে। আমার কয়েকজন ত্যাঁদড় ছাত্র ছিল। এরা আমাকে পথেঘাটে কোথাও পেলে টেনে বাসায় নিতে চাইত। কী খাওয়াবে না খাওয়াবে; এ চিন্তায় অস্থির হয়ে যেত। তবে সবচেয়ে ভালো লাগত যে আমি বকাঝকা বা মারধর করলে কখনোই রাগ করত না। আমি নিজেই অনুতপ্ত হলে বলত, স্যার তো মারতেই পারে।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটা গতকাল পড়েছি। কিন্তু মন্তব্য করা হয় নাই।
আমি শাইয়ান ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি।
শাইয়ান ভাইয়ের কাছে একটা ল্যাপটপ আছে। শাইয়ান ভাই তার ল্যাপটপ ইসিয়াককে দিয়ে দিবে। আপনি ইসিয়াককে বলেন, শাইয়ান ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উনাদের যোগাযোগ হয়েছে।
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অতি উত্তম।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ক্লাশে প্রস্রাব করা?
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সোনাগাজী বলেছেন:
ব্লগার ইসিয়াককে বলবেন, ব্লগার সত্যপথিক শায়্যায়ন কয়েকটি ল্যাপটপ দিতে চাচ্ছন; উনাকে ০১৮৬৪৬২৪৬৪৪ ( উনার শেষ পোষ্ট ) ফোন করতে।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শাইয়্যান ভাই আমাকে নক করেছেন। আমি ইসিয়াক ভাইকে জানিয়েছি। উনাদের যোগাযোগ হয়েছে।
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ক্লসের মধ্যে প্রস্রাব!! এইসব ছেলে-পেলেকে চাপকিয়ে পিঠের চমড়া তুলে ফেলা উচিৎ
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখনকার আলালের ঘরের দুলাল/দুলালিদের গায়ে হাত তোলা বারণ!
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই বিব্রতকর একটা পরিস্থি্তির সৃষ্টি হয়েছিল। অবশ্য ছেলেটাকেও খুব একটা দোষ দেয়া যায় না, কারণ সে অনুমতি চেয়েছিল।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওর মতিগতি বোঝা কঠিন ছিল। কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা বোঝা যায়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৯
সোনাগাজী বলেছেন:
ওটা কি ধরণের স্কুল ছিলো, প্রাইভেট?