নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবাহবিচ্ছেদের নতুন কারণ ও লোভের খেসারত

১০ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৩


চারদিকে সমস্যার শেষ নেই। খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা, জমিদখল- কোনোকিছুই বাদ যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে অপরাধীরা পাল্লা দিয়ে অপরাধ করছে। কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে, তার চেষ্টা চলছে। এত সবের মধ্যে দুটো বিষয় নিয়ে লিখছি। তবে মূল বক্তব্য একই, লোভ।

দৈনিক কালবেলা সূত্রে জানলাম, বর্তমানে প্রতি ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে একটি করে তালাক হচ্ছে মেহেরপুর জেলায়। একবছর আগে প্রতি ৫ ঘণ্টায় একটি করে তালাকের ঘটনা ঘটত। ফেসবুক ও টিকটকের অপব্যবহারকে এতদিন বিবাহবিচ্ছেদের বড় কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছিল। এছাড়া স্বামীর পরিবারে স্ত্রীর পিতা-মাতার অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ, সঠিকভাবে স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে না পারা এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া- এসব কারণ তো ছিলই। এছাড়াও ছিল স্বামীর মাদকাসক্তি, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করা, স্বামীর অন্যায় সহ্য না করা ইত্যাদি। আবার বিয়েকে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে নিয়েও অনেক নারী বিচ্ছেদ ঘটাতেন।

চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে একটা বিশেষ কারণ দেখিয়ে ৬৬ জন নারী তাদের স্বামীকে তালাক দিয়েছেন আর কারণটি হলো- অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনোতে সম্পৃক্ততা।

মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ হাজার ২৬টি বিয়ের বিপরীতে তালাক হয়েছে ২ হাজার ১০টি। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলাতে মোট ২ হাজার ১০০ বিয়ের পাশাপাশি ১ হাজার ৯২৯টি তালাক রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে জেলাতে তালাকের হার বেড়েছে।

বিবাহবিচ্ছেদ এখন সারাদেশেই প্রকট আকার ধারণ করেছে। অন্যান্য অনেক কারণ তো আছেই, নতুন সংযোজিত কারণ সারাদেশে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে বোঝা যাচ্ছে।


চলতি বছর অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে মাদারীপুর জেলার অন্তত ১৬ জন যুবক মারা গেছেন। এরমধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি মৃত্যু হয় রাজৈর উপজেলার ১০ যুবকের।

ঢাকা পোস্ট জানাচ্ছে, গত রোববার (৯ মার্চ) আরও দুই যুবকের মৃত্যুর খবর আসে। তারা হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের চরমস্তফাপুর গ্রামের আবু হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার ও একই উপজেলার শাখারপাড়ের সিদ্দিক মাতুব্বরের ছেলে নাসির মাতুব্বর।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বের হন সুমন। লিবিয়া পৌঁছে ৪ মার্চ ইঞ্জিনচালিত নৌকায় রওনা দেন তিনিসহ ১০ জন। মাঝপথে ভূমধ্যসাগরে নৌকার ইঞ্জিনে আগুন ধরে। এতে পানিতে ডুবে মারা যান সুমন। তার মা মারা গেছেন ১০ বছর আগে। দুই ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন। বাবা কৃষক। পরিবারের হাল ধরতেই ইউরোপের দেশ ইতালি যেতে চেয়েছিলেন সুমন। রাজৈরের শাখারপাড়ের আলী মোল্লার ছেলে আরিফ মোল্লার মাধ্যমে সুমনকে ১৭ লাখ টাকা চুক্তিতে পাঠানো হয়েছিল এবং ১৬ লাখ টাকা চুক্তি করে নওগাঁর দিপু দালালের মাধ্যমে গিয়েছিল নাসির। কথা ছিল লিবিয়া দিয়ে ইতালি নেবে।

মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য আরিফ মোল্লার পরিবারের সদস্যরা জানান, আরিফ ৩ মাস যাবত লিবিয়া থাকেন, কিন্তু তিনি কোনো লোক ইচ্ছে করে নেননি। বাড়িতে এসে জোর করে তার বাবা আলী মোল্লার কাছে পাসপোর্ট ও টাকা দিয়ে গেছে।

কী বোঝা গেল? ১৭ লাখ টাকা খরচ করে অবৈধপথে ইতালি যেতেই হবে? কয়েকদিন আগে দেখলাম এক লোক ষাট লাখ টাকা খরচ করে যাচ্ছিল। যাওয়া আর হয়নি।

এই যে লোভ- এটাই মানুষকে ধ্বংস করছে। এত এত মানুষ মারা যাচ্ছে, তাও তাদের হুঁশ হয় না? আমি বলছি না দেশেই থাকতে হবে। দেশে সুবিধা করতে না পারলে বিদেশে যাবেন অবশ্যই, কিন্তু অবৈধপথে কেন? বৈধপথে গিয়ে মোটামুটি উপার্জনে সন্তুষ্ট থাকা যায় না? নিজের জীবনের দাম নেই?
ছবি

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০০

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: যতো টাকা খরচ করে একজন মানুষ ইতালি যায় সেই টাকা ইনভেস্ট করে দেশে গরু বা ছাগলের ফার্ম করলে বেশি লাভ। আর বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়ে যাওয়া মানে মেয়েরা আগের জেনারেশনের মত মুখ বন্ধ করে সব সহ্য করতে চায় না। তাদের নিজের জীবন আগে গড়তে দিতে বাবামাকে হেল্প করা উচিৎ। ভালো লিখেছেন ।

১০ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যথার্থ মন্তব্য করেছেন।

২| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:২৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লোভে পাপ...

১০ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পাপে মৃত্যু।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:১২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: তালাক/বিবাহ বিচ্ছেদ একটা বড় ব্যবসা, এবং এটা আরও বড় হচ্ছে! শিরোনামে বেশ আগে একটা লেখা লিখেছিলাম।

১১ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যৌক্তিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.