নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাবে সামান্যে কি তার দেখা....

রূপকথার রাজকন্যা

পাবে সামান্যে কি তার দেখা ....পাবে সামান্যে কি তার দেখা...বেদে নাই যার রুপরেখা

রূপকথার রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবনা, হেমায়েতপুর, পাগলা গারদ, পাগল....

১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০৪

পাবনা শুনলেই আমাদের মনে কেনো জানি চলে আসে পাগলাগারদ আর হেমায়েতপুর এর নাম। আমার দেশ পাবনা। কাউকে এটা বলা মাত্রই তার মুখে মুচকি হাসি দেখা যায়। ওহ তাই নাকি?? তো হেমায়েতপুরের কোন দিকে?? এটা থাকে পরের প্রশ্ন। আমিও বলি আরে আমরা তো পাগলপ্রুফ। যারা পাগল তাদের চিকিতসা করি। তাই পুরা বাংলাদেশ এর বাকি সব পাগলেরা এখানে আসে।

যাই হোক।

একবার শখ হল যাই পাগলখানা দেখে আসি। তখন ক্লাস ১ এ পড়ি। গেলাম। আমি যেন এর থেকে বড় মজাদার নাটক আর দেখিনি।

অনেক দিন কেটে গেল এরপর। পাবনায় যাওয়া হয় কিন্তু পাগলাগারদ আর দেখা হয়না। যখন মেডিকেলে ২য় বর্ষে পড়ি তখন মনে হল আবার দেখে আসি কি অবস্থা ওখানকার। গেলাম আবার হেমায়েতপুর পাগলা গারদে। ছোটবেলায় একবার দেখা সেই মজাদার নাটকের পিছনের একেকজনের চোখের জল, বিপন্ন মানবিকতা, নিষ্ঠুরতা, বিশ্বাসঘাতকতা সব তখন দেখতে পাচ্ছিলাম। ছোট বেলায় যে ভাষা আমি বুঝিনি তা তখন পৃথিবীর নিষ্ঠুরতব সত্য হয়ে সামনে দাড়াচ্ছিল।

প্রথমে গেলাম পুরুষদের সাধারন ওয়ার্ডে। ওখানে পায়ে শিকল বেধে কোরবানীর গরুর মত আটকে রাখা হয়েছে কতকজনকে(মানুষ বলব কিনা জানিনা, কারন এরা যে জীবন পার করছে তা মানুষের জীবন হতে পারে না)। ডাক্তার বলে ভিতরে ঢুকতে চাইলাম। কিন্তু মেল ওয়ার্ডে ফিমেল ডক্টরের সিকিউরিটি প্রবলেম হতে পারে বলে পারমিশান দিলনা। তবে বাইরে থেকে পেশেন্টএর সাথে কথা বলা যাবে। প্রথমে একজনকে জিগেস করলাম কি হয়েছে আপনার?ছেলেটার বয়স ২২ -২৩ হবে। জবাব দিল আমার কিছু হয় নাই। আমাকে এখানে আটকায়ে রাখছে। জমি জমা নিয়ে বিরোধ করে আমার চাচা আমাকে এখানে আটকানোর ব্যবস্থা করছে? আমার মা কে কোথায় রাখছে কে জানে? আমার মায়ের আমি ছাড়া কেউ নাই.।আমি ও এখানে থেকে বের হতে পারতেছিনা বলে মায়ের খোজ নিতে পারতেছিনা.।বলে হাউ মাউ করে কান্না শুরু করল।পাশে থেকে দারোয়ান বলল এই চুপ থাক্ উলটা পালটা কথা বললে দিব একটা মাইর। আমি হতবাক!! এর পরে আরেক জন জানালার পাশে থেকে হাত ইশারা করে কাছে ডাকল। কাছে যেতেই ২ টাকা র একটা নোট দিয়ে বলল আমার ঠিকানা বলতেছি আমার বাসায় জানাতে পারবেন আমি বাচতে চাই না। আমি অবাক হলাম। কিছু জিগেস করব তার আগেই দাড়োয়ান বলল- দেখছেন পাগল কি বলে??

কি হতে পারে একটা মানুষের জীবনে যার জন্য মানুষ বাচতে চায় না!! কি অমানুষিক যন্ত্রনা যখন মৃত্যুও যন্ত্রনার অবসান ঘটাতে পারেনা। আমার খুব ইচ্ছা হচ্ছিল তার কষ্টের কথাগুলো শুনি। কিন্তু সম্ভব হলো না দাড়োয়ান এর কারনে।দাড়োয়ান আরেক পাগল কে ডাকল....এই এদিকে আয় ইনাদের গান শুনায়ে যা। উনি এসে গান শুনাতে শুরু করল। আমি উনার দিকে চেয়ে রইলাম।

কিন্তু কি কষ্টকর এই যে জীবন। ভালবাসার অভাবে অনেকে পাগল হয়। পাগলা গারদে এদের বন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু কেন?? ভালবাসার কতটা অভাব এদের! কেউ কি নেই পৃথিবীতে এদের কে ভালবেসে কাছে টেনে নেয়ার। কেউ কি ছিলনা তার মানসিক বিপর্যয়ের সময়ে তার পাশে থাকার!! এত টাই কি সে হতভাগা। পৃথিবী কি এতটাই ভালবাসাহীন হয়ে গেছে যে ৫০০ কোটি মানুষের পৃথিবীতে সে একজন ও মানুষ পায় নি যে তাকে আপন করে নেবে? মা , বাবা, ভাই বোন, প্রেমিকা, স্ত্রী, সন্তান , বন্ধু কেউ কি নেই? মানুষের নিষ্ঠুরতা কোন পর্যায়ে পৌছালে ভাইয়ের সন্তানকে শুধু মাত্র জমি র জন্য.....কিছু টাকা র জন্য এখানে পশুর মত বন্দী করে রাখে। কতটা অমানুষ হলে এটা সম্ভব?হয়ত এই মানুসটিই যেদিন জন্মেছিল সেদিন এই চাচাই ছিল সবচেয়ে আনন্দিত মানুষের দলে। হয়ত এই ভাতিজাকেই সে বাচ্চা কালে কোলে নিয়ে ঘুরেছে, কাধে চড়িয়ে বেড়িয়েছে। তারপরে কি হল?? ভালবাসা কি এত তারাতারি এই এক জীবনেই শেষ হয়ে গেল!! এই জীবন দেখার থেকে তাদের কে মেরে ফেলা ভাল। চাচা তুমি পারলে এসে একে মেরে ফেলে রেখে যাও। মৃত্যুর চেয়েও বেশী যন্ত্রনাদায়ক বেশি কঠিন এই জীবন।

আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না। তারাতারি বের হব। আমার ওখানে পুরা দম বন্ধ হয়ে আসছিল। আমি কি দেখছি এখানে?? কি দেখতে এসেছি??

ফিমেল ওয়ার্ডে যেতে চাইলাম। ফিমেল ওয়ার্ড সেদিন যে কোনো দর্শনার্থী ঢোকা নিষেধ । এক ফিমেল পেশেন্ট যে কিনা গত ৪-৫ বছর ধরে এখানে বন্দী সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। কেউ দোষ দেয় ডাক্তার কে, কেউ ওয়ার্ড বয় কে, কেউ দাড়োয়ান কে, কেউ মালিকে, কেউ বাবুর্চিকে। ফিমেল পেশেন্টের এখানে কিছু বলবার ই নেই। কারন সে পাগল। আল্লাহ পৃথিবী এত কঠিন কেন??

আমি চলে আসলাম। আর ভাল লাগলনা।

আমি আর পাগলা গারদে যাইনি কোনোদিন। দীর্ঘ্য সাত বছর পার হয়ে গেছে এরপর। আর যেতে ইচ্ছা করে না ওখানে। আমি মেডিকেলে পড়েছি, কাজ করেছি। অনেক অনেক অসুস্থ মানুষ দেখেছি। কিন্তু অসুস্থ মানুষের প্রতি নিষ্ঠুর নির্যাতন আর কি কোথাও দেখেছি? হা দেখেছি। ওটা অন্য কোনোদিন বলা যাবে।

যাই হোক। আমার জীবনে এরপর থেকে একটা পরিবর্তন এসেছে। আমার পাগলা গারদ নাম শুনলে হাসি পায় না। হেমায়েতপুর নাম শুনলে মুখ বাকা হয়ে যায় না। দুঃখ কষ্ট বেদনার নিস্থুরতার কত গল্প ওখানে জমা হয়ে আছে কে জানে!! আমার খুব জানতে ইচ্ছা হয়! ওদের কাছে গিয়ে ওদের কে ওখান থেকে মুক্ত করতে খুব ইচ্ছা হয়। কবে ওদের মুক্তি মিলবে?? আদৌ কি কোনো দিন ওরা খোলা আকাশ দেখতে পাবে? কি হবে?

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৫

অদেখা ভূবন বলেছেন: আপুনি তোমার লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল। একদিন আমাদের এই পৃথিবী অনেক সুন্দর ও সাবলীল হয়ে উঠবে যেখানে থাকবেনা কোন মহিলা পাগল। সেই প্রত্যাশ্যায় তোমার ব্লগ ঘুরে গেলাম। তোমার জীবন হয়ে উঠুক আরো সুন্দর ও মহৎ। উড়ে যাও তুমি পাগলদের দেশে। ঘুরে বেড়াও স্বপ্ন সাগরে। এরকম লেখা আরো বেশী বেশী চাই।এটাই মনে হয় তোমার প্রথম লেখা যেখানে তুমি 'কেন কেন' করনাই।

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৫৮

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: লেখাটা মনে হয় পুরা পড়ার সময় হয় নাই তাই না??

২| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:২১

শারমিন সোনালী বলেছেন: আমার বাড়িও পাবনা। পাবনায় নায় ভাবনা ওখানে শুধু পাগলদের ভিড় :D B-) :#) :) :-B B-))

১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৭

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন্তব্য করলে ভাল লাগতো।

৩| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭

যোগী বলেছেন: উপরের পাগলটাকে ভর্তি করার ব্যাবস্তা করেন।

৪| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫০

সাইফূল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগল হৃদয় স্পর্শ করা কথাগুলি। আমিও উত্তরাঞ্চলের মানুষ। আসলেই আমরা নর্থবেঙ্গলের মানুষরা অনেক আবেগপ্রবণ।

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৩১

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আসলেই আমরা নর্থবেংগলের মানুষ আবেগপ্রবন।

৫| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫০

মিলেনা বলেছেন: চোখ ভিজাইয়া দিলেন... সত্যিই তো, পাগলের সাথে কেন আমরা খারাপ ব্যাবহার করি?

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৪৬

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: হা পাগলের সাথে আমরা কেন খারাপ ব্যবহার করি? আমরা নিজেরাও জানি না। ওরা যে কতটা অসহায়। কতটা ভালবাসার দরকার ওদের জীবনে শুধু মাত্র জীবনে জীবন ফিরিয়ে আনার জন্য। আমার লেখা পড়ে যদি চোখ ভিজে ওঠে তাহলে একদিন গিয়ে ওদের দুর্দশা দেখে আসুন। কেদে ফেলবেন। এতটা অসহায়ত্বের মধ্যে ওদের বেচে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে, যে বেচে থাকাটা আরও কষ্টকর।

৬| ১৪ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০০

সত্যের সন্ধান চাই বলেছেন: আমার বাড়ীও পাবনা তবে হেমায়েতপুর কখনও যাওয়া হইছিলো না এবার গিয়েছিলাম আমার ছোট ভাইকে নিয়ে। যে আপনাদের মত এক ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার স্বীকার। পাবনা নিয়েও সুসিকিৎসা যোটেনি কপালে। সেখানেও হতে ভুল চিকিৎসার স্বীকার। ডাক্তারদেরকে আমার ঘৃনা হয়। ওদের দেখলে গায়ে থুতু ফেলতে ইচ্ছা হয়। আমারদের দেশে বর্তমানে সোবচেয়ে খারাপ মানুষ হচ্ছে রাজনিতীবিদ আর ডাক্তার। এরা যেটা বলে সেটাই মেনে নিতে হ্য়।

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৫৬

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: কিছু ডাক্তারদের দেখলে আমারও ঘৃনা হয়। এরা ডাক্তারদের মধ্যে পেশাগত পরিবেশের চেয়ে রাজনীতির পরিবেশটাকে প্রতিষ্টিত করতে বেশী আগ্রহী। ডাক্তার সমাজ তখন চিকিতসার দিকে মন দেয়ার থেকে নিজের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য রাজনীতিতে মন দেয়। যে এগিয়ে থাকে সে ভাল জায়গা পেয়ে যায়। ফলে দেখা গেল অযোগ্য কেউ আপনার ভাইয়ের দ্বায়িত্ব পেয়ে গেল।
তবে কিছু ভাল ডাক্তার যে নেই তা না। খোজ নিয়ে তারপর ভাল ডাক্তার খুজে বের করে ভাইকে দেখালে ভাল করবেন।
আপনার ভাইয়ের যদি সাইকোলোজিকাল প্রবলেম এখনো থাকে সেক্ষত্রে সাইকোলজিস্ট এর চেয়ে সাইকোথেরাপিস্ট এর কাছে গেলে ভাল করবেন। আমার তাই মনে হয়।

৭| ১৪ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১

বিন্দু বাসিনী বলেছেন: তোমার লেখা খুব ভালো হয়েছে!!!
কিন্তু মনটা খারাপ হয়ে গেলো!!!
ওদের আসলেই খুব কষ্ট!!!

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৫৭

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আসলেই অনেক কস্ট নিয়ে বেচে আছে ওরা। সময় পেলে দেখে আসলে আরও অনুভব করা যাবে ওদের কষ্ট টা।

৮| ১৪ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩

বিন্দু বাসিনী বলেছেন: তোমার লেখা খুব ভালো হয়েছে!!!
কিন্তু মনটা খারাপ হয়ে গেলো!!!
ওদের আসলেই খুব কষ্ট!!!

৯| ১৪ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪

জারনো বলেছেন:
মর্মস্পর্শী ঘটনা। আসলে আমরা সবসময় পাগলদের উপহাস আর উপেক্ষাই করি। বুঝতে চেষ্টা করিনা তার কষ্টকে। এটাও কি এক ধরণের পাগলামী নয়? আসলে প্রতিটি মানুষই তার নিজের অজান্তে কিছুটা গাগল। মাত্রা বেশী হলে ঠিকানা পাবনা
লিংক
Click This Link

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০৮

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: যতি মাত্রা বেশি হোক তার ঠিকানা কখনো যেন পাবনা না হয়। আর আপনজনে দুর্যোগে কেন তাকে দুরে পাঠিয়ে দেব?? এ অবস্থায় পেশেন্টকে আরও কাছে টেনে নেয়া প্রয়োজন। কি মনে হয় আপনার?

১০| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৮:২৪

মশিউর মামা বলেছেন: পোস্ট থেইকা বাহির হইয়াও ফিরা আসছি | আপনে নিজেরে বলতেছেন ডাক্তার | আর কিছু অসুস্থ মানুষরে বলতেছেন পাগল | এদেরকে মানুষিক ভাবে অসুস্থ রোগী বলতে কি আপনাদেরকে শিখায় নাই ? পাগল যে একটা পরিহাসমূলক শব্দ এইটা আপনে জানেন না ? বিরক্ত হইলাম | কোনো ডাক্তারের কাছ থেকে এই ধরনের ভুল বিরক্তিকর |

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৪০

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আমি পাগল ও বলি আবার ওদের কষ্ট টা হৃদয় দিয়ে অনুভব করি। আমার কাছে পাগল শব্দটা তাচ্ছিল্য করে বলা কোনো শব্দ নয়। বরং দুঃখ কষ্টের এক স্মৃতি এই শব্দটি। আর ওখানে সবাই মানসিকভাবে অসুস্থ রোগীও না। অনেকেই পরিস্থিতির শিকার। সুতরাং সবাইকে ঢালাও ভাবে মানসিকভাবে অসুস্থ ও আমি বলতে রাজি নই।

১১| ১৫ ই মে, ২০১১ ভোর ৪:২৫

সূর্য বলেছেন: ওফ্ , কী যে খারাপ লাগে যখন দেখি মানুষ মানুষের অসুস্থতাকে একটা মজার জিনিস মনে করে আর এদেরকে নির্যাতন করে আনন্দ পায়। তখন ছেলে বুড়ো সবাই দাত বের করে হাসে।

আমরা বড় বড় কথা বলি, মানবতা, সংস্কৃতি, কিন্তু আমাদের মধ্যে যে কত বড় সব অমানুষের বাস!

আপনার বর্ণনা পড়ে চোখের পানি আটকাতে পারছিলাম না। আর ঐ যে বললেন, বাড়ী পাবনা শুনলেই এই নিকৃষ্ট রসিকতা। যদি এদের কষিয়ে থাপ্পর দিতে পারতাম!

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৪৪

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আসলেই মানবতা সংস্কৃতি..... ওখানে গেলে বোঝা যায় এ শব্দগুলো শুধুই শব্দ যার কোনো অর্থ নেই। বরং নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা, নিকৃষ্টতা এগুলো ঠিকই অর্থ খুজে পেয়েছে, ঠিক ই ওখানে জায়গা করে নিয়েছে।

১২| ১৫ ই মে, ২০১১ ভোর ৪:৫০

নীল_পদ্ম বলেছেন: মর্মস্পর্শী ঘটনা। লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগল। আমি দু-বার গিয়েছি সেখানে, বর্ণনা দেয়া যাবে কোন একদিন।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এক বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম, বাড়ি পাবনা বলে।

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৪৬

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আপনার কাছে থেকেও বর্ননাটা শুনতে চাই। যখন লিখবেন আমাকে মনে করে লিংক দেবেন।

১৩| ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৩৪

সত্যের সন্ধান চাই বলেছেন: ওর কেসটা এখন খুবই রেয়ার হয়ে গেছে, ও ফুলই মেনটালী disable। আমরা ওকে দেশের বাইরে না নিলেও দেশে সব ধরনের ডাঃ দেখিয়েছি। সবশেষে পাবনা নিয়েছিলাম, সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা এতোটা খারাপ যে ভালো নামুষও ওখানে গেলে পাগল হয়ে যাবে। আর ডাঃ দের কথা কি বলব আমাদের দেশের ডাঃরা মানুষ সেবাটাকে পেষা হিসেবে নিলেও টাকা উপার্যনই এদের মূল লক্ষ। আপনি যখন প্রফেসনাল হবেন আপনার অবস্থা একই হবে।

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৫৭

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: নাহ সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম এর ক্ষেত্রে ধৈর্য্যহারা হলে চলবেনা। আপনাকে প্রথমে নিজে ডিটামাইন্ড হতে হবে যে আপনি নিজে আপনার ভাই এর সবচেয়ে ভাল বন্ধু হবেন এবং ধৈর্য্য ধরে আপনি ই তাকে সময় দিয়ে ভাল করে তুলবেন। এরকম ডিটারমিনেশন না নিলে যতই ডাক্তার দেখান একজন মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা কঠিন। আর সাইকলজিস্ট এর ব্যপারে আমি দেখেছি উনারা পেশেন্টকে সমানে আ্যন্টিসাইকোটিক খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখে খালি দিন পার করেন। আ্যন্টি সাইকোটিক এর প্রভাবে আপনার ভাই হয়ত কিছু বাড়াবাড়ি আচরন করবেনা কিন্তু কিন্তু নরমাল লাইফেও ফিরে আসবেনা। সুতরাং ধৈর্য ধরুন। একজন ভাল সাইকোথেরাপিস্ট এর সাথে দেখা করুন। আপনারা পরিবারের মানুষজনই আপনাদের ভালবাসা ই আপনার ভাই য়ের সবচেয়ে বড় ওষুধ। কাজ না হলে এই ওষুধ এর ডোজ বাড়াতে হবে কিন্তু ছেড়ে দেয়া চলবেনা।

১৪| ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:২৭

রাখালীয়া বলেছেন: বাড়ি পাবনা হলেও কখনো হেমায়েতপুর যাইনি,যেতেও ইচ্ছে করেনি কখনো।বরং কেউ যখন তাচ্ছিল্য করে বা মজা নেয়ার জন্যে ওখানে যেতে চাইতো,আমার শুধু বারবার এটাই মনে হতো, ওখানে কি আছে দেখার?ওদের দুটার জায়গায় চারটা চোখ,দশটা হাত,বা মাথার উপর শিং নেই,অথবা ওরা ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা বা চিড়িয়াখানার কোনো চিড়িয়া না যে দেখতে যেতে হবে ।কি মজা পায় মানুষ কিছু অসহায় মানুষের কষ্ট দেখে তা বুঝিনা আমি..

১৫ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩১

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: তবে যারাই ওখানে যেতে চায় তাদের একবার যেতে দেওয়া উচিত। চোখে না দেখলে তো মানুষ বুঝবেনা আসলে বাস্তব কতটা ভয়াবহ হতে পারে। তেরে নাম নামে একটা সিনামাতে এরকম একটা জায়গা দেখানো হয়। ওখানে থাকা কতটা বিভতস হতে পারে চিন্তা করে দেখুন।

১৫| ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৪৮

সত্যের সন্ধান চাই বলেছেন: দেখেন ওর বয়স এখন ১৩। আর প্রবলেম হয় যখন ওর বয়স ছিল ১ বৎসর। ওর নিমোনিয়া হয়েচিলো আমার বয়স তখন ৯। ওকে তখন আমাদের থানা সাস্থ কমপ্লেক্স এ ভর্তী করা হয়। ওখানে ৩দিন থাকার পর অবস্থার উন্নতি হয় এর পর কিছুদিন সিকিৎসার পর ও সাময়িক ভাবে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা ধরা পরে ওর বয়স যখন ২.৫ হটাৎ একদিন খেচুনী দেখা দেয় এবং সংগে সংগে রাজশাহী নেয়ার পর ধরা পরে ব্যাপারটা। ওখানকার প্রোঃ ডঃ এ বি সিদ্দিকী বলেন ওর নিমুনিয়ার ট্রিটমেন্ট এর ঔষদের মাত্রা বেশী হয়াতে এটা হয়েছে এবং তিনি দীর্ঘ মেয়াদী সিকিৎসা দিতে সুরু করলেন। এভাবে একটানা ৪ বসর আমরা সেভাবেই সিকিৎসা চালিয়ে যাই। এর পর প্রতি মাসেই খেচুনী হত আস্তে অসাভানিক আচরন সূরু করে। আমাদের মত সাভাবিক কথা বার্তা না বলে ওর মত কথা বলে। ওর বয়স যখন ৮ তখন একবার পাবনা নিয়েছিলাম ডাঃ টেস্ট রিপোর্ট + প্রেসক্রিপসন দেখে বলে ওর সনস্যা অনুযায়ী সিকিৎসা ঠিক আছে উনি নতুন ঔষধ না দিয়ে আগের গুলোই খায়াইতে বলে। এবং বয়স ১২ র পড়েও যদি কোন পরিবর্তন না হলে তাদের কাছে নিতে বলে। দুই মাস আগে আবার নিয়েছিলাম যে ঔষধ দিয়েছিলো সেগুলো খায়ানোর পর সাইড ইফেক্ট হয় প্রথমবার এভাবে দুইবার যার কারনে ওর সাস্থ অসাভাবিকভাবে বেরে যায় আগে কিছু কথা বললেও এখন কোন কোথা বলে না। ও আগে খুব শক্তিসালী ছিল এখন কোন শক্তি নেই। একমাত্র ওর জন্যে আমার ফ্যামিলির কারো মনে শান্তি নেই। কিন্তু এ জন্যে দায়ী আপনাদের মতো কিছু ডাক্তার।

১৫ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:২৯

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: হমমম ডাক্তার দায়ী হতে পারে। এখন ব্যপারটা আসলে জটিল হয়ে গেছে। আচ্ছা আমি একজন বিশ্বস্ত ডাক্তারের নাম দিচ্ছি আপনাকে। এ ব্যপারে চিকিতসার জন্য রিলায়েবল কে একটু খোজ নিয়ে জানাচ্ছি।

১৬| ১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৯

অ্যামাটার বলেছেন: হায়রে মানুষ!
পাবনা মানসিহ হাসপাতালে গিয়ে কি রোগীদের কাছে যাওয়া যাবে? বা গিয়ে কথা বলা যাবে?

১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৫২

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: পারমিশান নিয়ে যাওয়া যাবে

১৭| ১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:১৪

laabony বলেছেন: মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো.......
এভাবে কখনো ভাবিনি.....লেখাটা পড়তে পড়তে সেই পরিবেশে চলে গিয়েছি। অসহায় মানুষগুলোর অসহায়ত্ব অনুভব করার চেষ্টা করছি।
অনেক ধন্যবাদ আপু.....লেখাটার জন্য।

১৮| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৭

জারনো বলেছেন: লেখক বলেছেন: যতি মাত্রা বেশি হোক তার ঠিকানা কখনো যেন পাবনা না হয়। আর আপনজনে দুর্যোগে কেন তাকে দুরে পাঠিয়ে দেব?? এ অবস্থায় পেশেন্টকে আরও কাছে টেনে নেয়া প্রয়োজন। কি মনে হয় আপনার?

আমরা কখনোই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে চাইনা যাতে করে কোন আপনজনকে পাবনায় পাঠাতে হয়। সকল মানুষ ভালো থাকুক সুন্দরে বাঁচুক তার পরিবারের সাথে। তবে যদি এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যখন পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানো কোন বিকল্প থাকেনা। তখন তার মঙ্গলের জন্য পাবনা পাঠানো কর্তব্য কারণ পাবনা মানসিক হাসপাতালটি পাগলামী থেকে সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে আনতে একটি খ্যাতনামা হাসপাতাল।

২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৮

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: এটাই ভুল ধারনা। কোনো মানসিক রোগীকে আপন জন থেকে দুরে সরিয়ে সুস্থ করা যাবে এধারনা টাই ভুল। মানসিক রোগীর কিছু বেদনা, অপ্রাপ্তি, বিশ্বাসস্ত বন্ধুর অভাব, নিরাপত্তাহীনতা বোধ করা ইত্যাদি থেকে ই সমস্যার উদ্ভব হয়। এ অবস্থায় তাকে আরও দুরে পাঠানো মানে তাকে সুস্থ জীবনে ফিরে াসার সামান্য সম্ভাবনা থেকে আরও দুরে ঠেলে দেয়া। মনে রাখবেন মানসিক রোগীদের সবচেয়ে বড় অষুধ তার আপনজনের ভালবাসা। অসুধ থেকে দুরে সরিয়ে কিভাবে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব?

১৯| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:২১

জারনো বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটাই ভুল ধারনা। কোনো মানসিক রোগীকে আপন জন থেকে দুরে সরিয়ে সুস্থ করা যাবে এধারনা টাই ভুল। অসুধ থেকে দুরে সরিয়ে কিভাবে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব?

আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলামনা বলে দুঃখিত। একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করি নাই। যা হোক অনেক বিজ্ঞ চিকিৎসক পাবনা মানসিক হাসপাতালে কর্মরত। তাদের যথাযথ চিকিৎসায় অনেক মানসিক রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে আপনজনদের মাঝে ফিরে গেছেন। তা ছাড়া চিকিৎসা যদি রোগীর কাজে না লাগে তা হলে এত অর্থ ও সময় ব্যায় করে চিকিৎসা বিদ্যা শিখে লাভ কী? অসুখ হলে আপনজনদের কাছে থাকলেই হতো(!) সঠিক চিকিৎসার জন্য অবশ্যই মাঝে মাঝে আপনজনদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়, এটাই নিয়ম।

২৩ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:৪৪

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: সব চিকিতসায় আপনজনদের কাছে বাসায় থাকতে হবে তা বলিনি। শারিরিক অন্যান্য অসুখের সাথে মানসিক অসুখ কে মেলালে হবে না। মানসিক অসুস্থতায় আপনজনদের কাছাকাছি থাকাটা খুব ই জরূরী। কিন্তু মানসিক হাসপাতালের পরিবেশ এমন যে ওখানে কোনো পেশেন্ট কে আপনজন দেখতে যায়না। বরং এসব পেশেন্টকে দুরে রাখার জন্যই হাসপাতালে পাঠায়।
আপনি বলতে চাচ্ছেন মানসিক হাসপাতাল থেকে রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় চলে যায়!!! হা স্বাভাবিক নিয়ম বলে তাই হওয়ার কথা। কিন্তু আপনি উদাহরন দিতে পারবেন না। আর ওখানে তো আমি দেখলাম মানসিক রোগীর থেকে বিভিন্ন পরিস্থিতির ভিকটিম বেশী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয় ঠিক ই। কিন্তু কোনো রোগী সুচিকিতসা পেয়ে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেল এ কথা বলা যাবে না। আর আমার কথা বিশ্বাস না হলে নিজেই চলে যান না ওখানে। একদিন ঘুরে দেখে আসুন....অবশ্যই আপনি বিশ্বাস করবেন এটা মানুষের সুচিকিতসার যায়গা না সুস্থ হওয়ার জায়গা না।

২০| ২৩ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩০

জারনো বলেছেন:
একদিন যাবার ইচ্ছা আছে। দেখবো সরজমিনে। আপনি হয়তো দেখেছেন, প্রত্যক্ষ করেছেন বাস্তবতা তাই আমার চেয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বেশী। ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন,
ও ভালো কথা আগের মতো আপনাকে পাচ্ছিনা মেইলে ! নিয়মিত হবেন আশা করি।

২১| ০৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: পাবনায় মেজ মামা কিছুদিন ছিল। বেড়াতে গিয়ে মেন্টাল হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এখনো চোখে ভাসে। আপনার লেখাটা পড়ে সব আবার মনে পড়ে গেল। হৃদয় বিদারক সত্যিই।

২২| ১০ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:৪৫

হানী বলেছেন: আপু আপনি পাবনার! আমিও পাবনার ( রাধানগর) । আপনার পোস্টে এসে পাবনার অনেককে খুঁজে পেলাম .....নিজ জেলার মানুষকে কোথাও পেলে অনেক আপন আপন লাগে :)

মেন্টাল হসপিটালে আমি এখনো যাইনি ....তবে ওদের জন্য অনেক খারাপ লাগে ।ওরা যেমন কাছের লোকদের নিষ্ঠুরতার শিকার তেমনি ডাক্তারদেরও হাতের মোয়া ।
মেন্টাল হসপিটালের একসময়ের ডাক্তার ছিলেন আমার এক ফুপা ডা: হেদায়াতুল্লাহ । সেখানকার অন্য ডাক্তাররা চিকিৎসার সরঞ্জাম সহ নানা কিছু নিয়ে দূর্নীতি করত,ওষুধগুলো বাইরে বিক্রি করে দিত ...এটা তিনি মানতে পারেননি । এর ফলে ঐ ডাক্তাররা তাঁর বাসায় ডাকাতি করিয়েছিল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.