![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে সরকার। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ আরও দ্রুত কার্যকর করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া মানিলন্ডারিং করে যেসব অর্থ দেশ থেকে পাচার করা হয়েছে তা দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পেছনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থায়ন করার আভাস পেয়েছে সরকার। তবে সরকার সন্ত্রাস দমনে অর্থায়ন প্রতিরোধ করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাই মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য নির্ধারণের জন্য যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে অন-লাইন কানেকটিভিটি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে পাচার হওয়া ওই অর্থ উদ্ধারে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে এই অভিযানে নেমেছে। এছাড়া এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেশে-বিদেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মিশন কাজও শুরু করছে। দেশে জঙ্গী সংগঠনগুলো তাদের তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে কিংবা অবৈধ পথে অর্থ সংগ্রহ করে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই জঙ্গী সংগঠনগুলো তাদের অর্থ দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে ঐ বিনিয়োগকৃত অর্থের লভ্যাংশ দিয়ে সংগঠনের খরচ বহন করছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে যাতে বৈধ-অবৈধ পথে জঙ্গী অর্থায়ন আসতে না পারে সে জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ফলপ্রসূ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্নভাবে কাজ করে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে কঠোর অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.