![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতা এবং জঙ্গীবাদ নিমূর্ল করতে হলে এর বিরুদ্ধে যৌথভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাদের অর্থ উৎস বন্ধ করে দিতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তি শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। স্বাধীনতার ৪২ বছরে দেশে ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়িক শক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় চরিত্র নষ্ট করে দিয়েছে। সাম্প্রতিককালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাকে এখনই নিমূর্ল করা না গেলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না। দেশে জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার মূলে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত চেতনাকে বিনাশ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হলে এখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। উপমহাদেশে স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে টিকিয়ে রাখতে হবে। বর্তমানে ১৮ দলীয় জোটের নেতৃত্বে বিএনপি নয়, রয়েছে জামায়াত। নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় আসলে দেশ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের আস্তানায় পরিণত হবে। দেশে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টাও করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্য দিয়ে তারা আগামীতে আরও বড় ধরনের আঘাত হানার চেষ্টা করবে। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় ফিরে আসলে দেশে জঙ্গীবাদ ফিরে আসবে। দুর্নীতি ও লুটপাট বৃদ্ধি পাবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়ায় বিস্তার লাভ করবে দক্ষিণপন্থী জঙ্গীবাদে। ৪০ বছর পরে হলেও দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ চলছে। সুপ্রীমকোর্টে যুদ্ধাপরাধীদের মামলা রায় নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে । জাতীয় সংসদে গৃহীত শিক্ষানীতি, নারী উন্নয়ন নীতি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নে সফল উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। আর তাহলেই শান্তিতে বসবাস করা সম্ভব।
©somewhere in net ltd.