![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের চারটি বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এ সেবাসুবিধা গ্রাহক পর্যায়ে প্রদানের অনুমতি পেল। প্রযুক্তিসুবিধা আরো আধুনিকায়নেরও সুযোগ পাওয়া গেল এর মাধ্যমে। নিলামে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী সময়ে ফোরজি সুবিধা ব্যবহার করতে চাইলেও নতুন করে আর তাদের লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে না। এতে অনুমতি পাওয়ার যে জটিলতা, তা থেকেও তারা মুক্ত থাকতে পারবে। সংগত কারণেই আশা করা যায়, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় আয়ও বৃদ্ধি পাবে। এর সুফল এরই মধ্যে পাওয়া শুরু হয়ে গেছে। টেলিফোন খাতে ইতিহাসের সর্বোচ্চ মূল্যের এ নিলামে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে চার হাজার ৮২ কোটি টাকা। একই সঙ্গে সরাসরি উপকৃত হবেন কয়েক কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ উন্নত বিশ্বের কাতারে নিজেদের স্থান করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারছে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এ সুবিধা আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ প্রদান করছে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের তালিকায়ও সংযোজন হতে পারে থ্রিজি যুগে পদার্পণের এই পদক্ষেপ। এখন একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৫১২ কিংবা ১০২৪ কিলোবাইট গতি পেয়েই তৃপ্তি পান, সেখানে থ্রিজি প্রযুক্তি তাদের সেই সুবিধাকে মেগাবাইটে পরিবর্তন করবে। আর ফোরজি সুবিধা পাওয়া গেলে হয়তো ব্যবহারকারীরা চিন্তা করবেন গিগাবাইট গতির কথা। এ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হলে বাংলাদেশ চলে যাবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া কিংবা জাপানের মতো দেশের কাতারে। যোগাযোগমাধ্যমের অগ্রগতি ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কষ্টকর বিধায় এ অর্জন আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলবে নিঃসন্দেহে।
©somewhere in net ltd.