![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন আমি থমকে পথের মোড়ে হঠাৎ দেখি বদলে গেলো সব চেনা পথে জারুল ফুলের রঙ্গে খুব ছিলো তার চেনা অনুভব! বদলে গেলো জেব্রা ক্রসিং, নিয়ন আলোর শহর অদল বদল খুব কার হাতে কার পরশ লেগে ছিলো সেসব কথা, বৃষ্টিতে নিখুত!
কোথায় যেন পড়েছিলাম একজন মানুষ তার জীবনে নাকি অনন্ত একবার আস্বাভাবিক ঘটনার সন্মুখিন হয়। আমিও একবার এমন একটা ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলাম। আবশ্যই এর পিছনে কোন যুক্তি সংগত কারণ ছিল, যা তখন বুঝিনি, এখনও বুঝিনা। ঘটনাটা বলেই ফেলি, আবশ্য এর আগে যত জনকে বলে ছিলাম কেউই বিশ্বাস করেনি, উল্টা হাসাহাসি করেছে। এবারো তাই হবে মনে হয়।
সময়টা ছিল ২০০০ এর মাঝামাঝি, আমরা প্রথমবর্ষের মাঠকর্মের অংশ হিসেবে গিয়েছিলাম গাজীপুরের কাপাসীয়ায়।পাঁচ দিনের ট্যুর, তাই থাকার জায়গা হিসেবে নির্দিস্ট করা হয়েছিল গাজীপুর ধান গবেষনা ইনিস্টিটিউটের ডর্মেটরি। তৃতীয় তলায় স্যারদের রুম মাঝ খানে, দুই পাশে ছেলে মেয়েদের জন্য দুটি করে রুম নেয়া হয়েছিল। এখানেই আমি সেই আস্বস্স্থিকর ঘটনার সন্মুখিন হয়েছিলাম।
সময়টা সম্ভবত সেপ্টম্বরের শেষ দিক, ডর্মেটরিরতে পৌছতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তাই একটু ঘুরা ঘুরি করে আমারা সবাই স্যারদের রুমে এক সাথে বসলাম। পরদিন ভোর বেলার যাত্রা শুরু করতে হবে, তার আগে স্যারদের ছোটখাট ব্রিফিং, গ্রুপ ভাগ করা, কাজ নির্দিস্ট করা ইত্যাদি হাবিজাবি করতে করতে নয়টা বেজে গেল।
আমাদের মাঠকর্মে কায়িক পরিশ্রম বেশি তাই তারাতারি ডিনার করে ঘুম দেবার নিয়ম। একারণে দশটার দিকে যার যার রুমে সাবই চলে গেলাম।
একটা একটা রুমে পাঁচটি করে বেড ছিল। টুকটাক কথা বলতে বলতে রাত প্রায় এগারোটার দিকে আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম।
কি কারণে যেন ঘুমাটা ভেঙ্গে গেল, ঘড়িতে তে দেখলাম ১টা বাজে। আমার বিছানাটা ছিল জানালার পাশে। জানালা গলে সুন্দর জোস্না ছড়িয়ে পড়ছিল বিছানা আর মেঝেতে, থেমে থেমে ঝি ঝি পোকা ঢাকছে। ঘুম আসছিলনা, এমন সময় হঠাৎ করে মনে হলো ঘুংগুরের শব্দ বেজে উঠলো দরজার কাছ থেকে। আপেক্ষা করে রইলাম আবার হয় কিনা শোনার জন্য, ৫/৬ মিনিট কোন শব্দ নেই, ঝি ঝি পোকা গুলোও ডাকছে না। তারপর আবার সেই শব্দ শুরু হলো, এবার মনে হলো কেউ হেটে হেটে বারান্দার এমাথা থেকে ও মাথায় যাচ্ছে। এক মূহুর্তের জন্যও থামছে না, সেই মূহু্র্ত গুলোর কথা আমি সারা জীবনেও ভুলবোনা। এত ভয় পেয়েছিলাম মনে হচ্ছিল ভয়ংকর কোন কিছু দরজার ভেদ করে এই পাশে চলে আসবে। গলা শুকিয়ে কাঠ, বিছানার চাদর তুলে সারা গা মাথা ঢেকে শুয়ে আছি, কাউকে ডাকতেও পারছিনা। মনে হচ্ছিল আমি কোন শব্দ করলেই ঘুংগুরের মালিক শব্দের উৎস খুজতে চলে আসবে। এভাবে বেশ কিছুক্ষন থাকার পর পাশের বেডে বন্ধু নুপূরকে ফিস ফিস করে বলালম, তুই কি কোন কিছু শুনছিস? উত্তরে সে ধর মর করে আমার বিছানায় চলে আসলো। সে ও নাকি শুরু থেকেই শুনছিল।আর ওদিকে সারা রাত জুড়ে চললো বারান্দায় ঘুংগুর পরা পায়ের পায়চারি। আমরা ভয়ে আবসন্ন হয়ে সারা রাত জেগে কাটালাম।
পরদিন সকাল বেলা রাতের ঘটনা বললাম সবাইকে এবং বলে হাস্যস্পদ হলাম।সারাদিন চললো কাজের ফাকে ফাকে শব্দের নানা রকম ব্যাখ্যা, এত রাগ লাগছিল। সেদিন কাজ সেরে ফিরতে রাত হয়ে গেল। সারা দিন ঘুংগুড়ওয়ালীর কথা ভুলে থাকলেও, দূর থেকে আন্ধকার ডর্মেটরিটাকে দেখে গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো।
গোসল করে খেয়ে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে সারা দিন কি কি কাজ হোল, কি কি পাওয়া গেল এসব বিশ্লেষণ করতে করতে আনেক রাত হয়ে গেল। এবার রুমে আমরা পাঁচ জন সেই সাথে আমাদের আরো দুই বন্ধু ছিল। সাবাই মিলে কথা বলছি, এমন সময় আবার সেই শব্দ, দূরে যাচ্ছে আবার কাছে আসছে। সাবাই যে আমরা ঘুংগুরের শব্দটা শুনছি, তা সবার ফ্যাকাসে মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল।
অনেকক্ষণ আমরা স্থানুর মতো বসে রইলাম। তারপর আমদের মধ্যে সাহসী দুজন দরজা খুলে বারান্দায় উঁকি দিল, সাথে সাথে শব্দ ব্ন্ধ, বারান্দায় কেউ নেই।
সেই রাত টাও আমাদের নির্ঘুম কাটলো। এর পরে আমারা চার দিন ছিলাম প্রতি রাতেই একই ঘটনা ঘটেছে, আর আমাদের রূমে যারা থেকেছে তারাই শুধু শুনতে পেয়েছে। পরের দিকে আর তেমন ভ্য় লাগতোনা, নেশার মতো আমরা আপেক্ষা করতাম কখন শব্দটা শুরু হয়।
জানি না কিসের শব্দ ছিল ওটা, আমরা নিজেরা এটা নিয়ে আর কখনো কোন আলোচনা করিনি।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: ঘুঙুর পরা কোন পায়রা?????
হতে পারে, তবে পায়রা পায়চারি করতে পারে কিনা সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে ।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪৮
ইমন সরওয়ার বলেছেন:
হুমায়ুন আহমেদের গল্পের মতোই, সেই পরী যে কীনা প্রতিরাত বন্ধুর ঘরে আসতো ঘুঙুর নাড়িয়ে।
ভয় পাবার কিছু নেই, ভালোবাসলে এমন হয়।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের কোন গল্পের মতো?
কে কাকে কখন ভালবাসলো, বুঝলাম না । খুবই রহস্যজনক
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৪
নীল ভোমরা বলেছেন: আপনারা কেউ সাহস করে ঘুঙুরের শব্দের সন্ধানে বের হলেননা কেন? বারান্দায় গিয়ে দেখতেন..... ব্যাপারটা কি?! কোথা থেকে শব্দ আসছে?
আপনাদের দলের কোন ছেলে বন্ধু দুষ্টুমী করে থাকতে পারে! যদি আপনারা পাঁচ বান্ধবী ভূতের ভয়ে ভীত থাকেন.... তবে আপনাদের ভয় দেখানো (যদি সত্যিই তাই হয়) উত্তম কাজ হয়েছে!
ঘটনা যাই হোক... অবশ্যই তা ব্যখ্যার অতীত কিছু ছিলনা নিঃসন্দেহে!
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২
রেজোওয়ানা বলেছেন: দরজা খোলা হয়েছিল, বারন্দায় কেউ ছিল না। আর দরজা খোলার সাথে সব সময় শব্দ বন্ধ হয়ে যেত ।
মনে হয়না ওরা কাজটা করেছে, কারণ তাহলে এটা নিয়ে পরে তাদের বাহাদুরির অন্ত থাকতোনা।
আর ভয় দেখানো ভাল কাজ ???
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪
মুহিব বলেছেন: মনে তো হয় ভূত ছিল। তবে সে ললিতকলায় পারদর্শীও ছিল। আমি কিন্তু বিশ্বাস করছি আপনার ঘটনা।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: লেখক বলেছেন: থ্যাংকস মুহিব।
আমার আনুভুতিটা আসলে ঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারিনি, লেখালেখিতে দক্ষতা নেই তো তাই।
শব্দের উৎসটা হয়তো আস্বাভাবিক ছিলনা, তবে অভিগতা টা ভায়ানক ছিল।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২১
অদ্ভুতুড়ে বলেছেন: হ্যালুসিনেশন, আর কিছু না
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: হতে পারে।
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২২
নকীবুল বারী বলেছেন: ভুত
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: ভ্য় পাই...............
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:২৮
দূরের মানুষ বলেছেন: বহু বছর আগে গাজীপুর ধান গবেষনা ইনিস্টিটিউটের ডর্মেটরিতে কোন এক সরকারি বজ্জাত ঘুঙুর পরা এক মাইয়্যারে ধরে এনে আকাম কু কাম করে লাশ গুম করে। তার প্রেতাত্বা এখনো গভীর রাতে টুংটাং শব্দে এখনো ঘুরে বেড়ায়।
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: গ্রেট............!!!! ভাইয়া কি গোয়েন্দা বিভাগে আছেন নাকি ?
৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: আমিও ভুই পাইসি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৭
রেজোওয়ানা বলেছেন:
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯
বেওউল্ফ বলেছেন: আমার কাছে অবশ্য একটা যুক্তি আছে তবে বলব না কেননা বিশ্বাস করবেননা।
আমি ইদানিং একটি ভয়ের গেম খেলছি তো তাই গেমে আমি এরকম ঘটনার সম্মুখিন প্রায়ই হচ্ছি।
আমি খুবই ভীতু ছিলাম কিন্তু গেম খেলে খেলে আমি এখন সাহসী অনেকটা গড অব ওয়্যার
২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০৬
রেজোওয়ানা বলেছেন:
১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৫
মুহিব বলেছেন: এই বয়সে ভয় অন্য ব্যাপার। জেনে বুঝেও আমাদের ভয় লাগে। এমনকি রাতে গায়ে বাতাস লাগলেও ভয় লাগতে পারে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০২
রেজোওয়ানা বলেছেন: মুহিব বলেছেন: এই বয়সে ভয় অন্য ব্যাপার...........হ্যাঁ, উচ্চরক্ত চাপ, বাত, ডায়াবেটিস এসবের ভয়তো আছেই। বয়সতো আর কম হয় নাই ।
১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:১৮
মুহিব বলেছেন: জ্বি। আমার অন্য রোগ এখনও না হলেও ভূতের ভয় এখনও পাই। ভূত বলে কিছু নাই জেনেও আমি এই বয়সেও ভয় পাই।
২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: ভূতের ভয় পাওয়ার মধ্যেও একটা ভয় ভয় মজা আছে তাই না ভাইয়া?
১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
সত্যাশ্রয়ী বলেছেন: ব্যপারটা একটু ব্যখ্যার দিকে যাওয়া যাক।
১। হেলুসিনেশন--- সাধারনত প্রচন্ড ভয় পাওয়া মানুষের ক্ষেত্রে এটা ঘটতে পারে কিন্তু এক সাথে পাঁচ জনের হেলুসিনেশন অস্বাভাবিক ঘটনা।
২। বাতাসের তৈরী করা শব্দ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে? এক রাতে আমার ঘুম ভেংগে যায় , একটা অস্বাভাবিক শব্দ হচ্ছিল। মনে হচ্ছে কে যেন ঘরের মধ্যে পা ঘেঁষটে হেটে বেড়াচ্ছে। ভয়ে আমার অবস্থা খারাপ। শেষে সাহস করে লাইট জ্বালিয়ে দেখি একটা বড় ভারী পলিথিনের ব্যগ , ফ্যনের বাতাসে আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে এখান থেকে ওখানে।
আপনার ওখানে কিভাবে ঘটেছে বলা মুস্কিল, তবে যেহেতু দরজা খোলার সাথে সাথে শব্দ বন্ধ হয়ে গেল অর্থাৎ দরজার সাথে এর কোন একটা সম্পর্ক আছে। হতে পারে বাতাস আর দরজা সংগে আরও কোন কিছু মিলে শব্দটা তৈরী করছিল।
৩। অশরীরী। সেক্ষেত্রে হয়তো ঘুঙুর পরা কোন পায়রা
০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০০
রেজোওয়ানা বলেছেন: বিশ্লেষন মূলক মন্ত্যবের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
তবে আমার এটা রহস্যময় ঘটানা ভাবতেই বেশি ভাল লাগে :!> ।
১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫০
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:
সামছা আকিদা জাহান আপার এই রকম একটি লেখা আছে-
Click This Link
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১২
রেজোওয়ানা বলেছেন: থ্যাংকস লিংকের জন্য।
ভৌতিক ঘটনা গুলো প্রায় একই রকম হয়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২১
রেজোওয়ানা বলেছেন: এই মাত্র পড়ে আসলাম স্পেলবাইন্ডার, মোটেও এক রকম না।
আচেনা আবিরেরও এমন একটা লেখা আছে।
১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৬
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: আমি কইছি 'এই রকম'.... 'এক রকম' তো কই নাই.....
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২১
রেজোওয়ানা বলেছেন: Tahole ami bujte vul korachi. Jakge, Eid er ogrim suvecha.
১৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৯
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: আপু কি এগ্রিকালচারের ছাত্রী?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: নাহ। আমার বিষয় ছিল প্রত্নতত্ব, জাবি।
১৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: গাজীপুর ধান গবেষনা ইনিস্টিটিউটের ডর্মেটরিতে এই ঘটনা অনেকের জানা, অনেকেই এই শব্দ শুনেছেন ... শব্দের উৎস অজানাই থেকে গেছে
আমার মনে হয় ... ভুউউউউউউউউউউউউউৎ
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেকেই শুনেছে, সত্যি? কি জানি, কত রকম কথা শুনলাম।
দুষ্টামি করছেন না তো?
আমারও ভুত ভাবতে ভাল লাগে
১৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪১
শাওন৩৫০৪ বলেছেন: আহারে, মজা হৈছে কতই না জানি...এইরাম মজা পাইলে ভালো লাগতো..
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমাদের ফিল্ড ওয়ার্ক মোটেই মজার না, অনেক কষ্ট।
একবার ফিল্ড ওয়ার্কের সময় দুপুরে বিশ্রামের জন্য জায়গা পেয়েছিলাম গোয়াল ঘরে ।
অবশ্য অনেক নতুন নতুন জায়গা দেখারও সুযোগও হয়েছে।
১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৯
শাওন৩৫০৪ বলেছেন: ইয়াল্লা?? এডি কি কৈলেন?
আমি আসলে ফিল্ড ওয়ার্কের কথা কৈনাই, কৈলাম ভুতের বদ্য শুনছেন, কি মজা হৈছে....
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: ওহ, ভাই ভুল বুঝছি, নিজ গুনে মাপ কইরা দিয়েন।
আপনার জইন্যে একখান ছড়া...
বিদ্ঘুটে রাত্তিরে ঘুটেঘুটে ফাঁকা,
গাছপালা মিশ্মিশে মখমলে ঢাকা।
জটবাঁধা ঝুল্ কালো বটগাছতলে,
ধক ধক জোনাকির চকমকি জ্বলে
চুপ্চাপ চারিদিকে ঝোপঝাড়গুলো-
।
।
।
।
।
আয় ভাই গান গাই আয় ভাই হুলো।
১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫
হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: হাহাহা। অমন শব্দ হলে আমার ঘুমটা আরও গাঢ় হয়।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: পরশু রাতে পষ্ট চোখে দেখনু বিনা চশমাতে,
পান্তভুতের জ্যান্ত ছানা করছে খেলা জোছ্নাতে।
কচ্ছে খেলা মায়ের কোলে হাত পা নেড়ে উল্লাসে,
আহাদেতে ধুপ্ধুপিয়ে কচ্ছে কেমন হল্লা সে।
শুন্তে পেলাম ভুতের মায়ের মুচ্কি হাসি কট্কটে-
দেখছে নেড়ে ঝুণ্টি ধ'রে বাচ্চা কেমন চট্পটে।
উঠছে তাদের হাসির হানা কাষ্ঠ সুরে ডাক্ ছেড়ে,
খ্যাঁশ খ্যাঁশানি শব্দে যেমন করাৎ দিয়ে কাঠ চেরে!..............
এমন তো শুনেন নাই কখনো, তাই ঘুম ভাল হয়েছে।
২০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২২
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: এত সুন্দর একটা সময়, জানালা দিয়ে বিছানায় জোৎস্না এসে পড়ছে, ঝিঝি পোকা ডাকছে..............এমন রোমান্টিক মুহুর্তে আপনি ভুতের ভয় পেলেন!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০
রেজোওয়ানা বলেছেন: জি আপু, কি করবো বলেন। ভুত বেটি টা একটুও রুমান্টিক না।
২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: @ পাক্নজয়, তোরে কইছে ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: হুম আপু স্বপ্নজয় কে একটা দাবড়ানি দেন।
শুধু শুধু মানুষকে ভয় দেখায়। উনি মনে হয় ভবিষ্যতে ব্রক্ষদৈত্য হবে।
২২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩২
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: @আফাঃ খেক খেক খেক ...
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: দুষ্টুলোকের মিষ্টি কথায়
নাচলে লোকের স্বস্তি কোথায়?
এম্নি দশাই তার কপালে লেখে।
কথার পাকে মানুষ মেরে
মাকড়জীবী ঐ যে ফেরে,
গড় করি তার অনেক তফাৎ থেকে..........।
২৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪
শাওন৩৫০৪ বলেছেন: ভুতের ছড়া, গান কবিতা গুলা তো চরম...ব্যাপক...কেডা লিখছে এডি?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: হা হা, আসলেই মজার।
সুকুমার রায়।
২৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭
পুরাতন বলেছেন: মনে হয় ইনি হাটছিলেন
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: উনি দেখছি আপনার পরিচিত, কত দিন থেকে চেনেন?
২৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: বেশ অবাক হলাম পড়ে। কী যে এর ব্যাখ্যা? একজনের হলে অবিশ্বাস করা যেত-এতজন শুনল ...
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:২২
রেজোওয়ানা বলেছেন: যাক, আপনি তাহলে কিছুটা হলেও বিশ্বাস করেছেন।
হয়তোবা কোন স্বাভাবিক কারণ ছিল এর পিছনে, কিন্তু আমরা তা বের করতে পারিনি। আর এ কারণে এখন গা শিউরে ওঠে ঐ রাতের কথা মনে হলে।
এত পুরাতন লেখা পড়েছেন, এটা দেখেই খুশি..........
২৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮
নুভান বলেছেন: সবই মিসির আলী পড়ার ফল
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩০
রেজোওয়ানা বলেছেন: নুভান মনে হয় মিসির আলী পড়েননি
কোথায় আক্কস আর কোথায় গাবগাছ।
'আহাত' সিরিয়াল দেখার ফল বললে না হয় মানা যেত।
২৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: @ নুভান ...আপনি ঝারি খেতে যাচ্ছেন ...হি হি
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: নাহ, ঝাড়ি আর দিতে পারলাম কই.......
২৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৬
নুভান বলেছেন: হাহাহা ইমন ভাইয়া, কি আর করব, বড় আপু যদি ঝাড়ি দেন তাইলে চুপচাপ হজম করাটাই উত্তম
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫২
রেজোওয়ানা বলেছেন: হুম, এরপর ভুল ভাল উপমা দিলে কিন্তু কোন ছাড়াছড়ি নাই।
২৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪
ছিনতাইকারি বলেছেন: খিকজ...... আপনের উপ্রে মনে হয় কোনো পুরান দুর্গের ভুতের নজর পরছে। ভুত গবরষনা বাদ্দেন।
আমার একটা অদ্ভুত ঘটনার অভিজ্ঞতা আছে। তখন আমার বয়স সাড়ে চার কি পাঁচ হবে হয়তো। আমাগো গেরামের বাড়ি গেসিলাম আব্বা আম্মা আর বড় ভাইয়ের সাথে। আমার ছোট ভাইটা আমারচে' ৫ বছরের ছোট। যেহেতু সে আছিলো না তখন তাই ধারনা করতাসি আমার বয়সটা ছিল ৫ এর কাছাকাছি। তো হৈসে কি শেনেন। দাদার বাড়িটা ঘন জংগলে ঘেড়া আছিল তখন। উঠানের ৪ দিকে ৪ টা বড় বড় টিনের ঘর। উত্তরের ঘরের পিছনে ছিল কিছু বড় বড় গাছ। এক রাত্রে আমার ঘুম ভাইংগা গেল হিসুর চাপে। কাউরে কিছু না বৈলা চান্নি রাইতে ঘর থেইকা বাইর হৈলাম একলা একলা। বরান্দায় খাড়ায়া হাফপ্যান্ট নামায়া আমি করতাছি আমার কাম। হঠাত ঘুম ঘুম চোখ তুইলা চায়া দেখি কি উত্তরের ঘরের পিছনের উঁচা গাছে একটা বিশাল বান্দর বয়া রৈছে। আগুনের মতন জ্বলজ্বল করতেছে তার শরির। বান্দরের লেজ এত বড় যে সেইটা ঘরের চাল পাড় হয়া উঠানে আইসা পরছে। আমি অবাক হয়া চায়া চায়া দেখলাম কতক্ষন। মোটেই ভয় পাই নাই এবং আমার কাজ শেষ কৈরা আবার ঘরে ঢুইকা ঘুমায়া গেসি। পরেরদিন ঘটানাটা কারে কারে জানি কৈছিলাম। স্বভাবতই কেউ বিশেষ আমল দেয় নাই। কিন্তু আমি আরো দুয়েক রাইতে ঘুম থেইকা উইঠা দেখতে গেছি সেই বান্দরডারে। আর কখনো দেখি নাই। ব্যাপারটা এখনো ভুলতে পারি না। হয়তো সেইটা আমার চোখের ভুলই ছিল। কিন্তু এখনো চোখে ভাসে। এর পরে এত বছর ধৈরা অনেক নির্জন জায়গায় একা কাটাইসি কিন্তু কোনো কিসুই আর ঘটে নাই। দেখি সামনে কি আছে এই জীবনে
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: শেষ পর্যন্ত বানর ভুত দেখলেন!!
সামনে মনে হয় চোর ডাকাত ভূতের সাথে দেখা হতে পারে।
৩০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: @ নুভান, হ্যাঁ, সেই ভালো।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০২
রেজোওয়ানা বলেছেন:
৩১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৯
দীপান্বিতা বলেছেন: হুম্!...... ....আমারও মাঝে মাঝে এমনি এমনিই গা ছম্ছম্ করে!
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমিও আপনার দলে.......
৩২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩১
মৌনোতা বলেছেন: ঐ হোস্টেলে চিড়ুনি অভিযান দেয়া হোক।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১২
রেজোওয়ানা বলেছেন: চিরুনী অভিযান দিয়ে লাভ কি?
ভুত তো চিরুনীর ফাক গলে বের হয়ে যাবে, ছাত্রনেতাদের মতোন।
৩৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪২
চন্দন বলেছেন: চিন্তার বিষয়
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
৩৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮
এস বাসার বলেছেন: ট্যুরে এরকম হয়, যেমন আমরা কয়েকজন মিলে বাকী ২০-২৫ জনের বারটা বাজিয়েছিলাম ডরমিটরির বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে ভেতরে বসে থেকে।
রাতের বেলায় বাথরুমের দরজা ঘন্টার পর ঘন্টা ভেতর থেকে বন্ধ , ডাকলে সারা নেই, নতুন জায়গা, একে একে সবাই সজাগ হয়ে একযোগে বাথরুমের দরজা ভাংগার জোগাড়, না জানি ভেতরে কি হয়েছে, কেউ কি মরে আছে কিনা ইত্যাদি নানা গল্প, আর আমরা ভেতরে বসে সিগারেট খাই
হয়তো আপনার কোন বন্ধুদের কারসাজি হতে পারে। আমাদের মতো কয়েকটা বাদর সব ব্যাচেই থাকে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমারাও তাই ভেবেছিলাম প্রথমে।
তবে মনে হয়না ওরা কাজটা করেছে, কারণ তাহলে এটা নিয়ে পরে তাদের বাহাদুরির অন্ত থাকতোনা।
৩৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০৮
সোমহেপি বলেছেন: আমি হইলে ঠিকই রহস্য বের করতাম
২৪ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:০১
রেজোওয়ানা বলেছেন: হুম, আমার আপনার মতো অত সাহস নাই।
আর ভুতের ভয় পাইতে আমার ভাল লাগে.......
৩৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:১৭
সুবিদ্ বলেছেন: আপা, এই অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে একটা গল্প লিখে ফেলুন...অনেকদিন গা ছমছম করা কিছু পড়িনা
২৪ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:০২
রেজোওয়ানা বলেছেন: ওরে ব্বাবা, সেই ক্ষমতা কি আর আমার আছে?
এইটুকুই কত কষ্টে কিবোর্ডে বাটন ভেঙ্গে তারপর লেখলাম.........
৩৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:০৯
গুরুজী বলেছেন: ধান গবেষনার ডরমেটরির এই কাহিনী আগেও শুনছি ধান গবেষনার দোস্তদের কাছ থাইকাই, আমরা থাকতাম পাশের কৃষি গবেষনায়।
২৪ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:১৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: সত্যি বলছেন তো!!
নাকি আমার সাথে ফাপোর নিলেন
আমার ঘটনাটি কিন্তু একটুকও বানিয়ে লেখা না.........
অ ট: আগের প্রোপিকের সাথে আপনার গুরুজী নামটা দারুন মানাতো........
৩৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:২৫
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: শোনো সোহার মা, গুরুজীর কথা একদম বিশ্বাস করবা না। সব মিছা কথা।
২৪ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:২৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: হুম আমিও তাই সন্দেহ করছিলাম আপু.....
এম্নিতেও গুরুজীরা সাধারণত এই ভুজং ভাজং বলে মানুষকে ধাপ্পা দেয়
৩৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩৮
দুখী মানব বলেছেন:
২৪ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার পুকুর ভুতের গল্পটা পড়েছি, বেশ গা ছমছমে ব্যাপার.......
৪০| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:১৯
সায়েম মুন বলেছেন: এইটা মনে হয় হ্যালুসিনেশন। যে টা এক এক করে সবার মাঝে সংক্রমিত হৈছিল।
ইমন ভাইয়ের লেখা জন্মদিনের পোষ্ট থেকে এই পোষ্ট এ আসা।
২২ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: অডিটারি হ্যালুসিনেশন হইতে পারে আবার নাও হইতে পারে........বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর.......
বুঝছি সেইটা
৪১| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬
শায়েরী বলেছেন: Voy pai
২৫ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমিও
৪২| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৩
শ্রাবন্য বলেছেন: যদিও অনেক পুরাতন পোষ্ট আপনার, তবে কমেন্ট না করলেই নয় যে। আমারও এরকম অভিজ্ঞতা আছে একটা। আমারটা হল নরসিংদীর কোন এক গ্রামে। মেজমামা ও তার ৩ বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম আমি। সবাই অমিত সাহসী হিসেবে খ্যাতিমান থাকলেও ওদিন আমার মামার এক সাহসী বন্ধু তো কান্নাকাটি শুরু করেছিল, যেটা এখনও তাদের আড্ডায় বেশ হাস্যরসের বিষয়। ওটার শব্দ টুংটাং শুরু হলেও কিছুক্ষন পর আর স্বাভাবিক ছিল না। সারা ঘরএর চারপাশে মনে হচ্ছিল নাচছে কেউ, মাঝে মাঝে শব্দটা যেন একেবারে কাছে এসে হীম এক আবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছিল। কেউই রাতে এক ফোঁটা ঘুমায়নি, একটি মাটির ঘরের মাঝখানে জুবুথুবু। একসময় শব্দ সয়ে আসে, সবাই সাহস করে দরজাখুলে বের হই, সব খাঁখাঁ নিস্তব্ধ, মাঝে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। কিন্তু আবার ঘরে এসে দশমিনিট গিয়েছে কিনা সন্দেহ, আবার। এভাবেই রাত শেষ হয়।
পরের দিন শুনলাম, এ বাড়িতেরই তার বছরখানিক আগে সর্বহারাদের হাতে তাদেরই এক সাবেক নেতা দিনে দুপুরে খুন হয়েছিলেন, বাড়ির লাগোয়া তার কবর ছিল, ও বাড়িতে কেউ থাকেও না, অতিথি আপ্যায়নের(!) অংশ হিসেবে আমরা আপ্যায়িত হয়েছিলাম আর কী! পরবর্তীতে এ ঘটনা অনেকে হাস্যরস জন্ম দেয়, তবে মেজমামা ভিকটিম বলে রক্ষে। আর আমার প্রথম কদিন দূঃর্বিসহ কাটলেও আমিও ভুলে গিয়েছিলাম ঘটনাটা।
আমি যদিও ভূত বিশ্বাস করি না, কিন্তু ভয় আছে সংগোপনে, আজব তাই না? বনের বাঘে নারে বইন, মনের বাঘে খায়।
২৯ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:২৩
রেজোওয়ানা বলেছেন:
ধন্যবাদ শ্রাবন্য আপনার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করার জন্য।
আসলে হয়ত বা হেলুসনিশন হয়তো বা অন্য কোন কিছু, কিন্তু যারা এইসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় তারাই শুধু সেই সময়কার অনুভূতিটা বুঝতে পারে.............
শুভ সকাল
৪৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:২৭
শ্রাবন্য বলেছেন: আপু, আমার জীবনে ভয়ের অভিজ্ঞতা খুউবই কম, ভয় পেলে হার্টবিট মিস করে হলেও আমি উৎস আর ব্যাখ্যা খুঁজে বের করেছি। ভূততত্বে আমার নিজেরেই বিশ্বাস নেই, তবে একটা অব্যখ্যাত বিষয় তো আছে এটুকু জানি। আমাকে সাইন্স দিয়ে হ্যালুসিনেশনের গাঁজাখুরী বোঝানো সম্ভব নয়, হ্যালুসিনেশন কী আমি ভাল করেই জানি। আর একটা লেখায় দেখলাম এক আপু ঝুম ঝুম শব্দটার উৎস এক তেলাপোকাজাতীয় প্রানী বলে ব্যাখ্যা করেছেন, শুনে ভাল লাগল কিন্তু সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় যে পরিস্থিতিতে ছিলাম, ওই ব্যাখ্যাতত্ত্বই হ্যালুসিনেশন মনে হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ, শুভ সকাল আপু।
২৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪২
রেজোওয়ানা বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন, তাৎক্ষনিক অনুভূতিটা আসলে ভাষায় করে কাউকে বোঝানো সম্ভব না।
আমি জীবনে এই এখন পর্যন্ত এই একবারই ভয় পেয়েছি, আর এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়.......
৪৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩
রেদয়ান কবির বলেছেন: ভালো। জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘঠে যা বাস্তবের অনেক কিছুর সাথেই সন্দাহিত থাকে, কিন্তু এর বাস্তবের সাথে কোন সম্পর্ক থাকেনা আর এর ব্যাখাও খুবই জঠিল বা বাস্তব বিরোধী :-<
২৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:০৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: হুম কত কিছুই অজানা, ব্যাখ্যার অতীত!!
ভৌতিক পোস্টে পদার্পন করার জন্য ধন্যবাদ
৪৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:৫৬
সাইফ হিমু বেস্ট বলেছেন: হায়রে ভুহ তুই সবাই রে দেখা দেছ; আমি কি করলাম আমারে দেখা দেছ না কেন?
৩১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:১৩
রেজোওয়ানা বলেছেন:
ভুত মনে হয় বিলাইদের পছন্দ করে না
৪৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:৫০
ক্রন্দসী বলেছেন: পরী মনে হয় আরেক পরীকে দেখতে এসেছিলো।শার্ম তখন পরীর মতোই ছিলো।
৩১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৫২
রেজোওয়ানা বলেছেন:
এখন কি পেত্নী হইছি নাকি
৪৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৫৭
বোবায় বলেছেন: ভুত হোয়টো সেই room এর বাসিন্ডা ছিলেন... বিনা notice এ তোমরা তার জায়গা দখল কোরে নেয়াতে তার বারান্ডার এক মাথা থেকে ওনন মাথা পায়েচারি করা ছাড়া সারা রাত আর কি বা করার ছিলো!!?? ঘুংগুরের শব্দ ছিল তার প্রতিবাদ...
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৫
রেজোওয়ানা বলেছেন:
হুম, একদম দারুন বিশ্লেষণ করেছেন বোবায়! বোবায় মানে কি, আপনাকে 'বোবায়' ধরছে?
৪৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:২২
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: আমার মনে হয় কোন লোহা লক্করের শব্দ শুনেছিলেন, বাতাসে কোথাও দুলছিলো হয়তো। অনেক রাতে কিন্তু হাল্কা শব্দও অনেক জোরে শোনায়। এমন কিচুই হবে হয়তো।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: লোহালক্কর!!! কি যে শুনেছিলাম
৪৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪০
চশমখোর বলেছেন: একবার যেতে হবে তাহলে।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: ভুত ঘাড় মটকালে বুঝবেন তখন
৫০| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:৪৭
কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: কারন জানতে এখনে যান
২২ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:০৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: কি আছে ঐ খানে?
২২ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:১৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনি তো অনেক পাজি!!!
দারান আমি মজা দেখাবো
৫১| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:২৬
শায়মা বলেছেন: এক ধরনের ঝিঝি পোকার আওয়াজও কিন্তু ঘুঙ্গুরের মত শোনা যায় শুনেছি।
২৩ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: তাই নাকি? ঝিঝি পোকা হলেই তো বেচে যাওয়া
৫২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১২
নিমচাঁদ বলেছেন:
সময়টা ছিল ২০০০ এর মাঝামাঝি,-------------- (ক)
সময়টা সম্ভবত সেপ্টম্বরের শেষ দিক, ডর্মেটরিরতে পৌছতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল (খ)
******************************************
০১) বর্ণনায় সময়ের সামান্য হেরফের রয়েছে ।
০২) মানুষের মন বড় অদ্ভুত জিনিশ । মন নিজেও জানে না , সে কত বড় অবসেশন তৈরী করছে, কিন্তু শব্দটা আপনি একা না , আর কএকজন শুনেছে। তার মানে শব্দ হয়েছিলো।
০৩) শব্দটা আপনাদের সাথের ছাত্রদের তৈরী কিনা এখনও তাদের জিজ্ঞাসা করে , জেনে নিতে পারেন ।
০৪)যদি তাদের তৈরী না হয়ে থাকে , তাহলে শব্দ টা রিয়ালিস্টিক। কে করেছে , এটার ব্যাখ্যা নেই।
০৫) শেষ পসিবিলিটি হোলো, এটা একটা মামদো ভুত। এই ভ্লগে একজন কে লিখতে দেখি , উনি ভুত হয়ে বিচরণ করেছেন কিনবা এখন ও করেন (এই ব্লগারের নাম ভুলে গেছি)। দিন কাল সময় ক্ষণ মিলিয়ে দেখেন, অই দিন উনি আপনাদের অই স্থানে ভ্রমণ করেছিলেন কিনা ।
পাদটিকাঃ
-------
যারা হরর মুভি পছন্দ করেন , তাদের কাছে অনেক ভুতের গল্প শুনি। আপনার চেক লিষ্ট চেক করেন, কি পছন্দ করেন ।দেখেন মিলে কিনা ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৩৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি হরর মুভি, গল্প, ফেইসবুকের যাবতিয় ভুতের গল্পের পেইজ, ভুত এফ এম.......সবই পছন্দ করি!
তবে ভূত দেখা হয়নি কখনো! আর আমি ভার্সিটি লাইফে একটু ডাকাবুকো ছিলাম, সো এসব দেখে ভয় পাবার প্রশ্নই ওঠে না (তখনকার সময়ের কথা বলছি, এখনকার আমি না )
শব্দটা ছাত্রদের কেউ করেনি, লাস্ট যেদিন শব্দটা শুনি সেদিন আমাদের রুমে আমাদের আরও তিন বন্ধু ছিল, আমরা কাজ করছিলাম......সেদিন ঐ রুমের সবাই শুনেছে। তারপর ওরা দরজা খুলে দেখেছিলও কেউ আছে কিনা বারান্দায়!
যাই হোক, কত কিছুই তো রহস্যময় ঘটনা ঘটে পৃথিবীতে, আমরা আর কতটুকুই বা জানি!
ও আর সেদিন মামদো ভুত নামকে একজন আমাকে ফেইস বুকে এড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে। একটু ভয়ে আছি
৫৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:২৭
পুচকে ফড়িং বলেছেন:
আমারো ছোট্ট একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। তা নিয়ে ততোধিক ছোট্ট একটা পোস্টও দিয়েছিলাম। :``>>
এধরণের কোনো পোস্ট দিলেই কিছু মানুষ ঘটনাটার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পৃথিবীতে ব্যাখ্যার অতীত, অলৌকিক দু চারটা ঘটনা ঘটলে কার যে কি ক্ষতি হয় বুঝিনা...
২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৩৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার তো বর্ষার রাতে ভুত নিয়ে ভাবতে ভালই লাগে!
তোমার লেখাটা পোস্ট করেছো? দেখছি খুঁজে পড়ে আসি .......
৫৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২৬
অচিন্ত্য বলেছেন:
অদ্ভুত বিষয়! গত বছর এরকম এক দিনে (সেপ্টেম্বরে) আমাদের বাসাতেও এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটতো। সময় অসময়ে কলিং বেল বেজে উঠত। আমি ২ সেপ্টেম্বর দরজার লেন্সে এক ঘণ্টা চোখ লাগিয়ে বসে রইলাম। সকাল ৭টার দিকে বেল বেজে উঠল। আমি লেন্সে তাকিয়েই আছি। বাইরে কেউ নেই। বেশ অবাকই হয়েছিলাম।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: তুমি তো মনে হয় আমরা এখন যে বাসায় আছি সেখানে এসছিলা!
আমাদের বাসাতেও কিছুদিন এমন হলো, রাত ১২, ১২।৩০ দিকে বেশ কিছু দিন ছাদে খুব ধুপধাপ শব্দ হতো, মনে হতো কেউ জোড়া পায়ে লাফাচ্ছে!
একদিন কনি, আর সৌরভ মিলে দেখেও আসলো, গেলে শব্দ বন্ধ আর কেউ নেই!
এখন আর হয় না!
৫৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খাইসে, আমার ভূতের ভয় বড্ড বেশী :-&
আমি একবার ভুত দেখছিলাম ট্যাগটা কিন্তু ঠিক হয় নাই রেজোওয়ানা আপু ||
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি অনেক ভয় পাই, আবার ভুতের গল্প,সিনেমা মিস করি না, খুবই ব্যারাছেড়া অবস্থা
ঠিক করে দিচ্ছি মুন
অসংখ্য ধন্যবাদ
৫৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
নস্টালজিক বলেছেন: তোমার এই পোস্টের ব্যপারে ভুতোদাদার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি! :-)
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমার মন্তব্যটা দেখতে এসে ইমন ভাইয়ের পুরানো মন্তব্য গুলো চোখে পড়ে গেলো!
এত খারাপ লাগছে রানা...
৫৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন:
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: ভেংচি দাও কেন!
পিটাইয়া লম্বা বানিয়ে দেবো শাখামৃগ কোথাকার
৫৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
নস্টালজিক বলেছেন: আমারও খুব খারাপ লাগছে রেজ, খুব!
ইমন ভাই এর এই আকস্মিক চলে যাওয়ায় বিষাদ গ্রাস করলো একরাশ!
বিনয়ী, নির্মোহ আর অন্তরালের মানুষ যখন এত গুনী হয়, এ রকম কষ্টই বোধহয় পায় তার গুনগ্রাহী-রা!
কাল কিছুক্ষন ব্লগে ছিলাম! ইমন ভাই এর প্রতি সবার এত ভালোবাসা...
আমরা সবাই প্রত্যাবর্তণ করবো আল্লাহ পাক এর কাছে একদিন!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: সেদিন খুব ভোরে ইমন ভাইয়ের কাজিন সোহরাব সুমন ভাই ফোনে জানালেন খবরটা আর ব্লগে একটা পোস্ট দিতে বললেন!
আমি কি কথা বললাম উনার সাথে নিজেও বুঝি নাই....বলছিলাম জানাজা কখন জোহরের নামাজের পর?.....সেদিন যে শুক্রবার সেটাও মাথায় কাজ করছিল না।
তার সেই সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত পিসির সামনে বসে, কি ভাষায় লিখবো এই রকম একটা খবর, আমাকেই কেন লিখতে হবে, শেয়ার করতে যদি পারতাম কারো সাথে তখনই....এমন খারাপ বোধ হয় একটু কম লাগতো।
ইমন ভাইয়ের বাসায় গেলাম, ওনার বোন দু'জন শুধু মুর্ছা যাচ্ছিলেন, আর ছোট ছোট ভাগ্নিদের চিৎকার, এক পাশে দেখি তাহসান দাড়িয়ে, পানি পরছে শুধু টপটপ করে ওনার চোখ থেকে।
ঠিকই বলেছো, বিনয়ী, নির্মোহ আর অন্তরালের মানুষ যখন এত গুনী হয়, এ রকম কষ্টই বোধহয় পায় তার গুনগ্রাহী-রা!
আমরা সবাই প্রত্যাবর্তণ করবো আল্লাহ পাক এর কাছে একদিন!
ভাল থাকো, টেইক কেয়ার........
৫৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
নীলপথিক বলেছেন: অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতা আমারও যে দু'একটি নেই এমনটি নয়। ব্যাখাতিত বলেই না অভিজ্ঞতাগুলো অতিপ্রাকৃত। এমনই এক ঘটনা বলি সংক্ষেপে।
ঘটনা নাটোরের। প্রায় দেড়যুগ আগের ঘটনা। আমার চাচাতো ভাইয়ের শ্বশুর রোড অ্যাকসিডেন্ট করলেন। ওনার আশে পাশে ভালো কোন হাসপাতাল না থাকায় ওনাকে ইমারজেন্সী হিসেবে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হলো। আমি আর আমার চাচাতো ভাই গেলাম উনাকে দেখতে। উনাকে দেখবার জন্য আমার ভাইয়ের শ্বাশুড়ি আর শ্যালক ২৪ ঘন্টাই থাকতেন রাজশাহীতে। নাটোরে ওনার বাড়িতে থাকতো আমার ভাবী এবং তার ছোট বোন।
তো আমরা গিয়ে নাটোরেই উঠলাম। উদ্দেশ্য পরদিন ভাবী এবং তার ছোট বোনকে নিয়ে রাজশাহীতে যাবো। এখানে কিছু ঘটনা বলে রাখা দরকার। চাচাতো ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ী দো'তলা (ইংরেজী "এল" আকৃতির)। দোতলায় রুম মাত্র দুটো। নীচতলায় পাঁচ/ছ'টা মতন হবে। দো'তলায় শোবার ব্যবস্থা হলো চাচাতো ভাই আর ভাবীর (একরূমে) আর ভাবীর ছোট বোনের (অন্য রুমে)। আর নীচতলায় বেচারা আমি রইলাম পড়ে থাকা আধূলীর মতন।
দো'তলার সাথে একতলার যোগাযোগ হতো লোহার এক সিঁড়ির মাধ্যমে। সিঁড়ি না বলে বরং মই বললেই মানানসই হত ব্যাপারটা। তাও সেই সিঁড়ি বাইতে হলে মূল দালানের বাইরে বের হয়ে সিঁড়িতে চড়তে হতো।
যাইই হোক, প্রথম রাতেই আমাকে বলা হলো আমি যেন রাত দশটার আগেই প্রাকৃতিক কর্মগুলো সেরে ফেলি এবং কোনভাবেই বাইরে যাবার দরজা না খুলি (এমনকি ভাবী কিংবা অন্য কেউ এসে দরজায় ডাকলেও যেন না খোলা হয়)। আমি ব্যাপারটায় পাত্তা দিলাম না, ভাবলাম নতুন দেবর পেয়ে হয়ত মজা করছে। কিন্তু আমি ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করিনি এত ভয়ংকর কাটবে রাত টা। বাড়ির চারপাশেই ঘন সন্নিবিষ্ট গাছপালা আর পেছনদিকে অতিকায় এক আমবাগান ছিলো। পুরো রাত আমাকে পাগল করে তুলছিলো একধরনের শব্দ। কেমন যেন গোঙানীর মতন, যেন কেউ কারো গলা টিপে ধরেছে। কখনও বা হয়েনার মতন হ্যাহ হ্যাহ শব্দ শুনেছি। পুরোবাড়ি জুড়ে যেন তান্ডব চলছিলো। তবে সব শব্দই কেমন যেন চাপা। দরজায় দু'একবার আলতো করে ধাক্কা দিয়েছিলো কেউ। আবার শোনা গেলো রিনরিনে একটা হাসির শব্দ। আমি পুরো রাত আতংকে ছিলাম। আযানের পর শব্দগুলো শোনা যায়নি। পরদিন যখন ভাবীকে সব বললাম, তিনি একটা কথাই বললেনঃ তোমার ভাগ্য ভালো আমরা দুষ্টুমী করেছি মনে করে তুমি দরজা খোলোনি। আব্বা বাসায় না থাকলে এরা বড় বেড়ে যায়।
আমি আজও জানিনা কি ঘটেছিলো সেই রাতগুলোতে (আমি আটদিন ছিলাম ওখানে), তবে মূর্তিমান আতংকের মধ্যে কাটতো রাতগুলো। ভাবীর ছোটবোনের প্রতি হালকা দূর্বলতা জন্মেছিলো বলে ভয় পেয়েছি বলতে নিজের পৌরুষে লাগতো। আমাকে একাই কাটাতে হয়েছিলো সেই দূর্বিষহ রাতগুলো।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: কি ভয়ংকর অবস্থা! অবশ্য ভয় বেশি পেলে নাকি এন্ড্রোনিল গ্রন্থির নি:সরনের ফলে মানুষের মধ্যে মানসিক ভাবে একটা বেপারোয়া ভাবে এসে যায়! প্রথম ভয়ের সেই তীব্র অনুভূতিটা আর ততটা প্রবল থাকে না পরে!
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
শুভ রাত
৬০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
নীলপথিক বলেছেন: আমিও তেমনটাই জানি। পরের রাতগুলো ভয়ে কেটেছে, তবে আতংকে নয়। প্রথম রাতের মতন অত ভয় আর পাইনি।
৬১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
আরজু পনি বলেছেন:
ঘুলঘুলিতে কোন চড়ুইয়ের বাসা ছিল কি ?
দেখতে এলাম কেমন ছিল হেবিওয়েট ব্লগারের প্রথম পোস্ট
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৩৬
পারভেজ বলেছেন: ব্যাখ্যা তো একটা ছিল নিশ্চই।
হয়তো ঘুঙুর পরা কোন পায়রা