নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.heritagebangladesh.co/

পাখি উড়ে গেছে!

রেজোওয়ানা

সেদিন আমি থমকে পথের মোড়ে হঠাৎ দেখি বদলে গেলো সব চেনা পথে জারুল ফুলের রঙ্গে খুব ছিলো তার চেনা অনুভব! বদলে গেলো জেব্রা ক্রসিং, নিয়ন আলোর শহর অদল বদল খুব কার হাতে কার পরশ লেগে ছিলো সেসব কথা, বৃষ্টিতে নিখুত!

রেজোওয়ানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের প্রাণের উৎসে আমাদের গানের উৎস

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৮

গাইতে গাইতে কি কখনো গায়েন হওয়া যায়? আমার মনে হয় এই প্রবাদটি ভুল। এই যেমন আমি, গলার স্বরের সাথে হুলো বিড়ালের স্বরের অপূর্ব মিল থাকায় ছেলেবেলায় বেশ অনেক বছর হারমোনিয়ামের সাথে গুতোগুতি করে, গানের টিচারের কালো ঘাম ছুটিয়ে শেষে ঐ রাস্তায় হাটাচলা বাদ দিয়েছি। তাই বলে গানের প্রতি ভালবাসা কমেনি।

গান শোনার ক্ষেত্রে আমি মোটামুটি সর্বভুক, সেই সাথে গানের ইতিহাস গুলোও জানতে ভাল লাগে।

ভাল লাগে আমাদের লোকসঙ্গীত গুলো। কি অসাধারণ ঐশ্বর্য্যশালী আমাদের লোক গানের ভান্ডার, কত শত তার ডালপালা দেখলে অবাক বিস্ময় জাগে মনে।



ঘেটু গান ও নাচ:

শুরুতেই ঘেটু গান ও নাচ, কারণ ইদানিং হুমায়ূন আহমেদে "ঘেটু পুত্র কমলা" নিয়ে এত সোরগোল হচ্ছে, যে আপনা আপনি ঘেটু গান সিরিয়াল ব্রেক করে সামনে চলে আসলো!

ঘাটু গান’ এর নামকরণের ইতিহাস একেক জনের বর্ণনায় একেক রকম। সাধারণের ধারণা, ঘাটে ঘাটে নৌকা ভিড়িয়ে গাওয়া হতো বলে এর নাম হয়েছে ঘাটু গান। নেত্রকোনার স্থানীয় লোক সাহিত্য সংগ্রাহক গোলাম এরশাদুর রহমান তার ’নেত্রকোনার লোকগীতি পরিচয়’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন: “ঘাটু নামকরণ সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে আদিকালের সমঝদারদের বক্তব্য ছিল- কৃষ্ণের বাঁশির ঘাট শব্দ থেকে ঘাটু নামকরণ হয়। কারণ ঘাটু ছেলেটিকে মূলত নাচে ও গানে নিয়ন্ত্রণ করে বাঁশি’’।



ঘাটু গানে প্রধান আকর্ষণ ঘাটু চরিত্র। একজন সুন্দর কিশোর মেয়ের সাজে সজ্জিত হয়ে গান ও নাচ করতো। এই ছেলেদের মাথায় লম্বা চুল রাখা ছিল বাধ্যতামূলক। তারা চুলে বেণী ও খোঁপা বাঁধতেন। উকিল মুনশীর নাম অনেকেই শুনেছেন। তিনি শৈশবে ঘাটু গানের ঘাটু ছিলেন। তাছাড়া আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও ঘাটু গানের (লেটো গান) দলে ছিলেন।

ঘাটু গানের মূল বিষয়বস্তু ছিল রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়লীলা। চিরায়ত এ প্রেমলীলাকে কেন্দ্র করেই রচিত হতো ঘাটু দলের গান। আসরে উঠে ঘাটু প্রথমে বন্দনা গাইতেন। এরপর প্রেম, প্রেমতত্ত্ব, মান, অভিমান, বিচ্ছেদ, মিলন, সন্ন্যাস প্রভৃতি বিষয় অবলম্বন করে প্রবাহিত হতো তার গীতধারা।

ঘাটু গান নিয়ে চমৎকার একটি লেখা পড়ুন এখানে ....লোকসঙ্গীতের সাতরঙ (পর্ব -০২)





জারী গান:

বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহি গান হলো জারী গান, অপ্রতিদন্ধি গায়ক জারী সম্রাট আবদুল গনি বয়াতীর গান নিশ্চয় অনেকেরই শোনা।

জারী গানের সৃষ্টি হয়েছিল মুসলমানী পৌরনিক ঘটনাবলী নিয়ে, পরে মুহররমের করুন কাহিনী এতে প্রাধন্য লাভ করে। জারী গানে মূলত: কোন ঐতিহাসিক ঘটনা দলীয় সংগিত আকারে পরিবেশন করা হয়। এতে এক সময়ে চন্ডিদাস-রজকিনী, নিমাই-সন্ন্যাস প্রভৃতি কাহিনীও জারীর সুরে গাওয়া শুরু হয়, মানে শ্রোতার চাহিদা ভিত্তিক কাহিনী সংযোজন হয় এত।

এবার আবদুর রহমান বয়াতীর একটি জারী গান শুনন







সোহেলির গান:

এটা একদম মেয়েলি গান। এক সময়ে গ্রাম বংলায় মেয়েদের মধ্যে ঘটা করে সই পাতানোর প্রচলন ছিল। এর অনেক নিদর্শন আমরা রবীন্দ্র বা শরৎ রচনা গুলোতে পাই। এই সই' দের সম্বন্ধের আবার আলাদা নামও থাকতো, যেমন চোখের বালি।

যাই হোক এই সই' প্রথাকে ঘিরেও সৃষ্টি হয়েছিল গানের একটি ধারা, যার নাম 'সহেলার গান'। এমন একটি গান.....



চলিল, কমলা গো-সহেলা পাতিবারে

চিড়া গুড় লৈক কমলা, ডাইলারে ভরিয়া

কলা চিনি লৈল কমলা, ডাইলারে ভরিয়া

পান শুবারি লৈল কমলা বাটারে ভরিয়া

পুস্প দূর্বা লৈল কমলা সাজি ভরিয়া!



মানে হলো চিড়া-গুড়, কলা-চিনি, পান-শুপাড়ি নিয়ে কমলা সই পাতাতে যাচ্ছে।

দারুন ব্যাপার না?

আবার সহেলী গানের পরিচয় দিতে গিয়ে মোহাম্মদ আবদুল আজিজ (আমাদের লোক সাহিত্য) বলেছেন, "এই সব সঙ্গিত সাধারণত বিবাহ, উপনয়ন, খাৎনা প্রভৃতি উপলক্ষে মেয়েরা একসাথে গাহিয়া থাকেন"।



গাজীর গান:

বাংলাদেশের সুন্দরবন আর উত্তরবঙ্গের এক সময়ে বাঘের বেশ উপদ্রব ছিল। ধর্মভীরু মানুষ এই বাঘের উপদ্রব থেকে রক্ষাপেতে এক সময়ে কল্পনা করে নেয়ে বাঘের দেবতা বা পীরের। এই পীরের নাম গাজী।

গাজী নামে কোন ঐতিহাসিক চরিত্র ছিল কিনা সেটা একটি বিতর্কিত বিষয়, তবে লোকমানসে তিনি পরম শ্রদ্ধার। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য লোকসঙ্গিত, যা গাজীর গান নামে পরিচিত।



"ঢাহারে দোম দোম বলিয়া গাজি ছাড়িল জীহির

নন্দ ঘোষরের মায় বলে, এই আইল ফকির,

নন্দ ঘোষের মায় বলে কালু ঘোষের ঝি

বাড়ি আইল গাজির ফকির ভিক্ষা দেবো কি!"



যশোর জেলার একটা ঐতিহ্যবাহী গাজির গান





ঝুমুর গান:

ঝুমুর প্রধানত পশ্চিম বাংলার সীমান্ত অঞ্চলের গান। এক কালে এই সংগীতে শুধু আদিবাসীদেরই আধিকার ছিল। সাওতাল গান যে গুলো আমরা শুনি, এগুলোও ঝুমুর। ঝুমুর গান ও নাচের আছে অনেক গুলো শাখা, যেমন ছো নাচের ঝুমুর, করম নাচের ঝুমুর, সাওতালি ঝুমুর, পাতা নাচের ঝুমুর ইত্যাদি ইত্যাদি।

কালক্রমে এই মৌলিক ঝুমুর গান ধীরে ধীরে বাংলা লোকসংগিতে চলে আসে, এক সময়ের লোকসংস্কার মুক্ত বাস্তব জীবন ভিত্তিক এই গানে প্রবেশ করে ধর্ম, চলে আসে রাধাকৃষ্ণ।

অমিতাভ ঘোষের গলায় ঝুমুর গান, সেই সাথে করম নাচের ঝুমুর..



এখানে একটা কথা উল্লেখ্য যে ঝুমুর গানের সাথে নাচ অঙ্গাআঙ্গিক ভাবে জড়িত।



গম্ভীরা গান:

এই গানের প্রচলন দেখা যায় বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ আর ভারতের মালদহ জেলায়। হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের ধর্মালম্বীদের অন্যতম দেবতা শিব, তার অপর এক নাম‘গম্ভীর’। শিবের উৎসবে শিবের বন্দনা করে যে গান গাওয়া হত- সেই গানের নামই কালক্রমে হয়ে যায়‘গম্ভীরা’এক সময়ে শিবের পুজা উপলক্ষে এই গানের প্রচলন হলেও কালক্রামে এতে সামাজিক বিষয় গুলো প্রাধান্য লাভ করে।

বর্তমানে বাংলাদেশের যে গম্ভীরা গান চলে, তাতে প্রধান দুটো চরিত্র থাকে, নানা এবং নাতি। এই নানা ও নাতীর ‘নানা-নাতি’র সংলাপ ও গানের মধ্য দিয়ে দ্বৈতভাবে গম্ভীরা গান পরিবেশিত হয়।







ভাওয়াইয়া:

বাংলাদেশের রংপুর ভারতের জলাপাইগুড়ি ও কোচবিহারই ভাওয়াইয়া গানের উৎস ভূমি। এই গান মূলত: প্রেম সঙ্গীত, এর গানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এ গানগুলোতে স্থানীয় সংস্কৃতি, জনপদের জীবনযাত্রা, তাদের কর্মক্ষেত্র, পারিবারিক ঘটনাবলী ইত্যাদি নিয়েই গান গুলো রচিত হয়।

গাড়িয়াল কে উদ্দেশ্যকে রচিত ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের সেই বিখ্যাত গানটি...





তবে লোকসংগীতের অন্যতম নায়ক "কৃষ্ণের" উপস্থিতিও আছে অনেক ভাওয়াইয়া গানে।



ভাটিয়ালি:

ভাটিয়ালি কিন্তু গানের কোন শ্রেণীর নাম নয়, এটা লোক সঙ্গীতের একটা সুরের নাম। ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম এবং ত্রিপুরা অঞ্চলের লোকগিতী ভাটিয়ালি নামে পরিচিত। ভাটিয়ালী গানও প্রেম এবং ধর্ম ভিত্তিক।

ফেরদৌসি রহমানের দরাজ গলায় ভাটিয়ালি...







সারি গান:

‘সারিগান’ বলতে সাধারণত নৌকা বাইচের গানকেই বোঝায়। মাঝি-মাল্লার বিষয়টি এখানে জড়িত। তবে ভাটিয়ালী গানের মতো সারিগান একক সঙ্গীত নয়, সমবেত। কর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত সমবেত সঙ্গীতকে সারি শ্রেণীর গান বলা যায়। সারিগানের সংজ্ঞা নিয়ে লোক-বিজ্ঞানীদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। মুহম্মদ আব্দুল হাই এর মতে, ‘ইংরেজিতে যাকে বলে Action song. সারিগান হচ্ছে তাই। ‘সারিগান নৌকা বাইচের গান।’ ড. ওয়াকিল আহমদ- এর মতে, ‘সারি’ (√সৃ+নিচ) শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ গমন করানো। নৌকাকে দাঁড়ের টানে সামনে এগিয়ে নেয়া হয়। ‘সারি’ শব্দের অর্থ পঙতি বা শ্রেণী। এ থেকে শ্রেণী বা সারিবদ্ধভাবে যে গান গাওয়া হয় তাই সারিগান নামে পরিচিতি লাভ করে।আবার ড. শুদ্ধসত্ব বসুর মতে ‘কর্মরত অবস্থায় সমবেতভাবে গেয় এক বিশেষ সঙ্গীতের নাম ‘সারিগান।’ ‘সারি’ কথাটির মানে শ্রেণী, যখন এক শ্রেণীর লোক একই কর্মেরত। কর্মের সঙ্গে সঙ্গে গান করে থাকে- সেই গান হলো ‘সারিগান।’ সারিগান সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়।’ চর্যাপদে ‘সারি’ শব্দ আছে ‘বীণার ছড়’ অর্থে। বিজয় গুপ্তের পদ্মপুরাণে (১৪৯৪) সারিগানের উল্লেখ আছে। শ্যাম চাঁদ গুপ্ত (১৭৭৪-১৮৫৪) এর রচিত সারিগান সংগ্রহ করে রামপ্রাণ গুপ্ত ‘সারিগান’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর এর আমলে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অবলম্বন করেই সারিগানের উৎপত্তি ও বিকাশ লাভ করেছে।

যাই হোক সারিগানকে কেউ কেউ কর্ম সঙ্গীত, কেউ কেউ মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গীত হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন। আমার মতে নৌকার মাল্লারা বা বাইচালরা সারিবদ্ধভাবে বসে বৈঠার তালে তালে যে গান গায় তাকে ‘সারিগান’ বলে।

টাংগাইল অঞ্চলের একটা সারি গান দেখুন..



"একটা জয়-ধ্বনি দে গো তোরা



রহিম মিঞার নৌকাতে



লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ



একটা জয়-ধ্বনি দে……।



আল্লাহর নামটি নইয়্যা আমরা নৌকা দিলাম ছাইড়



কোথায় আছো দয়াল নবী আমরা হইলাম বাইড়।



একটা জয়-ধ্বনি দে…….।



তোমার নামটি ভসসা কইরা নৌকা দিলাম ছাইড়া



কোথায় আছো ইমাম দুইভাই দ্যাখো না চাইয়্যা।



একটা জয় ধ্বনি দে …………।



কবি গান: '

খেউড়' বা খেড়ু থেকে কবি গানের উদ্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। সপ্তদশ শতেকর মাঝামাঝিতে এই গানের প্রচলনের নিদর্শন পাওয়া যায়। কবি ঈশ্বর গুপ্ত এই গানের উদ্ভব স্থাল বলে নদীয়া লেজার শান্তিপুরকে নির্দেশ করেছেন।

কবি গানের বিশেষত হলো একাধিক দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা, এবং সেটা গানের মাধ্যমে। একদল প্রশ্ন করবে সুরে সুরে, অন্য দল সুরেই তার উত্তর দেবে।



পরবর্তিকালে কবি গানের বিষয় বস্তুতে আদিরসের অতিরিক্ত ছড়াছড়ি অনেকেরই কাছে স্থুল মনে হয়েছিল. রবি ঠাকুর একবার কবি গান নিয়ে তার বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। নারী পুরুষ দ্বন্দ নিয়ে কবি গানের একটা অংশ দেখুন, কথা গুলো খেয়াল করুন.....





ছোকরা এবং খেমটা গান:

আসরের কম বয়সি ছেলেদের দলীয় গান গুলোই ছোকরা গান নামে পরিচিত। এই গান একেবারেরই ধর্ম আর লোক সংস্কার নিরপেক্ষ।

খেমটা হলো ছোকারা গানের একটা অপরিহার্য অঙ্গ। ছোকরা গানের গায়ক আর তার সংগীয়া যখন টানা গান গেয়ে ক্লান্ত হয়ে যায়, সেই মধ্যবর্তি সময়ে গাওয়া হতো খেমটা গান, যার বেশির ভাগই আদিরসাত্মক ছিল। এই গানের সাথে আবশ্যিক ভাবে থাকতো একক বা দলিয় নাচ। এখনকার যাত্রা পালা গুলোতে যেটা আমরা দেখি এখনও। আধুনিক আইটেম সং বলা যায়।





আরও বাকি রইলো অনেক অনেক শাখা প্রশাখা আমাদের ঐতিহ্যবাহী গানের।

অন্য কোন দিন হয়তো আবার কথা হবে সে সব নিয়ে...



গানচিল ভাইয়া...........এমন কোন বাংলা গান কি আছে, যা তার কাছে জানতে চাইলে খুজে পাওয়া যাবে না? না নেই! শুধু মাত্র গান এবং তার ইতিহাস নিয়ে চমকপ্রদ লেখা গুলো আমাদের শোনা আর জানার চাহিদাকে সমান তালে পূরণ করছে।

এই সামান্য লেখাটি তাকেই উৎসর্গ করলাম...


মন্তব্য ১৮০ টি রেটিং +৫৫/-০

মন্তব্য (১৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৭

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন:

আমাদের গ্রামের ওদিকে বিয়ের সময় হয়লা বলে একটা গান গাইতে শুনেছি। হয়লাই কি সহেলা? বিয়ের কনেকে নিয়ে গাওয়া, বা বিয়ের বিষয়াদি নিয়ে মা-খালা-ভাবী-বান্ধবীরা গায়।


শরিয়তপুরে এক বন্ধুর বোনের বিয়েতে গিয়ে একটা গান শুনেছিলাম। পুরো গানটা আমার মনে নেই। কিন্তু প্রথম লাইন গুলো বোধহয় এমন-

"আসছে ফাগুন মাসে
আমি যাবো বনবাসে
আমায় তুলে নিয়ে যাবে
আমার বর
আমার মা-বাবা যে হয়ে যাবে পর
আমায় চলে যেতে হবে
স্বামীর ঘর।"

প্রায় একযুগ আগে শোনা গানটা অনেক খুঁজেছি। পাইনি :(

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: সহেলি গানটার অঞ্চলিক উচ্চারনে হয়লা হয়ে যেতে পারে। কারণ সোহেলী গানের পরিচু দিতে গিয়ে মোহাম্মদ আবদুল আজিজ (আমাদের লোক সাহিত্য) বলেছেন, "এই সব সঙ্গিত সাধারণত বিবাহ, উপনয়ন, খাৎনা প্রভৃতি উপলক্ষে মেয়েরা একসাথে গাহিয়া থাকেন"
"হয়লা" বলে আলাদা কোন শ্রেণীর নাম পড়িনি।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া.......

:)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪১

রেজোওয়ানা বলেছেন: বিয়ের গানের আরও বেশ কিছু প্রকার ভেদের কথা জানা যায়।

মাড়োয়ার গান:
এটা রংপুর জেলার বিয়ের গান। বিয়ের দিন ধার্য হলে মেয়ের বাড়িতে এটা আয়োজন করা হয়। রংপুরের ভাষায় মাড়োয়া মানে ছায়ামন্ডপ। আঞ্চলিক বিশ্বাস মতে বিয়ের সময়ে পুরান চুলোয় রাধা খাবার তাদের জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই এই বিবাহিত মহিলারা নিজের হাতে নতুন চুলো বানিয়ে সেখানে রান্না করে,আর এই পুরো সময়টাতে যে গান তারা গায়, সেটাই মাড়োয়ার গীত।

হাংগোর ধরা গীত:
এটাও রংপুরের গান। বর বউ নিয়ে আসার পরে বাড়ির বিবাহিত মহিলারা বাসর ঘরের দরজা (এটাই হাংগোর) বন্ধ করে রাখে। নতুন বরের পকেট থেকে টাকা পয়াসা আদায় করার পরে দরজা খুলে দেয়, এই সময়ে একটা বিশেষ গান হয়।

আর কুমিল্লা এলাকার বিয়ের গানকে বলে উমালী বাড়ার গীত। এটাই পুরোটাই মেয়েদের অধিকারে থাকে।


মেহেদী তোলারও আলাদা গান আছে।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৯

আকাশটালাল বলেছেন: এর মধ্যে অনেকগুলো আজ বিলুপ্তির পথে।

আপনি যে ব্লগ নিয়ে সিরিয়াস সেটা আপনার পোস্টগুলো ঘাঁটলেই বুঝা যায়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেকে অনেক ভাবে নেয়, আমি সিরিয়াসলিই নিয়েছি। এটাকে আমার লেখালেখির রাফ খাতা বলতে পারো।


অট: এটা মনে হয় আমার কোন পোস্টে তোমার একমাত্র সিরিয়াস কমেন্ট ;)

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৩

ইন্টারন্যাশানাল বান্দর বলেছেন: শুনতেই পারলাম না এইগুলা কুনুদিন :( :( :((

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩২

রেজোওয়ানা বলেছেন: শোন না কেন শোনা উচিত আমাদের সকলেরই। এগুলোই আমাদের একদম নিজস্ব সম্পদ, আমাদের আত্মীক বন্ধনের সুতো :)

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৮

অপরিনীতা বলেছেন: আপু.... দারুণ পোস্ট... বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন গান সম্পর্কে ধারণা পেলাম ভাল মত... ধন্যবাদ... :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার ইচ্ছা ছিল বিখ্যাত সব পল্লীগিতীর গুলোর লিংক সযোজন করবো, বাট খুজেই পেলাম না :(

অনেক ধন্যবাদ অপরিনীতা :)

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৫

কবির চৌধুরী বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। আশা করি জীবনানন্দদাশের ছায়ার মত আরো অন্যান্ন ব্লগার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন গানের ধারা এই পোস্টে তুলে আনবে।


গানচিলকে উৎসর্গ করা যথার্থ হইছে। গানের কালেকশন আর সেই সব গানের সামনে পেছনের পুঙ্খানুপঙ্খ নিখুঁত তথ্য গানচিলের নখদর্পণে। বাংলা/উপমহাদেশীয় গানের এনসাইক্লোপিডিয়া।

পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: কবির ভাই, সামহোয়ার ইনের আরেক জন সঙ্গিত বিশারদ আপনি। আসলেই মাঝে মাঝে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হয় একারণে যে আপনাদের মতো বোদ্ধাদের সাথে সরাসরি ইন্টারএ্যকশন হচ্ছে এ কারণে।

আমার লেখাটা আপনার প্রিয়তে গেছে, এটাই অনেক বড় পাওনা......


অনেক ধন্যবাদ

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: পোষ্ট দেখে বুঝা যায়, আপু আমার অনেক কষ্ট করছে।

শুধু +++++ দিয়ে মন ভরছে না।
কিন্তু কি করার এটা ছাড়া উপায়ও পাচ্ছি না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার ভাইটা যে এত্ত গুলো প্লাস দিল, এতেই বোনের কষ্ট অনেক লাঘব হয়ে গেছে :)

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৬

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

অনেক গুলোর নাম এই প্রথম শুনলাম ।
আপনার লেখা না দেখলে আমার এ টুকুও জানা হত না ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: হেলালা ভাই আমাদের লোকসঙ্গীতের বিপুল ভান্ডারের একতৃতীয়াংশও নেই এখানে।

পড়েছেন বলে আনন্দিত হলাম :)

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৯

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
জারি শব্দের অর্থ বিলাপ । বিয়োগান্তক ঘটনা নিয়ে হয় গানগুলো । কিন্তু মর্সিয়ার সাথে এদের পার্থক্য কি?



এই টাইপ গান গুলো আমার বাবার খুব পছন্দের, স্পেশালী ভাটিয়ালী গান । একবার উনি বলছিলেন যে এই গান যে গাইবে তার আবেগ হতে হয় নদীর স্রোতের মত । এখন যারা গায় তাদের মাঝে সেই আবেগের ছিটাফোটাও নাকি পাওয়া যায় না ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১২

রেজোওয়ানা বলেছেন: হ্যাঁ ফাহাদ জারী শব্দের অর্থ ক্রন্দন বা বিলাপ।
জারী গানের বেশ কিছু উপশাখা আছে, তার একটির নাম হলো মার্শিয়া।
এছাড়ও আছে মাতাম জারী, নাড়া জারী, চালি জারী, জবজারী, ব্যাঙ জারী, রচনার জারী, জারীযাত্রা,
বিষয় বস্তুর দিক থেকে যদি পার্থক্য দেখো, তাহলে অন্য জারী গানের সাথে মার্শিয়ার মূল পার্থক্য হলো এগুলো মুহররমের করুন কাহিনী নিয়ে রচিত। অন্যদিকে নাড়াজারী আধ্যাত্মিক গানের মতো আর জবজারী, ব্যাঙ জারী ও রচনার জারীতে সমকালীন ও স্থানীয় বিষয় নিয়ে রচিত হয়।

আমার বাবাও পল্লী গানের বিশাল ভক্ত, বাবার সাথে আমিও দেখেছি পালা গান হয় কেমন।
মানিকগঞ্জের একটা মেলা হয় বাঠইমুড়িতে, সেখানে একবার দখেছি টানা দুদিন এক নাগাড়ে পালা গান গাইতে বয়াতিদের।
অসাধারন......

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: অসাধারন পোস্ট রেজুমনি!
আর উৎসর্গটাও একেবারে যথার্থ হয়েছে।

বিয়ের গান বাদ পড়েছে। :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপু তোমার আর জীবুদার মন্তব্যটা পড়ে বই গুলো আরেকবার ঘেটে দেখালাম। বিয়ের গান গুলো মুলত: সহেলার গানের শ্রেণীতে পড়ছে গান বিশারদের মতে। পোস্ট এডিট করে দিয়েছি।

অনেক ধন্যাবদ তোমাকে :)

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৭

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ চমৎকার একটা পোস্ট।অবশ্যই ধন্যবাদ অনেক অনেক।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: খুব ভাল লাগলো তোমার মন্তব্যে মাহী

ভাল থেকো সব সময়ে :)

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৩

স্বর্ণমৃগ বলেছেন: ওয়াও! দারুন তথ্যবহুল একটি পোস্ট!
অনেক ভাল লাগলো আপু!
ভাললাগা রেখে গেলাম।
ভাল থাকবেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার লেখা পড়ার জন্য।

ভাল থাকুন :)

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৬

আমি তানভীর বলেছেন: আমাদের গ্রামে মাঝে মাঝে জারিগানের আসর বসে, সেই সাথে কবিগানও প্রচলিত । নৌকা বাইচ কখনো হয় না তাই সারি গানের সাথে পরিচিতি নাই । বাকীগুলো সম্পর্কে মোটামোটি জানি ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: গ্রাম গুলোই এখনও আমাদের শেকড়ের অনেক শাখা প্রশাখা ধরে রেখেছে। শীতের সময়টা দারুন না। কবি গান, পালা গানের আসর হিম হিম কুয়াশায়....

আপনাদের এলাকায় নদী নেই? ঘোড়া দৌড় হয়?

পড়েছেন বলে ভাল লাগলো, ভাল থাকুন তানভীর :)

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৭

সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: যে কষ্ট করছ তুমি !!! B:-) B:-) B:-)

পড়তে পড়তে ক্লান্ত হইয়া গেলাম । :-< |-) |-) |-)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০

রেজোওয়ানা বলেছেন: লেখতে আবার কষ্ট কি? এটা আমার আনন্দের জায়গা।

বাই দ্যা রাস্তা, তুমি পোস্ট পড় নাই নাকি X((

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০০

আকাশটালাল বলেছেন: আমি আজকে গানচিল ভাইকে একটা গানের জন্য রিকুয়েস্ট করেছি। উনি যদি দিতে পারে গানটা :( কোথাও পাচ্ছি না গানটা :(

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: গানচিল ভাইয়াকে দিলে নিশ্চিত থাকতে পারো, পাবেই। রাইসুল ভাইকেও দিতে পারো, তারও ব্যাপক জানাশোনা এই বিষয়ে :)

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৬

দূর্যোধন বলেছেন: সহেলার গান আর ঝুমুর গান ছাড়া বাকি সব গান কিছুটা শোনার ও গানগুলো সম্পর্কে জানার সৌভাগ্য হয়েছে।

আপনার ব্লগিং দেখে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হচ্ছি,দারুন :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। আপনার মন্তব্য এবং মাসের নির্বাচিত পস্ট নামের ধারাবাহিকটা যে কতটা অনুপ্রাণীত করেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেটা আমার কাছে ছিল আমার লেখার মান যাচাইয়ের একটা মাপকাঠির মতন!

আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন.....

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৬

অথৈ সাগর বলেছেন: অসাধারন পোস্ট ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়েছেন বলে খুব খুশি হলাম ভাইয়া :)

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৫

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: অনেক কস্টসাধ্য পোস্ট। দেখে খুব ভালো লাগলো যে আপনি এইগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন

+++++++++++++

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন কল্পবিলাসী স্বপ্ন....

ভাল থাকুন :)

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪১

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়েছেন বলে খুব খুশি হলাম তন্ময় ভাই

ভাল থাকুন :)

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অতি চমৎকার একটা পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: রাইসুল ভাই, আপনার মতন একজন গান এবং মিডিয়া বিশারদের প্রিয়তে এই গানের পোস্ট স্থান পেয়েছে, এটা আমার কাছে অনেক সন্মানের.......


ধন্যবাদ জানবেন :)

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৮

কি নাম দিব বলেছেন: পরিশ্রমী পোস্ট। প্লাসায়িত করা হলো :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: থ্যাংকু থ্যাংকু কিনাদি :)

২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৬

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভালু পাইলাম। এই জিনিসগুলা জয়ন্ত স্যার আমাদের পড়াইছে ফোকলোর কোর্সে। লোকে পরিশ্রম বললেও আমি বলবো এটা আপনার জন্য কঠিন কোন কাজ না। এর থেকে ঢের পরিশ্রম করে পোস্ট করা আপনার কাজের মধ্যে আছে।
বড় আপু তাই ধন্যবাদ দিচ্ছি না।
চাইলেও দিমু না কিন্তু। :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪০

রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমাদের ফোকলর পড়াচ্ছে! খুব ভাল, এটা পড়ার দরকার আছে। আমাদের সময়ে ছিল না।

ভাইদের কাছে বোনদেরর সব কাজই ভাল লাগে, স্বজনপ্রীতি আর কি :)

২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩৬

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ১৪তম ভালোলাগা

অসাধারণ একটি পোস্ট আপি !!


শুভকামনা রইল অনেক!!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪২

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ চয়ন

ভাল থেকো সব সময়ে :)

২৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪০

গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: বিভিন্ন উত্সবের গান যেমন ফসল কাটা বা বৃষ্টির গান(আল্লাহ মেঘ দে পানি দে) অথবা মাইজভান্ডারী গান এইগুলাও সম্ভবত লোকসংগীতই(ভুল হৈলে মাফ কইরা দিয়েন :| ),এইগুলা কি উপ্রে উল্লেখিত কোনোটার শাখা-প্রশাখার মধ্যে পরে ? বেশ নতুন কিছু নামও জানলাম(ছোকরা,ঝুমুর,সোহেলী),চমত্কার পোস্ট!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমাদের লোক সঙ্গীতের এত ভ্যারাইটি যে সব কিছু এক পোস্টে আলচনা সম্ভব নয়।
আপনি যে গান গুলর কথা বললেন, সেগুল লোকগীতিরই অংশ,
যেমন বৃষ্টির জন্য যে নেক আচার অনুষ্ঠান হয়, সেগুলো নিয়ে আলাদা আলাদা গান আছে, যেমন বদনা বিয়ের গান (বদনার উপর একটা কুল রেখে ছেলেমেয়েরা দল বেধে পাড়ায় পাড়ায় ঘরে আর বৃষ্টির জন্য গান গায়। একটা গান আছে.....

হাটয় বনে হাটু পানি
কেলা বনে গলা পানি
ওল মেঘারাণী
কুল ভরে দে লা পানি

আবার ব্যাঙের বিয়ে হয়, এখন অনেক গ্রামে দেখেছন হয়ত সেটার গান আছে আলাদা।
মাইজাভান্ডারী বা মারফতি গান গুল মূলত: বাউল গানের কাঠামোর উপর গড়ে উঠেছে, যার মূল ভাব হল আধ্যাত্মিকবাদ।

পড়েছেন বলে খুব ভাল লাগলো

ভাল থাকুন :)

২৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪১

মাহবু১৫৪ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট


ভাল লাগা নিয়েন।


এসব বাংলা মাটির গান এখন বিলুপ্তির পথে। :(

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০১

রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ মাহাবুব ভাই পোস্ট পড়ার জন্য :)

২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন

প্রিয়তে রেখে দিলাম

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: প্রিয়তে গেছে জেনে সন্মানিত হলাম তানিম.....

ভাল থেকো সব সময়ে :)

২৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৪

মিরাজ is বলেছেন: তথ্যপূর্ণ পোষ্ট আপু।

ছোটবেলায় স্কুল ছুটি হলে হাটের মাঝখান দিয়ে আসা লাগতো। একজন বাউল শিল্পি ছিলেন যিনি অবলিলায় তাৎক্ষনিকভাবে কথা মিলিয়ে গানের পর গান গাইতেন সাথে খঞ্জর (নামটা শিওর না) বাজাতেন। গানগুলো অনেক সুন্দর ছিলো। এই বয়সে এসে কিছু গান শুনে সেই বাউলের কথা মনে পড়ে কারন তার সুরটাও অনেকটা বর্তমানের Rap সঙ্গিতের মতো ছিলো।

আমাদের ঐতিহ্য আমাদেরকেই তুলে ধরতে হবে, সংরক্ষন করতে হবে। কারন এগুলো আমাদেরই সম্পদ।

কৃতজ্ঞতা সুন্দর পোষ্টটি দেওয়ার জন্য।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমাদের ঐতিহ্য আমাদেরকেই তুলে ধরতে হবে, সংরক্ষন করতে হবে। কারন এগুলো আমাদেরই সম্পদ।

........একমত তোমার সাথে।

খঞ্জর নামটা ঠিকই আছে....

চমৎকার মন্তব্যটার জন্য ধন্যবাদ মিরাজ :)

২৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৯

ভিয়েনাস বলেছেন: সাওতালি গান গুলিই কি ঝুমুর গান ? দল বেধে সাঁওতালরা যখন গান আর নাচ করে দেখতে ভালোই লাগে । বিয়ে বাড়িতে মেয়েরা যে গান গুলি গায় সেগুলো কোন গানের অন্তর্ভুক্ত। যা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে । আপনার তথ্যমূলুক পোস্ট টা চমৎকার হয়েছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: হ্যাঁ ওগুলো ঝুমর গানেরই অংশ। বিভিন্ন রকমের ঝুমুর গান আছে।
বিয়ে বাড়ির গান গুল সহেলার গানের অন্তর্ভুক্ত, তবে অঞ্চল থেকে নাম এক এক রকম (১নং মন্তব্য)।

পড়েছেন জেনে খুব ভাল লাগল ভিয়েনাস :)

২৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৩

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
অনেক সুন্দর পোষ্ট .......
এসবই একসময় আমাদের প্রানের গান ছিল......
যা সময়ের সাথে সাথে হাড়িয়ে যেতে বসেছে........

প্রিয়তে নিলাম.....

শুভকামনা ........




অ:ক: একজন অর্ধ শিক্ষিত লোক তার এলাকায় লোকসঙ্গীতকে ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তার এলাকায় বাংলাদেশ লোক সংগীত কেন্দ্রটি তার অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে .......

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: অর্ধ শিক্ষিত জিনিসটা কি বুঝলাম না!!!


আপনার উদ্যোগের কথা জেনে খুব ভাল লাগলো। এই শীতে কোন অর্নুষ্ঠান নেই? হলে আমাদের দেখাবেন কিন্তু।

পড়েছেন দেখে খুশি হলাম জিশান মামা

ভাল থাকুন :)

২৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু। আমার কির্তন, গজল ও রাগ-কেন্দ্রিক গান বেশ ভালো লাগে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১১

রেজোওয়ানা বলেছেন: কীর্তন শুনতে আমারও খুব ভাল লাগে।

পড়েছেন বলে খুব ভাল লাগলো হানিফ ভাই

ভাল থাকুন :)

৩০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৯

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: দারুন পোষ্ট। +++ :) :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১২

রেজোওয়ানা বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ তূর্য ভাই

ভাল থাকুন সব সময়ে
:)

৩১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৮

সুদীপ্ত কর বলেছেন: পোষ্টটা ব্যাপক সৌন্দর্য :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২০

রেজোওয়ানা বলেছেন: সৌন্দর্য্য মন্ডিত পোস্ট খানি পড়িবার জইন্য অনেক ধইন্যা :)

৩২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২৮

বড় বিলাই বলেছেন: কয়েকটা গানের কথা আগে শুনিনি, এই পোস্টেই জানলাম। আর কবি গানই কি পালা গান?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: পালা গান হলো সেই সব গান যা পালা করে গাওয়া হয়, মানে একদল প্রশ্ন করবে, আরেক দলে গানের মাধ্যমেই সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে। কবি গানও পালা গানেরই অংশ।

পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ বিলাই আপু :)

৩৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অতি চমৎকার পোস্ট আপু। কিছু গান সম্পর্কে জানা ছিলো না।

আমাদের পাবনায় গ্রাম্য মহিলারা ইনিয়ে বিনিয়ে এক ধরনের গান করে। খুব মজা লাগে শুনতে। ঐটাকে গীত বলে। এই পোস্টে কিছু গীতের নমুনা পাবেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমার এই ব্যাপারটা খুব ভাল লাগে, অনেক পোস্টেই দেখি প্রাসঙ্গিক লেখা গুলো লিংক দও, এত মনে রাখে কিভাবে?
হানীর লেখাটার জন্য ধন্যবাদ অনেক।

আর তোমার কাছে কৃতজ্ঞতারও শেষ নেই....

৩৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৪৯

ঘুমকাতুর বলেছেন: আপা কবি গান আর পালা গান কি এক???

বরাবরের মতো অসাধারন হইছে।
প্রিয়তে নিলাম

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: পালা গান হলো সেই সব গান যা পালা করে গাওয়া হয়, মানে একদল প্রশ্ন করবে, আরেক দলে গানের মাধ্যমেই সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে। কবি গানও পালা গানেরই অংশ।


প্রিয়তে নিয়ে আরও লেখার উৎসাহ বাড়িয়ে দিলেন ঘুমকাতুরে।

আপনার একটা কথা আমার মনে আছে 'পুরানো রেজুকে খুজে পাচ্ছিলেন না".......:)

৩৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১২

কালীদাস বলেছেন: কবিগানের নাম আগে শুনি নাই। খেমটা নাচের;) কথা শুনছিলাম, গান আজকে জানলাম :)++++++

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: যাত্রাপালার ইন্টারভ্যালে এখন বহুল প্রচলিত, এক সময়ে এই নাচের জন্য একটা ব্যাবসায়ী দলই গড়ে উঠেছিল :)

আমারা মতে একালের আইটেম সং গুলো এই খেমটা নাচ গানেরই উত্তর আধুনিক সংস্করণ ;)

৩৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪১

নাঈম আহমেদ আকাশ বলেছেন: B:-) B:-) B:-)


এত্ত তথ্য পান কই থেইক্কা?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: বই থেইক্কা ;)

৩৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৪

শাহেদ খান বলেছেন: দারূণ !!!

স্বাভাবিকভাবেই, পোস্ট প্রিয়তে !

গান নিয়ে কমেন্টে আরও আলোচনা দেখার আশা রাখি ! 8-|

হ্যাটস অফ, আপু !

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: আলোচনা করা চেষ্টায় আছি......

প্রিয়তে নিয়ে দায়িত্ব বাড়িয়ে দিলে......


থাংকস এ লট শাহেদ :)

৩৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৪

সায়েম মুন বলেছেন: বাঙলাদেশের গান নিয়ে চমতকার একটা পোষ্ট। জানাও হেলা অনেক কিছু।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়েছো বলে খুব খুশি হলা সায়েম মুন।

ভাল থেকো সব সময়ে......

৩৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩১

সায়েম মুন বলেছেন: হলো* :(

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩০

রেজোওয়ানা বলেছেন: খালি বানান ভুল!

৪০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১১

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: দারুন পোস্ট। লিঙ্কগুলো চেক করছিলাম। ভীষন ভালোলাগলো। :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আরও কিছু গানের কালেকশন দিতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু নেটের স্পিড এমন স্লো। লোড হতেই চায়না।


পড়েছো এবং গান শুনেছো বলে খুব ভাল লাগলো

ভাল থেকো :)

৪১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

নাআমি বলেছেন: উফ, অসাধারন !!

অনেক কিছু বলার এখানে, কিন্তু শেষ করা যাবেনা বলে......সাথেতো রাখতেই হবে.....:)

ধন্যবাদ এতটা কষ্ট করবার জন্য।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: কষ্ট বেশি হয়নি আপু লিখতে, তবে ভিডিও লিংক এড করতে ঝামেলা হয়েছে। দেখেছোই তো বাংলাদেশে নেটের স্পিডের অবস্থা!

আরও কিছু গান দিতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু এত সময় নিচ্ছিল :(

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ তোমাকে :)

৪২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯

দীপান্বিতা বলেছেন: দারুন পোস্ট, রেজোওয়ানা!......কয়েকটি গান সম্পর্কে একটু আধটু জানতাম......ফেরদৌসি রহমানের গান শুনতে শুনতে আরো কিছু মেয়ের গানের কথা মনে এলো, আজই পড়লাম তাদের কথা
http://www.anandabazar.com/
http://www.anandabazar.com/archive/1120128/29rabipro.html

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আনন্দবাজারের লিংকটির জন্য ধন্যবাদ দীপা আপু, অনেক সুলিখিত একটা লেখা.....

আর আমার লেখা পড়ার জন্য আরেকটি স্পেশাল ধন্যবাদ :)

গাছ বাড়ির এঞ্জেলদের নিয়ে অনেক ভাল কাটছে সময় তোমার আশাকরি :)

৪৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩

সোমহেপি বলেছেন: গাঙচিলের পেষ্টের লিঙক দেও।

আমগো ওদিকে পোলাপানের খৎনার সময় একধরনের গান গাওয়া হয় নেচে নেচে।এইডারে কয় কোরার নাচ।হরেক রকমের নিশান টিশান লাঠি লাঠা নিয়া এই নাচ হয় ধুতি পরে।গাঁচা খাইলে ভালো নাচন যায়।
নাচের মইধ্যে ক্ষেতে ধান বোনা ,নিড়ানি, কাটা ,ধান মাড়াই এইসব ফুটিয়ে তোলা হয়।আমি চিন্তা করতাছি জাতীয়ভাবে এইডার কোন নাম আছে নি।দিনে দিনসে এইসব আর হয় না।কি সুন্দর নাচ আর তাল ।বাদ্য হুনলেই ঢইল্লা পইড়া নাচতে ইচ্ছে করে।আমার পোলার খৎনার অপেক্ষায় আছি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২০

রেজোওয়ানা বলেছেন: লাঠি নিয়ে নেচে গাওয়া হয় এমন একটা গানের জাতীয় নাম আছে হাবু গান। এখানে গানের ছন্দে ছন্দে লাঠি দিয়ে নিজেই নিজের পিঠে আঘাত করে গায়ক। তুমি কি এমন গানের কথা বলছো?

তোমার পোলা! গাছে কাঠাল গোফে তেল দেয়ার কি দরকার, এম্নিতেই তেলের যা দাম! :(

৪৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

নস্টালজিক বলেছেন: অসামান্য পোস্ট!

প্রিয়তে নিলাম!

মন দিয়ে পড়বো!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: আজকে আমার গর্বিত আর সন্মানিত হবার দিন......

অনেক অনেক ধন্যবাদ লিও

:)

৪৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৫

মেহবুবা বলেছেন: অনবদ্য ।
গানের প্রতি আগ্রহের কারনে অনেক ধরনের গান শুনেছি ।
তোমার এই শ্রেনীবিভাজন প্রসংশনীয় ।

সোহেলির গান দেখে মনে হল ব্লগার সহেলীর জন্য গান ; হলে হতেও পারে ।

উৎসর্গ "গানচিল" কে যে প্রশ্নাতীতভাবে এটার দাবীদার ।

শুভকামনা রেজোয়ানা তোমার জন্য ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: সহেলী মানে তো বন্ধু, তাই এটা ব্লগার সহেলী আপুর জন্যও হতেই পারে :)

তোমার মন্তব্যে কষ্ট সার্থক হলো আপু

ভাল থাক অনুক্ষণ :)

৪৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৭

পাগলমন২০১১ বলেছেন: ভাল লাগলো আপু :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়েছো বলে খুশি হলাম।

ভাল আছ নিশ্চয়ই :)

৪৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৩

শায়মা বলেছেন: এমন জারী সারী ভাটিয়ালী কোথায় গেলে পাই
এমন দেশ আর নাই .....:)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধণ্যবাদ শায়মা :)

৪৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৯

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: তবে ডিজুস র‌্যাপ গান গুলা মিস করলাম :(

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি বুড়া মানুষ র‌্যাপ গান কিছু বুঝি না :(

৪৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৮

অনিক আহসান বলেছেন: পিলাচ পিলাচ পিলাচ ও সংগ্রহে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪১

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে, তার মানে পোস্ট মনে হয় আসলেই ভাল হয়েছে :D

৫০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩২

অনিক আহসান বলেছেন: আচ্ছা মালাজোড়া গান কি আলাদা কিছু না কবি গানেরই একটা রুপ ?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: মালজোড়া গান সম্পর্কে আমি কিছু জানি না অনিক ভাই, জেনে জানাবো। তবে বিচার গান বলে আরেক ধরনের গান আছে যেটা কবি গানেরই একটা রূপ। পর্থাক্য হলো কবি গানে মুল গায়ক দলের সাথে বসে গান গায়, আর বিচার গানে মূল গায়ক দাড়িয়ে থাকবে, অন্যরা বসে থাকবে। মূল গায়কের গলায় একটা বাদযন্ত্র ঝুলানো থাকবে(নাম এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না), যে নাভিমূল পর্যন্ত ঝুলে থাকবে, সেটা বাজিয়ে গান গাইবে গায়ক।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

৫১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৯

পিদিম বলেছেন: গম্ভীরা গান সে রকম মজা।আর আপনি তো বস পোস্ট দেবার ক্ষেএে।এসব কৈই পান।আপনি কি ফোকলোর ছাএী।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: গম্ভীরা গান শুনতে আসলেই খুব মজা, বিশেষ করে নানা-নাতির নাচের অংশটা।
নাহ ফোকলরের ছাত্রী না তো, তবে এসবে ইন্টারেস্ট আছে।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য ধণ্যবাদ........পিদিম হে :D

৫২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৩২

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: আইলসা আপা দারুন পোষ্ট দিছো। বুঝা যায় অনেক কষ্ট করছো।
ভালো লাগা দিলাম।


আরও বাকি রইলো অনেক অনেক শাখা প্রশাখা আমাদের ঐতিহ্যবাহী গানের।
অন্য কোন দিন হয়তো আবার কথা হবে সে সব নিয়ে..



আশা রইলো। কিন্তু তুমি যেমন আইলসা X( ডাইনীতন্ত্র টাও শেষ করলে না

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: আসলে একটা লেখা শেষ করে গ্যাপ দিলে ঐটাতে আর যাইতে ইচ্ছা করে না, নতুন নতুন আইডিয়া মাথায় ঘুরঘুর করতে থাকে :(

তাই বলে আমি আইলসা???

তুমি হলো আইলাসার হাড্ডি X(

৫৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০৩

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আচ্ছা গম্ভিরা গান তো পালাগান তাইনা?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৪২

রেজোওয়ানা বলেছেন: পালা গান মূলত: প্রশ্ন উত্তর ভিত্তিক হয়। মানে একদল গানে গানে প্রশ্ন করবে, অন্যদল সেটা গানে উত্তর দেবে। আর গম্ভীরা গান অনেকটা আলোচনা মূলক:।

পায়ের অবস্থা কেমন, টেইক কেয়ার......

৫৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৯

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
এটা আগের একটা অনুষ্ঠানের আব্বাস উদ্দিনের গান

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫০

রেজোওয়ানা বলেছেন: দারুন গানের গলা তো!
এটা কে পৃথু না?

৫৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২১

গানচিল বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, আমার মত গানপাগলা লোকের পড়ার জন্যএবং শো-কেসেরাখার জন্য এটা যে একটা লোভনীয় আর্টিক্যাল তাতে সন্দেহ নেই।বাংলা গানের বিভিন্ন ধারা নিয়ে অনেক কিছু জানার ব্যাপার আছে লেখাটিতে।তবে "গান বিশারদ' শব্দটিতে কিছুটা অস্বস্তিবোধ করছি। কারন ব্লগে আরও অনেক আছেন ,গান নিয়ে যাদের জানাশোনার পরিধিটা কিন্তু ব্যাপক। যেমনঃ ইমন জুবায়ের,কবির চৌধুরী, নস্টালজিক।কারন তারা তো গানেরই লোক। তারপরও উৎসর্গের জন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি। ভাল থাকবেন রেজোওয়ানা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: 'অস্বস্তিকর' শব্দটা অপসারণ করে দিলাম। তবে আমার কাছে মনে হয়েছিল, ওটাই পারফেক্ট, কারণ এই ব্লগ আপনিই এক মাত্র, শুধু মাত্র গান ও গায়কদের (সকল ধরণের গান) নিয়ে লিখেন এবং কালচার করেন তাই।


অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য :)

৫৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

সালমাহ্যাপী বলেছেন: আচ্ছা আপি এত কষ্ট কিভাবে করেন বলেন তো।

অনেক সুন্দর একটা পোস্ট।

অনেক অনেক ভালো লাগা দিয়ে গেলাম

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: আরে কষ্ট কই, বরং এই টাইপের লেখা কষ্ঠ কম গল্প কবিতা লেখার চাইতে :)

পড়েছো বলে খুব খুশি হলাম সালমা

ভাল থেকো :)

৫৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: পরিশ্রমী পোস্ট । বেশ কিছু বিষয় নতুন জানা হল

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০০

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়েছেন বলে খুব ভাল লাগলো বাবু ভাই

অনেক ভাল থাকুন সব সময়ে :)

৫৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪১

লেখোয়াড় বলেছেন: .......................
অসাধারন, অসাধারন!
সোজা প্রিয়তে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: পরম সৌভাগ্য আমার :)

৫৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
ওহ হো, ভাসান গান কই? গণসঙ্গীত?
পরে লিখবেন, আচ্ছা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: আরও কত কত যে বাকি আছে!
শুধু যে নাম গুলো বেশি প্রচলিত সেগুলো নিয়ে লিখছি এই পর্বে।

তবে ভাসানের গান আশা উচিত ছিল, মনে করিয়ে দেবার জন্য ধইন্যা। এড করে দেবো.......

৬০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪

কারা বন্দি বলেছেন: আপনের মেলা গুন আছে জানতাম...............আজ তো দেখতাছি আপনে
গান ম্যান (থুক্কু গানের ওস্তাদ) :P

নাচ নিয়ে আপনার একটা পুষ্ট ঝাতি আশা করে। :) B-)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: গান ম্যানকথাটা ঠিক আছে কিন্তু ;)

নাচ নিয়ে! কি নাচ তুর্কী না বান্দর, সেইটা আগে ঝাতি জানতে চায় ;)

৬১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৩

অর্ফিয়াস বলেছেন: অনেক গবেষনালব্ধ একটি পোষ্ট। এখানের এমন অনেক জাতীয় গান আছে যার কথা আমি আগেও শুনিনি। অনেক ধন্যবাদ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: মূল্যায়নে সন্মানিত হলাম অর্ফিয়াস ভাই

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে .....

৬২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪২

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: আমার এলাকায় আগে এক ধরনের গান হতো, মঞ্চের উপর সাপ নাচতো আর মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে মঞ্চ ধরে হেড ব্যাং স্ট্যাইলে গান গাইতো। এইটারে কি বলে জানা নেই। :| সব হারায়া যাইতেছে!

আমি এক শহুরে বাউলের গান শুনতে তার বস্তির ঘরে (কড়াইল বস্তি) এক রাত কাটিয়েছিলাম... কত রকমের গান যে শুনায়ছিলো!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমাদের এলাকা মানে কি উত্তর বঙ্গ নাকি? সাপে মঞ্চের উপর আর গায়ক মঞ্চের নীচে, ইন্টারেস্টিং।
বেহুল লক্ষিন্দের ভাসানের গান হয়, সেটা নাকি?

আমি বাসায় গিয়ে আরেকটু খুজে দেখবোতো এমন কোন ডেসক্রিপশন পাই কিনা!

বাউল গানের মূল ভাবটাই আধ্যাত্মিক ভাবে, কথা গুলো মনযোগ দিয়ে শুনলে, বিশ্লেষণ করলে অনেক গভীর বোধের বিষয় বের হয়ে আসে। তোমার সেই বাউল নিয়ে একবার কি আন্দোলনে গেলে, সেই সময়েওতো মনে হয় অনেক কিছু জেনেছো :)

৬৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৫

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: উত্তরবঙ্গ না আপু, দক্ষিন পশ্চিম বঙ্গ বলতে পারেন, চুয়াডাঙ্গা, আগে কুষ্টিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিলো। লালনের গানের প্রভাব আমাদের ওখানে প্রচুর। খোদাবক্স সাঁঈ নামে আমাদের একুশে পদক প্রাপ্ত একজন বাউল ও আছেন, উনি মূলত লালনের গানের চর্চা করতেন, পাশাপাশি নিজস্ব ভাবের গানও গাইতেন।

আমার দাদী প্রায়ই একজন কবির গান গেয়ে শোনায়, শাহ আব্দুল হাকিম বা এইরকম নাম। মারফতী টাইপের গান। ধর্মীয় গান ও আছে। দাদী গান গাওয়ার পর এর অংশ হিসেবেই সাথে সাথে নাম উচ্চারণ করেন। তাতে বোঝা যায় গীতিকারেরা তখনো বেশ কপিরাইট সচেতন ছিলেন! :P

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১২

রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমার তো সৌভাগ্য এমন একজন সংস্কৃতিমনস্ক দাদী পেয়েছো, আমার মনে আছে আমার দাদী যখন ছোট বেলায় গল্প শোনাতেন রূপকথার ,সে গুলোর মধ্যে এমন ছোট ছোট গীত থাকতো। দাদী সেই অংশটা সুর করে করে বলতনে......

পল্লী কবিদের গানের কপিরাইটের ব্যাপারটায় আমি তোমার সাথে একমত। আমার মনে হয় এসব গান তো মৌখিক ভাবে রচিত হতো, তাই স্বত্ত্বাধীকার বজায় রাখার জন্যই গানের মধ্যে গীতিকারের নামটি এড করে দেয়া হতো :)

৬৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২০

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: আম্মুরে ফোন দিয়ে জানলাম ওই টাইপের গানকে আমাদের ওদিকে বলা হয় "ঝাঁপান" গান। কাউকে সাপে কাটলে সেই বিষ নামানোর জন্যও এই ধরনের গান গাওয়া হতো।

আমার মেজো কাকু এই ব্যাপারে বেশ পারদর্শী ছিলো! :P ছোট কাকুরে সাপে কাটা রোগী হিসেবে শোয়ায় রেখে পাশে অভিনয় করে করে ঝাঁপান গাইতো পারিবারিক অনুষ্ঠানে। তখন উনারা ছোট ছিলেন।

আমার মেজ কাকুর মেলা প্রতিভা ছিলো, জ্বিন ডাকা, ঝাপান গাওয়া, সিরাজুদ্দৌলার অভিনয়.।। এখন উনার বনানীর অফিসে দেখলে কেউ বুঝবেই না! :P

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: তাহলে আমি মোটামুটি ঠিকই আন্দাজ করেছিলাম। শ্রাবন মাস্ব মনসা (সাপের দেবী) পুজা উপলক্ষে ঝাপন গানের অনুষ্ঠান করা হয়। মূলত: এটাকে ওঝাদের বার্যিক সম্মিলন বলতে পারো, এই উপলক্ষে ওঝাদের গুরু -শিষ্যের মধ্যে সাপের খেলার নানা রখম প্রতিযোগিতা ও সাপ ধরার নানা কৌশল পরিবেশন করা হতো । এই উপলক্ষে মনাসা, বেহুলা-লক্ষিন্দেরর নানা কাহিনী অভিনয় ও হতো। আমার নিজের কখনো এটা চাক্ষুস করার সৌভাগ্য হয় নি, খুব ইচ্ছা করে এট দেখতে :)

৬৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩০

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: জারি গানটা শুনেছি :) সিলেটে অনেক গাওয়া হয় । :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: হুম, খবর কি তোমার? মন খারাপের দিন শেষ হয়েছে তো?

:)

৬৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩০

স্বপ্নকথন বলেছেন: ঘেটু গান আর ঝুমুর নাচ নিয়ে আসলেই খুব আগ্রহ ছিল। মিটল।
ধন্যবাদ আপু। :) অনেক কিছু জানলাম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: এই বিষয়ে তোমার আগ্রহের কথা জেনে খুব ভাল লাগলো আপু


সময় গুলো অনেক ভাল কাটুক :)

৬৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১০

নীল-দর্পণ বলেছেন: গান তেমন পছন্দ না হলেও পোষ্ট টা যে খুব চমৎকার তা বুঝতে পারলাম।
একটা প্রচলিত কথা আছে না গাজীর গীত বিরক্তিকর কথা কেউ বললে মনে হয় এরকম বলে গাজীর গীত গাইতেছে কেন এরকম বলে!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার দাদী ছোট বেলায় গাজি-কালু-চম্পাবতীর গল্প শোনাতেন সুর করে খুব মজার কিন্তু :)

এই গান গুলো অনেকটা আখ্যানের মতো, অনেক বড়, তাই হয়ত কোন লম্বা চওড়া কথার ক্ষেত্র এটা রূপক অর্থে ব্যবহার করে।

অনেক ধন্যবাদ নীলু :)

৬৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

রোজেল০০৭ বলেছেন: বাঙালী হিসেবে আমরা গর্ব । এই সব ঐতিহ্য যেন হারিয়ে না যায়।

পোষ্টে ভালো লাগা সহ ++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১১

রেজোওয়ানা বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার মন্তব্যটি......

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ রোজেল :)

৬৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৫

অদৃশ্য বলেছেন:

পোষ্টটিতে অনেক ভালোলাগা রইলো...



শুভকামনা......

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়েছেন বলে খুব ভাল লাগলো অদৃশ্য

ভাল থাকুন :)

৭০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৮

কক বলেছেন:
আমরা বাংগালী.....কথাটা মনে রাখতে চাই সারা জীবন। খুব ভালো লিখা.... অনেক ভালো লাগলো (৪৪)
আমার পেইকে আপনার লাইকটা এখনো পাইনাই কিন্তু......আশা করি আজকে পাবো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার পেইজে লাইক দিয়েছি, মজার পেইজ :)

৭১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫১

জাফরিন বলেছেন: অনেক সমৃদ্ধ একটি পোস্ট(বরাবরের মতই :) )
কেমন আছেন আপনি, ভাইয়া আর আপনাদের গুল্টু বাবু? :) :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমরা ঘোরাঘুরির উপরেরই আছি জাফরিন, গতকাল আমার তিনজনে মিলে বিক্রমপুর দেখে আসলাম।

তুমি ভাল আছ আশাকরি :)

৭২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট।

+++++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধণ্যবাদ আরেফিন ভাইয়া।

অট: প্রোফাইলে এটা করা ছবি?!

৭৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খাইছে, কত্ত গবেষনা !! B:-) B:-) :-< :-< |-) |-)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: হ, ভাই। কাম নাই তো তাই খই ভাজি!

৭৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৭

ঘুমকাতুর বলেছেন: ৪৭তম ভালো লাগা

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০০

রেজোওয়ানা বলেছেন: আর কত ঘুমাবেন, এবার ঘুম থেকে উঠে পরুন তো লাফ দিয়ে :)

৭৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: ইদানিং পোস্ট দেবার পরই রাজ্যের কাজের আর নাই কাজের পাহাড় মাথায় উপর এসে পরে, সময় নিয়ে যে প্রতিউত্তর দেবো তা আর হচ্ছে না। তাই রিপ্লাই দিতে দেরী হচ্ছে।

আমি দু:খিত, দৌড়াদৌড়ি শেষ হইলে আসতেছি আবার :(

৭৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫৯

আইনউদদীন বলেছেন: অনেক দারুণ পোস্ট

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সময়করে আমার লেখাটি পড়ার জন্য ...

অনেক ভাল থাকুন :)

৭৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৭

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ++ ,
সুন্দর পোষ্ট

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১২

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তিথি :)

৭৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৭

তন্ময়০১৩ বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে :-B

আপু মনে আছে এক বছর আগের কথা ? আপনি আমার প্রথম পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করেছিলেন। প্রথম দিকের কমেন্ট গুলোর কথা সব সময় মনে পড়ে :)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: সে কথা আপনি মনে রেখেছেন দেখে সত্যই আপ্লুত হলাম তন্ময় :)

অনেক ভাল থাকুন....

৭৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৪

সৈয়দ নাসির আহমেদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫০

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধণ্যবাদ আপনাকে নাসির ভাই :)

৮০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪১

~মাইনাচ~ বলেছেন: গান নিয়ে চমৎকার একটা পোষ্ট



খুব ভাল লাগল

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১০

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যাবদ মাইনাচ।

আপনার সংকলনটি অনেক চমৎকার হয়েছে....

৮১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৮

ফাহিম আহমদ বলেছেন: পড়তে পড়তে হাপিঁয়ে গেছি, পানি ীীীীীীীীীীীীি :P

আপু কেমন আছো,,,,?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: ফাহিম ভাই, পানি খেয়ে নিয়ে আবার পড়বা কিন্তু X((

আমি বেশ ভাল আমি, তুমি ভাল তো?

হঠাৎ হঠাৎ কোথায় ঢুব দাও?

৮২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ঐ ছবিটা আমার, স্কুল জীবনের। :!>

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১০

রেজোওয়ানা বলেছেন: একদম চেনাই যায় না :)

৮৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫২

চতুষ্কোণ বলেছেন: গম্ভীরা গান শুনতে খুবি মজা লাগে। ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া গানও ভালো লাগে। স্কুলে থাকতে গম্ভীরা গান শুনে শুনে নিজেই দু'চারটা গান লিখে ফেলেছিলাম মনে আছে।:)

চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: লোকসংগীতের মধ্যে গম্ভীরা আমার কাছেও সব চাইতে বেশি ভাল লাগে।
তোমার সেই গান গুলো শেয়ার করো আমাদের সাথে :)

৮৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৫

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: প্রেরেতিবাদের ভাষা সরুপ ৩০০ খান +++ দিলাম ;)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: ইহহহহ

যাক মাপ কইরা দিলাম ;)

৮৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪১

মহলদার বলেছেন: রীতিমত গবেষণামুলক পোষ্ট। খুব ভাল লাগলো।
গাজীর গান ও কবি গানের প্রচলন আমাদের অঞ্চলে এখনো আছে এবং খুব ভাল লাগে আমার।

পোষ্টটি উৎসর্গ করা যথার্থই হয়েছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩০

রেজোওয়ানা বলেছেন: মূল্যায়নে সৌভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে মহালদার ভাই।

অনেক ধন্যবাদ আমার লেখটা পড়ার জন্য.....

৮৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১১

শিপু ভাই বলেছেন:
কত্ত কিছু যে জানার আছে!!!!
দারুন লাগলো লেখাটা। প্রিয়তে++++++++++++++



কবিগান এখন পালা গান নামে পরিচিত। বর্তমান সময়ের বয়াতিরা মূলত পালা গান করে থাকেন। আমাদের মমতাজ একজন পালাগানের শিল্পি। তবে পালাগানের ক্ষেত্রে আমি শাহ আলম সরকারের দারুন ভক্ত।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: মুলত: পালা করে যে সব গান গাওয়া হয়, ব্যাপক অর্থে তার সবই পালা গান। তুমি তো এসব বিষয়ে অনেক ভাল জানো আমার চাইতে, তোমাকে আর নতুন করে কি বলবো :)


খুব ভাল লাগলো, পড়েছো বলে.......

৮৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

জুন বলেছেন: ৫৩ নং ভালোলাগা রেজোওয়ানা। অনেক কিছু জানলাম প্রিয় বিষয় গান সম্পর্কে :)

৮৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব চমৎকার গবেষণা করেছেন। আমি মুগ্ধ হলাম।

আরেকটা গান আছে, যার নাম বয়েতী গান। আব্দুর রহমান বয়েতী/বয়াতী। বয়াতীরা বয়েতী এবং জারি, উভয় ধরনের গানই গেয়ে থাকে। বয়েত শব্দটার অর্থ হলো দোহার ধরা। অর্থাৎ, বয়েতী গান ধরেন, দোহারীরা সেগুলো দোহার ধরে। বুঝে না থাকলে আরেকদিন বলবো। জারি গানে একসাথে একাধিক বয়েতী বয়েত ধরেন- সচরাচর বন্দনার ভঙ্গিতে পশ্চিম, উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণ- এভাবে ক্লোকওয়াইজ বা এন্টি ক্লোকওয়াইজ ঘোরেন। বয়েতীর দল স্টেজে ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে থাকেন, দোহারীরা বসেন নিচে। বয়েতী গানে একজন বয়েতী এভাবে গান গেয়ে থাকেন। এ গনা পালা-আকারে হয়। নির্দিষ্ট বিষয় আছে, যেমন- মারফতী, শরীয়তী, বাতেনী, দেহ-তত্ত্ব, সৃষ্টিতত্ত্ব, গুরু-শিষ্য, নর-নারী, ইত্যাদি। প্রথম বয়েতী ধরুন মারফতী নিলেন, অন্য বয়েতী নেবেন শরীয়তী। এরপর দু বয়েতীর মধ্যে বিষয়ভিত্তিক তর্কযুদ্ধ হয়, যা সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য হয়। মনসুর হাল্লাজ, মা-ফাতিমা, ইত্যাদি কাহিনিগুলো বয়েতী গানে বেশি গাওয়া হয়ে থাকে। বয়েতী বা জারি গানে সচরাচর দুজন বয়েতী বা দুদল বয়েতী গান গেয়ে থাকেন। যুদ্ধ দু দলেই সচরাচর ঘটে থাকে।

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
ধান দিব মেপে

ছোটোবেলায় মেয়েদের দেখেছি খরার দিনে এরকম গান (কলি মনে নে) গেয়ে গেয়ে পাড়া বেড়াতো। এগুলো কী ধরনের গান?

বিয়েবাড়িতে বিয়ের সময় গান গাওয়াটা আগের দিনে, এমনকি ২০-২৫ বছর আগেও, একটা উল্লেখযোগ্য রেওয়াজ ছিল। ছোটোবেলায় দেখেছি মহিলাদের সমবেত বিয়ের গান ছাড়া কোনো চলনই (বরযাত্রী) বাড়ি থেকে বের হতো না।

বেহারাদেরও গান আছে।

যারা মাঠে ক্ষেত নিড়ায়, ধান কাটে, তাদেরও গান আছে। আপনি উপরে কী যেন একটা বলছিলেন, কিন্তু ওটা আর এ-গান এক নয়।

গ্রামে আগের দিনে ঘটা করে কিসসা হতো। কিসসার গতর ভর্তি গান থাকে।

আরো অনেক আছে। এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না। আর যে-গান গুলোর কথা বলেছি ওগুলোর সাথেই আমি শৈশব থেকে বেড়ে উঠেছি।

এবার বলুন, পালাগান কোন্‌টা?

৮৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:০৬

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: http://www.khobor24.com/?p=34212

আপু দেখেন ঠিক আছে কিনা। :)

১১ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:২৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: ওয়াওওওওও..........আমার লেখা!!! !:#P


অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক খুশি....

থ্যাংকু থ্যাংকু থ্যাংকু বাধন :D

৯০| ১১ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৪১

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: :)

১৩ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:৩৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: :)

৯১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:০০

আহাদিল বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ অনেক চমৎকার একটা পোস্ট!
অনেক ভালোলাগা, আপু!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়েছেন বলে ভাল লাগলো আহদিল আপু


ভাল থাকুন

শুভ বিকেল :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.