নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এ মাহমুদ

মানুষ হওয়ার লড়াইয়ে মত্ত আছি...

এস এ মাহমুদ

আমি এস এ মাহমুদ। পড়ছি কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংএ। অবসরে ওয়েব ডিজাইন করে আর গল্প-কবিতা লিখে সময় কাটাই। এছাড়া ব্লগগুলোতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরি। আমার বিজ্ঞান জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।আমার সব লেখা পড়তে ব্যক্তিগত ব্লগে(http://blog.samahmud.info) ভিজিট করতে পারেন। আমাকে ইমেইলে পেতে চাইলে- [email protected]

এস এ মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“সুবর্ণপুর বেশি দূরে নয়” :: ভালোলাগা একটি নাটক

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:২৯

”চোরাবালি”র পর আমার দেখা রেদোয়ান রনি ভাইয়ের সবচেয়ে সেরা কাজ হলো “সুবর্ণপুর বেশি দূরে নয়” নাটকটি। এই নাটকটা দেখার পর তাওসিফ মাহবুব ভাইয়ের অসম্ভব ভক্ত হয়ে গেলাম। আর রনি ভাইয়ের কথা কি বলব। এতটা সাবলীল পরিচালনা, একটা খুঁতও নেই যে তাকে আটকাবো কোনভাবে। চমতকার একটা নিটোল গ্রামীন প্রেমের দৃশ্য কেউ এতটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারে আমার কল্পনাতেই ছিল না। মানে বাংলাদেশের কোনো নাট্যপরিচালক তুলে ধরতে পারবে আমার কল্পনাতে ছিল না। তবে নাটকটা রনি ভাইয়ের করা দেখে বিশ্বাস হয়েছে। কারণ রনি ভাইয়ের প্রতি একটা আস্থা জন্মে গিয়েছিল “চোরাবালি” দেখার পর থেকেই। যাক অবশেষে ঈদে টিভিতে কিছু মন ভরে দেখতে পারব সেরকম একটা সুযোগ বোধহয় সামনে পেতে যাচ্ছি আমরা। হ্যাঁ বিজ্ঞাপন আধিখ্যেতার কথা না হয় বাদই দিলাম। চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনের নামে পরিচালকদের সেরা কাজটা ভালোভাবে দেখার সুযোগ দেয় না মানলাম তারপর আশা ছাড়ছি না। বাংলা নাটকে নতুন কিছুর আশা দেখছি।



”সুবর্ণপুর বেশি দূরে নয়” নাটকটি তে তাওসিফ মাহবুবের পাশাপাশি ইন্তেখাব দিনার, স্পর্শিয়া, সুষমা, শবনম ফারিয়া, জোহান, নিলয়, নিলা প্রমুখ অভিনয় করেছেন। আর রচনা ও পরিচালনা করেছেন রেদোয়ান রনি। নাটকটিতে মূল চরিত্র এলেন (তাওসিফ) আর সুবর্ণা (স্পর্শিয়া)। নাটকটির কাহিনী এমন যে, এলেন, তৃষা (ফারিয়া) ও তার বন্ধুরা মিলে গ্রামে যায় একটা বিশেষ প্রজেক্ট নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগীতার জন্য তারা ছবি তুলবে সেখানে। একেক জনের একেক বিষয় নির্ধারিত থাকে। এলেনের বিষয় হলো গ্রামের একটা মেয়ে যার পরনে থাকবে লাল শাড়ি আর পায়ে থাকবে লাল আলতা। এলেন গ্রামে গিয়ে বেশ কয়েকটি মেয়ের মাঝ থেকে খুঁজে পায় সুবর্ণাকে। প্রথম দেখাতেই তার ভালো লেগে যায়। তারপর এলেন তার মডেল সুবর্ণাকে নিয়ে বিভিন্ন ছবি তুলতে থাকে। এভাবে একজন আরেকজনকে পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু এলেন গ্রামেই থেকে যেতে চায় কিন্তু তার মা (সুষমা) খুব কড়া হওয়ায় সে ঢাকায় ফেরত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে সুবর্ণার মনে হয় এলেন বোধহয় আর ফিরে আসবে না। অন্যদিকে এলেন এর বন্ধু তৃষা তাকে খুব পছন্দ করে। তৃষা গ্রামের মেয়ে সুবর্ণাকে সহ্য করতে পারে না, এনিয়ে এলেন এর সাথে রাগারাগি করে। সুবর্ণার নিজস্ব পুকুর আছে যার পাড়ে বসে সে মন ভালো রাখে, পুকুরটির নাম সুপু আর সেই পুকুরে কতগুলো হাঁস আছে যাদের নাম সে দিয়েছে সুহাঁস। এদিকে এলেন ঢাকায় এসে তার মাকে সুবর্ণার কথা বলে কিন্তু তার মা কোনোভাবেই রাজি হয় না সুবর্ণার ব্যাপারে। অন্যদিকে এলেনের কাছ থেকে সুবর্ণার কথা শুনে তার বাবা (ইন্তেখাব দিনার) পুরোনো স্মৃতি মনে করে। এলেনের বাবার জীবনেও এলেনের মতো ঘটনা আছে। তাই এলেন যখন আবার গ্রামে ফিরে যেতে চায় এলেনের বাবা বাধা দেয় না বরং উৎসাহ দেয়। এভাবেই একটা নিটোল গ্রামীণ প্রেম তুলে এসেছে গল্পটিতে। নাটকটিতে খুব মজার একটা গানও আছে। গানটা হলো-



তুমি আমার এমনই একজন যারে

একজনমে ভালোবেসে ভরবে না এ মন,

একজনমের ভালোবাসা একজনমের কাছে আসা

একটি চোখের পলক পড়তেই লাগে যতক্ষন।



গল্পটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুব ভালো লেগেছে তাওসিফ ভাইয়ের অভিনয়। সে দিনে দিনে এতটা ভালো অভিনেতা হয়ে উঠছে দিকে খুব ভালো লাগছে। ওর মধ্যে অনেক শক্তিশালী অভিনেতা হওয়ার লক্ষণ আমি আগেই দেখেছিলাম। সামনে ওর প্রয়োজন ভালো গল্প আর ভালো পরিচালকের ছোঁয়া। আর স্পর্শিয়ার অভিনয়ও চমতকার হয়েছে। তবে স্পর্শিয়ার গেটআপ-ম্যাকআপের আরো একটু গ্রামীন হওয়া প্রয়োজন ছিল। চমতকার ধারাবাহিকতা আর ক্যামেরা ফোকাস ছিল পুরো নাটকটিতে। সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল নাটকটা। বাংলা নাটকের আরো উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।



পূর্বে প্রকাশিত- http://samahmud.info/~/JohpV

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.