নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদ ৭

ছাত্র। বয়স ২০। মাত্র শিখছি। তবে এটা ভালো করে জানি আমি এখনো অনেক কিছুই জানি না। কিন্তু এও জানি, যে ভুল করে না বা ভুল করার ভয়ে কিছু করতে চেষ্টা করে না, সে কিছুই শিখতে পারে না।

সাদ ৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম- ধর্ষণের এক হাতিয়ার।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭


মধু ও চন্দ্রিমা। একই ক্লাসেই পড়ে। চলচ্চিত্র, নাটক ও বন্ধু-বান্ধবদের নিকট প্রেম কাহিনী শুনে আবেগের বসে প্রেম করা শুরু করে। বড় হওয়ার সাথে সাথে মধু বুঝতে পারে, চন্দ্রিমার যখন বিয়ের বয়স হবে তাকে তখন ব্যস্ত থাকতকে হবে তার ক্যারিয়ার নিয়ে। আর কোন মা-বাবাই চাইবে না তার মেয়ে বেকার ছেলেকে বিয়ে করে। এ কারণেই চন্দ্রিমার প্রতি তার আগ্রহ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তার সাথে যোগাযোগ রাখে মূলত সময় কাটানো ও লোক দেখানোর জন্যই।

এখন মধুর উঠতি বয়স। ডিশএন্টেনা, ইন্টারনেট ও কিছু চঞ্চল বন্ধুর কারণে তার আগ্রহ বারে জৈবিক চাহিদার প্রতি। নতুন নতুন জানা বিষয়। তাই আগ্রহ অনেক বেশি। পড়তে বসলে, হাঁটতে-চলতে এমনকি ঘুমের মধ্যেও সারাক্ষণ তা মাথায় ঘুরপাক খায় তার। তার অনেক বন্ধুও ইতিমধ্যে সেসব কাজের সাথে জড়িত এবং সেসব কাহিনী শেয়ার করে বন্ধুদের সাথে। যারা এমন করে বন্ধুদের মাঝে তারা যেন অনেক স্মার্ট। মধুর ইচ্ছা হয় তার স্মার্টনেস প্রমাণ করতে। তাই তার টার্গেট হয়, তার জন্য খুব কাছে মানুষ চন্দ্রিমা।

চন্দ্রিমা পড়ালেখায় খুব মনযোগী। এসব বিষয়ে তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। কিন্তু সে মধুর চাপে একপ্রকার অতিষ্ঠ। তার আগ্রহ নেই বলে তাকে ইমোশনাল ব্ল্যাক-মেইল করে এমন শব্দ প্রায় শুনতে হয় মধু থেকে। এমনকি মধু তাকে হিজড়াও বলতে দ্বিধা করে। মধু চাই এটাই যে, এর ফলে সে রাগের বসে হ্যাঁ বলে দিবে।

অনেক কিছুর পর ব্যর্থ চেষ্টা দেখে মধু তার সাথে সম্পর্ক শেষ করে দেয়। এখন সে নতুনের অনুসন্ধানে। কিন্তু প্রকৃত প্রেমের জন্য না। কারণ সে প্রেমের মজা ইতিমধ্যেই পেয়েছে। তার টার্গেট এখন অন্যকিছু।

এরকম অনেক ছেলেই আছে যাদের আসল উদ্দেশ্য প্রেম করা না। তারা মেয়েদের নানা ভাবে পটিয়ে, ইমোশনাল ব্ল্যাক-মেইল করে তাদের মূল উদ্দেশ্য পূরণ করতে চাই। মেয়েরাও তাদের মিষ্টি মিষ্টি কথার ফাঁদে সহজে পা দেয়। আর এরপরই সম্পর্ক শেষ করে দেয়।

এসব ছেলের উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের ফাঁদে ফেলে হ্যাঁ বলানো, যাতে বলতে পারে ওটা ধর্ষণ ছিল না কারণ তুমিও রাজি ছিলে। কোমল-মতি মেয়েরাও আর কিছু চিন্তাভাবনা না করে ছেলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে যায় না। এতে সাহস পেয়ে সেসব ছেলে টার্গেট করে নতুন কাউকে। এমনকি প্রেমিকার বোনকেও।

এভাবে কত মেয়েই যে, প্রেমের নাম দিয়ে ধর্ষণ হয়! ধর্ষিতার মনে, তার পরিবারের মধ্যে তখন কি অবস্থা বিদ্যমান তা অকল্পনীয়। অনেকে আবার বেছে নেয় আত্মহত্যা।

আমি নাহয় বাস্তবতার আলোকে কাল্পনিক এক গল্প বললাম। কিন্তু অনেকের কাছে হয়তো সত্য। প্রেমের নামে আর কত ধর্ষণ? আর কত?

[বিদ্রঃ এখানে প্রেম বলতে প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেমকে বোঝানো হয়েছে। আর সেই সব প্রেমিক নামের লম্পট ব্যক্তিদের বোঝানো হয়েছে।]

#সাদ
১০-অক্টোবর-১৪
#Saad
Facebook

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.