নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদ ৭

ছাত্র। বয়স ২০। মাত্র শিখছি। তবে এটা ভালো করে জানি আমি এখনো অনেক কিছুই জানি না। কিন্তু এও জানি, যে ভুল করে না বা ভুল করার ভয়ে কিছু করতে চেষ্টা করে না, সে কিছুই শিখতে পারে না।

সাদ ৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল দাশ

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০


এক লোক টাকা বানানোর যন্ত্র পেল। হুট করেই জাল বা আসল টাকার নোট বানিয়ে তা বাজারে ছেড়ে দিল, আর হয়ে গেল রাতারাতি বড়লোক। এটা কি ন্যায় হল? এভাবে কোন দেশ যদি কাগজের নোট বের করতেই থাকে কোন জবাব দিহিতা ছাড়া মুদ্রাস্ফীতি তো হবেই। সে সাথে সেই দেশ ধনী তো হবেই আর অন্য দেশ যাবে পিছিয়ে। সূক্ষ্মভাবে মুনিব দাশ প্রথা।

ধরুন আপনি আপনার সন্তানের জন্য ১০লক্ষ টাকা রেখে গেলেন। আর এর পিছনে নিশ্চয় আপনি ১০লক্ষ টাকার সমপরিমাণের পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করেছেন। কিন্তু আজ হতে ১০ বছর পর আপনার সন্তান যে ১০লক্ষ টাকা পাবে তার মূল্য কি বর্তমানের সমান হবে নাকি কমে যাবে?

সামান্য একটুকরো কাগজ যাতে কিছু সংখ্যা বসিয়ে দিলে হয় মূল্যবান। বাড়িয়ে দিলে হয় মহা মূল্যবান। এক দেশে যা মূল্যবান অপর দেশে তা প্রায় মূলহীন। জ্বলে বা ছিঁড়ে গেলে তো কথাই নেই। চিন্তা কি করেছেন এ নিয়ে?

আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগেও একটি স্বর্ণমুদ্রা (৪.২৫ গ্রাম) দিয়ে ছাগল পাওয়া যেত পৃথিবীর যেকোনো জাগায়। ঠিক বর্তমানেও ঐ স্বর্ণমুদ্রা (১৫,২১৫টাকা) দিয়ে যেকোনো জায়গা হতে আপনি ছাগল কিনতে পারবেন। অর্থাৎ এর মূল্য হল স্থায়ী। আপনি দুনিয়ার যে প্রান্তেই যত টাকা পরিমাণের সময় ও শ্রম ব্যয় করবেন পাবেনও ঠিক তত। রেখে যেতে পারবেনও তত আপনার সন্তান এর মূল্যও পাবে তত। এমন হবে না যে, আমি বাংলাদেশে বসে যে শ্রম ব্যয় করে যত টাকা পায় অন্য দেশে তা আরো বেশি পাবে। ধনী আরো ধনী এবং গরীব আরো গরীব আর হবে না।

আমরা আছি অনেক ধোঁকার মধ্যে। ডলার ইচ্ছেমত বাড়িয়ে কমিয়ে মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ ও সুদ সৃষ্টি করে আর ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। যেমন সুদযুক্ত ঋণ পরিশোধ করতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। বাড়তি দাম দিয়ে কেনার জন্য অন্যরাও দাম বাড়িয়ে দেয়। কাগজের টাকার নোট আমাদের করেছে ডিজিটাল দাশ।

#সাদ
২-নভেম্বর-১৫
#Saadফেসবুক পেজে এই পোষ্ট

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৮

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: এই ইস্যুতে বহুত কাহিনী আছে। আপনি ইকোনোমিক্স এর একটা জটিল ইস্যু নিয়া টান দিছেন। আমাদের পুরা পৃথিবীর মানিটারী সিস্টেম এর ট্যাকার কোন ইনট্রিন্সিক ভ্যালু নাই। এইডা একটা বিশাল প্রবলেম।
যে কোন মুহূর্তে যে কোন কিছু হইতে পারে। এই জন্য বুদ্ধিমান তারাই যারা টাকা না জমাইয়া স্বর্ণ জমা রাখে। এই স্বর্ণ এর পিছনেও বড় গেইম আছে। খুব সম্ভবত ১৯৪০ (ঠিক খেয়াল নাই) এর দিকে আমেরিকা হঠাত কইরা আইন করল কি ব্যাক্তিগত ভাবে কারও কাছে স্বর্ণ এর বার থাকা যাবে না, পাইলেই জরিমানা। একটা দাম ফিক্স কইরা দিল আর পাবলিক ও সমানে সব বেইচা দিল। ঠিক দশ বছর পরে সেই আইন আবার বাতিল করল এবং সেই সময়ে আবার স্বর্ণের দাম বাড়াইয়া দিল। পাবলিক একই স্বর্ণ একবার কম দামে বেচল এবং একবার বেশি দামে আবার কিনল। এই একই কাহিনী ব্রিটেন এও হইছে। মাঝখানে পাবলিক এর ট্যাকা লুইটা নিল।
মানি এর অবশ্যই ইন্ট্রিন্সিক ভেলু থাকা উচিত যেইটা বর্তমান মানিটারি সিস্টেম এ নাই। এখন ত পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর, চারিদিকে ইলেকট্রনিক মানি এইডার ত আরও নাই। এইটার পিছনে নাকি রথসচাইলড পরিবারের বিশাল গেইম আছে।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: স্বর্ণ নিয়াও কি এখন কম খেলা শুরু হইসে?? কাউকে ছোট বা বড় করার জন্য বলছি নাহ, একবার ক্লাসে এক শিক্ষক কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন আপনার মত "দেখবা হিন্দুরা স্বর্ণ জমা করে টাকা নাহ। কারন ওইটার মূল্য কমে নাহ সহজে।" কিন্তু দেখেন আমাদের দেশে কি অবস্থা চলে এখন। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম হলেও আমাদের দেশে সেই হারে কম নাই। স্বর্ণ ব্যবসার জন্যও তেমন সুবিধাজনক পরিবেশ আছে কিনা সন্দেহ। তা নাহলে কেন এটা নিয়া বিমান বন্দরে এমন খনি তৈরি হল?? বৈধ পথে আনতে বাধা কিংবা নানা রকম হয়রানির জন্যই ব্যবসায়ীরা সেই পথ বেছে নেয়। তার উপরে আছে পাশের দেশের চাহিদা... ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.