নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

saamok

saamok › বিস্তারিত পোস্টঃ

সচেতন হউন নতুবা নিশ্চিত মৃত্যু

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯





আজ এখন পর্যন্ত আমি স্বাভাবিক হতে পারিনাই। সকলেই চেষ্টা করছিলাম সাহায্য করতে কিন্তু কিছুই করার ছিলনা। কান আর নাক দিয়ে যে ভাবে ফোয়ারার মত রক্ত বেরুচ্ছিল ঘটনাস্থলেই বুঝেছিলাম বাচার আশা নিরাশা। তবে তখনও বেচেছিল।



রাজধানীর মৌচাক মোরে রাস্তা পার হতে গিয়ে দু’টি বাসের মাঝখানে পড়ে চাপ খেয়ে মোজাম্মেল কাঞ্চন (২৩) নামে এই বিশ্ববিদ্যালয় এই ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে এই র্দূঘনাটি ঘটে। নিহত কাঞ্চন আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ঢাকা ক্যাম্পাস থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করছিলেন তিনি। তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন কিন্তু অসচেনতা আর তাড়াহুড়ো করার মূল্য দিলেন নিজের জীবন দিয়ে।



বাস চালকরাই দোষী। তিনি মৌচাক মোরের উত্তর পাশ থেকে দক্ষিন পার্শে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। রাস্তায় ছিল প্রচন্ড জ্যাম। সামান্য ফাকা পেয়েই তিনি অনেকের সাথে তাড়াহুড়ো করে রাস্তা পার হওয়ার ঝুকি নেন। সেসময়ে দিবানিশি আর ফালগুনি বাস দুটি পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করছিল আগে যাওয়ার জন্য। দুর্ভাগ্রক্রমে তিনি আটেকে পরেন বাস দুটির মাঝখানে।

অবস্থা বেগতিক দেখে কাঞ্চন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দুই হাত উঁচু করেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ড্রাইভাররা সেদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রক্ষেপ করেননি। কাঞ্চন দুই বাসের মাঝখানে পড়ে যান। দুই বাসের চাপায় তার শরীরে উর্ধাংশ থেঁতলে যায়। মাথায় প্রচন্ড আঘান পান। নাক ও কান দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। বাসের যাত্রীরাও চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু তখন সামনে জ্যাম থাকায় বাসগুলো সরতে পারেনি। কয়েক মিনিট এভাবে আটকে থাকার পর দিবানিশি বাসটি সরে যায়। তখন কাঞ্চনের শরীর রাস্তার ওপর পড়ে যায়। কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সবশেষ। ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



কে নিবে এই দুর্ঘটনার দায়িত্ব? আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত। কষ্ট হলেও ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন। ফুটওভার ব্রিজ না থাকলে রাস্তা সম্পুর্ণ নিশ্চিত নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন তরপর রাস্তা পরহোন।



দয়া করে দু-মিনিটের জন্য আপনার মূল্যবান জীবনের ঝুকি নিবেন না।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

নতুন বলেছেন: কিছুই বলার নাই... ভাই,..

সবাই কেমন যেন পাগলের মতন ব্যস্ত...নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেনা..

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: বাস ড্রাইভারের ফাসী হওয়া উচিৎ কিন্তু তখন আবার এক মন্ত্রী কাম লেবার লিডার আসবে তাকে বাঁচাতে। ড্রাইভারের কিছুই হয়না হবেনা তাই এরা মানুষ খুন করছে নির্বিচারে্। সরকার এদের সাংঘাতিক ভয় পায়।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দয়া করে দু-মিনিটের জন্য আপনার মূল্যবান জীবনের ঝুকি নিবেন না।

++

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিরাপদ সড়ক চাই দাবী দীর্ঘদিনের। ইলিয়াস কাঞ্চনের পুরো পরিবার হারিয়ে তিনি বছরের পর বছর ধরে পথে নেমে আন্দোলন করলেও যেন সরকাররে টরক নড়ছে না।

লাশের মিছিল বেড়েই চলছে!!!!!!!!!!!!!

এ মিছিল না থামিয়ে নিজের অজান্তেই একদিন মিছিলের অংশ হয়ে গেলেই কি বোধোদয় হবে আমাদের!!!!!??????

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:

কি মর্মান্তিক!!! দোষীদের শাস্তি দেয়া হোক।


-----------------------------------------
** আর দয়া করে বানানের ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখুন।

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: দোষ আমাদের। এখানে বাস ড্রাইভারদের দোষ দেখি না আমি। রাস্তায় ড্রাইভাররা প্রতিযোগীতা করবেই। রাস্তা তাদের জন্যই। আমাদের জন্য আছে ফুটপাত আর ওভারব্রীজ।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

আহলান বলেছেন: এই মিছিলের শেষ কোথায়? আমরা কবে সিভিলাইসড হবো?

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছি না । খুব খারাপ লাগে , আবার রাগ ও হয় ।

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

এনামুল রেজা বলেছেন: এতো কিছুর পরেও আমাদের বদল হয়না। দেখা যাবে আমি নিজেও অজ্ঞের মতো ওভার ব্রিজ ছেড়ে তাড়াহুড়ায় নিচ দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছি।
অথচ বারবার ভুলে যাই, জীবন এতো তুচ্ছ করার বস্তু না...

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

মাটি আমার মা বলেছেন: সত্যি দু:খজনক। আমাদের সচেতন হতে হবে। সেই সাথে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনতে হবে।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

শাহ আজিজ বলেছেন: কেউ যদি ঢাকা শহরের বাসে চড়েন শুধু তিনিই জানবেন বাস ড্রাইভার কি চিজ। সরকার এদের ভুয়া লাইসেন্স দেয় বটে তবে মানুষ হত্যার লাইসেন্সটা একদম জেনুইন , ডিজিটাল। আগে মারত ধাক্কা দিয়ে , এখন মারে দুই বাসের মাঝে পিষে ফেলে, মার হাবা ! ঢাকা শহরে দরকার ১১০০ ফুট ওভার ব্রিজ । নেই । কেন নেই ? তারা তোঁ পায়ে হাটেনা । আর আমাদেরও আবাল পাবলিক আছে , জমিদারের লাহান রাস্তা পার হয়, মরেও এইগুলান।

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৫

নিলু বলেছেন: আমাদেরও সচেতন হতে হবে

১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এত এত অসচেতনতায় মৃত্যু হয় তারপরও আমরা সচেতন হই না । এই রকম মর্মান্তিক মৃত্যু কারো কাম্য নয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.