নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

sabbir2cool

sabbir2cool › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্তর্বর্তী ফ্যাসিজম

২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১০

ক্ষুদ্র ঋণের জন্য শান্তিতে পুরুস্কার পেয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সাল ছিলো ২০০৬ । তার প্রোফাইল অনেক দীর্ঘ । দেশ খ্যতিমান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি । বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার আগে তিনি একবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন ।

তিনি বিদেশে অনেক পুরুস্কার পেয়েছিলেন । বিশেষ করে আমেরিকার যেখানে প্রভাব, সেখানেই তিনি পুরুস্কারের প্রধান দাবিদার । তিনি ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন । মুহাম্মদ ইউনুস হচ্ছেন সেই সাত জন ব্যাক্তির একজন যারা নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন । ২০১২ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালোডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন । তিনি তার অর্থ কর্ম সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছিলেন । তিনি গ্রামীণ আমেরিকা এবং গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড সদস্য । তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেন ।

তাকে নিয়ে অনেক কিছুই বলা যায় । কিন্তু সে তুলনায় দেশে তার কিছুই নেই। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে ক্ষুদ্র ঋণের ধারনা প্রবর্তন করে তিনি বিশাল কিছু করে ফেলেছেন বলে সারাবিশ্বে প্রচারিত হয় । অথচ এই গ্রামীণ ব্যংকের কিস্তি পরিশোধের জন্য বাংলদেশের অনেকের ঘরের টিনের চাল খলে নিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান । অনেকার গোয়ালে গরু বেঁধে নিয়ে গিয়েছে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা । অনেক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন ।

দেশে মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক রক্তচোষা প্রতিষ্ঠান হলে এই প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যে তিনি পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরুস্কার । আমেরিকা দেশে দেশে এমন অনেকে আবিষ্কার করে যার মাধ্যমে তাদের স্বার্থ হাসিল হয়ে থাকে, মুহাম্মদ ইউনুছ হচ্ছেন সে ব্যাক্তিত্ব । যাকে দিয়ে আমেরিকার স্বার্থই হাসিল হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের কোন লাভ হয়নি । তাকে বাংলাদেশের কোন দুর্যোগ দুর্বিপাকে পাওয়া যায় নি । বাংলাদেশের বন্যার সময় করোনা, সিডর, আইলাসহ নান দুর্যোগে তিনি কখনওই দেশে মানুষের পাশে দাঁড়াননি । দাঁড়ায়নি তার প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক । বরন দুর্যোগের সময় আরও বড় দুর্যোগ হয়ে দেখা দিয়েছে তার প্রতিষ্ঠানটি ।

আওয়ামিলিগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল তার পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ । অথচ এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশে অর্থায়নে হতো না, যদি না মুহাম্মদ ইউনুস দেশে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বিশ্বব্যাংকের অর্থ ফিরিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতেন । ইউনুস হিলারি ক্লিনটন ষড়যন্ত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিলো । ইউনুস গং এই ষড়যন্ত্র পরিষ্কার হয়েছিলো, যখন কানাডার একটি আদালত রায় দেয় যে , পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয় নি ।


শেখ হাসিনার সমৃদ্ধির পথে বাংলদেশে গড়ার প্রকল্পে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনুস । কিন্তু পারেননি তিনি । সেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে মুহাম্মদ ইউনুসের গালে চপেটঘাত করেছিলেন ।

শেখ হাসিনার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত মুহাম্মদ ইউনুস গং এরপর আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে, জার সর্বশেষ প্রকাশ হয় জুলাই-আগস্টের এই মব । এটাকে যদি তারা বিপ্লব বলে তারা কিন্তু এটা আসলে কোন বিপ্লব ছিলো না । এটা ছিলো একটা ষড়যন্ত্র ছিলো মাত্র । ইউনুসরা এই ষড়যন্ত্রে সফল হয়েছে ।


মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষমতা দখলের পর আইনশৃঙ্খলা সুদান বা পাকিস্তানের চাইতেও ভয়ংকর এখন । জিনিস পত্রের উচ্চমূল্য চলছে দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ । আওয়ামিলিগ ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চালানো হচ্ছে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার ।

তবু কি দেশ জাগবে না ? তবুও কি ইউনুসের বিদায় হবে না ? হবে । নিশ্চিন্ত থাকুন ।
মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী ফ্যাসিজমের দিন শেষ হবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.