নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে পরিচিত একজন। সারাবিশ্ব জানে নারী স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নের সিঁড়ি রচনা করে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা চালু করেছেন তিনি। তিনি নারীকে স্বাবলম্বী করতে যে ঋণ ব্যবস্থা চালুর কথা প্রচার করেছিলেন, সেটা বাইরে থেকে শুনতে সুন্দর, কিন্তু ভেতরে বীভৎস রূপ তার। সেই ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি যোগাতে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকেই। অনেকেই ঋণ মেটাতে না পেরে বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। কেউ অসহায় নেত্রে তাকিয়ে দেখেছেন ঘরের টিন খুলে নেওয়ার দৃশ্য।
ভেতরের কদর্যরূপ বহির্বিশ্বের কেউ দেখেনি বলে এখনো ইউনূস বিশ্বব্যাপী পূজনীয়। তবে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখলের পর তার অন্তরের প্রকাশ হতে চলেছে। বিশ্ব দেখছে শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূস কীভাবে বাংলাদেশকে অশান্তির বৃহত্তর দ্বীপে পরিণত করেছে।
ইউনূসের সাড়ে চার মাসের চলমান শাসনামল বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কজনক এক অধ্যায়। তিনি দখলদার হিসেবে ফ্যাসিস্ট। তিনি মতলববাজ হিসেবে চরম মাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত। তার উপদেষ্টা এবং নিয়োগ দেওয়া লোকজন স্ব স্ব ক্ষেত্রে চরম বিতর্কিত।
ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। ইসলামিস্ট জঙ্গিদের পোয়াবারো অবস্থা। অন্য ধর্মের লোকজনকে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। স্কুল-স্কুল-কলেজে্র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কিশোর গ্যাং। মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে নাহিদ ইসলাম নামের এক উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের প্রধান বিচাপতি হলেও তিনি পাপেট বিচারপতি।
মাহমুদুর রহমান নামের এক সাম্প্রদায়িক কীট আমার দেশ নামের এক গুজবপত্র প্রকাশ করতে শুরু করেছে। প্রথম আলো- ডেইলি স্টারের প্রেসস্ক্রিপশনে চলছে দেশ। হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম নামের দুই সাম্প্রদায়িক ও অর্থলিপ্সুর কাছে জিম্মি প্রশাসনযন্ত্র। মাহফুজ আলম নামের দপ্তরবিহীন এক উপদেষ্টা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরিরের কর্মসূচি বাস্তবায়নে মরিয়া।
ইউনূসের মবের মুল্লুকে দেশ কার্যত এক কারাগার। মানবাধিকারের কবর রচিত হয়েছে দেশে। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে, এবং এই সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করারও সাহস হচ্ছে না কারো।
©somewhere in net ltd.