![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুলাই-আন্দোলন বা জুলাই-স্ক্যাম চলাকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রায়ই বলা হতো ‘রিয়েলিটি মাইনে নেও’। আন্দোলনকারীরা তাচ্ছিল্য করে শেখ হাসিনাকে এই কথা বলত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন বলা হচ্ছে--‘রিয়েলিটি মাইনে নেও যে আপা আর ফিরবে না’। আন্দোলন চলাকালে এই বাক্য এবং গ্রাফিতির ভাষায় মনে হতো এই কথা উচ্চারণকারীরা ইউনিক কিছু বলছে। অথচ এটা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি।
জুলাই-স্ক্যামাররা শুরু থেকেই প্রতারণার নানা ছক কষে তাদের ষড়যন্ত্রের সফল বাস্তবায়ন করেছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নানা উদ্ধৃতি দেওয়া। তারা বঙ্গবন্ধুর নানা উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করতে চাইত, তারা বাংলাদেশের স্বপক্ষ শক্তি। তারা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে প্রমাণ করতে চাইত তারা বাংলাদেশকে ধারণ করে। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর প্রথমেই তারা আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবাহী স্মারক চিহ্নের ওপর, ভাঙচুর করেছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, পুড়িয়ে দিয়েছে ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর, আর সবশেষ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ধানমন্ডির এই ঐতিহাসিক স্থাপনা।
‘রিয়েলিটি মাইনে নেও’ বলে যে কথা বর্তমানে বাংলাদেশ সব মহলে আলোচিত, এটা ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। তিনি পাকিস্তানের জুলফিকার আলি ভুট্টোকে উদ্দেশ করে এই কথাটি বলেছিলেন তখন, যখন স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব স্বীকৃতি দিচ্ছি। বাংলাদেশকে একেক দেশ তখন স্বীকৃতি দিচ্ছিল, আর ভুট্টো সেই সব দেশের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভুট্টোকে ‘রিয়েলিটি’ মেনে নিতে হয়েছিল।
রিয়েলিটি মাইনে নেওয়ার আরেকটা প্রসঙ্গের অবতারণা হচ্ছে দেশে এখন, যখন কথিত সমন্বয়ক অথবা কিংস পার্টির নেতারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছিল। তারা গায়ের জোরে বলছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, আওয়ামী লীগকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে দেবে না। কিন্তু এটা কি সম্ভব?
সম্ভবত সম্ভব না। কারণ রাষ্ট্র ক্ষমতা হারালেও, এবং আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে বা পালিয়ে থাকলেও দেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এমন না। বরং মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ব্যর্থতায় দিনকে দিন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মানুষ ভুলে যেতে বসেছে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন এবং প্রাণহানির ঘটনা।
অথচ আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক করার সবচেয়ে বড় সুযোগ হারিয়ে ফেলেছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি লাঠিয়াল বাহিনী না পুষে তারা যদি সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারত, তাহলে আওয়ামী লীগের ফিরে আসা কঠিন ছিল।
মুহাম্মদ ইউনূস এবং কিংস পার্টি তথা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের উদ্দেশে এখন বলা যায়-- ‘বাচ্চারা রিয়েলিটি মাইনে নেও, আওয়ামী লীগ ফেরত আসতেছে’; তোমরাই এই পথ রচনা করে দিয়েছ।
২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬
sabbir2cool বলেছেন: বিপ্লবীরা বিপ্লবী সরকার গঠন করে নাই । সংবিধানও বাতিল হয় নাই । অতএব সহজেই অনুমেয় এদের ভবিষ্যৎ
২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগ কে অন্তত দুই টার্ম রাজনীতির ভাইরে রাখা উচিত। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫১
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যস্ত তরমুজ এর ভিতর লাল কিভাবে বুঝা যায় আর তার মার্কেটিং নিয়ে!!! হায়রে জাতি..টিকটকার জাতির কাছ থেকে কি আশা করা যায়। বছর বছর বাচ্চা বিয়ানো জাতি সংখ্যা দিয়ে বিশ্বে এক নম্বর হবে, এই স্বপ্নেই বিভোর.......।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:২২
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: আহারে পা চাটতে না পাইরা জিহব্বার জায়গায় এখন কিবর্ড কচলাচ্চে
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ব্যর্থতায় নয় বরং ডক্টরকে ব্যর্থ করানো হচ্ছে। কে বলেছে আওয়ামী পুরোপুরি উৎখাত হয়েছে! আমলা-কামলা সবই তো লীগের রেখে যাওয়া, এখন ধীরে দল ঢুকতে চাচ্ছে। লীগের জায়গায় দলের সহযোগী ঢুকবে। এখই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
এত বছর কমতো চুষে নাই! জমানো পয়সা ঢেলে দিলে সরকারি-বেসরকারি সবাই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিবে।
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০
কামাল১৮ বলেছেন: ইউনুস ইসলামী জঙ্গিদের লমর্থন করে আমেরিকার রোষানলে পড়েছে।
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৬
তানভীর_আহম্মেদ বলেছেন: এতিম লীগের ব্লগ শাখা থেকে বলছি
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আরেকটা রিয়েলিটি জামাত শিবিরের মনের আশা পূরন হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জুলাই প্রকৃত অর্থে একটি সুন্দর অভ্যুত্থান ছিলো। সমস্যা হচ্ছে বিপ্লবীরা নিজেদের এখন সর্বেসর্বা ভাবছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই জানতেন যখন পতন ঘটবে তখন ভয়ংকর ভাবে ঘটবে। বিপ্লবীদের নিজেদের মনেও ভয় আছে জীবন হারানোর। কারণ আওয়ামী লীগ ভয়ংকর প্রতিশোধপরায়ণ একটি দল। সবাই যার যার মতো করে সর্বশক্তি দিয়ে নিজেদের বাচানোর চেষ্টা করবে।